Skip to content

স্বামী জন প্রায়শ্চিত্ত আত্ম অভিষেক শিক্ষা।

  • by

আমরা কৃষ্ণের জন্মের মাধ্যম যীশুর (যেশু সৎসংগ) জন্মের অনুসন্ধান  করেছি I পুরান লিপিবদ্ধ করেছে যে কৃষ্ণের এক জ্যেষ্ঠ ভাই ছিল বলরাম (বলরামা) I নন্দ ছিলেন কৃষ্ণের পালক-পিতা যিনি বলরামকেও কৃষ্ণের জেষ্ঠ্য ভাই হিসাবে মানুষ করেছিলেন I মহাকাব্যগুলোতে ভাই বলরাম এবং কৃষ্ণের দ্বারা যুদ্ধে বিভিন্ন অসুরদের একসাথে মিলে পরাজিত করার অনেক শৈশবের কাহিনী সমূহ পাওয়া যায় I কৃষ্ণ ও বলরাম তাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে অংশীদার হয়েছিল – দুষ্টকে পরাজিত করতে I     

কৃষ্ণ ও বলরামের মতন, যীশু এবং যোহন

কৃষ্ণের মতন যীশুর এক নিকট আত্মীয় ছিল, যোহন, যার সঙ্গে তিনি তাঁর মিশন ভাগ করেছিলেন I যীশু এবং যোহনের মধ্যে সম্পর্ক তাদের মায়েদের মাধ্যমে গড়ে উঠেছিল আর যোহন যীশুর চেয়ে তিন মাস আগে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন I সুসমাচার প্রথমে যোহনকে তুলে ধরে যীশুর শিক্ষা এবং নিরাময়ের মিশন বর্ণনা করে I আমরা যদি প্রথমে যোহনের শিক্ষার নিচে না বসি তবে যীশুর মিশনকে নাও বুঝতে পারি I যোহন সুসমাচারের জন্য সূচনার বিন্দু হিসাবে অনুতাপ (প্রায়শ্চিত্ত) এবং শোধনকে (আমাদের নিজেদের অভিষেক) শিক্ষা দিতে চেষ্টা করেছিলেন I       

বাপ্তিস্মদাতা যোহন: আমাদের প্রস্তুত করতে আসন্ন স্বামী কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল

সুসমাচারগুলোর মধ্যে প্রায়শই ‘বাপ্তিস্মদাতা যোহন’ বলে ডাকা হয় কারণ তিনি অনুতাপের (প্রায়শ্চিত্তা) একটি চিহ্ন হিসাবে শুদ্ধ করার উপরে জোর দিয়েছিলেন, যোহনের আগমনকে প্রাচীন হিব্রুর মধ্যে তার বাস করার কয়েক শত বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I   

৩ এক জনের রব, সে ঘোষণা করিতেছে, তোমরা প্রান্তরে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর, মরুভূমিতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য রাজপথ সরল কর।

৪ প্রত্যেক উপত্যকা উচ্চীকৃত হইবে, প্রত্যেক পর্ব্বত ও উপপর্ব্বত নিম্ন করা যাইবে; বক্র স্থান সরল হইবে, উচ্চনীচ ভূমি সমস্থলী হইবে;

৫ আর সদাপ্রভুর প্রতাপ প্রকাশ পাইবে,আর সমস্ত মর্ত্ত্য একসঙ্গে তাহা দেখিবে, কারণ সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।’

যিশাইয় ৪০:৩-৫

যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ঈশ্বরের জন্য ‘পথ প্রস্তুত করতে’ ‘প্রান্তরে’ কেউ আসবেন I তিনি বাধা সমূহকে ঝামেলামুক্ত করবেন যাতে করে ‘সদাপ্রভুর মহিমা প্রকাশিত হবে’ I    

ঐতিহাসিক কালপঞ্জির মধ্যে যিশাইয় এবং অন্যান্য ঋষিগণ (ভাববাদীরা)I যীশুর পূর্বে মালাখি সর্বশেষ ছিলেন I

যিশাইয়র ৩০০ বছর পরে মালাখি হিব্রু বেদের শেষ বইটি (পুরোনো নিয়ম) লিখেছিলেন I এই আসন্ন প্রস্তুতকারী সম্বন্ধে যিশাইয় যা বলেছিলেন মালাখি সেটিকে আরও বিস্তৃত করেছিলেন I তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করলেন:     

১ দেখ, আমি আপন দূতকে প্রেরণ করিব, সে আমার অগ্রে পথ প্রস্তুত করিবে; এবং তোমরা যে প্রভুর অন্বেষণ করিতেছ, তিনি অকস্মাৎ আপন মন্দিরে আসিবেন; নিয়মের সেই দূত, যাঁহাতে তোমাদের প্রীতি, দেখ, তিনি আসিতেছেন, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু কহেন।

মালাখি ৩:

মীখা ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে ‘বার্তাবাহক’ প্রস্তুতকারীর আগমনের ঠিক পরে, ঈশ্বর স্বয়ং তাঁর মন্দিরে আবির্ভূত হবেন I এটি দেহধারী ঈশ্বর, যীশুকে  বোঝায়, যিনি যোহনের ঠিক পরে আসছেন    

স্বামী যোহন

যোহনের সম্বন্ধে সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে:

৮০ পরে বালকটী বাড়িয়া উঠিতে এবং আত্মায় বলবান হইতে লাগিল; আর সে যত দিন ইস্রায়েলের নিকটে প্রকাশিত না হইল, তত দিন প্রান্তরে ছিল।

লুক ১:৮০

যখন তিনি প্রান্তরে বাস করতেন:

৪ যোহন উটের লোমের কাপড় পরিতেন, তাঁহার কটিদেশে চর্ম্মপটুকা, ও তাঁহার খাদ্য পঙ্গপাল ও বনমধু ছিল।

মথি ৩ :

বলরামের মধ্যে প্রচন্ড শারীরিক শক্তি ছিল I যোহনের প্রচন্ড মানসিক এবং আত্মিক শক্তি তাকে প্রায় শৈশব কাল থেকেই বানপ্রস্থ (বনবাসী) আশ্রমে নিয়ে গিয়েছিল I  বানপ্রস্থ হিসাবে বস্ত্র পরিধান এবং খাদ্য খেতে তার শক্তিশালী আত্মা তাকে চালিত করেছিল, যদিও অবসর গ্রহনের জন্য নয় বরং তার মিশনের প্রস্তুতির জন্য I কিভাবে প্রলোভনকে প্রতিরোধ করতে হয় তা বুঝতে, তার প্রান্তরের জীবন তার নিজেকে জানার জন্য তাকে গড়ে তুলেছিলI র্তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি কোনো অবতার নন, নাতো তিনি মন্দিরের কোনো যাজক I তার আত্ম-উপলব্ধি তাকে এক মহান শিক্ষক হিসাবে সকলের দ্বারা স্বীকৃত হতে চালিত করেছিল I যেহেতু স্বামী সংস্কৃত (स्वामी) থেকে আসে যার অর্থ ‘একজন যিনি জানেন বা নিজের সম্বন্ধে দক্ষ হয়’, এটি যোহনকে এক স্বামী রূপে বিবেচনা করার পক্ষে উপযুক্ত I        

স্বামী যোহন – ইতিহাসের মধ্যে দৃঢ়ভাবে স্থাপিত

সুসমাচার নথিবদ্ধ করে:

১ তিবিরিয় কৈসরের রাজত্বের পঞ্চদশ বৎসরে যখন পন্তীয় পীলাত যিহূদিয়ার অধ্যক্ষ, হেরোদ গালীলের রাজা, তাঁহার ভ্রাতা ফিলিপ যিতূরিয়া ও ত্রাখোনীতিয়া প্রদেশের রাজা, এবং লুষাণিয় অবিলীনীর রাজা, 
২ তখন হানন ও কায়াফার মহাযাজকত্ব কালে ঈশ্বরের বাণী প্রান্তরে সখরিয়ের পুত্র যোহনের নিকটে উপস্থিত হইল।

লুক:৩:১-২

এটি যোহনের মিশন শুরু করে এবং এটি তাকে অনেক সু-পরিচিত ঐতিহাসিক লোকেদের পাশে স্থাপন করে I সেই সময়ের শাসকদের প্রতি বিস্তৃত উল্লেখ লক্ষ্য করুন I এটি সুসমাচারের বিবরণের যথার্থতাকে ঐতিহাসিকভাবে যাচাই করতে আমাদের অনুমতি দেয় I এইরকম করার দ্বারা আমরা দেখি যে তিবিরিয় কৈসর, পন্তিয়াস পীলাত, হেরোদ ফিলিপ, লুষাণিয়, হানন এবং কায়াফা সেই সমস্ত লোক যাদেরকে ধর্ম নিরপেক্ষ রোম এবং যিহূদি ঐতিহাসিকদের থেকে জানা যায় I বিভিন্ন শিরোনামগুলোকে যা বিভিন্ন শাসকদের দেওয়া হয় (যেমন পন্তিয়াস পীলাতের জন্য ‘দেশাধ্যক্ষ্য’, হেরোদের জন্য ‘তাঁবেদার রাজা’ ইত্যাদি) যাচাই করে ঐতিহাসিকভাবে সঠিক এবং যথার্থ বলে পাওয়া গেছে I এইরূপে আমরা মূল্যায়ন করতে পারি যে এই বিবরণটিকে বিশ্বস্তসূত্রে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল I  

তিবিরিয় কৈসর ১৪ খ্রাষ্টাব্দে রোমের সিংহাসনে আরোহন করেছিলেন I তার রাজত্বের পঞ্চদশতম বছরের অর্থ হ’ল যোহন 29 খ্রীষ্টাব্দে তার মিশন শুরু  করেছিলেন I

স্বামী যোহনের বার্তা – অনুতাপ এবং স্বীকারোক্তি

যোহনের বার্তা কি ছিল? তার জীবন-শৈলীর মতন, তার বার্তা ছিল সরল এবং শক্তিশালী I সুসসমাচারটি বলে:

১ সেই সময়ে যোহন বাপ্তাইজক উপস্থিত হইয়া যিহূদিয়ার প্রান্তরে প্রচার করিতে লাগিলেন; 
২ তিনি বলিলেন, ‘মন ফিরাও, কেননা স্বর্গ-রাজ্য সন্নিকট হইল।’

মথি ৩:১-২

প্রথমে তার বার্তা ছিল একটি ঘটনার ঘোষণা – স্বর্গরাজ্য ‘নিকটস্থ’ I তবে লোকেরা এই রাজ্যের জন্য প্রস্তুত হবে না যতক্ষণ না তারা অনুতাপ করে I যদি না তারা ‘অনুতাপ’ করে তারা এই রাজ্যকে হারাবে I অনুতাপের অর্থ হ’ল “আপনার মনকে পরিবর্তন করুন; পুনর্বিবেচনা করা; ভিন্নভাবে চিন্তা করা”I এক অর্থে এটি প্রায়শ্চিত্তার (প্রায়শ্চিত্ত) মতন I কিন্তু তাদের ভিন্নভাবে চিন্তা করার বিষয় কি ছিল? যোহনের বার্তার প্রতি তাকিয়ে আমরা দেখতে পারি I লোকেরা তার বার্তার প্রতি প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল এর দ্বারা:  

৬ আর আপন আপন পাপ স্বীকার করিয়া যর্দ্দন নদীতে তাঁহার দ্বারা বাপ্তাইজিত হইতে লাগিল।

মথি ৩:

আমাদের স্বাভাবিক ঝোঁক হ’ল আমাদের পাপগুলোকে লুকোনো এবং ভান করা যে আমরা কোনো অন্যায় করিনি I আমাদের পাপের অনুতাপ এবং স্বীকারোক্তি আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব কারণ এটি আমাদেরকে দোষ এবং লজ্জার প্রতি প্রকাশ করে I যোহন প্রচার করলেন যে স্বর্গরাজ্যের জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করতে লোকেদের অনুতাপ (প্রায়শ্চিত্ত) করার প্রয়োজন I 

এই অনুতাপের একটি চিহ্ন হিসাবে তাদেরকে যোহনের দ্বারা নদীর মধ্যে তখন  ‘বাপ্তিস্ম’ নিতে হত I বাপ্তিস্ম জলের দ্বারা একটি বিধিগত ধৌতকরণ বা শুদ্ধিকরণ I এছাড়াও লোকেরা তখন তাদেরকে বিধিগতভাবে খাঁটি রাখতে কাপ এবং বাসনপত্র ‘বাপ্তিস্ম’ (ধৌত) করত I পুরোহিতদের দ্বারা উৎসর্গীকরণ এবং উৎসবগুলোর প্রস্তুতির জন্য অভিসেকের (অভিষেক) মধ্যে মূর্তির বিধিগতভাবে স্নানের সঙ্গে আমরা পরিচিত I মানবজাতিকে ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্তির মধ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল’ I আর তাই যোহনের বিধিগত নদীর স্নান একটি অভিসেকের মতন ছিল যা প্রতীকাত্মম্ভাবে ঈশ্বরের অনুতপ্ত প্রতিমূর্তি-ধারণকারীদের স্বর্গরাজ্যের জন্য প্রস্তুত করছিল I আজ বাপ্তিস্ম সাধারণতঃ একটি খ্রীষ্টান অনুশীলন হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে এখানে এর ব্যবহার ছিল বিস্তৃত প্রকৃতির যা ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য প্রস্তুতির জন শুদ্ধ করার ক্ষেত্রে তাত্পর্যপূর্ণ I      

প্রায়শ্চিত্তের ফল

অনেকে যোহনের কাছে বাপ্তিস্মের জন্য এসেছিল, তবে সকলে সৎভাবে তাদের পাপ কবুল এবং স্বীকার করেনি I সুসমাচারটি বলে:

7 য়োহন যখন দেখলেন য়ে অনেক ফরীশীও সদ্দূকীতাঁর কাছে বাপ্তিস্মের জন্য আসছে, তখন তিনি তাদের বললেন, ‘তোমরা সাপের বাচ্চারা! ঈশ্বরের আসন্ন ক্রোধ থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য কে তোমাদের চেতনা দিল?
8 তোমরা কাজে দেখাও, যাতে বোঝা যায় য়ে তোমরা সত্যিই মন ফিরিয়েছ৷
9 আর নিজেরা মনে মনে একথা চিন্তা করে গর্ব করো না য়ে, ‘আমাদের পিতৃপুরুষ অব্রাহাম৷’ আমি তোমাদের বলছি, ঈশ্বর এই পাথরগুলিকেও অব্রাহামের সন্তানে পরিণত করতে পারেন৷
10 প্রতিটি গাছের গোড়াতে কুড়ুল লাগানোই আছে৷ আর য়ে গাছে ভাল ফল ধরে না, তা কেটে আগুনে ফেলে দেওয়া হবে৷’

।মথি 3:7-10

ফারিশী এবং সদ্দুকীরা মশির ব্যবস্থার শিক্ষক ছিল, ব্যবস্থার সমস্ত ধার্মিক রীতিগুলো পালন করতে কঠিন পরিশ্রম করছিল I প্রত্যেকে ভাবত যে এই  নেতারা, তাদের ধর্মীয় জ্ঞান এবং যোগ্যতার সাহায্যে ঈশ্বরের দ্বারা অনুমোদিত একজন ব্যক্তি ছিল I  কিন্তু যোহন তাদেরকে একটি “সাপের বাচ্চা’ বলে ডাকতেন এবং তাদেরকে তাদের আসন্ন বিচারের সম্বন্ধে সতর্ক করেছিলেন I   

কেন?

অনুতাপের সাথে ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ ফল উৎপণ্য না করার’ দ্বারা দেখিয়েছিল যে তারা প্রকৃতপক্ষে অনুতাপ করেনি I তারা তাদের পাপগুলো স্বীকার করেনি তবে তাদের পাপ লুকোতে তারা তাদের ধর্মীয় রীতিগুলো ব্যবহার করছিল I তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্য, যদিও এটি ভাল ছিল, তাদেরকে অনুতপ্ত করার বদলে অহংকারী করে তুলেছিল I    

অনুতাপের ফল

স্বীকারোক্তি এবং অনুতাপ ভিন্নভাবে বেঁচে থাকার এক অপেক্ষা নিয়ে এসেছিল I লোকেরা এই আলোচনার মধ্যে যোহনকে জিজ্ঞাসা করল কিভাবে তারা তাদের অনুতাপকে প্রদর্শন করতে পারে:

১০ তখন লোকেরা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, তবে আমাদের কি করিতে হইবে?
১১ তিনি উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, যাহার দুইটী আঙ্‌রাখা আছে, সে, যাহার নাই, তাহাকে একটী দিউক; আর যাহার কাছে খাদ্য দ্রব্য আছে, সেও তদ্রূপ করুক।
১২ আর করগ্রাহীরাও বাপ্তাইজিত হইতে আসিল, এবং তাঁহাকে কহিল, গুরো, আমাদের কি করিতে হইবে?
১৩ তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের জন্য যাহা নিরূপিত, তাহার অধিক আদায় করিও না।
১৪ আর সৈনিকেরাও তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আমাদেরই বা কি করিতে হইবে? তিনি তাহাদিগকে বলিলেন, কাহারও প্রতি দৌরাত্ম্য করিও না, অন্যায়পূর্ব্বক কিছু আদায়ও করিও না, এবং তোমাদের বেতনে সন্তুষ্ট থাকিও।

লুক ৩:১০-১৪

যোহন কি খ্রীষ্ট ছিলেন?

তার বার্তার শক্তির কারণে, অনেকে আশ্চর্য হয়েছিল প্রাচীন কাল থেকে প্রতিশ্রুত আসন্ন ঈশ্বরের দেহধারী রূপে যোহন সেই মসীহ নাতো I সুসমাচারটি এই আলোচনাকে লিপিবদ্ধ করে: 

১৫ আর লোকেরা যখন অপেক্ষায় ছিল, এবং যোহনের বিষয়ে সকলে মনে মনে এই তর্ক বিতর্ক করিতেছিল, কি জানি, ইনিই বা সেই খ্রীষ্ট, 
১৬ তখন যোহন উত্তর করিয়া সকলকে কহিলেন, আমি তোমাদিগকে জলে বাপ্তাইজ করিতেছি বটে, কিন্তু এমন এক জন আসিতেছেন, যিনি আমা অপেক্ষা শক্তিমান, যাঁহার পাদুকার বন্ধন খুলিবার যোগ্য আমি নই; তিনি তোমাদিগকে পবিত্র আত্মা ও অগ্নিতে বাপ্তাইজ করিবেন। 
১৭ তাঁহার কুলা তাঁহার হস্তে আছে; তিনি আপন খামার সুপরিষ্কৃত করিবেন, ও গোম আপন গোলাতে সংগ্রহ করিবেন, কিন্তু তুষ অনির্ব্বাণ অগ্নিতে পোড়াইয়া দিবেন।
১৮ আরও অনেক উপদেশ দিয়া যোহন লোকদের নিকটে সুসমাচার প্রচার করিতেন।

লুক ৩:১৫-১৮

যোহন তাদেরকে বললেন সেই মসীহ (খ্রীষ্ট) শীঘ্রই আসছেন, অর্থাৎ যীশু I

স্বামী যোহনের মিশন এবং আমরা

ঈশ্বরের রাজ্যর জন্য লোকেদের প্রস্তুত করার দ্বারা যোহন যীশুর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করলেন, যেমনভাবে বলরাম দুষ্টের বিরুদ্ধে তাদের মিশনে কৃষ্ণের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছিলেন I যোহন তাদেরকে আরও অধিক ব্যবস্থা প্রদান করে প্রস্তুত করেন নি, বরং তাদেরকে তাদের পাপের থেকে অনুতাপ (প্রায়শ্চিত্ত) করতে আহ্বান করে এবং বিধিগতভাবে নদীতে স্নান করে (আত্ম-অভিসেক) দেখাতে যে তাদের আন্তরিক অনুতাপ তাদেরকে এখন তৈরী করেছে I    

তবে কঠোর তপস্বী বিধি গ্রহণ করা এতটা কঠিন কারণ আমাদের লজ্জা ও অপরাধবোধকে প্রকাশ করে I ধর্মীয় নেতারা তখন নিজেদেরকে অনুতাপ করতে নিয়ে আসতে পারেনি I পরিবর্তে তারা তাদের পাপ লুকোতে ধর্মকে ব্যবহার করেছিল I সেই পচ্ছন্দের কারণে যখন যীশু এলেন, তখন তারা ঈশ্বরের রাজ্যকে বুঝতে অপ্রস্তুত থাকল I যোহনের সাবধানবাণী আজকের মতনই প্রাসঙ্গিক I তিনি দাবি করেন যে আমরা পাপের থেকে অনুতাপ করি I আমরা করব কি? 

শয়তানের দ্বারা প্রলোভিত হওয়ার সময়ে যীশুর ব্যক্তিত্বকে আমরা অন্বেষণ করতে থাকি I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *