Skip to content

ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে

  • by

আমরা দেখেছি কিভাবে পুরুষাসুক্ত এমনকি সময় কাল আরম্ভ হওয়ার আগে পিছনে যায় এবং ঈশ্বরের (প্রজাপতি) মনকে ব্যাখ্যা করে যা পুরুষ কে বলি দিতে নির্ণয় করে I এই নির্ণয় থেকে সমস্ত কিছুর সৃষ্টি অনুসৃত হয় – মানবজাতির সৃষ্টি সহ I   

আমরাপ্রায়শইশুনিএবংব্যবহারকরিবাক্যাংশটিকেঅতিথিদেবো ভব’ (অতিথিহনঈশ্বর) এবংএমনকিনমস্তে’ (আমিআপনারমধ্যেঐশ্বরিককেপ্রণামকরি) এইবাক্যাংশগুলোসত্যকেপ্রতিফলনকরেযেসকললোকেদেরমধ্যেঐশ্বরিককিছুরয়েছে I হিব্রুবেদব্যাখ্যাকরেআমাদেরমধ্যেঐশ্বরিককিভাবেথাকে, এবংএরব্যাখ্যারজন্যআমাদেরকেসিধেমানবজাতিরসৃষ্টিরদিকেনিয়েযায় I এটিতাইযাপ্রত্যেককেমূল্যএবংমর্যাদাপ্রদানকরে I

এখন আমাদের বিবেচনা করা যাক বেদ পুস্তকম (বাইবেল) মানবজাতির সৃষ্টি সম্বন্ধে কি বলে যাতে আমাদের সম্পর্কে বাইবেলের শিক্ষার উপলব্ধি আমরা   পাই I   

 তখন Godশ্বর বলেছিলেন, “আসুন আমরা মানুষকে আমাদের প্রতিমূর্তিতে, আমাদের অনুরূপে তৈরি করি …” সুতরাং Godশ্বর মানুষকে তাঁর নিজের ইমেজে তৈরি করেছেন, Godশ্বরের প্রতিমূর্তিতে তিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন; তিনি নর-স্ত্রী তিনিই তাদের সৃষ্টি করেছেন। ”

আদিপুস্তক 1: 26-27

 “ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে”

এর অর্থ কি যে মানুষ ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে’ সৃষ্টি হয়েছিল? এর অর্থ এই নয় যে ঈশ্বর একটি শারীরিক সত্তা যার দুই হাত, একটি মস্তক ইত্যাদি, আছে I বরং একটি গভীর স্তরে এটি বলছে যে লোকেদের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো ঈশ্বরের অনুরূপ বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে I যেমন উদাহরণস্বরূপ, উভয় ঈশ্বর (বাইবেলে) এবং লোকেরা (পর্যবেক্ষণ থেকে) বুদ্ধি, আবেগ এবং ইচ্ছা আছে I বাইবেলের মধ্যে ঈশ্বরকে কখনও কখনও দুঃখী, ক্রোধিত অথবা আনন্দময় রূপে  চিত্রিত করা হয়েছে – সেই একই আবেগ সমূহের শ্রেণী যাকে আমরা মানবজাতি অনুভব করি I আমরা বাছাই করি এবং সিদ্ধান্তে আসি I আমাদের যুক্তি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা বিমূর্ত রূপে ঈশ্বরের থেকে আসে I আমাদের কাছে বুদ্ধি ও আবেগের সক্ষমতা আছে কারণ ঈশ্বরের কাছেও সেগুলো আছে এবং আমাদেরকে  তার প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে I   

এক গভীরতর স্তরে আমরা দেখি যে আমরা ভাবপ্রবণ সত্তা, আত্ম-অবগত এবং ‘আমি’ এবং ‘তুমি’র সম্বন্ধে সচেতন I আমরা নৈর্ব্যক্তিক নয় ‘ইহার’ I আমরা এইরকম হই কারণ ঈশ্বর এইরকম হন I এই মৌলিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে, বাইবেলের ঈশ্বরকে সুপরিচিত চলচিত্র স্টার ওয়ারস-এর মধ্যে ‘শক্তি’র মতন  সর্বেশ্বরবাদী ঔদাসীন্য রূপে চিত্রিত করা হয় না I ঘটনা হল যে মানব জাতি ‘ইহার’ অপেক্ষা ভাবপ্রবণ ব্যক্তি যা ঈশ্বর সম্বন্ধে এই আগের শিক্ষার আলোতে অর্থপূর্ণ হয় I আমরা এইরকম হই কারণ ঈশ্বর এইরকম হন, এবং আমাদেরকে তাঁর প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে I    

কেন আমরা রুচিজ্ঞানসম্পন্ন

এছাড়া আমরা শিল্প এবং অভিনয় ভালোবাসি I আমরা তারিফ করি এবং এমনকি সৌন্দর্যর প্রয়োজন বোধ করি I এটি কেবলমাত্র চাক্ষুষ সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে সঙ্গীত ও সাহিত্যকে অন্তর্ভুক্ত করে I ভেবে দেখুন সঙ্গীত আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ – এমনকি আমরা কিভাবে নৃত্য করতে ভালোবাসি I সঙ্গীত আমাদের জীবন সমূহকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ করে I আমরা উত্তম কাহিনী সমূহকে ভালোবাসি, উপন্যাসে হোক বা নাটক সমূহে হোক, বা খুব সাধারণভাবে আজকের দিনে, চলচ্চিত্রর মধ্যে I কাহিনীগুলোর মধ্যে নায়ক, খলনায়ক, নাটক থাকে এবং মহান কাহিনীগুলো এই নায়ক, খলনায়ক, এবং নাটকগুলোকে আমাদের কল্পনা সমূহের মধ্যে দীপ্তি দেয় I আমাদের মনোরঞ্জন করতে, উজ্জীবিত করতে এবং সতেজ করতে শিল্পকলাকে এর বিভিন্ন স্বরূপে আমাদের পক্ষে ব্যবহার এবং তারিফ করা অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণ ঈশ্বর একটি শিল্প এবং আমরা তাঁর প্রতিমূর্তিতে আছি I   

এটি একটি প্রশ্ন যা জিজ্ঞাসা করার পক্ষে যোগ্য I কেন আমরা স্বাভাবিকভাবে রুচিজ্ঞানসম্পন্ন, হয় শিল্পে, নাটকে, সঙ্গীতে, নৃত্যে কিম্বা সাহিত্যে? যখনই আমি ভারবর্ষে ভ্রমণ করি আমি ভারতীয় চলচ্চিত্র দেখে সর্বদা মুগ্ধ হই যা সঙ্গীত এবং নৃত্যে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এমনকি প্রাশ্চাত্য-সৃষ্ট চলচ্চিত্রর অপেক্ষা বেশি I ডেনিয়েল ডেনেট, একজন নাস্তিক স্পষ্টভাষী এবং জ্ঞানগত প্রক্রিয়ার উপলব্ধির উপরে পন্ডিত, একটি বস্তুবাদী পরিপ্রেক্ষিত থেকে উত্তর দেন:  

“কিন্তু এই গবেষণার অধিকাংশ এখনও সঙ্গীতের প্রকৃত মূল্য না জেনেই মেনে নেয় I এটি কদাচিৎ প্রশ্ন করে: সঙ্গীতের অস্তিত্ব কেন? এর একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর আছে, এবং এটি সত্য, যতদুর এটি যায়: এটি বিদ্যমান কারণ আমরা একে ভালোবাসি এবং তাই আমরা এর থেকে আরও বেশি করে অস্তিত্বে নিয়ে আসতে থাকি I কিন্তু আমরা কেন এটিকে ভালবাসি? কারণ আমরা দেখি যে এটি সুন্দর I কিন্ত এটি কেন আমাদের কাছে সুন্দর? এটি সম্পূর্ণরূপে একটি উত্তম জৈবিক প্রশ্ন, কিন্তু এটির কাছে এখনও একটি উত্তম উত্তর নেই I” (ডেনিয়েল ডেনেট I ব্রেকিং দি স্পেল: রিলিজিওন এস এ নাচুরাল ফেনোমেনন I পৃষ্ঠা 43)   

মানবজাতির উপরে বস্তুবাদী পরিপ্রেক্ষিতের কাছে আমাদের মানবীয় প্রকৃতির এই মৌলিক প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই I বাইবেলীয় পরিপ্রেক্ষিত থেকে এটি ঈশ্বরের কারণে শিল্পিসুলভ এবং রুচিজ্ঞানসম্পন্ন হয় I তিনি জিনিসগুলোকে সুন্দর করে তৈরী করেছেন এবং সৌন্দর্যকে উপভোগ করেন I আমরা, তাঁর প্রতিমূর্তিতে তৈরী, অনুরূপ হই I  

আমরা কেন নৈতিক

অতিরিক্তভাবে, ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি’ স্বাভাবিক নৈতিক ক্ষমতাকে ব্যাখ্যা করে যেটি সমস্ত সংস্কৃতিগুলোতে অত্যন্ত সাধারণ, এবং যেটিকে আমরা গুরু সাঁই বাবার নৈতিক শিক্ষায় আবৃত করেছি I কারণ আমাদের ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং নৈতিকতা তাঁর কাছে সহজাত, যেমন একটি কম্পাস চৌম্বক উত্তরে সারিবদ্ধ, আমাদের সারিবদ্ধতা ‘ন্যায্য’. ‘উত্তম’, ‘সঠিক’ এর প্রতি এই ভাবে যেহেতু তিনি এইভাবেই হন I এটি কেবলমাত্র ধার্মিক লোক নয় যাদেরকে এইভাবে তৈরী করা হয়েছে – প্রত্যেককে I না জানলে এটি ভুল বোঝাবুঝি বাড়িয়ে তুলতে পারে I এই চ্যালেঞ্জকে বস্তুবাদী আমেরিকান স্যাম হ্যারিসের থেকে উদাহরণস্বরূপ গ্রহণ করুন I       

 “যদি আপনি বিশ্বাস করতে সঠিক হন যে ধার্মিক আস্থা কেবলমাত্র নৈতিকতার জন্য প্রকৃত ভিত্তি প্রদান করে, তাহলে নাস্তিকদের বিশ্বাসীদের থেকে কম নৈতিক হওয়া উচিত I” স্যাম হ্যারিস I 2005 I লেটার টু এ খ্রিষ্টিয়ান

নেশন পৃষ্ঠা. 38-39 

হ্যারিস এখানে শুধুমাত্র ভুল I আমাদের নৈতিকতার ধারণা ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি হওয়ার থেকে আসে, ধার্মিক হওয়ার থেকে নয় I আর সেই জন্য নাস্তিকদের কাছে, আমাদের বাকি সকলের মতন, এই নৈতিক ধারণা আছে এবং নৈতিকভাবে কার্য করতে পারে I নাস্তিকবাদের সঙ্গে কঠিনতা হল বিবরণ দেওয়া কেন আমাদের কাছে নৈতিকতা আছে – কিন্তু ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি হওয়া একটি সরল এবং অকপট ব্যাখ্যা I    

আমরা কেন এতটা সম্বন্ধযুক্ত

বাইবেলসম্মতভাবে, আমাদেরকে বোঝার প্রারম্ভিক বিন্দু হল জানা যে আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে I এই কারণে, যে মুহুর্তে আমরা হয় ঈশ্বর (তাঁর সম্বন্ধে বাইবেলে যা প্রকাশিত হয়েছে) অথবা লোকেদের মধ্যে (পর্যবেক্ষণ ও প্রতিফলনের মাধ্যমে) অন্তর্দৃষ্টি লাভ করি আমরা আবার অন্যদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করি I উদাহরণস্বরূপ, সম্পর্ক সমূহের উপরে লোকেদের দ্বারা স্থাপিত প্রয়োজনীয়তার উপরে প্রতিফলন করুন I একটি উত্তম চলচ্চিত্র দেখা ঠিক আছে, কিন্তু একজন বন্ধুর সাথে এটিকে দেখা আরও অধিক ভাল অভিজ্ঞতা I আমরা অভিজ্ঞতাকে শেয়ার করতে আমরা স্বাভাবিকভাবে বন্ধুদের খোঁজ করি I আমাদের কল্যানের ধারণার মূল হল অর্থপূর্ণ বন্ধুত্ব এবং পারিবারিক সম্পর্ক I বিপরীতক্রমে, একাকীত্ব এবং/বা চিড় ধরা পারিবারিক সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের ভাঙ্গন আমাদের উদ্বিগ্ন করে I অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের অবস্থার ক্ষেত্রে আমরা নিরপেক্ষ বা অবিচল নই I বলিউড চলচ্চিত্রগুলো এত জনপ্রিয় হয় কারণ তারা চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক সমূহের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রচন্ড গুরুত্ব দেয় (প্রেমিকগণ, পারিবারিক সম্পর্ক সমূহ ইত্যাদির মধ্যে)      

এখন, আমরা যদি ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে হই, তাহলে আমরা এই ঈশ্বরের সাথে এই একই সম্বন্ধযুক্ত গুরুত্বকে দেখতে আশা করব I বাইবেল বলে যে “ঈশ্বর প্রেম…” (1 যোহন 4:8) I তাঁর এবং অন্যদের জন্য প্রেমের উপরে ঈশ্বর যে গুরুত্ব স্থাপন করেছেন সেই সম্বন্ধে বাইবেলে অনেক কিছু লেখা হয়েছে – সেগুলোকে আসলে বাইবেলের মধ্যে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আজ্ঞা সমূহ বলে যীশুর (যেশু সৎসংগ) দ্বারা অভিহিত করা হয়েছে I যখন আপনি এই সম্বন্ধে চিন্তা করেন, তখন প্রেম অবশ্যই সম্বন্ধযুক্ত হওয়া উচিত যেহেতু এটির একজন ব্যক্তির প্রয়োজন যে ভালবাসে (প্রেমিক) এবং একজন ব্যক্তি যে এই ভালবাসার লক্ষিত ব্যক্তি – প্রীত I     

এইরূপে ঈশ্বরকে একজন প্রেমী রূপে আমাদের ভাবা উচিত I আমরা যদি কেবলমাত্র তাঁকে এই বলে ভাবি যে তিনি ‘আদি চালক’, ‘প্রথম উৎস’, ‘সর্বজ্ঞানী দেবতা’, ‘কল্যাণময় সত্তা’ বা হয়ত ‘নৈর্ব্যক্তিক আত্মা’ তাহলে আমরা  বাইবেলসম্বন্ধীয় ঈশ্বরের কথা ভাবছি না – বরং আমরা আমাদের মনের মধ্যে এক ঈশ্বরকে প্রস্তুত করেছি I যদিও তিনি এই সবগুলো হচ্ছেন, তবুও তাঁকে সম্পর্কের মধ্যে প্রায় বেপরোয়াভাবে করুনাময় রূপে চিত্রিত করা হয়েছে I তাঁর কাছে প্রেম নেই I তিনিই ‘হচ্ছেন’ প্রেম I লোকেদের সঙ্গে ঈশ্বরের সম্পর্কের দুটি অত্যন্ত লক্ষনীয় বাইবেলীয় রূপক হল একজন পিতার সাথে তার সন্তানদের এবং একজন পতির সাথে তার পত্নীর সংগে সম্পর্ক I ওগুলো করুণাহীনভাবে দর্শন সংক্রান্ত ‘প্রথম উৎস’ উপমা সমূহ নয় বরং গভীরতম এবং অত্যন্ত অন্তরঙ্গতার সেই মানবীয় সম্পর্ক সমূহ I            

সুতরাং এখনও অবধি আমরা এখানে ভিত্তি স্থাপন করেছি I লোকেদেরকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে যার মধ্যে মন, আবেগ, এবং ইচ্ছা  রয়েছে I আমরা ভাবপ্রবণ এবং আত্ম-সচেতন I আমরা আমাদের নৈতিক ব্যাকরণ সহ নৈতিক সত্তা যা আমাদের একটি অন্তর্নিহিত শিক্ষা দেয় যে কোনটি ‘সঠিক’ এবং ‘ন্যায্য’, এবং কোনটি নয় I সৌন্দর্য, নাটক, শিল্প এবং এর সমস্ত প্রকারের কাহিনীকে উন্নত এবং তারিফ করতে আমাদের মধ্যে সহজাত ক্ষমতা থাকে I আর আমরা অন্তর্নিহিতভাবে এবং স্বাভাবিকভাবে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক ও বন্ধুত্বগুলোকে খুঁজে বের করব এবং উন্নত করব I আমরা এই সব রকম কারণ ঈশ্বর এই সব রকম এবং আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে I এই সমস্ত সিদ্ধান্তগ্রহণগুলো আমরা আমাদের সম্বন্ধে যা প্রতক্ষ্য করি তার সঙ্গে কমপক্ষে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেমনটি আমরা এই ভিত্তিমূলকে স্থাপন করেছি I আমরা কিছু কঠিনতা সমূহকে দেখতে পরবর্তী পোস্টে চলতে থাকব I    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *