Skip to content

যীশু সুস্থ করেন – তাঁর রাজ্য প্রকাশ করে

  • by

রাজস্থান, মেহন্দিপুরের নিকটবর্তী বালাজি মন্দিরের দুষ্ট আত্মা, শয়তান, ভূত, প্রেত বা অশরীরী সমূহের দ্বারা কষ্টভোগী লোকেদের সুস্থ করার এক খ্যাতি আছে I হনুমান জি (এক শিশুর আকারে প্রভু হনুমান) বালা জি বা বালাজি বলেও পরিচিত I তার বালাজি মন্দির, বা টেম্পল, দুষ্ট আত্মা সমূহের দ্বারা কষ্টভোগী লোকেদের জন্য একটি তীর্থ বা পিলগ্রিমেজ স্থান I প্রতিদিন, কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী, ভক্তবৃন্দ এবং আত্মিক ভাবে কষ্টভোগী লোকেরা এই জাতীয় সমস্ত আত্মিক বন্ধনের থেকে মুক্তি পাবার আশায় তীর্থযাত্রার মধ্য দিয়ে মঠকে পরিদর্শন করে I পৈশাচিক এবং অশরীরী কর্ত্তৃত্ব, মোহ এবং ভূত বিদ্যা সমস্ত কিছু এই বালাজি বা হনুমান মন্দিরের সাধারণ স্থান আর তাই মেহন্দিপুর বালাজি মন্দির তীর্থ স্থান যাকে বিশ্বাস করা হয় আত্মাগুলোর থেকে উদ্ধার  করার এক ক্ষমতা দিতে পারে I      

কিংবদন্তি বিশদভাবে আলাদা হয় তবে হনুমান এক মূর্তি রূপে সেই স্থানে আত্ম-প্রকাশ করেছিলেন, তাই সেখানে হনুমানজির স্মৃতিতে মন্দিরটিকে নির্মান করা হয় I খবর আছে যে শ্রী মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরে মোহ, সম্মোহনীয় অবস্থায় এবং এমনকি দেওয়ালে শৃঙ্খলে আবদ্ধ লোকেরা মুক্তির জন্য অপেক্ষা করে I ভক্তবৃন্দ এগুলো বালাজির দিন বলে মঙ্গলবার এবং শনিবারে প্রচুর সংখ্যায় আসে I আরতি এবং আরাধনার সময়ে বন্ধকদের আর্তনাদ শোনা যেতে পারে, এবং লোকেদের আগুন জ্বেলে মোহগ্রস্ত হয়ে অস্থিরভাবে নৃত্য করতে দেখা যেতে পারে I      

বেদ পুস্তকনের মধ্যে ভূত এবং দুষ্ট আত্মা সমূহ

প্রকৃতপক্ষে ইতিহাস জুড়ে দুষ্ট আত্মা সমূহ লোকেদের কষ্ট দিয়েছে I কেন? কোথা থেকে আসে তারা?

বেদ পুস্তকন (বাইবেল) ব্যাখ্যা করে যে শয়তান, যে প্রান্তরের মধ্যে যীশুকে প্রলুব্ধ করেছিল, অনেক পতিত স্বর্গদূতদের উপরে তার নেতৃত্ব আছে I যবে থেকে প্রথম মানব জাতি সাপের কথা শুনল, তবে থেকে এই দুষ্ট আত্মারা লোকেদের উপরে অত্যাচার এবং নিয়ন্ত্রণ করল I প্রথম মানবজাতি যখন সাপের কথা শুনল, সত্য যুগের অবসান হল এবং আমরা এই দুষ্ট আত্মাদের আমাদের উপরে অত্যাচার ও নিয়ন্ত্রণ করতে অধিকার দিলাম I 

যীশু এবং ঈশ্বরের রাজ্য

যীশু ঈশ্বরের রাজ্যের সম্পর্কে কর্ত্তৃত্বের সাথে শিক্ষা দিয়েছিলেন I সেই কর্ত্তৃত্বের উপরে তাঁর অধিকার দেখাতে তিনি লোকেদের উপরে নিপীড়নকারী দুষ্ট আত্মা, পিশাচ, ভূতদের বার করে নিক্ষেপ করলেন I

যীশু পিশাচ-অধিকৃতকে সুস্থ করেন

দুষ্ট আত্মা বা ভূতদের সঙ্গে যীশুর বহুবার সাক্ষাৎকার হয়েছিল I যদিও এক শিক্ষক হিসাবে পরিচিত, সুসমাচারগুলো আবারও অনেকবার তাঁর দ্বারা দুষ্ট আত্মার লোকেদের সুস্থ করার ঘটনাকে লিপিবদ্ধ করে I এখানে তাঁর প্রথম এই জাতীয় সুস্থতা:     

21 এরপর তাঁরা কফরনাহূম শহরে গেলেন৷ পরদিন শনিবার সকালে, অর্থাত্ বিশ্রামবারে তিনি সমাজ-গৃহে গিয়ে লোকদের শিক্ষা দিতে শুরু করলেন৷
22 যীশুর শিক্ষা শুনে সবাই আশ্চর্য় হলেন, কারণ তিনি ব্যবস্থার শিক্ষকের মতো নয় কিন্তু সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্ব সম্পন্ন ব্যক্তির মতোই শিক্ষা দিতেন৷
23 সেই সমাজ-গৃহে হঠাত্ অশুচি আত্মায় পাওযা এক ব্যক্তি চেঁচিয়ে বলল,
24 ‘হে নাসরতীয় যীশু! আপনি আমাদের কাছে কি চান? আপনি কি আমাদের ধ্বংস করতে এসেছেন? আমি জানি আপনি কে, আপনি ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি!’
25 কিন্তু যীশু তাকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘চুপ কর! এই লোকটার ভেতর থেকে বেরিয়ে এসো!’
26 সঙ্গে সঙ্গে সেই অশুচি আত্মা ঐ লোকটাকে দুমড়ে মুচড়ে প্রচণ্ড জোরে চিত্‌কার করে লোকটির মধ্যে থেকে বেরিয়ে এল৷
27 এতে প্রত্যেকে অবাক হয়ে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগল, ‘এ কি ব্যাপার? এটা কি একটা নতুন শিক্ষা? সম্পূর্ণ কর্ত্তৃত্বের সঙ্গে তিনি শিক্ষা দেন, এমনকি অশুচি আত্মাদের আদেশ করেন এবং তারা তাঁর আদেশ মানে৷’
28 আর গালীলের সমস্ত অঞ্চলে তাঁর কথা ছড়িয়ে

পড়ল৷মার্ক 1:21-28  

সুসমাচারগুলো পরে একটি সুস্থতার বিবরণ দেয় যেখানে লোকেরা পীড়িত লোকটিকে শৃঙ্খল দ্বারা বেঁধে রাখতে চেষ্টা করেছিল, যেমন মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরে হয়, তবে ওই শৃঙ্খলগুলো তাকে ধরে রাখতে অক্ষম ছিল I সুসমাচার এটিকে এইভাবে লিপিবদ্ধ করে 

রপর যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা হ্রদের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে এলেন৷
2 তিনি নৌকা থেকে নামার সাথে সাথে একটি লোক কবরস্থান থেকে তাঁর সামনে এল, তাকে অশুচি আত্মায় পেয়েছিল৷
3 সে কবরস্থানে বাস করত, কেউ তাকে শেকল দিয়েও বেঁধে রাখতে পারত না৷
4 লোকে বারবার তাকে বেড়ী ও শেকল দিয়ে বাঁধত; কিন্তু সে শেকল ছিঁড়ে ফেলত এবং বেড়ী ভেঙ্গে টুকরো করত, কেউ তাকে বশ করতে পারত না৷
5 সে রাত দিন সব সময় কবরখানা ও পাহাড়ি জায়গায় থাকত এবং চিত্‌কার করে লোকদের ভয় দেখাত এবং ধারালো পাথর দিয়ে নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করত৷
6 সে দূর থেকে যীশুকে দেখে ছুটে এসে প্রণাম করল৷
7 আর খুব জোরে চেঁচিয়ে বলল, ‘হে ঈশ্বরের সবচেয়ে মহান পুত্র যীশু, আপনি আমায় নিয়ে কি করতে চান? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্যি দিচ্ছি, আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না!’ কারণ তিনি তাকে বলেছিলেন, ‘ওহে অশুচি আত্মা, এই লোকটি থেকে বেরিয়ে যাও৷’
8
9 তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কি?’ সে তাঁকে বলল, ‘আমার নাম বাহিনী, কারণ আমরা অনেকগুলো আছি৷’
10 তখন সে যীশুর কাছে মিনতি করতে লাগল, য়েন তিনি তাদের সেই অঞ্চল থেকে তাড়িয়ে না দেন৷
11 সেখানে পর্বতের পাশে একদল শুযোর চরছিল,
12 আর তারা (অশুচি আত্মারা) যীশুকে অনুনয় করে বলল, ‘আমাদের এই শুযোরের পালের মধ্যে ঢুকতে হুকুম দিন৷’
13 তিনি তাদের অনুমতি দিলে সেই অশুচি আত্মারা বের হয়ে শুযোরদের মধ্যে ঢুকে পড়ল৷ তাতে সেই শুযোরের পাল, কমবেশী দুহাজার শুযোর দৌড়ে ঢালু পাড় দিয়ে হ্রদে গিয়ে পড়ল এবং ডুবে মরল৷
14 তখন যারা শুযোরগুলোকে চরাচ্ছিল তারা পালিয়ে গেল এবং শহরে ও খামার বাড়িগুলিতে গিয়ে খবর দিল৷ তখন কি হয়েছে তা দেখার জন্য লোকরা এল৷
15 তারা যীশুর কাছে এসে দেখল, সেই অশুচি আত্মায় পাওযা লোকটি, যাকে ভূতে পেয়েছিল, সে কাপড় পরে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বসে আছে৷ তাতে তারা ভয় পেল,
16 আর যাঁরা ঐ অশুচি আত্মায় পাওযা লোকটির ও শুযোরের পালের ঘটনা দেখেছিল তারা সমস্ত ঘটনা যা ঘটেছিল তা বলল৷
17 তখন তারা যীশুকে অনুনয় করে তাদের অঞ্চল ছেড়ে চলে য়েতে বলল৷
18 পরে তিনি নৌকায় উঠছেন, এমন সময় য়ে লোকটিকে ভূতে পেয়েছিল, সে তাঁকে অনুনয় করে বলল, য়েন সে তাঁর সঙ্গে থাকতে পারে৷
19 কিন্তু যীশু তাকে অনুমতি দিলেন না, বরং বললেন, ‘তুমি তোমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের কাছে ফিরে যাও আর ঈশ্বর তোমার জন্য যা যা করেছেন ও তোমার প্রতি য়ে দযা দেখিয়েছেন তা তাদের বুঝিয়ে বল৷’
20 তখন সে চলে গেল এবং প্রভু তার জন্য যা যা করেছেন, তা দিকাপলি অঞ্চলে প্রচার করতে লাগল, তাতে সকলে অবাক হয়ে

গেল৷মার্ক 5:1-20

মানবীয় দেহে ঈশ্বর পুত্র হিসাবে, যীশু লোকেদের সুস্থ করতে গ্রামগঞ্জের চতুর্দিকে ঘুরে বেড়ালেন I তিনি সেখানে গেলেন যেখানে তারা বাস করত, ভূত এবং প্রেতদের থেকে তাদের অত্যাচারের সঙ্গে পরিচিত হয়ে, কেবলমাত্র তাঁর কথিত বাক্যের কর্ত্তৃত্বের দ্বারা তাদের সুস্থ করলেন I    

যীশু অসুস্থকে সুস্থ করেন

17ই মার্চ, 2020, করোনা জীবানুর প্রাদুর্ভাবের জন্য মেহন্দিপুর বালাজি মন্দির অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল I যদিও দুষ্ট আত্মাদের থেকে নিরাময়ের জন্য প্রসিদ্ধ, মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরের শ্রদ্ধালুরা এই নতুন সংক্রামক রোগের প্রতি ঝুঁকিদায়ক I যীশু, যাইহোক, লোকেদের কেবল দুষ্ট আত্মাদের থেকেই মুক্তি দেন নি, বরং সংক্রামক রোগ সমূহের থেকেও মুক্তি দিয়েছেন I এই জাতীয় একটি সুস্থতাকে এইভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে I  

41 যীশু তার প্রতি মমতায় পূর্ণ হয়ে হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করে বললেন, ‘আমি তা-ই চাই, তুমি ভাল হয়ে যাও৷’
42 আর সঙ্গে সঙ্গে তার কুষ্ঠ রোগ তাকে ছেড়ে গেল এবং সে সুস্থ হল৷
43 যীশু তাকে তখনই বিদায় দিলেন৷
44 তিনি তাকে দৃঢ়ভাবে বললেন, ‘দেখ, একথা কাউকে বলো না, কিন্তু যাজকের কাছে নিজেকে দেখাও এবং কুষ্ঠরোগ থেকে সুস্থ হওযার জন্য মোশির বিধান অনুযায়ী ঈশ্বরকে উপহার দাও, এতে সকলে জানতে পারবে য়ে তুমি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছ৷’
45 কিন্তু সে বাইরে গিয়ে তার সুস্থ হওযার কথা এত বেশী প্রচার করতে ও চারদিকে বলতে লাগল য়ে যীশু আর প্রকাশ্যে কোন শহরে প্রবেশ করতে পারলেন না৷ কাজেই তিনি শহরের বাইরে নির্জনে থেকে গেলেন আর লোকরা চারদিক থেকে তাঁর কাছে আসতে

লাগল৷মার্ক 1:40-45

সুস্থ করার ক্ষেত্রে যীশুর খ্যাতি বৃদ্ধি পেল যাতে করে লোকেদের ভিড় উপচে  পড়ল, ঠিক যেমন তারা বালাজি মন্দিরে (খোলা থাকার সময়ে) করে I  

38 যীশু সমাজ-গৃহ থেকে বেরিয়ে শিমোনের বাড়িতে গেলেন৷ সেখানে শিমোনের শাশুড়ী খুব জ্বরে ভুগছিলেন, তাই তারা এসে তাঁকে অনুরোধ করল য়েন তিনি তাঁকে সুস্থ করেন৷
39 তখন যীশু তাঁর কাছে দাঁড়িয়ে জ্বরকে ধমক দিলেন, এর ফলে জ্বর ছেড়ে গেল, আর তিনি তখনই উঠে তাদের খাওযা দাওযার ব্যবস্থা করতে লাগলেন৷
40 সূর্য় অস্ত যাবার সময় লোকরা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের লোকজন, যাঁরা নানা রোগে অসুস্থ ছিল তাদের যীশুর কাছে নিয়ে এল৷ যীশু তাদের প্রত্যেকের ওপরে হাত রেখে তাদের সুস্থ করলেন৷
41 তাদের অনেকের মধ্যে থেকে ভূত বের হয়ে এল৷ তারা চিত্‌কার করে বলতে লাগল, ‘আপনি ঈশ্বরের পুত্র৷’ কিন্তু তিনি তাদের ধমক দিলেন, তাদের কথা বলতে দিলেন না, কারণ তারা জানত য়ে তিনিই সেই

খ্রীষ্ট৷লুক 4:38-41

যীশু খঞ্জ, অন্ধ, বধিরকে সুস্থ করেন

শুদ্ধ এবং সুস্থ হওয়ার আশায়, আজকের মতন যীশুর সময়ে তীর্থযাত্রীরা পবিত্র তীর্থগুলোতে পূজা অনুষ্ঠান করত I এই জাতীয় অনেক লিপিবদ্ধ সুস্থতাগুলোর মধ্যে দুটির প্রতি আমরা দেখব:  

রপর ইহুদীদের এক বিশেষ পর্বের সময় এলে যীশু জেরুশালেমে গেলেন৷
2 জেরুশালেমে মেষ ফটকের কাছে একটা পুকুর ছিল৷ ইব্রীয়তে সেই পুকুরটিকে ‘বৈথেসদা’ বলত৷ এই পুকুরটির পাঁচটি চাঁদনী ঘাট ছিল;
3 ঘাটের সেইসব চাতালে অনেক অসুস্থ লোক শুয়ে থাকত; তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্ধ, কেউ কেউ খোঁড়া এমনকি পঙ্গু রোগীও থাকত৷
4
5 সেখানে একজন লোক ছিল য়ে আটত্রিশ বছর ধরে রোগে ভুগছিল৷
6 যীশু তাকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখলেন৷ তিনি জানতেন য়ে সে দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছে৷ তাই তাকে বললেন, ‘তুমি কি সুস্থ হতে চাও?’
7 সেই অসুস্থ লোকটি বলল, ‘মহাশয় আমার এমন কোন লোক নেই, জল কেঁপে ওঠার সময় য়ে আমাকে পুকুরে নামিয়ে দেবে৷ আমি ওখানে পৌঁছানোর আগেই কেউ না কেউ আমার আগে পুকুরে নেমে পড়ে৷’
8 যীশু তাকে বললেন, ‘ওঠ! তোমার বিছানা গুটিয়ে নাও, হেঁটে বেড়াও৷’
9 লোকটি সঙ্গে সঙ্গে ভাল হয়ে গেল, আর তার বিছানা তুলে নিয়ে হাঁটতে থাকল৷এ ঘটনা বিশ্রামবারে ঘটল,
10 তাই য়ে লোকটি আরোগ্য লাভ করেছিল তাকে ইহুদীরা বলল, ‘আজ বিশ্রামবার, এভাবে তোমার বিছানা বয়ে বেড়ানো বিধি-ব্যবস্থা বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে৷’
11 সে তখন তাদের বলল, ‘যিনি আমাকে সারিয়ে তুলেছেন তিনি বলেছিলেন, ‘তোমার বিছানা তুলে নিয়ে হেঁটে বেড়াও৷”
12 তারা সেই লোকটিকে জিজ্ঞেস করল, ‘কে তোমাকে বলেছে য়ে তোমার বিছানা গুটিয়ে নিয়ে হেঁটে বেড়াও?’
13 কিন্তু য়ে লোকটি আরোগ্যলাভ করেছিল সে জানত না, তিনি কে৷ কারণ সেই জায়গায় অনেক লোক ভীড় করেছিল এবং যীশু সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন৷
14 পরে যীশু মন্দিরের মধ্যে সেই লোকটিকে দেখতে পেয়ে তাকে বললেন, ‘দেখ, তুমি এখন সুস্থ হয়ে গেছ; আর পাপ কোরো না, যাতে তোমার আরও খারাপ কিছু না হয়!’
15 এরপর সেই লোকটি ইহুদীদের কাছে গিয়ে বলল য়ে, যীশুই তাকে আরোগ্য দান

করেছেন৷যোহন 5:1-15

27 যীশু যখন সেই জায়গা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তখন দুজন অন্ধ তাঁর পিছনে পিছনে চলল৷ তারা চিত্‌কার করে বলতে লাগল, ‘হে দায়ূদের পুত্র, আমাদের প্রতি দয়া করুন৷’
28 যীশু বাড়িতে এলে সেই দুজন অন্ধ তাঁর কাছে এল৷ তখন যীশু তাদের বললেন, ‘তোমরা কি বিশ্বাস কর য়ে আমি তোমাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারি?’অন্ধ লোক দুটি বলল, ‘হ্যাঁ, প্রভু আমরা বিশ্বাস করি৷’
29 তখন তিনি তাদের চোখ স্পর্শ করে বললেন, ‘তোমরা য়েমন বিশ্বাস করেছ, তোমাদের প্রতি তেমনি হোক্৷’
30 আর তখনই তারা চোখে দেখতে পেল৷ যীশু তাদের দৃঢ়ভাবে নিষেধ করে বললেন, ‘দেখ, একথা কেউ য়েন জানতে না পারে৷’
31 কিন্তু তারা সেখান থেকে গিয়ে যীশুর বিষয়ে সেইঅঞ্চলের সব জায়গায় বলতে লাগল৷
32 ঐ দুজন লোক যখন চলে যাচ্ছে, এমন সময় কয়েকজন লোক ভূতে পাওয়া একজন লোককে যীশুর কাছে নিয়ে এল, সে কথা বলতে পারত না৷
33 সেই ভূতকে তার ভেতর থেকে তাড়িয়ে দেবার পর বোবা লোকটি কথা বলতে লাগল৷ তাতে সমবেত সব লোক আশ্চর্য হয়ে গেল৷ তারা বলল, ‘ইস্রায়েলে এমন কখনও দেখা যায়

নি৷’মথি 9:27-33  

যীশু মৃতকে উত্থাপন করেন

সুসমাচারগুলো এমন ঘটনার বর্ণনা দেয় যেখানে যীশু এমনকি মৃত লোকেদের জীবনে ফিরিয়ে এনেছিলেন I এখানে একটি বিবরণ রয়েছে

21 পরে যীশু নৌকায় আবার হ্রদ পার হয়ে অন্য পাড়ে এলে অনেক লোক তাঁর কাছে ভীড় করল৷ তিনি হ্রদের তীরেই ছিলেন৷
22 আর সমাজগৃহের নেতাদের মধ্যে যাযীর নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ে পড়লেন
23 এবং অনেক অনুনয় করে তাঁকে বললেন, ‘আমার মেয়ে মর মর, আপনি এসে মেয়েটির ওপর হাত রাখুন যাতে সে সুস্থ হয় ও বাঁচে৷’
24 তখন তিনি তার সঙ্গে গেলেন৷ বহুলোক তাঁর পেছন পেছন চলল, আর তাঁর চারদিকে ঠেলাঠেলি করতে লাগল৷
25 একটি স্ত্রীলোক বারো বছর ধরে রক্তস্রাব রোগে ভুগছিল৷
26 অনেক চিকিত্‌সকের সাহায্য নিয়ে এবং সর্বস্ব ব্যয় করেও এতটুকু ভাল না হয়ে বরং আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছিল৷
27 সে যীশুর বিষয় শুনে ভীড়ের মধ্যে তাঁর পিছন দিকে এসে তাঁর পোশাক স্পর্শ করল৷
28 সে মনে মনে ভেবেছিল, ‘যদি কেবল তাঁর পোশাক ছুঁতে পারি, তবেই আমি সুস্থ হব৷’
29 আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রক্তস্রাব বন্ধ হল এবং সে তার শরীরে অনুভব করল য়ে সেই রোগ থেকে সুস্থ হয়েছে৷
30 যীশু সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারলেন য়ে তাঁর মধ্য থেকে শক্তি বের হয়েছে৷ তাই ভীড়ের মধ্যে মুখ ফিরিয়ে বললেন, ‘কে আমার পোশাক স্পর্শ করেছে?’
31 তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে বললেন, ‘আপনি দেখছেন, লোকরা আপনার ওপরে ঠেলাঠেলি করে পড়ছে, তবু বলছেন, ‘কে আমাকে স্পর্শ করল?”
32 কিন্তু য়ে এই কাজ করেছে, তাকে দেখবার জন্য তিনি চারদিকে দেখতে লাগলেন৷
33 তখন সেই স্ত্রীলোকটি ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তার প্রতি কি করা হয়েছে তা জানাতে তাঁর পায়ে পড়ল এবং সমস্ত সত্যি কথা তাঁকে বলল৷
34 তখন যীশু তাকে বললেন, ‘তোমার বিশ্বাস তোমাকে ভাল করেছে, শান্তিতে চলে যাও ও তোমার রোগ থেকে সুস্থ থাক৷’
35 তিনি এই কথা বলছেন, সেইসময় সমাজগৃহের নেতা যাযীরের বাড়ি থেকে লোক এসে বলল, ‘আপনার মেয়ে মারা গেছে, গুরুকে আর কষ্ট দেবার কোন কারণ নেই৷’
36 কিন্তু যীশু তাদের কথায় কান না দিয়ে যাযীরকে বললেন, ‘ভয় করো না, কেবল বিশ্বাস রাখো৷’
37 আর তিনি পিতর, যাকোব ও যাকোবের ভাই য়োহনকে ছাড়া আর কাউকে নিজের সঙ্গে য়েতে দিলেন না৷
38 পরে তারা সমাজগৃহের নেতার বাড়িতে এসে দেখলেন সেখানে গোলমাল হচ্ছে, কেউ কেউ শোকে চিত্‌কার করে কাঁদছে ও বিলাপ করছে৷
39 তিনি ভিতরে গিয়ে তাদের বললেন, ‘তোমরা গোলমাল করছ ও কাঁদছ কেন? মেয়েটি তো মরে নি, সে ঘুমিয়ে আছে৷’
40 এতে তারা তাঁকে উপহাস করল৷ কিন্তু তিনি সকলকে বাইরে বার করে দিয়ে, মেয়েটির বাবা, মা ও নিজের শিষ্যদের নিয়ে য়েখানে মেয়েটি ছিল সেখানে গেলেন৷
41 আর মেয়েটির হাত ধরে বললেন, ‘টালিথা কুমী!’ যার অর্থ ‘খুকুমনি, আমি তোমাকে বলছি ওঠ!’
42 মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে উঠে হেঁটে বেড়াতে লাগল৷ তার বয়স তখন বারো বছর ছিল৷ তাই দেখে তারা সকলে খুব আশ্চর্য হয়ে গেল৷
43 পরে তিনি তাদের এই দৃঢ় আদেশ দিলেন যাতে কেউ এটা জানতে না পারে; আর মেয়েটিকে কিছু খেতে দিতে

বললেন৷মার্ক 5:21-43

যীশুর এইরকম নিরাময়ের ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব রয়েছে যে সমস্ত দেশে তাঁর নাম ব্যাপকভাবে পরিচিত, সেখানে খুব কম দুষ্ট আত্মা সকল আছে যাতে বেশিরভাগ  লোকেরা সেখানে এখন দুষ্ট আত্মাদের অস্তিত্বকে সন্দেহ করে কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রকাশনগুলো দুর্লভ হয়েছে I 

স্বর্গ রাজ্যের একটি পূর্বস্বাদ

যীশু দুষ্ট আত্মাদের ছাড়িয়েছেন, অসুস্থদের সুস্থ করেছেন এবং মৃতদের উঠিয়েছেন কেবলমাত্র লোকেদের সাহায্য করতে নয়, বরং তাঁর শিক্ষা দেওয়া রাজ্যের প্রকৃতিকেও দেখাতে I সেই আসন্ন রাজ্যের মধ্যে  

4 তিনি তাদের চোখের সব জল মুছিয়ে দেবেন৷ মৃত্যু, শোক, কান্না যন্ত্রণা আর থাকবে না, কারণ পুরানো বিষয়গুলি বিলুপ্ত

হল৷প্রকাশিত বাক্য 21:4

সুস্থতা এই রাজ্যের একটি পূর্বস্বাদ ছিল, যাতে আমরা দেখতে পারি এই ‘পুরনো জিনিসের ক্রমের’ উপরে বিজয় কেমন দেখতে লাগবে I   

আপনি কি এই ধরণের একটি ‘নতুন ক্রমের’ একটি রাজ্যের মধ্যে থাকতে পছন্দ করবেন না?

যীশু তাঁর আজ্ঞাসূচক প্রকৃতির দ্বারা তাঁর রাজ্যকে প্রদর্শন করে চলেছেন – নিজেকে দেহের মধ্যে ওম হিসাবে দেখিয়ে I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *