Skip to content

সূর্যের নিচে জীবনের পরিতৃপ্তি খোঁজার মায়া

  • by

মায়া সংস্কৃত থেকে এসেছে তার অর্থ হ’ল ‘সেটা যেটা নেই’ এবং অতএব ‘মায়া’ I বিভিন্ন প্রাজ্ঞ পুরুষরা এবং দার্শনিক গোষ্ঠী মায়ার বিভ্রমের উপরে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে জোর দিয়েছিলেন কিন্তু সাধারণভাবে ধারণাটি প্রকাশ করে যে জাগতিক বা ভৌতিক আমাদের আত্মাকে ভুল পথে চালিত করতে পারে এবং এইরূপে দাসত্বের মধ্যে একে জড়াতে এবং ফাঁদে ফেলতে পারে I আমাদের আত্মা পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং উপভোগ করতে আকুলভাবে আকাঙ্খী I যাইহোক, এর ফলে আমরা শেষ পর্যন্ত লালসা, লোভ এবং ক্রোধের সেবা করি I আমরা তখন প্রায়শই আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুন করি এবং চক্রবৃদ্ধিহারে ভুলের উপর ভুল করে, মায়া বা বিভ্রমের গভীরে পড়ি I এইরূপে মায়া একটি ঘুর্নির মতন কাজ করতে পারে যেটি শক্তি বৃদ্ধির সাথে, একের পর এক ফাঁদে ফেলে একজনকে হতাশার দিকে নিয়ে যায় I মায়ার ফলে স্বীকার্য হয় যে যেটি অস্থায়ী সেটির মূল্য যেন স্থায়ী লাগে, এবং এই জগতে স্থায়ী সুখের খোঁজ করি যা এ দিতে পারে না I       

প্রজ্ঞার সনাতন তামিল বই, তিরুক্কুরাল, আমাদের উপরে মায়া এবং তার প্রভাবকে এইভাবে বর্ণনা করেছে  

 “কেউ যদি তার মোহগুলোতে আঁকড়ে থাকে, যেতে দিতে অস্বীকার করে তবে দুঃখগুলো তার উপরে কবজাকে যেতে দেবে না” 

তিরুক্কুরাল 35.347-348

হিব্রু বেদের মধ্যে তিরুক্কুরালের মতন অনেকটা একইরকম প্রজ্ঞার সাহিত্য আছে I এই প্রজ্ঞার কবিতার রচয়িতা ছিলেন শলোমন I তিনি বর্ণনা করেন কিভাবে তিনি ‘সূর্যের নিচে’ থাকার সাথে সাথে মায়া এবং এর প্রভাবের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন – অর্থাৎ, যেন কেবল বস্তুর মূল্য আছে বলে বাস করা, এবং সূর্যের পথের নিচে কেবলমাত্র এই ভৌতিক জগতের মধ্যে স্থায়ী সুখের খোঁজ করা 

 ‘সূর্যের নিচে’ মায়ার সম্বন্ধে শলোমনের অভিজ্ঞতা

শলোমন, তার প্রজ্ঞার জন্য বিখ্যাত এক প্রাচীন রাজা, 950 খ্রীষ্টপূর্বাব্দের আশে পাশে একাধিক কবিতা লিখেছিলেন যেটি বাইবেলের পুরনো নিয়মের অংশ I উপদেশকের মধ্যে, তিনি সেই সমস্ত গুলো বর্ণনা করলেন যা তিনি জীবনে পরিতৃপ্তি পেতে করেছিলেন I তিনি লিখলেন: 

মি নিজেকে বলেছিলাম, “আমি যতটা সম্ভব সব কিছুকে উপভোগ করব|” কিন্তু আমি জানতে পেরেছিলাম য়ে এসবই অসার|
2 হাসি জিনিষটা বোকামি; আনন্দ কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধ করে না|
3 তাই আমি ঠিক করেছিলাম দ্রাক্ষারস পান করে শরীরকে ও জ্ঞানলাভ করে মনকে ভাল রাখব| আমি এরকম বোকামি করেছিলাম কারণ আমি সুখের সন্ধান পেতে চেয়েছিলাম| আমি বুঝতে চেয়েছিলাম এই অল্প দিনের জীবনে মানুষের কি করা উচিত্‌|
4 তারপর আমি নানা মহত্‌ কাজ করতে শুরু করেছিলাম| আমি নিজের জন্য নানা জায়গায় বাড়ি তৈরী করেছিলাম| দ্রাক্ষার ক্ষেত তৈরী করেছিলাম|
5 আমি বাগান করেছিলাম| উপবন করেছিলাম, আমি সব রকম ফলের গাছ লাগিয়েছিলাম|
6 আমি নিজের জন্য পুকুর কাটিযে ছিলাম| আমি সেই পুকুরের জল আমার বাগানের গাছে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করতাম|
7 আমি পুরুষ ও স্ত্রী এীতদাস কিনেছিলাম এবং আমি যখন তাদের মালিকানা পেলাম তখন তাদের ছেলেমেযে ছিল| আমার অনেক ঐশ্বর্য় ছিল| আমার অনেক গরু ও মেষের পাল ছিল| আমি এত ধনী ছিলাম য়ে সে রকম ধনী জেরুশালেমে কেউ ইতিপূর্বে ছিল না|
8 আমি আমার নিজের জন্য সোনা ও রূপা সংগ্রহ করেছিলাম| আমি বিভিন্ন দেশের রাজাদের কাছ থেকে ধন সংগ্রহ করেছিলাম| আমাকে খুশী করার জন্য অনেক গায়ক ও গাযিকা ছিল| আমার কাছে সবই ছিল যা সকলের কাছে রয়োজনীয়| আমার কাছে সমস্ত রকমের বাদ্যযন্ত্র ছিল|
9 আমি বিরাট ঐশ্বর্য়্য় ও খ্যাতি লাভ করেছিলাম| জেরুশালেমে আমার আগে য়ে সমস্ত লোক ছিল আমি ছিলাম তাদের সবার চেয়ে মহত্‌| আমার জ্ঞান ছিল সব সময় আমার সহায়|
10 আমার চোখে যা ভাল লাগত এবং আমাকে যা খুশী করত, আমি তা সবই পেতাম| আমি কঠিন পরিশ্রম করে যা কিছু করেছিলাম তা নিয়ে আনন্দিত ছিলাম এবং আমার এই সব জিনিস প্রাপ্য ছিল, কারণ আমি এর জন্য কাজ করেছিলাম|

উপদেশক 2:1-10

ঐশ্বর্য, খ্যাতি, জ্ঞান, প্রকল্প, স্ত্রী, আমোদ, রাজ্য, পেশা, দ্রাক্ষারস… শলোমনের কাছে এই সমস্ত ছিল – এবং এটি তার সময়ের কারোর বা আমাদের থেকেও বেশি I এক আইনস্টাইনের বুদ্ধিমত্তা, লক্ষী মিত্তলের ঐশ্বর্য, এক বলিউড তারকার সামাজিক/যৌন জীবন, তার সাথে ব্রিটিশ রাজকীয় পরিবারের রাজকুমার উইলিয়ামের মতন এক রাজকীয় বংশতালিকা – সব একটির মধ্যে সম্মিলিত হয়েছিল I কে ওই সম্মেলনকে হারাতে পারে? আপনি ভাববেন সমস্ত লোকেদের মধ্যে তিনি, পরিতৃপ্ত হয়ে থাকবেন I    

শ্রেষ্টগীতের তার কবিতার অন্য একটির মধ্যে, যা বাইবেলের মধ্যেও আছে, তিনি তার মধ্যে থাকা একটি উদ্রেককারী, প্রচন্ড প্রণয়লীলাকে নথিভুক্ত করেন – বিশেষ বস্তুটি যা খুব সম্ভবতঃ জীবন-ব্যাপী সুখ দেবে বলে মনে হয় I সম্পূর্ণ কবিতাটি এখানে রয়েছে I তবে নিচে তার এবং তার প্রেমিকের মধ্যে প্রেম বিনিময়ের কবিতার একটি অংশ রয়েছে I  

শ্রেষ্ঠগীতের নির্যাস

তিনি
9 আমি তোমাকে আমার প্রিয়তমের সাথে একটি গাঁয়ের সাথে তুলনা করছি
ফেরাউনের রথের ঘোড়াগুলির মধ্যে।
10 আপনার গাল কানের দুল দিয়ে সুন্দর,
আপনার গলায় রত্নের স্ট্রিং
11 আমরা আপনাকে সোনার কানের দুল তৈরি করব,
রূপা দিয়ে জড়িত।

সে
12 রাজা যখন তাঁর টেবিলে ছিলেন,
আমার সুগন্ধি তার সুগন্ধ ছড়িয়েছে
13 আমার প্রিয় আমার কাছে গন্ধযুক্ত এক থলি
আমার স্তনের মাঝে বিশ্রাম নিচ্ছি
14 আমার প্রিয় আমার কাছে মেহেদী ফুল ফোটে
Gন গেদীর দ্রাক্ষাক্ষেত্র থেকে।

তিনি
15 তুমি কত সুন্দর!
ওহ, কত সুন্দর!
তোমার চোখ কপোত।

সে
16 তুমি কত সুন্দর!
ওহ, কত মনোরম!
এবং আমাদের বিছানা বৃষ্টির হয়।

তিনি

17 আমাদের বাড়ির মরীচিগুলি देवदार;
আমাদের rafters firs হয়।

সে
3 বনের গাছের মধ্যে একটি আপেল গাছের মতো
যুবকদের মধ্যে আমার প্রিয়।
আমি তার ছায়ায় বসে আনন্দিত,
এবং তার ফল আমার স্বাদ মিষ্টি।
4 সে আমাকে বনভোজন ঘরে নিয়ে যাবে,
এবং আমার উপর তার ব্যানার প্রেম হতে দিন।
5 কিসমিস দিয়ে আমাকে শক্ত করুন,
আপেল দিয়ে আমাকে সতেজ করুন,
কারণ আমি ভালবাসায় অজ্ঞান।
6 তাঁর বাম হাতটি আমার মাথার নীচে,
এবং তাঁর ডান বাহু আমাকে জড়িয়ে ধরে।
7 জেরুশালেমের কন্যারা, আমি তোমাকে এই আদেশ দিই
গ্যাজেলেস এবং ক্ষেত্রের কাজ দ্বারা:
জাগ্রত বা জাগ্রত করবেন না
যতক্ষণ না এটি ইচ্ছা করে। ()

গান 1: 9 – 2: 7

প্রায় 3000 বয়সী এই কবিতার মধ্যে, বলিউডের সেরা প্রেমের চলচ্চিত্রগুলোর  রোমাঞ্চকর তীব্রতা রয়েছে I বাইবেল নথিভুক্ত করে যে তার অগাধ ধনের  সাহায্যে তিনি 700 উপপত্নী পেয়েছিলেন I সেটি বলিউড বা হলিউডের উর্বর  প্রেমিকদের চেয়ে অনেক বেশি কখনও হয়ে থাকবে I তাই আপনি ভাববেন যে সেই সমস্ত পেমের সাহায্যে তিনি পরিতৃপ্ত হবেন I কিন্তু সেই সমস্ত প্রেম, সমস্ত ঐশ্বর্য, সমস্ত খ্যাতি এবং সমস্ত প্রজ্ঞা থাকা স্বত্তেও – তিনি উপসংহারে বললেন:   

  গুলি হল, উপদেশকের কথা যিনি ছিলেন দায়ূদের পুত্র এবং জেরুশালেমের রাজা|
2 সবই এত অর্থহীন! তাই উপদেশকের মতে সবই অসার, সবই সময়ের অপচয!
3 মানুষ সূর্য়ের নীচে য়ে কঠিন পরিশ্রম করে সে কি তার কোন ফল পায়? না!
4 বংশপরম্পরা পর্য়ায়এমে আসে এবং যায়| কিন্তু পৃথিবী চিরন্তণ|
5 সূর্য় ওঠে আবার অস্ত যায়| তারপর দ্রুত ফিরে যায় সেই একই জায়গায় য়েখান থেকে আবার সূর্য় ওঠে|
6 বাতাস দক্ষিণে বয় এবং উত্তরেও বয়| বাতাস চারিদিক ঘুরে ঘুরে আবার তার নিজের জায়গায় ফিরে যায়|
7 সব নদী বার বার একই দিকে বয়ে চলে| সমস্ত নদীই সমুদ্রে গিয়ে মেশে কিন্তু সমুদ্র কখনও পূর্ণ হয় না|
8 সব কথাই ক্লান্তিকর| কিন্তু তবুও লোকে কথা বলে| আমরা সব সময়ই কথা শুনি কিন্তু তাতে আমরা সন্তুষ্ট হই না| আবার সব সময় আমরা য়ে সব জিনিস দেখি তাতেও আমাদের মন ভরে না|
9 সব জিনিসই সৃষ্টির সময় য়েমন ছিল সে রকমই থেকে যায়| যা আগে করা হয়েছে তাই আবার পরেও করা হবে| সূর্য়ের নীচে কোন কিছুই নতুন নয়|
10 এমন কোন কিছু নেই যাকে কোন ব্যক্তি নতুন বলতে পারে! য়ে জিনিসকে মানুষ নতুন বলবে তা আমাদের জন্মের আগে থেকেই বর্তমান|
11 যা অনেক আগে ঘটে গেছে সে ঘটনা লোকে মনে রাখে না| এখন যা ঘটছে ভবিষ্যতে তা লোকে ভুলে যাবে| পরবর্তী প্রজন্ম মনেও রাখবে না আগেকার লোক তাদের জন্য কি করে গেছে|
12 আমি উপদেশক, আমি ছিলাম জেরুশালেমের অন্তর্গত ইস্রায়েলের রাজা|
13 সূর্য়ের নীচে যা কিছু ঘটে তাকে আমি প্রজ্ঞা দ্বারা জানতে চেয়েছিলাম| আমি জানতে পেরেছিলাম য়ে ঈশ্বর লোকদের যা করতে দেন তা খুবই কঠিন ও কষ্টকর|
14 আমি দেখেছিলাম সূর্য়ের নীচে যা কিছু করা হয় তা সবই অসার, সময়ের অপচয় মাত্র| এ য়েন অনেকটা হাওয়ার পেছনে ছোটা|

উপদেশক 1:1-14

  11 কিন্তু আমি যখন আমার সমস্ত কাজের কথা, পরিশ্রমের কথা চিন্তা করলাম তখন দেখলাম সবই সময়ের অপচয! এসবই ছিল হাওযার পিছনে ছোটা| সূর্য়ের নীচে আমরা যা করি তাতে কোন লাভ নেই|
12 এক জন পুরাতন রাজা ইতিমধ্যেই যা করেছে, এক জন নতুন রাজা তার চেয়ে বেশী কিছু করতে পারে না| তাই আমি আমার বিজ্ঞতার, ভুলভ্রান্তির ও পাগলামির কথা আবার ভাবতে শুরু করলাম|
13 অন্ধকারের থেকে আলো য়েমন ভালো জ্ঞানও ঠিক তেমনি অজ্ঞানতার চেয়ে ভালো|
14 এক জন জ্ঞানী মানুষ তার পথ দেখবার জন্য তার চোখ ব্যবহার করে| কিন্তু য়ে মূর্খ সে শুধুই অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়|কিন্তু আমি লক্ষ্য করলাম য়ে এক জন জ্ঞানী ও মূর্খ উভয়ের পরিসমাপ্তি একই| অবশেষে তারা উভয়েই মারা যায়|
15 আমি নিজে ভেবেছিলাম, “এক জন মূর্খের য়ে পরিণতি হয় আমারও তাই হবে| তবে আমি কেন জ্ঞান লাভের জন্য এত কঠিন পরিশ্রম করব?” আমি নিজেকে বললাম, “জ্ঞানী হওয়াও অর্থহীন|”
16 জ্ঞানী ও মূর্খ উভয়েরই পরিণতি মৃত্যু এবং মানুষ জ্ঞানী বা মূর্খ কাউকেই চিরকাল মনে রাখবে না| তারা যা কিছু করেছিল ভবিষ্যতে তা মানুষ ভুলে যাবে| তাই জ্ঞানী ও মূর্খ প্রকৃত অর্থে একই|
17 এতে আমার জীবনের প্রতি ঘৃণা এসে গেল| আমার মনে হল য়ে পৃথিবীতে আমার কাছে যা কিছু আছে তা সবই অর্থহীন| সবই হাওযাকে ধরবার চেষ্টা করবার মত|
18 সূর্য়ের নীচে আমার সমস্ত কঠিন পরিশ্রমের কাজে আমার ঘৃণা জন্মেছিল| যার জন্য আমি কঠিন পরিশ্রম করে গিয়েছি তা আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যাব| আমার কঠিন পরিশ্রমের ফল আমি আমার সঙ্গে রাখতে পারব না|
19 আমি যা কিছু শিখেছি এবং যা কিছু কাজ করেছি তা অন্য কোন লোক নিয়ন্ত্রণ করবে| এমনকি আমি এটাও জানতে পারব না য়ে সে জ্ঞানী হবে কি মূর্খ| এটাও অসার|
20 আমি সূর্য়ের নীচে যা কিছু কাজ করেছি তার জন্য আমি দুঃখিত|
21 এক জন ব্যক্তি তার সমস্ত প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও পারদর্শীতা দিয়ে কঠিন পরিশ্রম করতে পারে| কিন্তু তার পরিশ্রমের ফল তার মৃত্যুর পর অন্য লোক ভোগ করবে| সেই লোকরা বিনা আয়াসে সব কিছু পেয়ে যাবে| এটাও অসার এবং এ একটা ভীষণ পাপ|
22 এক জন ব্যক্তি সূর্য়ের নীচে তার জীবনভর সংগ্রামের পর কতটুকু পায়?
23 সে সারা জীবন পায় শুধু যন্ত্রণা, হতাশা আর কঠিন পরিশ্রম| এমনকি রাতেও সে বিশ্রাম পায় না| এটাও অসার|

উপদেশক 2:11-23

চূড়ান্তভাবে তৃপ্তি দেওয়ার জন্য আনন্দ, সম্পদ, কাজ, প্রকল্প, রোমাঞ্চকর প্রেমের প্রতিশ্রুতিকে তার দ্বারা একটি মায়া রূপে দেখানো হয়েছিল I তবে আজ এটি একই বার্তা যা আপনি এবং আমি এখনও পরিতৃপ্তির নিশ্চিত পথ রূপে   শুনছি I শলোমনের কবিতা আমাদের আগেই বলেছে যে সেই উপায়গুলোতে তিনি পরিতৃপ্তিকে পেতে সক্ষম হন নি I   :

শলোমন মৃত্যু তথা জীবনের উপরে অনুধাবন করতে তার কবিতা চালিয়ে গেলেন:

  19 মানুষ কি পশুদের চেয়ে শ্রেয়? না! কেন? কারণ সব কিছুই অর্থহীন| পশু এবং মানুষদের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটে- উভয়েরই মৃত্যু আসে| মানুষ এবং পশুরা একই “নিঃশ্বাস” নেয়| একটি মৃত মানুষ ও মৃত পশুর মধ্যে কি কোনও পার্থক্য আছে?
20 মানুষ এবং পশুদের দেহ একই ভাবে বিলীন হয়| তারা মাটি থেকেই আসে এবং মাটিতেই ফিরে যায়|
21 কে জানে মানুষের আত্মার কি হয়? কে বলতে পারে পশুর কোন আত্মা যখন মাটির নীচে প্রবেশ করছে তখন হয়তো কোন মানুষের আত্মা ঈশ্বরের কাছে যাচ্ছে?

উপদেশক 3:19-21

  2 কিন্তু সবার ক্ষেত্রে একই জিনিস ঘটে| ভাল ও মন্দ উভয় ধরণের লোকরাই মারা যান| শুচি ও অশুচি দুধরণের লোকের কাছেই মৃত্যু আসে| যারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দেয় না তাদের মতো যারা ঈশ্বরকে নৈবেদ্য দেয় তারাও মারা যায়| এক জন ভাল লোকও এক জন পাপীর মত মারা যায়| য়ে ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছে বিশেষ প্রতিশ্রুতি দেয় সেও সেই ব্যক্তির মতো মারা যায়, য়ে ঈশ্বরের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে ভয় পায়|
3 সূর্য়ের নীচে যা কিছু খারাপ ঘটনা ঘটে প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই পরিণতি হয়| এটাও খুবই খারাপ য়ে লোকেরা সবসময় মন্দ ও মূর্খের মতো চিন্তা করবে এবং সেই চিন্তা তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে|
4 য়ে এখনও বেঁচে আছে সে য়েই হোক না কেন তার জন্য আশা আছে| এই প্রবাদটি সত্যি য়ে:জীবিত কুকুর মৃত সিংহের চেয়ে শ্রেয়|
5 জীবিত মানুষ জানে য়ে সে মারা যাবে| কিন্তু মৃত মানুষ কিছু জানে না| মৃত মানুষের আর কোন কিছু পাওয়ার নেই| মানুষ খুব তাড়াতাড়ি তাকে ভুলে যাবে|

উপদেশক 9:2-5

একটি পবিত্র বই বাইবেলেতে, কেন ধন এবং প্রেমের অনুধাবন সম্পর্কে কবিতা থাকবে – যে বিশেষ জিনিসগুলোকে আমরা পবিত্রতার সঙ্গে যুক্ত করি না? আমাদের মধ্যে অধিকাংশ আশা করে পবিত্র বইগুলো বেঁচে থাকার জন্য তপস্যা, ধর্ম এবং নৈতিক উপদেশগুলো নিয়ে আলোচনা করবে i আর কেন শলোমন বাইবেলে মৃত্যু সম্পর্কে এমন চূড়ান্ত এবং নিরাশাবাদী উপায় লেখেন?   

যে পথ শলোমন গ্রহণ করেছিলেন, এত সাধারণভাবে জগত জুড়ে অনুসৃত হয়েছিল, তা নিজের জন্য বেঁচে থাকতে ছিল, যাই মানে সৃষ্টি করুক না কেন, আনন্দ বা আদর্শগুলোকে অনুসরণ করতে তিনি বেছে নিয়েছিলেন I কিন্তু শলোমনের জন্য সেই পরিসমাপ্তি ভাল ছিল না – পরিতৃপ্তি ছিল অস্থায়ী এবং মায়া i বাইবেলের মধ্যে তার কবিতাগুলো একটি বড় সাবধানের চিহ্ন ছিল – “এখানে যেও না – এটি তোমাকে নিরাশ করবে!” যেহেতু আমাদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ শলোমনের দ্বারা গৃহীত সেই একই পথ ধরে এগোতে চেষ্টা করব আমরা জ্ঞানী হব যদি আমরা তার কথা শুনি i    

সুসমাচার – শলোমনের কবিতার উত্তর

যীশু খ্রীষ্ট (যেশু সতসংগ) সম্ভবত সর্বাধিক সু-পরিচিত ব্যক্তি যার সমন্ধে বাইবেলে লেখা হয়েছে I তিনিও জীবন সম্বন্ধে বক্তব্য রেখেছেন I আসলে তিনি বললেন

 “… আমি এসেছি যাতে তারা জীবন পায় এবং উপচয় পায়”

যোহন 10:10

  28 ‘তোমরা যাঁরা শ্রান্ত-ক্লান্ত ও ভারাক্রান্ত মানুষ, তারা আমার কাছে এস, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব৷
29 আমার জোয়াল তোমাদের কাঁধে তুলে নাও, আর আমার কাছ থেকে শেখ, কারণ আমি বিনযী ও নম্র, তাতে তোমাদের প্রাণ বিশ্রাম পাবে৷
30 কারণ আমার দেওয়া জোয়াল বয়ে নেওয়া সহজ ও আমার দেওয়া ভার হাল্কা৷’

মথি 11:28-30

যীশু যখন এটি বলেন তখন তিনি শলোমনের দ্বারা তার কবিতার মধ্যে লিখিত নিষ্ফলতা ও আশাহীনতার উত্তর দেন I হতে পারে, কেবলমাত্র হতে পারে, শলোমনের পথের কানা-গলির প্রতি এখানে একটি উত্তর I সর্বোপরি, গসপেলের আক্ষরিক অর্থ ‘সুসমাচার’ I গসপেল সত্যিই কি সুসমাচার? এর উত্তর দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে সুসমাচারের একটি অবগত উপলব্ধির প্রয়োজন i এছাড়াও সুসমাচারের দাবিগুলোকে আমাদের পরীক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে – কেবলমাত্র একজন নির্বোধ সমালোচক না হয়ে, সুসমাচার সম্বন্ধে গম্ভীরভাবে চিন্তা করতে হবে I    

আমার কাহিনীর মধ্যে আমার শেয়ার করার সময় এটি ছিল আমার এক   যাত্রা I এই ওয়েবসাইটের মধ্যে এখানে নিবন্ধগুলো রয়েছে যাতে আপনিও অন্বেষণ করতে পারেন I যীশুর অবতার শুরু করার জন্য একটি উত্তম স্থান I  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *