Skip to content

গুরু হিসাবে যীশু: কর্তৃত্বের সাথে অহিংসার শিক্ষা এমনকি মহাত্মা গান্ধীকেও আলোকিত করে

  • by

সংস্কৃতে গুরু (गुरू) ‘গু’ (অন্ধকার) এবং ‘রু’ (আলো) I একজন গুরু শিক্ষা দেন যাতে অজ্ঞতার অন্ধকার সত্যের জ্ঞানের দ্বারা দূরীভূত হয় I যীশুকে এইধরণের বিচক্ষণ শিক্ষার জন্য  জানা যায় যা অন্ধকারে বসবাসকারী লোকেদের আলোকিত করে যার জন্য তাঁকে এক গুরু বা আচার্য রূপে বিবেচনা করা উচিত I ঋষি যিশাইয় আসন্ন একজনের সম্বন্ধে এটিকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন I 700 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে তিনি হিব্রু বেদের মধ্যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে: 

ন্তু যে বিপদে পড়েছিল তার জন্য কোন অন্ধকার থাকবে না| লোকরা অতীতে সবূলূন দেশ ও নপ্তালি দেশকে কোন গুরুত্বই দিত না| কিন্তু পরবর্তী-কালে সমুদ্রের নিকটবর্তী দেশ, য়র্দন নদীর অপর পারের দেশ এবং অ-ইহুদীদের মহকুমাটিকে ঈশ্বর খুব মহান করবেন|
2 এই সব দেশের লোক অন্ধকারে বাস করত| কিন্তু তারা মহা-আলোকটি দেখতে পাবে| ঐসব লোক কবরের মত অন্ধকার জায়গায় বাস করত| কিন্তু “মহা-আলোক” তাদের ওপর কিরণ দেবে|

যিশাইয় 9:1b-2
ঐতিহাসিক কালপঞ্জির মধ্যে ঋষি (ভাববাদীগণ) যিশাইয়, দায়ূদ এবং অন্যান্য হিব্রু ঋষিগণ

গালীলের অন্ধকারের লোকেদের মধ্যে এই আসন্ন ‘আলো’ কি ছিল? যিশাইয় বলতে থাকলেন: 

6 একটি বিশেষ শিশু জন্মগ্রহণ করার পরই এটা ঘটবে| ঈশ্বর আমাদের একটি পুত্র দেবেন| লোকদের নেতৃত্ব দেওয়ার ভার তার ওপর থাকবে| তার নাম হবে “আশ্চর্য়্য় মন্ত্রী, ক্ষমতাবান ঈশ্বর, চিরজীবি পিতা, শান্তির রাজকুমার|”

যিশাইয় 9:6

যিশাইয় আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আসন্ন একজন কুমারীর থেকে জন্মগ্রহণ করবে I এখানে তিনি আরও নির্দিষ্ট করে বললেন তাকে ‘শক্তিমান ঈশ্বর’ বলে ডাকা হবে, এবং শান্তির পক্ষে পরামর্শদাতা হবে I গালীলের তীর থেকে শিক্ষা দিয়ে শান্তির এই গুরু বহু দূরবর্তী ভারতবর্ষে মহাত্মা গান্ধীর উপরে তাঁর প্রভাবের মাধ্যমে অনুভূত হবেন I  

গান্ধী এবং পাহাড়ের উপরে যীশুর উপদেশ 

একজন আইনের ছাত্র হিসাবে গান্ধী  

ইংলান্ডে, যীশুর জন্মের 1900 বছর পরে, ভারতবর্ষ থেকে আইনের একজন যুবক ছাত্রকে এখন মহাত্মা গান্ধী (বা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী) বলে পরিচিত, একটি বাইবেল দেওয়া হয়েছিল I যখন তিনি পাহাড়ের উপরে উপদেশ বলে পরিচিত যীশুর শিক্ষা পড়লেন তিনি বিবরণ দিলেন   

“… পাহাড়ের উপর উপদেশ যা সরাসরি আমার হৃদয়ে গেল I”

এম.কে.গান্ধী, একটি আত্মজীবনী বা দি স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ

ট্রুথ I 1927 পৃষ্ঠা 63

‘অন্য গাল ফিরিয়ে দেওয়া’ সম্বন্ধে যীশুর শিক্ষা অহিংসার (অ-আঘাত এবং অ-হত্যা) প্রাচীন ধারণার উপরে গান্ধীকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছিল I এই চিন্তাধারাটি সু-পরিচিত বাক্যাংশ ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ (অহিংসা সর্বাধিক নৈতিক গুণ) এর উপরে প্রতিফলিত হয়েছে I পরে গান্ধী এটিকে রাজনৈতিক শক্তি সত্যাদ্গ্রহ বা সত্যাগ্রহের মধ্যে পরিমার্জন করেছিলেন I বৃটিশের সাথে এটি তার অ-হিংসা অ-সহযোগিতার ব্যবহার ছিল I কয়েক দশকের সত্যাগ্রহের ফলশ্রুতিতে ভারতবর্ষ  গ্রেট ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল I গান্ধীর সত্যাগ্রহ এক বৃহৎ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভারতবর্ষকে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা অর্জনের অনুমতি দিয়েছিল I যীশুর শিক্ষা এই সমস্তকে প্রভাবিত করেছিল I      

পাহাড়ের উপরে যীশুর উপদেশ

তাহলে পাহাড়ের উপরে যীশুর শিক্ষা কি যা গান্ধীকে এতটা প্রভাবিত করেছিল? এটি সুসমাচারের মধ্যে যীশুর দীর্ঘ নথিভুক্ত বার্তা I নিচে কিছু লক্ষনীয় বৈশিষ্টকে দৃষ্টিগোচর করার সময়ে এখানে সম্পূর্ণ পাহাড়ের উপদেশটি দেওয়া  হ’ল I  

21 ‘তোমরা শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলা হয়েছিল, ‘নরহত্যা করো না;আর কেউ নরহত্যা করলে তাকে বিচারালয়ে তার জবাবদিহি করতে হবে৷
22 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যদি কেউ কোনো লোকের প্রতি ক্রুদ্ধ হয় বিচারে তাকে তার জবাবদিহি করতে হবে৷ আর কেউ যদি কোন লোককে বলে, ‘ওরে মূর্খ’ (অর্থাত্ নির্বোধ) তবে তাকে ইহুদী মহাসভার সামনে তার জবাব দিতে হবে৷ কেউ যদি কাউকে বলে ‘তুমি পাষণ্ড,’ তবে তাকে নরকের আগুনেই তার জবাব দিতে হবে৷
23 ‘মন্দিরে যজ্ঞবেদীর সামনে নৈবেদ্য উত্‌সর্গ করার সময় যদি তোমার মনে পড়ে য়ে তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কোন অভিযোগ আছে,
24 তবে সেই নৈবেদ্য যজ্ঞবেদীর সামনে রেখে চলে যাও, প্রথমে গিয়ে তার সঙ্গে সে বিষয়ে মিটমাট করে নাও, পরে এসে তোমার নৈবেদ্য উত্‌সর্গ কোরো৷
25 ‘তোমার শত্রু যদি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তবে আদালতে নিয়ে যাবার সময় পথেই তার সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিটমাট করে ফেল; তা না হলে সে তোমাকে বিচারকের হাতে তুলে দেবে, বিচারক তোমাকে রক্ষীর হাতে দেবে আর রক্ষীরা তোমাকে কারাগারে পাঠাবে৷
26 আমি তোমায় সত্যি বলছি, সেখান থেকে তুমি ছাড়া পাবে না, যতক্ষণ না তোমার দেনার শেষ পয়সাটা চুকিয়ে দাও৷
27 তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে: ‘য়ৌনপাপ করো না৷’
28 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি কেউ যদি কোন স্ত্রীলোকের দিকে লালসাপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় তবে সে মনে মনে তার সঙ্গে য়ৌন পাপ করল৷
29 সেই রকম তোমার ডান চোখ যদি পাপ করার জন্য তোমায় প্ররোচিত করে তবে তা উপড়ে ফেলে দাও৷ সমস্ত দেহ নিয়ে নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং তার একটা অংশ হারানো তোমার পক্ষে ভালো৷
30 যদি তোমার ডান হাত পাপ করতে প্ররোচিত করে, তবে তা কেটে ফেলে দাও৷ তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়ার চেয়ে বরং তার একটা অঙ্গ নষ্ট হওয়া তোমার পক্ষে ভালো৷
31 ‘আবার বলা হয়েছে, ‘কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করতে চায়, তবে তাকে ত্যাগপত্র দিতে হবে৷
32 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, একমাত্র য়ৌনপাপের দোষ ছাড়া অন্য কোন কারণে কেউ যদি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তবে সে তাকে ব্যাভিচারিণী হবার পথে নামিয়ে দেয়৷ আর য়ে কেউ সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিয়ে করে সেও য়ৌনপাপ করে৷
33 ‘তোমরা একথা ও শুনেছ, আমাদের পিতৃপুরুষদের বলা হয়েছিল, ‘তোমরা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে য়ে সব প্রতিশ্রুতি কর তা ভেঙ্গো না, তোমাদের কথা মতো সে সবই পূর্ণ করো৷’
34 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমরা কোন শপথইকরো না৷ স্বর্গের নামে করো না, কারণ তা ঈশ্বরের সিংহাসন৷
35 পৃথিবীর নামে শপথ করো না, কারণ পৃথিবী ঈশ্বরের পাদপীঠ৷ জেরুশালেমের নামেও শপথ করো না, কারণ তা হল মহান রাজার নগরী৷
36 এমন কি তোমার মাথার দিব্যিও দিও না, কারণ তোমার মাথার একগাছা চুল সাদা কি কালো করার ক্ষমতা তোমার নেই ৷
37 তোমাদের কথার ‘হ্যাঁ’ য়েন ‘হ্যাঁ’ আর ‘না’ য়েন ‘না’ হয়, এছাড়া অন্য আর যা কিছু তা মন্দের কাছ থেকে আসে৷
38 ‘তোমরা শুনেছ, একথা বলা হয়েছে য়ে, ‘চোখের বদলে চোখ ও দাঁতের বদলে দাঁত৷’
39 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, দুষ্ট লোকদের প্রতিরোধ করো না, বরং কেউ যদি তোমার ডান গালে চড় মারে, তবে তার দিকে অপর গালটিও বাড়িয়ে দিও৷
40 কেউ যদি তোমার পাজামা নেবার জন্য আদালতে মামলা করতে চায়; তবে তাকে তোমার ধূতিটাও ছেড়ে দিও৷
41 যদি কেউ তার বোঝা নিয়ে তোমাকে এক মাইল পথ য়েতে বাধ্য করে, তার সঙ্গে দু মাইল য়েও৷
42 কেউ যদি তোমার কাছ থেকে কিছু চায়, তাকে তা দিও৷ তোমার কাছ থেকে কেউ ধার চাইলে তাকে তা দিতে অস্বীকার করো না৷
43 ‘তোমরা তাদের বলতে শুনেছ, ‘তোমার প্রতিবেশীকে ভালবাসো,শত্রুকে ঘৃণা করো৷
44 কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, তোমাদের শত্রুদের ভালবাসো৷ যাঁরা তোমাদের প্রতি নির্য়াতন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করো,
45 য়েন তোমরা স্বর্গের পিতার সন্তান হতে পার৷ তিনি তো ভাল মন্দ সকলের উপর সূর্য়্য়ালোক দেন, ধার্মিক অধার্মিক সকলের উপর বৃষ্টি দেন৷
46 আমি একথা বলছি, কারণ যাঁরা তোমাদের ভালবাসে তোমরা যদি কেবল তাদেরইভালবাস, তবে তোমরা কি পুরস্কার পাবে? কর আদায়কারীরাও কি তাইকরে না?
47 তোমরা যদি কেবল তোমাদের ভাইদেরইশুভেচ্ছা জানাও, তবে অন্যদের থেকে আর বেশী কি করলে? বিধর্মীরাও তো এমন করে থাকে৷
48 তাই তোমাদের স্বর্গের পিতা য়েমন সিদ্ধ তোমরাও তেমন সিদ্ধ

হও৷মথি 5:21-48

যীশু যে রূপটি ব্যবহার করে শিক্ষা দিয়েছিলেন:

“তোমরা শুনেছ যে এটি বলা হয়েছে … তবে আমি তোমাদের বলছি …”,

এই সংরচনায় তিনি প্রথমে মশির ব্যবস্থা থেকে উদ্ধৃত করেন, এবং আজ্ঞার পরিধিকে উদ্দেশ্য, চিন্তাধারা এবং বাক্য সমূহের মধ্যে প্রসারিত করেন I যীশু মশির মাধ্যমে দেওয়া কঠোর আজ্ঞা সমূহকে গ্রহণ করে শিক্ষা দিলেন এবং সেগুলোকে এমনকি পালন করা আরও অধিক কঠিন করে তুললেন!    

পাহাড়ের উপদেশের মধ্যে নম্র কর্ত্তৃত্ব

যেটি উল্লেখযোগ্য তা হ’ল যে উপায়ে তিনি ব্যবস্থার আজ্ঞা সকলকে প্রসারিত করেছিলেন I তিনি তাঁর কর্তৃত্বের উপরে ভিত্তি করে এইরকম করলেন I বিতর্ক এবং ভীতিপ্রদর্শন ছাড়া তিনি সরলভাবে বললেন. ‘তবে আমি তোমাদের বলছি …’আর এর সাথে তিনি আজ্ঞার পরিধিকে বাড়িয়ে তুললেন I তিনি এটিকে নম্রতা তথাপি কর্তৃত্বের সাথে করলেন I এটি তাঁর শিক্ষার সম্বন্ধে অনন্য ছিল I সুসমাচারের বিবরণ হিসাবে যখন তিনি এই উপদেশ শেষ করলেন I   

28 যীশু যখন এই সব কথা বলা শেষ করলেন, তখন জনতা তাঁর এই সব শিক্ষা শুনে হতবুদ্ধি হয়ে গেল৷
29 কারণ যীশু একজন ব্যবস্থার শিক্ষকের মতো শিক্ষা দিচ্ছিলেন না, বরং যার অধিকার আছে সেইরকম লোকের মতোইশিক্ষা দিচ্ছি

লেন৷মথি 7:28-29

যীশু মহান কর্তৃত্বের সাথে এক গুরু হিসাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন I বেশিরভাগ ভাববাদীরা দূত ছিল যারা ঈশ্বরের থেকে এক বার্তা দিয়েছিল, তবে এখানে এটি আলাদা ছিল I যীশু কেন এটি করতে সক্ষম হলেন? ‘খ্রীষ্ট’ বা ‘মসীহ’ হিসাবে তাঁর কাছে মহান কর্ত্তৃত্ব ছিল I হিব্রু বেদের গীতসংহিতা 2, যেখানে খ্রীষ্টের উপাধি প্রথমে ঘোষিত হয়েছিল বর্ণনা করে ঈশ্বর খ্রীষ্টের সংগে এইভাবে কথা বলছিলেন:

8 যদি তুমি আমার কাছে চাও, আমি সমগ্র জাতিগুলি তোমার হাতে দিয়ে দেব!গীতসং

হিতা 2:8

‘জাতিগণের’ উপরে খ্রীষ্টকে কর্ত্তৃত্ব দেওয়া হয়েছিল, এমনকি পৃথিবীর শেষ   পর্যন্ত I তাই খ্রীষ্ট হিসাবে যীশুর কাছে এইভাবে শিক্ষা দেওয়ার কর্তৃত্ব ছিল যেভাবে তিনি করেছিলেন, এবং তাঁর শিক্ষার জন্য প্রত্যেকের কাছে যেতে I 

প্রকৃতপক্ষে তার শিক্ষায় মশি এছাড়াও একজন অনন্য আসন্ন ভাববাদীর সম্বন্ধে   লিখেছিলেন (1500 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে) I মশির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, ঈশ্বর প্রতিশ্রুতি দিলেন

18 আমি তাদের কাছে তোমার মতোই একজন ভাববাদী পাঠাব| এই ভাববাদী তাদের লোকদের মধ্যেই একজন হবে| সে য়ে কথা অবশ্যই বলবে সেটা আমি তাকে বলে দেব| আমি যা আদেশ করি তার সমস্ত কিছু সে লোকদের বলবে|
19 এই ভাববাদী আমার জন্যই বলবে এবং যখন সে কথা বলবে, যদি কোন ব্যক্তি আমার আদেশ না শোনে তাহলে আমি সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেব|

’দ্বিতীয় বিবরণ 18:18-19
যীশুর 1500 বছর পূর্বে মশি ইস্রায়েলীয়দের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং ব্যবস্থা পেয়েছিলেন

তাঁর মতন শিক্ষণে, খ্রীষ্ট হিসাবে যীশু তাঁর কর্ত্তৃত্বকে ব্যবহার করছিলেন এবং মশির ভবিষ্যদ্বাণীকে পূরণ করছিলেন যিনি মুখে ঈশ্বরের বাক্যের শিক্ষা দেবেন I শান্তি এবং অহিংসা সম্বন্ধে তাঁর শিক্ষায় তিনি এছাড়াও উপরে প্রদর্শিত আলোর দ্বারা অন্ধকার মুছে ফেলার সম্বন্ধে যিশাইয়র ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ করলেন I তিনি এমনভাবে শিক্ষা দিলেন যেন তাঁর কাছে, না কেবল গান্ধীর গুরু, বরং আপনার এবং আমার গুরু হওয়ারও কর্ত্তৃত্ব ছিল I      

আপনি ও আমি এবং পাহাড়ের উপর উপদেশ

আপনি কিভাবে এটিকে অনুসরণ করবেন তা দেখার জন্য যদি পাহাড়ের উপরে এই উপদেশ পড়েন আপনি হয়ত বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারেন I কেউ কিভাবে এই জাতীয় অজ্ঞাগুলোর সাথে জীবন যাপন করতে পারে যা আমাদের হৃদয় এবং উদ্দেশ্যকে এইভাবে প্রকাশ করে? এই উপদেশের সাথে যীশুর কি অভীষ্ট ছিল? আমরা তাঁর শেষ বাক্যটির থেকে দেখতে পারি?

48 তাই তোমাদের স্বর্গের পিতা য়েমন সিদ্ধ তোমরাও তেমন সিদ্ধ

হও৷মথি 5:48

এটি একটি আজ্ঞা, কোনো প্রস্তাব নয় I তাঁর প্রয়োজনীয়তা যে আমরা সিদ্ধ  হই!

কেন?

যীশু কিভাবে তিনি পাহাড়ের উপরে উপদেশ শুরু করেছিলেন তার উত্তরটি প্রকাশ করেছিলেন I তিনি তাঁর শিক্ষার শেষ-লক্ষ্যের উল্লেখ করে শুরু করেন I

3 ‘ধন্য সেই লোকেরা যাঁরা আত্মায় নত-নম্র, কারণ স্বর্গরাজ্য তাদের

ই৷মথি 5:3

‘স্বর্গ রাজ্যের’ উপরে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার জন্য উপদেশ I স্বর্গরাজ্য হিব্রু বেদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেমন এটি সংস্কৃত বেদের মধ্যে আছে I কিভাবে যীশু নিরাময়ের তাঁর অলৌকিক কার্যের মাধ্যমে স্বর্গরাজ্যের প্রকৃতিকে প্রদর্শন করেন তা দেখার সাথে সাথে আমরা স্বর্গ রাজ্য বা বৈকুন্ঠ লোকের প্রকৃতি পরীক্ষা করি I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *