Skip to content

দিন 1: – জাতিগণের জ্যোতি

  • by

সংস্কৃত অর্থ ‘চিহ্ন’ বা ‘প্রতীক’ থেকে ‘লিঙ্গ’ এসেছে, এবং লিঙ্গম শিবের সর্বাধিক স্বীকৃত প্রতীক I শিব লিঙ্গ সুস্পষ্টভাবে বৃত্তাকার মাথার সাথে খাড়া বেলন প্রদর্শন করে, যাকে শিব-পীঠ বলা হয় I অন্যান্য কম বিশিষ্ট অংশগুলো হ’ল ব্রহ্ম-পীঠ (বৃত্তাকার আধার) এবং বিষ্ণু-পীঠ (মাঝখানে বাটি জাতীয় স্তম্ভমূল্) I   

লিঙ্গম দেখায় শিব, বিষ্ণু-পীঠ ও ব্রহ্ম-পীঠ

জ্যোতির্লিঙ্গ সমূহ

যদিও বিভিন্ন আকার, মাত্রা এবং বিভিন্ন উপকরণগুলোর মধ্যে অসংখ্য লিঙ্গ সমূহ রয়েছে তবে সর্বাধিক পবিত্র হ’ল জ্যোতির্লিঙ্গগুলো (জ্যোতি = আলো) বা উজ্জ্বল প্রতীক I জ্যোতির্লিঙ্গর (বা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ) পেছনে পুরাণশাস্ত্র  বিবরণ দেয় যে ব্রহ্মা এবং বিষ্ণু তাদের মধ্যে কে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী সেই নিয়ে বিতর্ক করছিলেন I তখন শিব জ্যোতির এক বিশাল স্তম্ভ (জ্যোতির্লিঙ্গ) হিসাবে উপস্থিত হন I বিষ্ণু জ্যোতির লিঙ্গের উপরের দিকে আর ব্রহ্মা লিঙ্গের নীচের দিকে প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রান্তটির আবিষ্কারের আশায় যাত্রা করলেন I কেউই তা করতে সক্ষম হন নি, জ্যোতির স্তম্ভটি অনির্দিষ্টকালের জন্য এইভাবে একটি ঐশ্বরিক প্রতীক হিসাবে প্রসারিত হয়েছিল I      

শিব জ্যোতির এক বিশাল স্তম্ভ হিসাবে প্রকাশিত হলেন

জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির

জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরগুলো দ্বাদশ পবিত্র তীর্থস্থল যেখানে ভগবান শিব পৃথিবীর উপরে জ্যোতির এক স্তম্ভ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিলেন I শ্রদ্ধালুরা এই 12টি তীর্থ স্থানগুলোতে যাত্রা করে এবং পুরাণ বলে যে এই জ্যোতির্লিঙ্গগুলোর এমনকি নাম আবৃত্তি করলেও মৃত্যু এবং জীবনের চক্র থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে I এই 12 জ্যোতির্লিঙ্গগুলো হ’ল:  

জ্যোতির্লিঙ্গের অবস্থানগুলো

  1. সোমনাথ
  2. মল্লিকার্জুন
  3. মহাকাল
  4. ওঙ্কারম  
  5. কেদারশ্বের
  6. ভীমশংকর
  7. বিশ্বেশ্বর/বিশ্বনাথ
  8. ত্রাম্বকেশ্বর
  9. বৈদ্যনাথ
  10. নাগেশ্বর
  11. রামেশ্বরম
  12. ঘৃষ্ণেশ্বর মন্দির 

জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরগুলোর সুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা

আমাদের দিকনির্দেশ এবং চেতনার (আলোর) জন্য জ্যোতির্লিঙ্গগুলোর অন্তর্নিহিত শক্তির গভীর প্রয়োজন রয়েছে I তাই, অনেকে আশীর্বাদ এবং অন্তরের অন্ধকার দূর করার জন্য এই 12 জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দিরে তীর্থযাত্রা করে I তবে জ্যোতির্লিঙ্গের  ঐশ্বরিক আলো কেবলমাত্র তারাই দেখতে পারে যারা আধ্যাত্মিক লক্ষ্য অর্জনের  উচ্চ স্তরে পৌঁছাতে পারে I     

তাহলে আমরা যদি আধ্যাত্মিকতার সেই স্তরে পৌঁছাতে না পেরে থাকি? বা জ্যোতির্লিঙ্গের প্রতি আমাদের আকাঙ্খা শেষ অবধি দীর্ঘকাল হয়ে যায় এবং সেই দিব্য জ্যোতির প্রকাশ ম্লান হয়ে যায়? যদি আমরা তখন অনেক পাপ সমূহকে অর্জন করে থাকি? যদি আমরা তীর্থযাত্রাগুলো করতে সক্ষম না হয়ে থাকি? তাহলে কিভাবে জ্যোতিরলিঙ্গগুলো আমাদের উপকার করতে পারে? বা অন্যভাবে বলা যায়, কিভাবে এই জ্যোতি আমাদের মধ্যে থাকতে পারে, যাতে আমরা জ্যোতির ‘সন্তান’ হতে পারি?  

যীশু: জ্যোতি সকলের জন্য জ্যোতি দেয়

যীশু ঘোষণা করলেন যে তিনি ছিলেন আলো (জ্যোতি), না কেবল একটি পবিত্র তীর্থে প্রকাশ করলেন, বরং বিশ্বব্যাপী সকলে যাতে দেখতে পারে এবং ‘জ্যোতির সন্তান’ হতে পারে I শিবের জন্য রূপ/প্রতীক/চিহ্ন একটি গোলাকার বেলন, আমাদের ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর অভিজ্ঞলব্ধ সেই প্রকাশনের কথা মনে করিয়ে দেয় I যীশু জ্যোতির সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে গিয়ে একটি ‘বীজের’ লিঙ্গ (রূপ, চিহ্ন, প্রতীক) ব্যবহার করেছিলেন I   

কিভাবে তিনি ‘বীজকে’ লিঙ্গ হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন?

আমরা অনুসরণ করেছি তার দ্বারা মৃত্যু থেকে লাসারকে উত্থাপনের কর সেবা মিশন এবং সেই দিনে যিরূশালেমে প্রবেশ যার সম্বন্ধে বহু পূর্বে পবিত্র ‘সাত  সপ্তাহের’ দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, শিখেছি যে তিনি স্বয়ং মৃত্যুকে পরাজিত করতে যাচ্ছিলেন I এখন আমরা এই একই দিনের (খর্জুর রবিবার) ঘটনাগুলোকে অবিরত অনুসরণ করতে থাকি I যিহূদিরা আসন্ন নিস্তারপর্বের উৎসবের জন্য অনেক দেশ থেকে উপস্থিত হচ্ছিল, যিরূশালেমে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে উপচে পড়ছিল I একটি গাধার উপরে যীশুর আগমন যিহূদিদের মধ্যে এক উত্তেজনা সৃষ্টি করল I তবে সুসমাচার অন্যদেরকেও লিপিবদ্ধ করে এছাড়াও যারা ধ্যান দিয়েছিল I     

20 নিস্তারপর্ব উপলক্ষে উপাসনা করার জন্য যাঁরা জেরুশালেমে এসেছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন গ্রীকও ছিল৷
21 তারা গালীলের বৈত্‌সৈদা থেকে য়ে ফিলিপ এসেছিলেন, তাঁর কাছে গেল, আর তাঁকে অনুরোধের সুরে বলল, ‘মহাশয় আমরা যীশুর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে চাই৷’
22 ফিলিপ এসে একথা আন্দরিয়কে জানালেন৷ তখন আন্দরিয় ও ফিলিপ এসে যীশুকে তা বললেন৷

যোহন 12:20-22

যীশুর সময়ে গ্রীক-যিহূদির বাধা 

গ্রীকদের (অ-যিহূদিদের) যিহূদি উৎসব উদযাপন করা শোনা যায় নি I তখনকার দিনে যিহূদিরা গ্রীক এবং রোমীয়দের অশুচি বিবেচনা করত I গ্রীকরা তাদের অদেখা ঈশ্বর এবং এর উৎসবগুলোর সাথে যিহূদি ধর্মকে বোকামি বলে মনে করত I তাই যিহূদি এবং অ-যিহূদিরা কিছুটা শত্রুতার অনুভূতির সাথে  একে অপরের থেকে আলাদা থাকত I     

জ্যোতি সকল জাতিগণের জন্য আসে   

তবে যিশাইয় দীর্ঘ সময় পূর্বে (750 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে) এক পরিবর্তনকে আগে থেকেই দেখেছিলেন I 

Rsi

ঐতিহাসিক কালপঞ্জির মধ্যে যিশাইয় এবং অন্য হিব্রু ঋষি (ভাববাদীরা)

তিনি লিখেছিলেন:

রবর্তী স্থানের সব লোকরা আমার কথা শোন| পৃথিবীবাসী সবাই আমার কথা শোন! আমি জন্মাবার আগেই প্রভু আমাকে তাঁর সেবা করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন| আমি মাতৃজঠরে থাকার সময়েই প্রভু আমার নাম ধরে ডাক দেন|

যিশাইয় 49:1

5 প্রভু আমাকে আমার মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করেছেন, যাতে আমি তাঁর দাস হতে পারি এবং যাকোব ও ইস্রায়েলকে পথ প্রদর্শন করে তাঁর কাছে ফিরিয়ে আনতে পারি| প্রভু আমাকে সম্মান দেবেন| ঈশ্বরের কাছ থেকে আমি আমার শক্তি পাব|”প্রভু আমাকে বলেন,
6 “তুমি আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ দাস| ইস্রায়েলের লোকরা এখন বন্দী| কিন্তু তাদের আমার কাছে আনা হবে| যাকোবের পরিবারগোষ্ঠী আমার কাছেই ফিরে আসবে| কিন্তু তোমার অন্য কাজ আছে, এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই কাজ! আমি তোমাকে সমস্ত জাতির আলো হিসেবে তৈরি করব| বিশ্ববাসীকে রক্ষা করতে তুমিই হবে আমার পথ|”

যিশাইয় 49:5-6

রুশালেম, আমার আলো উঠে পড়! তোমার আলো (ঈশ্বর) আসছেন| তোমার উপর প্রভুর মহিমা প্রতিভাত হবে|
2 অন্ধকার পৃথিবীকে ঢেকে দিয়েছে| লোকরা অন্ধকারাচ্ছন্ন| কিন্তু প্রভু তোমার উপর তাঁর কিরণ বিকীরণ করবেন| তাঁর মহিমা তোমার উপর দেখা যাবে|
3 সব জাতি তোমার আলোর কাছে আসবে| রাজারাও তোমার উজ্জ্বল আলোর (ঈশ্বর) কাছে আসবেন|

যিশাইয় 60:1-3

যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে আসন্ন প্রভুর ‘দাস’ যদিও যিহূদি (‘যাকোবের উপজাতি’) পরজাতিদের (অ-যিহূদি) জন্যও এক জ্যোতি হবে, সাথে তাঁর জ্যোতি জগতের শেষ অবধি পৌঁছবে I কিন্তু যিহূদি এবং অ-যিহূদিদের মধ্যে দাঁড়ানো কয়েক শত বছরের এই বাধার সাথে কিভাবে এটি ঘটতে পারত?     

খর্জুর রবিবার: সকল লোকেদের জন্য জ্যোতি এসে গেছে

তবে সেই খর্জুর রবিবার গ্রীকদেরকে যীশুর সগে দেখা করতে যিরূশালেমে যাত্রা করতে দেখল; সুসমাচার বলতে থাকে:

23তখন যীশু তাঁহাদিগকে উত্তর করিয়া বলিলেন, সময় উপস্থিত, যেন মনুষ্যপুত্র মহিমান্বিত হন। 24সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, গোমের বীজ যদি মৃত্তিকায় পড়িয়া না মরে, তবে তাহা একটী মাত্র থাকে; কিন্তু যদি মরে, তবে অনেক ফল উৎপন্ন করে। 25যে আপন প্রাণ ভাল বাসে, সে তাহা হারায়; আর যে এই জগতে আপন প্রাণ অপ্রিয় জ্ঞান করে, সে অনন্ত জীবনের নিমিত্ত তাহা রক্ষা করিবে। 26কেহ যদি আমার পরিচর্য্যা করে, তবে সে আমার পশ্চাদাগামী হউক; তাহাতে আমি যেখানে থাকি, আমার পরিচারকও সেইখানে থাকিবে; কেহ যদি আমার পরিচার্য্যা করে, তবে পিতা তাহার সম্মান করিবেন।

27এখন আমার প্রাণ উদ্বিগ্ন হইয়াছে; ইহাতে কি বলিব? পিতঃ, এই সময় হইতে আমাকে রক্ষা কর? কিন্তু ইহারই নিমিত্ত আমি এই সময় পর্য্যন্ত আসিয়াছি। 28পিতঃ, তোমার নাম মহিমান্বিত কর। তখন স্বর্গ হইতে এই বাণী হইল, ‘আমি তাহা মহিমান্বিত করিয়াছি, আবার মহিমান্বিত করিব।’

29যে লোকসমূহ দাঁড়াইয়া শুনিয়াছিল, তাহারা বলিল, মেঘগর্জ্জন হইল; আর কেহ কেহ বলিল, কোন স্বর্গ-দূত ইহাঁর সহিত কথা কহিলেন।

30যীশু উত্তর করিয়া কহিলেন, ঐ বাণী আমার জন্য হয় নাই, 31কিন্তু তোমাদেরই জন্য। এখন এ জগতের বিচার উপস্থিত, এখন এ জগতের অধিপতি বাহিরে নিক্ষিপ্ত হইবে। 32আর আমি ভূতল হইতে উচ্চীকৃত হইলে সকলকে আমার নিকটে আকর্ষণ করিব। 33তিনি যে কিরূপ মরণে মরিবেন, তাহা এই বাক্য দ্বারা নির্দ্দেশ করিলেন।

34তখন লোকসমূহ তাঁহাকে উত্তর করিল, আমরা ব্যবস্থা হইতে শুনিয়াছি যে, খ্রীষ্ট চিরকাল থাকেন; তবে আপনি কি প্রকারে বলিতেছেন যে, মনুষ্যপুত্রকে উচ্চীকৃত হইতে হইবে? সেই মনুষ্য পুত্র কে?

35তখন যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, আর অল্প কালমাত্র জ্যোতি তোমাদের মধ্যে আছে। যাবৎ তোমাদের কাছে জ্যোতি আছে, যাতায়াত কর, যেন অন্ধকার তোমাদের উপরে আসিয়া না পড়ে; আর যে ব্যক্তি অন্ধকারে যাতায়াত করে, সে কোথায় যায়, তাহা জানে না। 36যাবৎ তোমাদের কাছে জ্যোতি আছে, সেই জ্যোতিতে বিশ্বাস কর, যেন তোমরা জ্যোতির সন্তান হইতে পার।

যীশু এই সকল কথা বলিলেন, আর প্রস্থান করিয়া তাহাদের হইতে লুকাইলেন। 37কিন্তু যদিও তিনি তাহাদের সাক্ষাতে এত চিহ্ন-কার্য্য করিয়াছিলেন, তথাপি তাহারা তাঁহাকে বিশ্বাস করিল না; 38যেন যিশাইয় ভাববাদীর বাক্য পূর্ণ হয়, তিনি ত বলিয়াছিলেন, “হে প্রভু, আমরা যাহা শুনিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? আর প্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে?”

39এই জন্য তাহারা বিশ্বাস করিতে পারে নাই, কারণ যিশাইয় আবার বলিয়াছেন,

40“তিনি তাহাদের চক্ষু অন্ধ করিয়াছেন,

তাহাদের হৃদয় কঠিন করিয়াছেন,

পাছে তাহারা চক্ষে দেখে, হৃদয়ে বুঝে, এবং ফিরিয়া আইসে,

আর আমি তাহাদিগকে সুস্থ করি।”

41যিশাইয় এই সমস্ত বলিয়াছিলেন, কেননা তিনি তাঁহার মহিমা দেখিয়াছিলেন, আর তাঁহারই বিষয় বলিয়াছিলেন।

42তথাপি অধ্যক্ষদের মধ্যেও অনেকে তাঁহাতে বিশ্বাস করিল; কিন্তু ফরীশীদের ভয়ে স্বীকার করিল না, পাছে সমাজচ্যুত হয়; 43কেননা ঈশ্বরের কাছে গৌরব অপেক্ষা তাহারা বরং মনুষ্যদের কাছে গৌরব অধিক ভাল বাসিত।

44যীশু উচ্চৈঃস্বরে বলিলেন, যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে আমাতে নয়, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাতেই বিশ্বাস করে; 45এবং যে আমাকে দর্শন করে, সে তাঁহাকেই দর্শন করে, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন। 46আমি জ্যোতিঃস্বরূপ হইয়া এই জগতে আসিয়াছি, যেন, যে কেহ আমাতে বিশ্বাস করে, সে অন্ধকারে না থাকে। 47আর যদি কেহ আমার কথা শুনিয়া পালন না করে, আমি তাহার বিচার করি না, কারণ আমি জগতের বিচার করিতে নয়, কিন্তু জগতের পরিত্রাণ করিতে আসিয়াছি। 48যে আমাকে অগ্রাহ্য করে, এবং আমার কথা গ্রহণ না করে, তাহার বিচারকর্ত্তা আছে; আমি যে বাক্য বলিয়াছি, তাহাই শেষ দিনে তাহার বিচার করিবে। 49কারণ আমি আপনা হইতে বলি নাই; কিন্তু কি কহিব ও কি বলিব, তাহা আমার পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনিই আমাকে আজ্ঞা করিয়াছেন। 50আর আমি জানি যে, তাঁহার আজ্ঞা অনন্ত জীবন। অতএব আমি যাহা যাহা বলি, তাহা পিতা আমাকে যেমন কহিয়াছেন, তেমনি বলি।

যোহন 12:23-50

যীশু গ্রীকদের গ্রহণের জন আগ্রহী ছিলেন এবং ‘সমস্ত লোকের’ (কেবল যিহূদি নয়) জ্যোতি দেখার সম্বন্ধে একটি সূচনা হিসাবে আগে থেকেই দেখেছিলেন I এমনকি যারা আধ্যাত্মিকতা অর্জনের উচ্চ স্তরেও পৌঁছয়নি, পাপের বোঝায় আবদ্ধ, এবং মায়ার দ্বারা অন্ধ তারাও তাঁর আলোর কাছে যেতে পারে কারণ তিনি এক জ্যোতি রূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন I (পদ 46), একটি জ্যোতি সমস্ত জাতিগণকে উজ্জ্বল করার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I যারা তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে তারা ‘যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন তাঁকে দেখবে’ (পদ 45) – তারা ঐশ্বরিক প্রকাশ দেখবে I    

যীশু ‘বীজের’ দ্বারা প্রতীক (লিঙ্গ)

যীশু বললেন কিছু জিনিস বুঝতে পারা কঠিন I প্রতীক বা লিঙ্গ, যাকে তিনি নিজের জন্য ব্যবহার করেছিলেন তা একটি ‘বীজ’ ছিল (পদ 24) I কেন সেই প্রতীক? মনে হয় শিবের জ্যোতির্লিঙ্গের জ্যোতির রশ্মির তুলনায় ক্ষুদ্র এবং গুরুত্বহীন I তিনি ‘উত্থিত’ হওয়ার সম্বন্ধে বলেছিলেন যাকে সুসমাচার তাঁর  ক্রুশের পরে আসন্ন মৃত্যুর সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করে I কিভাবে মৃত্যুবরণ মৃত্যুর পরাজয় ঘটাবে? দেবতা এবং অসুরদের পূর্ববর্তী সমস্ত মোকাবেলায়, দেবতারা সর্বদা তাদের বিরোধীদের যুদ্ধের বিজয়ের দ্বারা পরাজিত করেছিলেন, মৃত্যুবরণের দ্বারা নয় I   

আবেগী সপ্তাহের জ্যোতিকে উপলব্ধি করা

বুঝতে হলে এই সপ্তাহের মধ্য দিয়ে তাঁকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে I  তিনি সেই সপ্তাহের ঘটনাগুলোকে গতিশীল করলেন, প্রায়শই আবেগী সপ্তাহ বলে পরিচিত, যা পৃথিবীর ইতিহাসকে পরিবর্তন করে দেয় I সুসমাচারে লিপিবদ্ধ এর দৈনন্দিন ঘটনাবলীকে অনেক ভাববাদীদের পরে বিন্যাস করা হয়েছিল, এমনকি জগতের সৃষ্টির দিকে ফিরে গিয়েও I তিনি প্রকাশ করছিলেন শুরুতে যিনি সৃষ্টি করেছিলেন তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি নিজেকে সবেমাত্র জ্যোতি হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন I      

আবেগী সপ্তাহের প্রতিটি দিনের মধ্য দিয়ে কালপঞ্জি তৈরী করে আমরা এই দৈনন্দিন ঘটনাগুলোকে অনুসরণ করি I  

আবেগী সপ্তাহের ঘটনাগুলো: দিন 1, রবিবার

 সপ্তাহের সেই প্রথম দিন, খর্জুর রবিবারে, তিনি তিনজন ভাববাদীদের তিনটি বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণীকে পুরণ করলেন I প্রথমত:, তিনি সখরিয়র দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা একটি গাধার উপরে চড়ে যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন I দ্বিতীয়তঃ, দানিয়েলের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা সময়ে তিনি এইরকম করলেন I তৃতীয়তঃ, তিনি অ-যিহূদিদের মধ্যে উৎসাহ প্রজ্বলিত করতে আরম্ভ করলেন, যার সম্বন্ধে যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে সমস্ত জাতিগণকে ঊজ্বল করতে আলোকিত করবেন, পৃথিবীর চতুর্দিকে সমস্ত লোকেদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবেন I         

আমরা পরে দেখব কিভাবে তিনি পৃথিবীর সর্বাধিক ধনী মন্দিরকে দ্বিতীয়  দিনে বন্ধ করলেন I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *