Skip to content

আপনার রাশি – অতি প্রাচীন জ্যোতিষ থেকে

  • by

জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের (বিবাহ, জীবিকা ইত্যাদি) মুখোমুখী হওয়ার সময়ে অনেক লোক তাদের ঠিকুজীকে মার্গদর্শনের জন্য এবং খারাপ পচ্ছন্দগুলি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করে I একটি ঠিকুজী, যা জন্ম ঠিকুজী, জনম পত্রী, জন্ম সংক্রান্ত চার্ট, জন্ম রাশিফল, বা জন্ম চার্ট নামেও পরিচিত, একটি ১২-ঘরের জ্যোতিষ চার্ট (বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র) একজনের জন্মের সঠিক দিন/সময় এবং স্থানের উপরে ভিত্তি করে হয় I বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র একটি প্রাচীন শিল্পকলা, কিন্তু এর কিন্তু এর উৎপত্তি অন্বেষণ করার পূর্বে,, বিবেচনা করি কিভাবে এটিকে অনুশীলন করা হয় I     

আজকের জ্যোতিষ

বৈদিক বা হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্র তারাগুলির পটভূমির বিপরীতে ৩৬০ ডিগ্রী ঘূর্ণনশীল বৃত্তকে ১২ রাশি বা রাশিচক্রের নাক্ষত্রিক চিহ্নের  অনুরূপ ১২ বিভাগে বিভক্ত করে I সুতরাং প্রতিটি বিভাগ পৃথিবীর আবর্তনে ৩০ ডিগ্রী তোরণ দখল করে I তেমনিভাবে এপনার জীবনটি ১২ টি ঘরে বিভক্ত, প্রতিটি ঘর আপনার জীবনের একটি দিক প্রতিনিধিত্ব করে (যেমন চেহারা, সম্পদ, সৃজনশীলতা, বুদ্ধি ইত্যাদি) I সুতরাং প্রত্যেক রাশি চক্রের রাশি এবং প্রত্যেক ঘরের মধ্যে একটির সাথে একটি উপযুক্ত হয় I 

আপনার ঠিকুজীর নির্মাণ

বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রবিদ ১২টি ঘরের প্রত্যেককে উপযুক্ত রাশিচক্রের রাশি প্রদান করেন I ঘরগুলির সাথে রাশিচক্রের রাশি মেলানোর স্থাপনাটি হ’ল আপনার ঠিকুজী চার্ট I ঠিকুজীর জন্য আপনার জন্মের বিশদ তথ্যের প্রয়োজন কারণ জ্যোতিষশাস্ত্রবিদ গণনা করতে পারে ১২রাশিচক্রের চিহ্ন বা রাশির কোনটি আপনার জন্ম স্থান এবং সময়ের দিগন্ত থেকে উঠছে I এই রাশি দিগন্ত থেকে ওঠে কারণ পৃথিবীর প্রদক্ষিণটি তারা নক্ষত্রমন্ডলকে উত্থিত হতে দেখে।  

আপনার জন্মের সময় দিগন্ত থেকে উত্থিত এই রাশি বা রাশির চিহ্নটিকে  উদয় লগ্ন বা সর্বাধিক কার্যকর বিন্দু (এম এ পি) বলে I বৈদিক রাশি দাবি করে যে উদয় লগ্ন আপনার জীবনের উপরে প্রাথমিক স্বর্গীয় প্রভাব I এইভাবে জ্যোতিষী ঠিকুজীর প্রথম ঘরে এই আরোহী রাশিচক্রের চিহ্নটি রাখেন I তারপরে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে যেতে নয়টি নবগ্রহের (গ্রহ, সূর্য এবং চাঁদ), উপরে ভিত্তি করে অন্য ১১টি ঘরের সাথে ঠিকুজী পূর্ণ হয় যার ফলে একটি চার্টে পরিণত হয় যেমন নকশায় চিত্রিত হয় I একটি ঠিকুজী জন্মের মুহুর্তে এই গ্রহগুলির অবস্থান দেখায় I প্রতিটি ঘরের সাথে  কারক (তাত্পর্যপূর্ণ) প্লানেট/গ্রহ সমূহ যুক্ত থাকে যা কোনো বিশেষ ঘরের ব্যাখ্যাকে পরিবর্তন করতে পারে I    

উদাহরণ ঠিকুজী উপরের কেন্দ্রে প্রথম ঘর দেখায় এবং জীবনের কোন  বৈশিষ্ট্যগুলি প্রতিটি ঘরের সম্পর্কে হয় I তার পরে রাশি চক্রের রাশিকে জ্যোতিষ সংক্রান্ত গণনার উপরে ভিত্তি করে প্রতিটি ঘরে বরাদ্দ করা হয় I   

ঠিকুজী থেকে, বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র ২৭টি চান্দ্র বাটিকা বা নক্ষত্রের উপর ভিত্তি করে আরও জটিল সম্পর্ক গড়ে তোলে I এগুলি কর্মফল হ্রাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয় I

আধুনিক হিন্দু সংস্কৃতিতে বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিশিষ্টতা

বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র হিন্দু সংস্কৃতির কাঠামোর অঙ্গ I আসলে, ২০০১ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের উচ্চ ন্যায়ালয়ের জ্যোতিষের পক্ষে রায় দেওয়ার ফলে, কিছু ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এখন হিন্দু জ্যোতিষে উন্নত ডিগ্রী প্রদান করে I

কিন্তু এতে কিছু এসে যায় না কি জ্যোতিষীরা কোন গণনার সাথে কাজ করে, আজ এই দ্বাদশ রাশিচক্রের চিহ্ন বা রাশি বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র এবং আপনার ঠিকুজীর কেন্দ্রে রয়েছে I আজকের ঠিকুজী সেই দ্বাদশ রাশিগুলির চিহ্নের সাথে আপনার জন্ম তারিখের সম্পর্কের ভিত্তিতে নয় এমন সমস্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পূর্বাভাষ দেওয়ার চেষ্টা করে I

 ১. (কন্যা): অগাস্ট ২৪ – সেপ্টেম্বর ২৩

২. (তূলা): সেপ্টেম্বর ২৪ – অক্টোবর ২৩

৩. (বৃশ্চিক): অক্টোবর ২৪ – নভেন্বের ২২  

৪. (ধনু): নভেম্বর ২৩ – ডিসেম্বর ২১

৫. (মকর): ডিসেম্বর ২২– জানুয়ারি ২০

৬. (কুম্ভ): জানুয়ারি ২১– ফেব্রুয়ারি ১৯

৭. (মীন): ফেব্রুয়ারি ২০– মার্চ ২০

৮. (মেষ): মার্চ ২১ – এপ্রিল ২০

৯. (বৃষ): এপ্রিল ২১ – মে ২১

১০. (মিথুন): মে ২২ – জুন ২১

১১. (কর্কট): জুন ২২ – জুলাই ২৩

তবে এটিই কি মূল পদ্ধতি যাতে প্রাচীনগণ রাশিচক্রের জ্যোতিষশাস্ত্র পড়েন? বেদ কিভাবে এটিকে চিত্রিত করেছিল?

সাবধান! প্রশ্নটির জবাব আপনার ঠিকুজীকে অপ্রত্যাশিতরূপে ইন্মুক্ত করবে I এটি আপনাকে এক ভিন্ন যাত্রায় যাত্রা করাতে পারে আপনার ঠিকুজীকে আজকের জ্যোতিষশাস্ত্রবিদদের থেকে পরীক্ষার সময়ে আপনি তখন যা অভিপ্রায় করেছিলেন I

রাশিচক্র কোথা থেকে এসেছিল?

উইকিপিডিয়া আমাদের বলে যে বেদগুলিতে আলোচিত ছয়টি শাখার (বেদাঙ্গ) মধ্যে জ্যোতিষ অন্যতম ছিল I তবে বেদ মূলত গ্রহদের (নব গ্রহ) কথা উল্লেখ করেনি I বেদ জ্যোতিষশাস্ত্রকে একমাত্র শুভ উৎসবের তারিখ গণনা করার ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করার উপায় হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন I এরা গ্রীক ছিল যারা সিন্ধু উপত্যকা পর্যন্ত বিজয় করেছিল, যা আজ ভারতে বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রে পরিনত হয়েছে I 

গ্রীক জ্যোতিষবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানও মেষ রাশির সাথে শুরু হওয়া দ্বাদশ রাশিচক্র সংক্রান্ত চিহ্ন এবং দ্বাদশ জ্যোতিষীয় স্থানগুলি লগ্নের সাথে শুরু হস্তান্তর হরেছিল I[17]:384 ভারতে গ্রীক জ্যোতিষের প্রবর্তনের প্রথম প্রমাণ হ’ল ইয়াবানযাতক যা খ্রীষ্টিয় শতাব্দীর প্রথম দিকের I[17]  ইয়াবানযাতক (আক্ষরিক অর্থে “গ্রীকদের উক্তি”) গ্রীক থেকে সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছিল ইয়াভানেশভারার দ্বারা খ্রীষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর সময়, এবং এটিকে সংস্কৃত ভাষার প্রথম ভারতীয় জ্যোতিষ শাস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় I

wiki

আসলে, ঠিকুজী গ্রীক হোরো (ώρα) থেকে এসেছে মানে ‘মুহূর্ত, মৌসম বা সময়কাল’ এবং গ্রীক স্কোপাস (σκοπός)  যার অর্থ ‘লক্ষ্য বা চিহ্ন যার উপরে ফোকাস করা’ I জ্যোতিষও এস্ট্রো (άστρο) ‘তারা’ এবং লগিয়া (λογια)  ‘অধ্যয়নের’ থেকে এসেছে I এই শিল্পটির বর্ণনা দেওয়ার বিশেষ শব্দটি গ্রীক থেকে এসেছে I তবে আজকের জ্যোতিষ আসলে এই তারা নক্ষত্রগুলিকে কখনই অধ্যয়ন করে না – যার অর্থ ‘জ্যোতিষ’ শব্দটি বোঝায় I  

এমনকি গ্রীকরাও, যাইহোক, রাশিচক্রের চিহ্ন আবিষ্কার করে নি I তারা, এর বদলে, তাদের বাবিলের প্রাচীন কলদীয়দের থেকে শিখেছে

ref

প্রাচীনতম লিখিত সুত্র

সম্ভবত আজকের প্রাচীনতম বইটি, ৪০০০ বছর পূর্বে রচিত, ইয়োব I ইয়োব বাইবেলের অন্যতম বই I ইয়োব বলেছেন যে তারা নক্ষত্রগুলি সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্টি করা ভ্হরয়েছিল I    

৯ তিনি সপ্তর্ষি, মৃগশীর্ষ ও কৃত্তিকার,

এবং দক্ষিণস্থ কক্ষ সকলের নির্ম্মাণকর্ত্তা।

ইয়োব ৯:৯

বাইবেলের আর এক প্রাচীন ঋষি ভাববাদী আমোষও তাই বলেন I

8[তাঁহার অন্বেষণ কর,

যিনি কৃত্তিকা ও মৃগশীর্ষ নির্ম্মাণ করিয়াছেন,

যিনি মৃত্যুচ্ছায়াকে প্রভাতে পরিণত করেন,

যিনি দিনকে রাত্রির ন্যায় অন্ধকারময় করেন,

যিনি সমুদ্রের জলসমূহকে আহ্বান করিয়া স্থলের উপর দিয়া বহান;

তাঁহার নাম সদাপ্রভু।

আমোষ ৫:৮ (৭০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ)

প্লাইএডস হ’ল সেই তারাগুলি যা বৃষ নক্ষত্রমন্ডলের অংশ তৈরী করে I ইয়োব যদি ৪০০০ বছরের পুরনো কোনো বইয়ে তাদের সম্বন্ধে কথাগুলি বলে, তবে রাশিচক্রের নক্ষত্রমন্ডল সমূহ আমাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে রয়েছে I

যিহূদি ঐতিহাসিক যোসেফাস (৩৭ – ১০০ খ্রীষ্টাব্দ), প্রথম মনু সম্বন্ধে লিখছেন, যাকে বাইবেল আদম বলেছে, তার এবং তার নিকটবর্তী সন্তানদের সম্বন্ধে বলেছেন I

তারা সেই অদ্ভুত ধরণের জ্ঞানের আবিষ্কারকও ছিলেন যা স্বর্গীয় দেহ এবং তাদের আদেশের সাথে সম্পর্কিত।

আন্টিকুইটিস II i

তাই তারাদের চিহ্নগুলি প্রথম শুরু হয়েছিল প্রথম মানুষ থেকে! মনু/আদমের সন্তানরা স্রষ্টার দুর্দান্ত গল্পটি স্মরণ রাখতে সহায়তার জন্য ১২ টি চিহ্ন বা রাশি তাড়াতে রেখেছিল I এই গল্পটি আপনাকে প্রভাবিত করে, এটি দেখায় যে কিভাবে আপনার ভাগ্য এই মহাজাগতিক কাহিনীতে সংশ্লেষিত হয়েছে আপনার গ্রহগুলির দিক দ্বারা নয়, বরং সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত শক্তি ও উদ্দেশ্য দ্বারা, যা এই ১২ টি চিহ্ন নির্দেশ করে I

স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা থেকে রাশিচক্র

ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বার্তাগুলি বইগুলিতে নথিভুক্ত হওয়ার অনেক আগে ঈশ্বরের পরিকল্পনার গল্পটি বলতে তারাগুলিকে চিত্র হিসাবে স্থাপন করা হয়েছিল I এইরূপে মূল রাশিচক্রটি আমাদের জন্মের সময় এবং স্থানের উপরে নির্ভর করে আমাদের সম্পদ, ভালবাসা এবং সৌভাগ্যের দিকে পরিচালিত করতে ছিল না I রাশিচক্রটি স্রষ্টার পরিকল্পনা প্রকাশ করার জন্য একটি চাক্ষুষ গল্প ছিল I

আমরা হিব্রু বেদ (বাইবেলের) শুরুতে এটি সৃষ্টির বিবরণ থেকে দেখি I সৃষ্টির সময়কালে এটি বলে:

১৪ পরে ঈশ্বর কহিলেন, রাত্রি হইতে দিবসকে বিভিন্ন করণার্থে আকাশমণ্ডলের বিতানে জ্যোতির্গণ হউক; সে সমস্ত চিহ্নের জন্য, ঋতুর জন্য এবং দিবসের ও বৎসরের জন্য হউক; 

আদিপুস্তক ১:১৪

আধুনিক জ্যোতিষ একটি মানুষের জন্মের সময় তারাগুলির অবস্থানের ভিত্তিতে মানব বিষয় এবং পৃথিবীর ঘটনা সম্পর্কে জানার দাবি করে I তবে এটি আমাদের জীবনে প্রভাবিত তারা নয় এগুলি কেবল ঘটনাগুলি চিহ্নিত করার লক্ষণ যা স্রষ্টা পরিকলনা করেছিলেন – এবং তিনি আমাদের জীবন প্রভাবিত করবেন I

যেহেতু তারাগুলির সৃষ্টি ছিল “পবিত্র সময় চিহ্নিত করা,” তাই নক্ষত্রমন্ডলগুলির পিছনের উদ্দেশ্যটি ছিল আমাদের ১২ রাশিচক্রের মাধ্যমে তার রাশিফল জানা I তারার মধ্যে তারা একটি গল্প তৈরী করে এবং এও গল্প অধ্যয়ন ছিল মূল জ্যোতিষ I

এইভাবে রাশিচক্রের নক্ষত্রমন্ডলে স্মরণ করা ১২ টি রাশি চিত্রের মাধ্যমে দেওয়া ঈশ্বরের পরিকল্পনা, আদম/মনুর পরে শতাব্দীগুলিতে অধ্যয়ন করে হয়েছিল, বলা হয়েছিল, প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছিল I বন্যার পরে মনুর বংশধররা মূল কাহিনীটিকে কলুষিত করেছিল এবং এটির পরিনাম আজ আমরা দেখতে পাই I

জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং ঋষি ভাববাদীগণ একসাথে

পবিত্র সময়গুলি (রাশিফল) চিহ্নিত করতে তারাগুলির (জ্যোতিষশাস্ত্র) অধ্যয়ন এই ঘটনাগুলি সম্পর্কে স্রষ্টা যা পরিকল্পনা করেছিলেন তার সবকিছু জানায় না I তান্র্লিখিত নথি আরও বিশদ বিবরণ দেয় I আমরা যীশুর জন্মের একটি উদাহরণ দেখতে পাই I সুসমাচার লিপিবদ্ধ করেছে যে জ্যোতিষীরা তার জন্ম সম্বন্ধে কিভাবে তারাদের থেকে বুঝতে পেরেছিলেন I  

১ হেরোদ রাজার সময়ে যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে যীশুর জন্ম হইলে পর, দেখ, পূর্ব্বদেশ হইতে কয়েক জন পণ্ডিত যিরূশালেমে আসিয়া কহিলেন,  ২ যিহূদীদের যে রাজা জন্মিয়াছেন, তিনি কোথায়? কারণ আমরা পূর্ব্বদেশে তাঁহার তারা দেখিয়াছি, ও তাঁহাকে প্রণাম করিতে আসিয়াছি।

মথি ২:১-২

মাগী (জ্যোতিষগণ) তারাদের থেকে জেনেছিলেন যে ‘হে’ জন্মগ্রহণ জন্মগ্রহণ করেছেন (খ্রীষ্ট)I কিন্তু তারাগুলি তাদের বলে নি ‘কোথায়’ I তার জন্য তাদের লিখিত প্রকাশনের দরকার ছিলI 

৩ এই কথা শুনিয়া হেরোদ রাজা উদ্বিগ্ন হইলেন, ও তাঁহার সহিত সমুদয় যিরূশালেমও উদ্বিগ্ন হইল। ৪ আর তিনি সমস্ত প্রধান যাজক ও লোক সাধারণের অধ্যাপকগণকে একত্র করিয়া তাঁহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, খ্রীষ্ট কোথায় জন্মিবেন?

৫ তাঁহারা তাঁহাকে বলিলেন, যিহূদিয়ার বৈৎলেহমে, কেননা ভাববাদী দ্বারা এইরূপ লিখিত হইয়াছে,

৬ “আর তুমি, হে যিহূদা দেশের বৈৎলেহম, তুমি যিহূদার অধ্যক্ষদের মধ্যে কোন মতে ক্ষুদ্রতম নও, কারণ তোমা হইতে সেই অধ্যক্ষ উৎপন্ন হইবেন, যিনি আমার প্রজা ইস্রায়েলকে পালন করিবেন।”

মথি ২:৩-৬

জ্যোতিষীগণ তারাগুলি থেকে কি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন তা আরও পূর্ণরূপে বুঝতে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক লেখাগুলির প্রয়োজন ছিল I আমাদের জন্য আজ একই অবস্থা I প্রাচীন চক্ররাশির জ্যোতিষীয় রাশিফল থেকে আমরা প্রথম দিকের মানুষের অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে পারি I তবে ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ লেখাগুলির মাধ্যমে আমরা আরও বুঝতে পারি যা প্রতিটি রাশিচক্রকে আরও বিকাশ করে I মূল রাশিচক্রের কাহিনীর প্রতিটি জ্যোতিষী চিহ্নের মধ্য দিয়ে আমরা এটি করব I  

আমরা প্রায় ২০০০ বছরের বেশি পুরনো প্রাচীন রাশিচক্রগুলি ব্যবহার করব যা এখনও মিশরীয় মন্দিরগুলিতে বিদ্যমান I সর্বাধিক বিখ্যাত হ’ল দেন্ডেরা মন্দির এবং লুক্সর মন্দির I আমাদের মার্গদর্শন করার জন্য তারা প্রাচীন প্রমাণ সরবরাহ করে I

প্রাচীন রাশিচক্রের কাহিনী

ইতিহাসের শুরু থেকেই তারাগুলিতে রচিত এই কাহিনীটি আপনাকে একটি আমন্ত্রণ প্রসারিত করে I এটি আপনাকে স্রষ্টার এই মহাজাগতিক পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে I তবে এই কাহিনীতে অংশগ্রহণ করার আগে আমাদের এটি বুঝতে হবে I

কোথা থেকে কাহিনীটির শুরু হয়? আজকের রাশিফল অধ্যয়ন সাধারণত মেষ রাশি দিয়ে শুরু হয় I কিন্তু প্রাচীন কাল থেকে এটি এইরকম ছিল না, যখন এটি কন্যা রাশি দিয়ে শুরু হয়েছিল যেমন আমরা প্রাচীন রৈখিক মিশরীয় এষনা রাশিচক্রের মধ্যে দেখি I

কন্যা রাশিকে তার তারাগুলির উপরে টানা হয়েছে

আমরা কন্যা রাশি দিয়ে রাশিচক্রের কাহিনীটি শুরু করি এবং তারপরে রাশির মধ্য দিয়ে চলতে থাকি I এগুলিকে মূল ঠিকুজী হিসাবে ভাবুন যা একে অপরকে কাহিনী গঠনের জন্য গড়ে তোলে I এখানে প্রাচীন জ্যোতিষের ঠিকুজী রয়েছে

একটি বই হিসাবে রাশিচক্র অধ্যায়গুলির পিডিএফ ডাউনলোড করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *