Skip to content

দেহের মধ্যে ওম – শক্তির বাক্যের দ্বারা দেখা যায়

  • by

চূড়ান্ত বাস্তবতা (ব্রহ্মা) বোঝার জন্য পবিত্র চিত্র বা স্থান সমূহের অপেক্ষা শব্দ একটি সম্পূর্ণ মাধ্যম I শব্দ মূলত তরঙ্গ দ্বারা প্রেরিত তথ্য I শব্দ দ্বারা বাহিত তথ্য সুন্দর সঙ্গীত, এক গুচ্ছ নির্দেশাবলী, বা কারোর পাঠানো যে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা হতে পারে I    

ওমের প্রতীক I প্রণবের মধ্যে লক্ষ্য করুন তিনটি অংশ এবং সংখ্যা তিন

কিছু স্বর্গীয় বা স্বর্গীয় অংশকে প্রতিফলিত করে, যখন কেউ শব্দ সহ কোনো বার্তা উচ্চারণ করে I এটি পবিত্র শব্দ এবং প্রতীক ওম (অউম) এর মধ্যে ধরা পড়ে, যাকে প্রণব রূপে উল্লেখ করা হয় I ওম (অউম) উভয়ই একটি পবিত্র মন্ত্র এবং ত্রি-অংশ প্রতীক I ওমের অর্থ এবং সংজ্ঞা বিভিন্ন ঐতিহ্যের মধ্যে বিবিধ চিন্তাধারার মধ্যে পরিবর্তিত হয় I ত্রি-অংশ প্রণব চিহ্নটি ভারতবর্ষ জুড়ে প্রাচীন পান্ডুলিপি, মন্দির, মঠ এবং আধ্যাত্মিক নির্জন আশ্রয়গুলোর মধ্যে প্রচলিত I প্রণব মন্ত্র হ’ল চূড়ান্ত বাস্তবতা (ব্রহ্মা) কে ভালোভাবে বোঝা I  ওম আকসারা বা একাক্সারার সমতুল্য – এক অবিনশ্বর বাস্তবতা I

সে ক্ষেত্রে এটি তাত্পর্য যে বেদ পুস্তকন (বাইবেল) ত্রি-অংশ প্রতিনিধির কথার মাধ্যমে সৃষ্টির ঘটাকে লিপিবদ্ধ করেছে I ঈশ্বর ‘কথা বললেন’ (সংস্কৃত व्याहृति (ব্যাহৃতি)  এবং সেখানে তরঙ্গ হিসাবে সকল লোকার মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যের একটি সম্প্রচার ছিল যা আজ ব্রাহ্যতন্ত্রের জটিল মহাবিশ্বে ভর ও শক্তির ক্রম ঘটাচ্ছে I এটি ঘটল কারণ ‘ঈশ্বরের আত্মা’ বিষয়টির উপরে ঘোরাফেরা এবং কম্পন করছিল I কম্পন উভয়ই শক্তির একটি রূপ এবং শব্দের সংশ্লেষকে গঠন করে I হিব্রু বেদ বর্ণনা করে কিভাবে ত্রয়ী: ঈশ্বর, ঈশ্বরের বাক্য, এবং  ঈশ্বরের আত্মা তাঁর বাণী (ব্যাহৃতি) প্রচার করেছেন, যার ফলে আমরা এখন মহাবিশ্বকে লক্ষ্য করি I এখানে নথিটি রয়েছে I      

হিব্রু বেদ: ত্রয়ী সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেন

রুতে, ঈশ্বর আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন| প্রথমে পৃথিবী সম্পূর্ণ শূন্য ছিল; পৃথিবীতে কিছুই ছিল না|
2 অন্ধকারে আবৃত ছিল জলরাশি আর ঈশ্বরের আত্মা সেই জলরাশির উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছিল|
3 তারপর ঈশ্বর বললেন, “আলো ফুটুক!” তখনই আলো ফুটতে শুরু করল|
4 আলো দেখে ঈশ্বর বুঝলেন, আলো ভাল| তখন ঈশ্বর অন্ধকার থেকে আলোকে পৃথক করলেন|
5 ঈশ্বর আলোর নাম দিলেন, “দিন” এবং অন্ধকারের নাম দিলেন “রাত্রি|”সন্ধ্যা হল এবং সেখানে সকাল হল| এই হল প্রথম দিন|
6 তারপর ঈশ্বর বললেন, “জলকে দুভাগ করবার জন্য আকাশমণ্ডলের ব্যবস্থা হোক|”
7 তাই ঈশ্বর আকাশমণ্ডলের সৃষ্টি করে জলকে পৃথক করলেন| এক ভাগ জল আকাশমণ্ডলের উপরে আর অন্য ভাগ জল আকাশমণ্ডলের নীচে থাকল|
8 ঈশ্বর আকাশমণ্ডলের নাম দিলেন “আকাশ|” সন্ধ্যা হল আর তারপর সকাল হল| এটা হল দ্বিতীয় দিন|
9 তারপর ঈশ্বর বললেন, “আকাশের নীচের জল এক জায়গায় জমা হোক যাতে শুকনো ডাঙা দেখা যায়|” এবং তা-ই হল|
10 ঈশ্বর শুকনো জমির নাম দিলেন, “পৃথিবী” এবং এক জায়গায় জমা জলের নাম দিলেন, “মহাসাগর|” ঈশ্বর দেখলেন ব্যবস্থাটা ভাল হয়েছে|
11 তখন ঈশ্বর বললেন, “পৃথিবীতে ঘাস হোক, শস্যদায়ী গাছ ও ফলের গাছপালা হোক| ফলের গাছগুলিতে ফল আর ফলের ভেতরে বীজ হোক| প্রত্যেক উদ্ভিদ আপন আপন জাতের বীজ সৃষ্টি করুক| এইসব গাছপালা পৃথিবীতে বেড়ে উঠুক|” আর তাই-ই হল|
12 পৃথিবীতে ঘাস আর শস্যদায়ী উদ্ভিদ উত্পন্ন হল| আবার ফলদাযী গাছপালাও হল, ফলের ভেতরে বীজ হল| প্রত্যেক উদ্ভিদ আপন আপন জাতের বীজ সৃষ্টি করল এবং ঈশ্বর দেখলেন ব্যবস্থাটা ভাল হয়েছে|
13 সন্ধ্যা হল এবং সকাল হল| এভাবে হল তৃতীয় দিন|
14 তারপর ঈশ্বর বললেন, “আকাশে আলো ফুটুক| এই আলো দিন থেকে রাত্রিকে পৃথক করবে| এই আলোগুলি বিশেষ সভাশুরু করার বিশেষ বিশেষ সংকেত হিসেবে ব্যবহৃত হবে| আর দিন ও বছর বোঝাবার জন্য এই আলোগুলি ব্যবহৃত হবে|
15 পৃথিবীতে আলো দেওয়ার জন্য এই আলোগুলি আকাশে থাকবে|” এবং তা-ই হল|
16 তখন ঈশ্বর দুটি মহাজ্যোতি বানালেন| ঈশ্বর বড়টি বানালেন দিনের বেলা রাজত্ব করার জন্য আর ছোটটি বানালেন রাত্রিবেলা রাজত্ব করার জন্য| ঈশ্বর তারকারাজিও সৃষ্টি করলেন|
17 পৃথিবীকে আলো দেওয়ার জন্য ঈশ্বর এই আলোগুলিকে আকাশে স্থাপন করলেন|
18 দিন ও রাত্রিকে কর্তৃত্ত্ব দেবার জন্য ঈশ্বর এই আলোগুলিকে আকাশে সাজালেন| এই আলোগুলি আলো আর অন্ধকারকে পৃথক করে দিল এবং ঈশ্বর দেখলেন ব্যবস্থাটা ভাল হয়েছে|
19 সন্ধ্যা হল এবং সকাল হল| এভাবে চতুর্থ দিন হল|
20 তারপর ঈশ্বর বললেন, “বহু প্রকার জীবন্ত প্রাণীতে জল পূর্ণ হোক আর পৃথিবীর ওপরে আকাশে ওড়বার জন্য বহু পাখী হোক|”
21 সুতরাং ঈশ্বর বড় বড় জলজন্তু এবং জলে বিচরণ করবে এমন সমস্ত প্রাণী সৃষ্টি করলেন| অনেক প্রকার সামুদ্রিক জীব রয়েছে এবং সে সবই ঈশ্বরের সৃষ্টি| যত রকম পাখী আকাশে ওড়ে সেইসবও ঈশ্বর বানালেন| এবং ঈশ্বর দেখলেন ব্যবস্থাটি ভাল হয়েছে|
22 ঈশ্বর এই সমস্ত প্রাণীদের আশীর্বাদ করলেন| ঈশ্বর সামুদ্রিক প্রাণীদের সংখ্যাবৃদ্ধি করে সমুদ্র ভরিয়ে তুলতে বললেন| ঈশ্বর পৃথিবীতে পাখীদের সংখ্যাবৃদ্ধি করতে বললেন|
23 সন্ধ্যা হয়ে গেল এবং তারপর সকাল হল| এভাবে পঞ্চম দিন কেটে গেল|
24 তারপর ঈশ্বর বললেন, “নানারকম প্রাণী পৃথিবীতে উত্পন্ন হোক| নানারকম বড় আকারের জন্তু জানোয়ার আর বুকে হেঁটে চলার নানারকম ছোট প্রাণী হোক এবং প্রচুর সংখ্যায় তাদের সংখ্যাবৃদ্ধি হোক|” তখন য়েমন তিনি বললেন সব কিছু সম্পন্ন হল|
25 সুতরাং ঈশ্বর সব রকম জন্তু জানোয়ার তেমনভাবে তৈরী করলেন| বন্য জন্তু, পোষ্য জন্তু আর বুকে হাঁটার সবরকমের ছোট ছোট প্রাণী ঈশ্বর বানালেন এবং ঈশ্বর দেখলেন প্রতিটি জিনিসই বেশ ভালো হয়েছে|

আদিপুস্তক 1:1-25

হিব্রু বেদ তারপরে বিবরণ দেয় যে ঈশ্বর ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে’ মানবজাতিকে সৃষ্টি করলেন যাতে আমরা সৃষ্টিকর্তাকে প্রতিফলিত করতে পারি I তবে আমাদের প্রতিফলন সীমিত যাতে আমরা প্রকৃতিকে শুধুমাত্র এর সঙ্গে কথা বলে আজ্ঞা দিতে পারিনা I তবে যীশু এটি করেছিলেন I আমরা দেখি সুসমাচারগুলো কিভাবে এই ঘটনাগুলোকে লিপিবদ্ধ করে I 

যীশু প্রকৃতির সঙ্গে কথা বলেন

যীশুর কাছে ‘বাক্যের’ দ্বারা শিক্ষা দেওয়ার এবং সুস্থ করার কর্ত্তৃত্ব ছিল I সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে কিভাবে তিনি এইরকম শক্তির প্রদর্শন করলেন যে তাঁর শিষ্যরা ‘ভয় এবং বিস্ময়ে’ পরিপূর্ণ হয়ে গেল I 

22 সেই সময় একদিন যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে একটি নৌকায় উঠলেন৷ তিনি তাঁদের বললেন, ‘চল, আমরা হ্রদের ওপারে যাই৷’ তাঁরা রওনা দিলেন৷
23 নৌকা চলতে থাকলে যীশু নৌকার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লেন৷হ্রদের মধ্যে হঠাত্ ঝড় উঠল আর তাঁদের নৌকাটি জলে ভর্তি হয়ে য়েতে লাগল, এতে তাঁরা খুবই বিপদে পড়লেন৷
24 তখন শিষ্যরা যীশুর কাছে এসে তাঁকে জাগিয়ে তুলে বললেন, ‘গুরু! গুরু! আমরা য়ে সত্যিই ডুবতে বসেছি৷তখন যীশু উঠে ঝোড়ো বাতাস ও তুফানকে ধমক দিলেন৷ সঙ্গে সঙ্গে ঝড় ও তুফান থেমে গেল, আর সব কিছু শান্ত হোল৷
25 তখন যীশু তাঁর অনুগামীদের বললেন, ‘তোমাদের বিশ্বাস কোথায়?’কিন্তু তাঁরা ভয় ও বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন৷ তাঁরা পরস্পর বলাবলি করতে লাগলেন, ‘ইনি কে য়ে ঝড় এবং সমুদ্রকে হুকুম করেন আর তারা তাঁর কথা শোনে!’

লুক 8:22-25

যীশুর বাক্য এমনকি বায়ু এবং ঢেউদেরকেও আজ্ঞা দিল! আশ্চর্যের কিছু নয় শিষ্যরা ভয়ে পরিপূর্ণ হ’ল I আর একটি ঘটনায় হাজার হাজার লোকেদের সাথে  তিনি অনুরূপ ক্ষমতা দেখালেন I এই সময় তিনি বায়ু এবং ঢেউকে আজ্ঞা দেন নি – বরং খাদ্যকে I   

রপর যীশু গালীল হ্রদের অপর পারে গেলেন, এই হ্রদকে তিবিরিযাও বলে৷
2 বহু লোক তাঁর পেছনে পেছনে চলতে লাগল, কারণ রোগীদের সুস্থ করতে তিনি য়ে সব অলৌকিক চিহ্ন করতেন তা তারা দেখেছিল৷
3 যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা পাহাড়ের উপরে গিয়ে সেখানে বসলেন৷
4 সেই সময় ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল৷
5 যীশু যখন দেখলেন বহু লোক তাঁর কাছে আসছে তখন তিনি ফিলিপকে বললেন, ‘এই লোকেদের খেতে দেবার জন্য আমরা কোথায় রুটি কিনতে পাব?’
6 যীশু তাঁকে পরীক্ষা করবার জন্যই একথা বললেন, কারণ যীশু কি করবেন তা তিনি আগেই জানতেন৷
7 ফিলিপ যীশুকে বললেন, ‘প্রত্যেকের হাতে এক টুকরো করে রুটি দিতে গেলে সারা মাসের রোজগারে রুটি কিনলেও তা যথেষ্ট হবে না৷’
8 যীশুর শিষ্যদের মধ্যে আর একজন, যার নাম আন্দরিয়, ইনি শিমোন পিতরের ভাই, তিনি যীশুকে বললেন,
9 ‘এখানে একটা ছোট ছেলে আছে, যার কাছে যবের পাঁচটা রুটি আর ছোট দুটো মাছ আছে, কিন্তু এত লোকের জন্য নিশ্চয়ই সেগুলি যথেষ্ট হবে না৷’
10 যীশু বললেন, ‘লোকদের বসিয়ে দাও৷’ সেই জায়গায় অনেক ঘাস ছিল৷ তখন সব লোকেরা বসে গেল৷ সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ ছিল৷
11 এরপর যীশু সেই রুটি কখানা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন এবং যাঁরা সেখানে বসেছিল তাদের সেগুলি ভাগ করে দিলেন৷ আর তিনি মাছও ভাগ করে দিলেন৷ য়ে যত চাইল তত পেল৷
12 তারা পরিতৃপ্ত হলে, যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, ‘য়ে সব টুকরো টাকরা পড়ে আছে তা জড়ো কর, য়েন কোন কিছু নষ্ট না হয়৷
13 তখন তাঁরা সে সব জড়ো করলেন, লোকেরা খাবার পরে যবের সেই পাঁচ খানা রুটির টুকরো-টাকরা যা পড়ে ছিল শিষ্যেরা তা জড়ো করলে বারো টুকরী ভর্তি হয়ে গেল৷
14 লোকেরা যীশুকে এই অলৌকিক চিহ্ন করতে দেখে বলতে লাগল, ‘জগতে য়াঁর আগমনের কথা আছে ইনি নিশ্চয়ই সেই ভাববাদী৷’
15 এতে যীশু বুঝলেন লোকেরা তাঁকে রাজা করবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তাই তিনি তাদের ছেড়ে একাই সেই পাহাড়ে উঠে গেলেন৷

যোহন 6:1-15

যখন লোকেরা দেখল যে যীশু খাদ্যকে বহুগুণিত করতে পারেন শুধুমাত্র ধন্যবাদ প্রদানের বাক্যের দ্বারা তারা জানল যে তিনি অনন্য I তিনি ছিলেন বাগীশা (वागीशा, সংস্কৃতে প্রভুর বাণী) I তবে এর অর্থ কি ছিল? যীশু পরবর্তী সময়ে তাঁর বাক্যের শক্তি বা প্রাণকে প্রাঞ্জল করে ব্যাখ্যা করলেন   

63 আত্মাই জীবন দান করে, রক্ত মাংসের শরীর কোন উপকারে আসে না৷ আমি তোমাদের সকলকে য়ে সব কথা বলেছি তা হল আধ্যাত্মিক আর তাই জীবন দান করে৷

যোহন 6:63

এবং

57 য়েমন জীবন্ত পিতা আমাকে পাঠিয়েছেন, আর পিতার জন্য আমি জীবিত আছি, ঠিক সেরকম য়ে আমাকে খায় সে আমার দরুন জীবিত  

থাকবে৷যোহন 6:57

যীশু দাবি করছিলেন যে তিনি দেহের মধ্যে ত্রয়ী সৃষ্টিকর্তা (পিতা, বাক্য, আত্মা) রূপে মূর্ত হয়েছেন যে বিশ্বজগতকে অস্তিত্বের মধ্যে আসতে বলেছিল I তিনি মানব রূপের মধ্যে জীবিত ওম I তিনি জীবিত দেহের মধ্যে পবিত্র ত্রি-অংশের চিহ্ন I বায়ু, ঢেউ, এবং পদার্থের উপরে তাঁর শক্তিকে বলার দ্বারা তিনি প্রাণ (प्राण) বা জীবন-শক্তিকে জীবন্ত প্রণব হতে প্রদর্শন করেছিলেন I     

কি করে তা হতে পারে? এর অর্থ কি?

বুঝতে পারার জন্য হৃদয়

যীশুর শিষ্যদের এটিকে বুঝতে এক কঠিন সময় ছিল I 5000 লোকদের খাওয়াবার ঠিক অব্যবহিত পরে সুসমাচার তা লিপিবদ্ধ করে:

45 পরে তিনি তাঁর শিষ্যদের নৌকায় উঠে তাঁর আগে ওপারে বৈত্‌সৈদাতে পৌঁছাতে বললেন, সেইসময় তিনি লোকেদের বিদায় দিচ্ছিলেন৷
46 লোকেদের বিদায় করে তিনি প্রার্থনা করবার জন্য পাহাড়ে চলে গেলেন৷
47 সন্ধ্যাকালে নৌকাটিহ্রদের মাঝখানে ছিল এবং তিনি একা ডাঙ্গায় ছিলেন৷
48 তিনি দেখলেন য়ে শিষ্যরা বাতাসের বিরুদ্ধে খুব কষ্টের সঙ্গে দাঁড় টেনে চলেছেন৷ খুব ভোর বেলা প্রায় তিনটে ও ছটার মধ্যে তিনি হ্রদের জলের উপর দিয়ে হেঁটে তাদের কাছে এলেন৷ তিনি তাঁদের পাশ কাটিয়ে এগিয়ে য়েতে চাইলেন৷
49 কিন্তু হ্রদের উপর দিয়ে তাঁকে হাঁটতে দেখে তাঁরা ভাবলেন ভূত, আর এই ভেবে তাঁরা চেঁচিয়ে উঠলেন৷
50 কারণ তাঁরা সকলেই তাঁকে দেখে ভয় পেয়েছিলেন; কিন্তু যীশু সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বললেন, ‘সাহস করো ! ভয় করো না, এতো আমি!’
51 পরে তিনি তাদের নৌকায় উঠলে ঝড় থেমে গেল৷ তাতে তাঁরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন৷
52 কারণ এর আগে তাঁরা পাঁচটা রুটির ঘটনার অর্থ বুঝতে পারেন নি, তাঁদের মন কঠোর হয়ে পড়েছিল৷
53 পরে তাঁরা ্ব্রদ পার হয়ে গিনেষরত্ প্রদেশে এসে নৌকা বাঁধলেন৷
54 তিনি নৌকা থেকে নামলে লোকরা তাঁকে চিনে ফেলল৷
55 তারা ঐ এলাকার সমস্ত অঞ্চলে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি করে অসুস্থ লোকদের খাটিযা করে তাঁর কাছে নিয়ে আসতে লাগল৷
56 গ্রামে, শহরে বা পাড়ায় য়েখানে তিনি য়েতেন, সেখানে লোকেরা অসুস্থ রোগীদের এনে বাজারের মধ্যে জড়ো করত৷ তারা মিনতি করত য়েন শুধু যীশুর কাপড়ের ঝালর স্পর্শ করতে পারে৷ আর যাঁরা তাঁর কাপড় স্পর্শ করত তারা সকলেই সুস্থ হয়ে

য়েত৷মার্ক 6:45-46

এটি বলে যে শিষ্যরা ‘বুঝতে পারল না’ I না বুঝতে পারার কারণ এটি নয় যে তারা বুদ্ধিমান ছিল না; না এটি কারণ ছিল যে যা ঘটেছিল তারা তা দেখেনি; না এটি কারণ ছিল যে তারা খারাপ শিষ্য ছিল; নাতো এই কারণ ছিল যে তাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না I এটি বলে যে তাদের ‘হৃদয়গুলো কঠোর ছিল’ I আমাদের নিজেদের হৃদয়গুলোও আমাদেরকে আত্মিক সত্যকে বুঝতে পারার থেকে দুরে রাখে I   

এটিই মৌলিক কারণ যে তাঁর সময়ে লোকেরা যীশুর সম্বন্ধে এতটা বিভক্ত  ছিল I বৈদিক ঐতিহ্যের মধ্যে আমরা বলব তিনি প্রণব বা আকসারা ওম হওয়ার দাবি করছিলেন, যিনি জগতকে অস্তিত্বের মধ্যে আসার কথা  বলেছিলেন, এবং পরে মানব হলেন – ক্ষর I বুদ্ধিগতভাবে বোঝার চেয়ে আমাদের হৃদয় থেকে জিদ দূর করার প্রয়োজন I 

এই জন্যই যোহনের প্রস্তুতি কার্য অত্যাবশক ছিল I তিনি লোকেদের এটিকে লুকোনোর পরিবর্তে তাদের পাপের স্বীকারোক্তির দ্বারা অনুতাপ করতে আহ্বান করেছিলেন I যীশুর শিষ্যদের যদি কঠোর হৃদয় থেকে থাকে যাতে তাদের অনুতাপ এবং পাপের স্বীকারোক্তির প্রয়োজন ছিল, আপনার এবং আমার জন্য তা কত অধিক দরকার হবে! 

কি করতে হবে?

হৃদয়কে কোমল এবং বুদ্ধি লাভ করতে মন্ত্র

আমি দেখতে পেয়েছি হিব্রু বেদের মধ্যে একটি মন্ত্র হিসাবে দেওয়া এই স্বীকারোক্তির প্রার্থনা উপযোগী হবে I হয়ত ধ্যান করা বা এটির মন্ত্র উচ্চারণ করার পাশাপাশি ওমও আপনার হৃদয়ে কাজ করবে I

পনার মহান প্রেমময় দয়ার জন্য এবং আপনার মহান করুণা দিয়ে আমার সমস্ত পাপসমূহ ধুয়ে মুছে দিন!
2 ঈশ্বর, আমার অপরাধ মুছে দিন. আমার সব পাপ ধুয়ে দিন| আবার আমায় পাপমুক্ত করে দিন!
3 আমি জানি আমি পাপ করেছি| সব সময় আমি সেই সব পাপ দেখতে পাই|
4 য়ে সব কাজকে আপনি গর্হিত বলেন, সেই সব কাজই আমি করেছি| ঈশ্বর আপনিই সেই ‘পরম এক’ যার বিরুদ্ধে আমি পাপ করেছি| এইসব কথা আমি স্বীকার করেছি যাতে মানুষ বোঝে আমি ভুল কিন্তু আপনি সঠিক| আপনার সব সিদ্ধান্ত যথায়থ নিরপেক্ষ|
5 আমি পাপের মধ্যে দিয়ে জন্মেছিলাম এবং পাপের মধ্যেই আমার মা আমায় গর্ভে ধারণ করেছিলেন|
6 হে ঈশ্বর, আপনি চান আমি প্রকৃতভাবে অনুগত হই| তাই আমার মনের গভীরে প্রকৃত জ্ঞান দান করুন|
7 এসবের দ্বারা আমার সব পাপ মুছে দিন, আমায় পবিত্র করে দিন| সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়ে আমাকে তুষারের থেকেও শুভ্র করে দিন!
8 আমায় সুখী করুন! আবার কি করে সুখী হতে পারবো তা বলে দিন| আপনি য়ে হাড়গুলো চূর্ণবিচূর্ণ করেছেন সেগুলো আবার সুখী হোক্!
9 আমার পাপের দিকে তাকাবেন না! আমার সব পাপ মুছে দিন!
10 ঈশ্বর আমার মধ্যে বিশুদ্ধ হৃদয় সৃষ্টি করুন! আমার আত্মাকে আবার শক্তিশালী করুন!
11 আমাকে দূরে ঠেলে দেবেন না! আমার কাছ থেকে আপনার পবিত্র আত্মাকে সরিয়ে নেবেন না!
12 আপনার সাহায্য আমাকে প্রচণ্ড সুখী করেছে! সেই আনন্দ আবার আমায় ফিরিয়ে দিন| আপনার নির্দেশ মান্য করার জন্য, আমার আত্মাকে শক্তিশালী করে দিন|

গীতসংহিতা 51: 1-4, 10-12

এই অনুতাপকে আমাদের বোঝার দরকার এটার অর্থ কি যে, জীবন্ত বাক্য রূপে, যীশু ঈশ্বরের ‘ওম’ I 

কেন তিনি এসেছিলেন? আমরা পরে দেখব I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *