Skip to content

কলিযুগে করোনাভাইরাস পরীক্ষা এর মতো দশ আদেশ

  • by

সাধারনভাবে এটিকে স্বীকার করে নেওয়া হয় যে আমরা কলি যুগে অথবা কলির যুগে বাস করছি I চারটি যুগের মধ্যে এটি শেষ যুগ, যা সত্য, ত্রেতা, এবং দ্বাপর যুগের সাথে শুরু হয় I এই চারটি যুগের মধ্যে যেটি সাধারণ সেটি হল সত্য যুগের (সত্যযুগ) পর থেকে এক অবিচল নৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয়, আমাদের বর্তমান  কলি যুগ পর্যন্ত নেমে এসেছে I   

মহাভারতের মধ্যে মার্কন্ড কলি যুগের মানবীয় আচরণ সম্পর্কে এইভাবে বর্ণনা  করেন:

ক্রোধ, কোপ এবং অজ্ঞানতা বৃদ্ধি পাবে

ধর্ম, সত্যবাদিতা, স্বচ্ছতা, সহিষ্ণুতা, দয়া, শারীরিক শক্তি এবং স্মৃতি শক্তি প্রতি দিন যাওয়ার সাথে সাথে হ্রাস পাবে I .

লোকেরা কোনো রকম ন্যায্যতা ছাড়াই হত্যার চিন্তা করবে এবং তার মধ্যে কোনো অন্যায় দেখবে না I 

কামপ্রবৃত্তিকে সামাজিক গ্রহনযোগ্য বলে দেখা হবে এবং যৌন সম্ভোগ জীবনের কেন্দ্রীয় প্রয়োজনীয়তা রূপে লক্ষিত হবে I  

পাপ ব্যাখ্যামূলকভাবে বৃদ্ধি পাবে, যখন সদগুণ ম্লান হবে এবং ক্ষান্ত হতে থাকবে I

লোকেরা উত্তেজক পানীয় এবং মাদক দ্রব্যের প্রতি আসক্ত হবে I

গুরুদের আর শ্রদ্ধা করা হবে না এবং তাদের ছাত্ররা তাদের আহত করতে প্রচেষ্টা করবে I তাদের শিক্ষাকে অপমান করা হবে, এবং কাম মনের উপরে নিয়ন্ত্রণকে সমস্ত মানবজাতি থেকে ছিনিয়ে নেবে I

সমুদয় মানবজাতি দেবতাকে স্বয়ং রূপে বা দেবতাদের প্রদত্ত বরদানকে নিজেদের দান বলে ঘোষণা করবে এবং শিক্ষাদানের পরিবর্তে এটিকে ব্যবসা রূপে প্রস্তুত করবে I 

লোকেরা আর বিবাহিত হবে না এবং কেবল যৌন সুখের জন্য একে অপরের সঙ্গে বসবাস করবে I 

মুসা এবং দশ আজ্ঞা সমূহ

হিব্রু বেদ আমাদের বর্তমান যুগকে অনেকটা একইভাবে বর্ণনা করে I আমাদের পাপের প্রতি প্রবনতার কারণে, ঈশ্বর মশিকে নিস্তারপর্বের সাথে তাদের মিসর থেকে পলায়ন করার কিছুদিন পরে দশটি আজ্ঞা দিলেন I ইস্রায়েলীয়দের মিসর থেকে বার করার নেতৃত্ব দেওয়া মশির কেবলমাত্র লক্ষ্য ছিল না বরং এক নতুন জীবন যাত্রার প্রতি তাদেরকে চালিত করাও লক্ষ্য ছিল I মিসর থেকে ইস্রায়েলীয়দের উদ্ধারকারী নিস্তারপর্বের ৫০ দিন পরে মশি তাদের সীনয় (হোরেব পর্বতও) পর্বতে নিয়ে গেলেন যেখানে তারা ঈশ্বরের থেকে ব্যবস্থা পেলেন I কলি যুগের সমস্যা সমূহকে উদঘাটন করতে কলি যুগে এই ব্যবস্থা পাওয়া গেল I 

মশি কি কি আজ্ঞা সকল পেলেন? যদিও সম্পূর্ণ ব্যবস্থা বেশ দীর্ঘ, তবুও মশি প্রথমে পাথরের ফলকে ঈশ্বরের দ্বারা লিখিত এক গুচ্ছ নৈতিক আজ্ঞা সমূহ পেলেন, যা দশ আজ্ঞা সমূহ (বা দশ আদেশ) বলে পরিচিত I এই দশটি আজ্ঞা ব্যবস্থার সংক্ষিপ্তসারকে রচনা করল – ক্ষুদ্রতর বিবরণের পূর্বে নৈতিক ধর্ম – এবং সেগুলো এখন কলি যুগের সাধারণ মন্দতাগুলোর বিষয়ে অনুতাপ করতে আমাদেরকে রাজি করতে ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি হয় I  

দশ আজ্ঞা সমূহ

এখানে পাথরের উপরে ঈশ্বরের দ্বারা লিখিত দশ আজ্ঞা সমূহের সম্পূর্ণ তালিকা রয়েছে, পরে মশির দ্বারা হিব্রু বেদের মধ্যে নথিভুক্ত করা হয়েছে I 

১ আর ঈশ্বর এই সকল কথা কহিলেন, 
২ আমি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি মিসর দেশ হইতে, দাস-গৃহ হইতে, তোমাকে বাহির করিয়া আনিলেন।
৩ আমার সাক্ষাতে তোমার অন্য দেবতা না থাকুক।
৪ তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্ম্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নীচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নীচস্থ জলমধ্যে যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্ত্তি নির্ম্মাণ করিও না; 
৫ তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্‌যোগী ঈশ্বর; আমি পিতৃগণের অপরাধের প্রতিফল সন্তানদিগের উপরে বর্ত্তাই, যাহারা আমাকে দ্বেষ করে, তাহাদের তৃতীয় চতুর্থ পুরুষ পর্য্যন্ত বর্ত্তাই; 
৬ কিন্তু যাহারা আমাকে প্রেম করে ও আমার আজ্ঞা সকল পালন করে, আমি তাহাদের সহস্র [পুরুষ] পর্য্যন্ত দয়া করি।
৭ তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নাম অনর্থক লইও না, কেননা যে কেহ তাঁহার নাম অনর্থক লয়, সদাপ্রভু তাহাকে নির্দ্দোষ করিবেন না।
৮ তুমি বিশ্রামদিন স্মরণ করিয়া পবিত্র করিও। 
৯ ছয় দিন শ্রম করিও, আপনার সমস্ত কার্য্য করিও; 
১০ কিন্তু সপ্তম দিন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে বিশ্রামদিন; সে দিন তুমি কি তোমার পুত্র কি কন্যা, কি তোমার দাস কি দাসী, কি তোমার পশু, কি তোমার পুরদ্বারের মধ্যবর্ত্তী বিদেশী, কেহ কোন কার্য্য করিও না; 
১১ কেননা সদাপ্রভু আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী, সমুদ্র ও সেই সকলের মধ্যবর্ত্তী সমস্ত বস্তু ছয় দিনে নির্ম্মাণ করিয়া সপ্তম দিনে বিশ্রাম করিলেন; এই জন্য সদাপ্রভু বিশ্রামদিনকে আশীর্ব্বাদ করিলেন, ও পবিত্র করিলেন।
১২ তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও, যেন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে যে দেশ দিবেন, সেই দেশে তোমার দীর্ঘ পরমায়ু হয়।
১৩ নরহত্যা করিও না।
১৪ ব্যভিচার করিও না।
১৫ চুরি করিও না।
১৬ তোমার প্রতিবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।
১৭ তোমার প্রতিবাসীর গৃহে লোভ করিও না; প্রতিবাসীর স্ত্রীতে, কিম্বা তাহার দাসে কি দাসীতে, কিম্বা তাহার গোরুতে কি গর্দ্দভে, প্রতিবাসীর কোন বস্তুতেই লোভ করিও না।

যাত্রাপুস্তক ২০ :১-১৭

দশ আজ্ঞা সমূহের মানদণ্ড

আজকের দিনে আমরা মাঝে মাঝে ভুলে যাই যে এগুলো আজ্ঞার সমষ্টি I এগুলো প্রস্তাব সমূহ নয় I নাতো সেগুলো সুপারিশ সমূহ I কিন্তু কত দূর পর্যন্ত আমাদেরকে এই আজ্ঞা সমূহকে মান্য কতে হয়? দশ আজ্ঞা সমূহ দেওয়ার ঠিক পূর্বে নিম্নলিখিতটি আসে

৩ পরে মোশি ঈশ্বরের নিকটে উঠিয়া গেলেন, আর সদাপ্রভু পর্ব্বত হইতে তাঁহাকে ডাকিয়া কহিলেন, তুমি যাকোবের কুলকে এই কথা কহ, ও ইস্রায়েল সন্তানগণকে ইহা জ্ঞাত কর।
৪ আমি মিস্রীয়দের প্রতি যাহা করিয়াছি, এবং যেমন ঈগল পক্ষী পক্ষ দ্বারা, তেমনি তোমাদিগকে বহিয়া আপনার নিকটে আনিয়াছি, তাহা তোমরা দেখিয়াছ। 
৫ এখন যদি তোমরা আমার রবে অবধান কর ও আমার নিয়ম পালন কর, তবে তোমরা সকল জাতি অপেক্ষা আমার নিজস্ব অধিকার হইবে, কেননা সমস্ত পৃথিবী আমার;

যাত্রাপুস্তক ১৯:৩-৫

দশ আজ্ঞা সমূহ দেওয়ার ঠিক পরে এটিকে দেওয়া হয়েছিল

৭ আর তিনি নিয়মপুস্তকখানি লইয়া লোকদের কর্ণগোচরে পাঠ করিলেন; তাহাতে তাহারা কহিল, সদাপ্রভু যাহা যাহা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব ও আজ্ঞাবহ হইব।

যাত্রাপুস্তক ২৪:

মাঝে মাঝে স্কুলের পরীক্ষায়, শিক্ষক একাধিক প্রশ্ন দেন (উদাহরণস্বরূপ ২০) কিন্তু পরে কেবল কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন হয় I উদাহরণস্বরূপ, উত্তর দিতে ২০টির মধ্যে আমরা যে কোনো ১৫টি প্রশ্ন চয়ন করতে পারি I প্রত্যেকটি ছাত্র ১৫টি সহজতম প্রশ্নের উত্তর দিতে তার জন্য তুলে নিতে পারে I এইভাবে পরীক্ষক পরীক্ষাকে সহজতর করে I   

অনেকে দশ আজ্ঞা সমূহের সম্পর্কে এইভাবে চিন্তা করে I তারা ভাবে যে ঈশ্বর, দশ আজ্ঞা দেওয়ার পরে, বোঝাতে চেয়েছেন, “এই দশটির থেকে তোমার পছন্দ মতন যে কোনো ছয়টিকে চেষ্টা কর” I আমরা এইভাবে চিন্তা করি কারণ আমরা কল্পনা করি ঈশ্বর আমাদের ‘উত্তম কার্যগুলোকে’ আমাদের ‘মন্দ কার্যগুলোর’ বিপরীতে ভারসাম্য বজার রাখছেন I যদি আমাদের উত্তম যোগ্যতাগুলো ওজনে অধিক হয় বা আমাদের মন্দ ত্রুটিবিচ্যুতিগুলোকে বাতিল করে তাহলে আমরা আশা করি যে ঈশ্বর লাভের পক্ষে এটি যথেষ্ট I  

যাইহোক, দশ আজ্ঞাগুলো সম্বন্ধে একটি সৎ অধ্যয়ন দেখায় যে কিরূপে এটিকে দেওয়া হয়েছিল সেটি কোনো বিষয় ছিল না I লোকেদেরকে সমুদয় আজ্ঞাগুলোকে মানতে এবং পালন করতে হবে – সর্বদা I এটির নিছক অসুবিধা অনেককে দশ আজ্ঞাগুলোকে খারিজ  করতে বাধ্য করেছে I কিন্তু কলি যুগের দ্বারা আনীত পরিস্থিতির জন্য সেগুলোকে কলি যুগে দেওয়া হয়েছিল I

দশ আজ্ঞা সমূহ এবং করোনা বীজাণুর পরীক্ষা

২০২০ সালের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা বীজাণুর মহামারীর সঙ্গে তুলনা করার দ্বারা আমরা হয়ত কঠিন দশ আজ্ঞাগুলোর উদ্দেশ্যকে কলি যুগে ভালভাবে বুঝতে পারি I কোভিদ ১৯ জ্বর, কাশি এবং শ্বাস কষ্টের লক্ষণগুলো সহ একটি রোগ যেটি করোনা বীজাণুর দ্বারা সংক্রমিত হয় – এমন ক্ষুদ্র কিছু যাকে আমরা দেখতে পারি   না I    

ধরুন কেউ জ্বর বোধ করছে এবং কাশি আছে I এই ব্যক্তি আশ্চর্য বোধ করে সমস্যটা কি I তার কি সাধারণ জ্বর আছে বা তারা কি করোনা বীজাণুর দ্বারা  সংক্রমিত হয়েছে? যদি তাই হয় তবে এটি একটি গুরুতর সমস্যা – এমনকি জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ I যেহেতু করোনা জীবাণু দ্রুত ছড়ায় এবং এটির প্রকৃত সম্ভাবনা যে  প্রত্যেকে সহজেই প্রভাবিত হয় I অন্বেষণ করতে তারা একটি বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ করে যা নির্ধারণ করে তাদের শরীরে করোনার বীজাণু উপস্থিত আছে কি না I করোনা বীজাণুর পরীক্ষা তাদের রোগের থেকে সুস্থতা দেয় না, এটি তাদের কেবল বলে নিশ্চিতভাবে তাদের মধ্যে করোনা জীবাণু আছে কি না যার পরিণাম কোভিদ-19 হবে অথবা তাদের কেবল একটি সাধারণ জ্বর আছে I     

দশ অগ্জ্ঞাগুলোর সাথে এটি সেই একই রকম I কলি যুগে নৈতিক অবক্ষয়ের মতন ২০২০ সালের করোনা বীজাণু ততটাই প্রভাবশালী I সাধারণ নৈতিক পাপের এই যুগে আমরা জানতে চাই আমরা নিজেরা ধার্মিক কি না বা আমরাও পাপের দ্বারা কলঙ্কিত হয়েছি কি না I দশ আজ্ঞাগুলোকে দেওয়া হয়েছিল যাতে আমাদের জীবনকে তাদের বিপরীতে পরীক্ষা করে আমরা জানতে পারি আমরা পাপ এবং এর সাথে আসা কর্মের থেকে মুক্ত কি না, বা আমাদের উপরে পাপের কোনো কব্জা আছে কি না I দশ অজ্ঞাগুলো করোনা জীবাণুর পরীক্ষার মতন কার্য করে – যাতে করে আপনি জানতে পারেন আপনার মধ্যে রোগ (পাপ) আছে কি না বা আপনি এর থেকে মুক্ত কি  না I    

পাপের আক্ষরিক অর্থ ‘লক্ষ্যচ্যুত’ সেই লক্ষ্যের থেকে যাকে ঈশ্বর আমাদের থেকে আশা করেন কিভাবে আমরা অন্যদের, আমাদের নিজেদের এবং ঈশ্বরের সঙ্গে আচরণ   করি I কিন্তু আমাদের সমস্যাকে জানার পরিবর্তে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা  হয় অন্যদের সাথে (ভুল মাপদণ্ডর বিপরীতে আমাদের পরিমাপ করা) নিজেদের তুলনা করি, ধার্মিক যোগ্যতা অর্জন করতে কঠিন প্রচেষ্টা করি, বা ছেড়ে দিই এবং আমোদ প্রমোদের জন্য কেবল বেঁচে থাকি I অতএব ঈশ্বর দশ আজ্ঞা সমূহ দিলেন যাতে করে:  

২০ যেহেতুক ব্যবস্থার কার্য্য দ্বারা কোন প্রাণী তাঁহার সাক্ষাতে ধার্ম্মিক গণিত হইবে না, কেননা ব্যবস্থা দ্বারা পাপের জ্ঞান জন্মে।

রোমীয় ৩:২০

দশ আজ্ঞা সমূহের বিপরীতে আমরা যদি আমাদের জীবনকে পরীক্ষা করি তাহলে এটি করোনা বীজাণুর পরীক্ষা গ্রহণ করার মতন হয় যা আভ্যন্তরিক সমস্যাকে দেখায় I দশ আজ্ঞা সমূহ আমাদের সমস্যা ‘ঠিক’ করে না, কিন্তু সমস্যাটিকে সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যাতে ঈশ্বরের দেওয়া সমাধানকে আমরা স্বীকার করি I অবিরত আত্মপ্রবঞ্চনায় চলতে থাকার পরিবর্তে, ব্যবস্থা আমাদেরকে নিখুঁতভাবে দেখতে অনুমতি দেয় I

অনুতাপের মধ্যে ঈশ্বরের বরদান দেওয়া হয়

ঈশ্বর যে সমাধান দিয়েছেন তা হ’ল যেশু সৎসংগ – যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে পাপের ক্ষমার বরদান I জীবনের এই বরদানকে শুধুমাত্র তখনই  আমাদের দেওয়া হয় যদি আমরা যীশুর কার্যের উপরে ভরসা বা বিশ্বাস করি I   

১৬ তথাপি বুঝিয়াছি, ব্যবস্থার কার্য্য হেতু নয়, কেবল যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস দ্বারা মনুষ্য ধার্ম্মিক গণিত হয়, সেই জন্য আমরাও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী হইয়াছি, যেন ব্যবস্থার কার্য্য হেতু নয়, কিন্তু খ্রীষ্টে বিশ্বাস হেতু ধার্ম্মিক গণিত হই; কারণ ব্যবস্থার কার্য্য হেতু কোন মর্ত্ত্য ধার্ম্মিক গণিত হইবে না।

গালাতীয় ২:১৬

যেমনভাবে ভাববাদী আব্রাহামকে ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক প্রতিপন্ন করা হয়   আমাদেরকেও ধার্মিকতা দেওয়া যেতে পারে I কিন্তু এটার জন্য প্রয়োজন যে আমরা  অনুতাপ করি I অনুতাপকে প্রায়শই ভুল বোঝা হয়, কিন্তু অনুতাপের সরল অর্থ হ’ল ‘আমাদের মন পরিবর্তন করা’ পাপের থেকে মুখ ফেরানো এবং ঈশ্বর ও তার দেওয়া বরদানের দিকে মন ঘোরানকে অন্তর্ভুক্ত করে I বেদা পুশ্তকম (বাইবেল) যেমনভাবে ব্যাখ্যা করে:

১৯ অতএব তোমরা মন ফিরাও, ও ফির, যেন তোমাদের পাপ মুছিয়া ফেলা হয়, যেন এইরূপে প্রভুর সম্মুখ হইতে তাপশান্তির সময় উপস্থিত হয়

প্রেরিতের কার্য ৩:১৯

আপনার এবং আমার জন্য প্রতিশ্রুতি হ’ল যে আমরা অনুতাপ করি, ঈশ্বরের দিকে ফিরি, যাতে আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের পাপের গণনা করা হবে না এবং আমরা জীবন পাব I ঈশ্বর, তাঁর মহান দয়ায়, কলি যুগে পাপের জন্য একটি পরীক্ষা এবং টীকা উভয়ই আমাদেরকে দিয়েছেন I   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *