Skip to content

যীশু কর সেবক হিসাবে সেবা করেন – অযোধ্যার থেকে দীর্ঘ স্থায়ী একটি জ্বলন্ত কলহ

  • by

অযোধ্যার দীর্ঘ এবং তিক্ত কলহ এক নতুন মাত্রায় পৌঁছায় যখন এটি খুব দুরত্বে নিউইয়র্ক শহরে একট গোলমাল সৃষ্টি করেছিল যার সম্বন্ধে আসআম নিউজ রিপোর্ট করেছিল I একই স্থানের বাবরি মসজিদটির বিরুদ্ধে নির্মিত  পরম্পরাগতভাবে রামের জন্ম স্থান (রাম জনমভূমি) বলে বিবেচিত স্থানের উপরে নিয়ন্ত্রণ কে ঘিরে অযোধ্যার বিরোধ কয়েক শত বছরের পুরনো রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, এবং সামাজিক-ধর্মীয় কোন্দল I

বাবরি মসজিদের স্তম্ভলিপি অনুসারে, প্রথম মুঘল সম্রাট, বাবর, 1528-29 সালে  নির্মাণ করেছিলেন I তবে কয়েক শতাব্দী ধরে বিতর্কের ছায়া বাবরি মসজিদের উপরে পড়েছিল কারণ অনেকে বিশ্বাস করত যে বাবর এটিকে রামের জন্ম স্থানের স্মরণে নির্মিত একটি আগেকার মন্দিরের ধ্বংসের উপরে নির্মাণ করেছিল I কয়েক শতাব্দী ধরে কোন্দলটি উত্তেজনায় ফুটছিল, প্রায়শই সহিংস দাঙ্গা এবং গুলি চলতে থাকে I  

অযোধ্যাতে কর সেবক 

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভি এইচ পি) এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বি জে পি) দ্বারা আয়োজিত 1992 এর একটি সমাবেশ দেড় লক্ষ কর সেবক বা ধর্মীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সংগ্রহ করেছিল I এই কর সেবকরা মার্চের মধ্যে বাবরি মসজিদকে ধ্বংস করেছিল I মসজিদের ধ্বংসের কারণে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল I বোম্বেতে আনুমানিক 2000 কে হত্যা করা হয়েছিল I   

তখন থেকে 2019 পর্যন্ত কোন্দল আদালতের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হ’ল, জাতির রাজনীতির মধ্যে ঘুরপাক খেল, এবং রাস্তায় রাস্তায় দাঙ্গা হ’ল I মন্দির নির্মাণ শুরু করার জন্য কর সেবকদের প্রস্তুত উপস্থিতি ভি এইচ পি –এর দিকে গতিবেগের শিরোনাম দিয়েছিল I   

অবশেষে 2019 এর মধ্যে, সুপ্রীম কোর্ট চূড়ান্ত আবেদনের মামলায় তাদের রায় ঘোষণা করল I এটি রায় দিল যে করের নথি অনুযায়ী ওই জমি সরকারের অধীনে ছিল I এটি আরও আদেশ দিল যে একটি ট্রাস্ট হিন্দু মন্দির নির্মাণ করতে জমি পাবে I সরকারকে আর একর্টি জমির এলাকাকে সুন্নি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডকে তাদের মসজিদের জন্য বরাদ্দ করতে ছিল I  

2020 সালের 5 ফেব্রুয়ারীতে, ভারত সরকার ঘোষণা করল যে শ্রী রাম জনমভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট অযোধ্যাতে রাম মন্দির নির্মাণ করবে I 2020 সালের 5 আগস্ট জমি-পূজন অনুষ্ঠান ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারা উদ্বোধন করা হয়েছিল I এই মন্দির নির্মাণের শুরুতে উত্তেজনা বাড়ল যা নিউ ইয়র্ক শহরে অনুভূত হল I  

কর সেবক মূলত একটি শিখ পরিভাষা ছিল কারোর জন্য যে স্বাধীন ভাবে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় তার সেবাদান করে I পরিভাষাটি সংস্কৃত থেকে নেওয়া কর (হাত) এবং সেবক (দাস) I অযোধ্যা কোন্দলে, শিখ পরম্পরা থেকে ধার করে ভি এইচ পি – এর দ্বারা কর সেবকদের সংগঠিত করা হয়েছিল I                        

যীশু (ভিন্ন) কর সেবক হিসাবে

তবে এই অযোধ্যা কোন্দলের বহু পূর্বে, যীশুও শত্রুদের সাথে একটি বিরোধ ঘোষণা করে কর সেবকের ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন, যেটি আবারও মানব জীবনের অনেক ক্ষেত্রকেই পুনরায় দখল করেছে, মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে যা আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে I এই কোন্দলটি আবারও একটি শুভ মন্দিরে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল I তবে এটি একটি নিকটস্থ গ্রামে শুরু হয়েছিল যখন যীশু, একজন কর সেবক হয়ে, স্বেচ্ছাকৃতভাবে বন্ধুদের বড় প্রয়োজনে সাহায্য করেছিলেন I এই ধরণের কার্যটি অযোধ্যার কলহের চেয়ে ইতিহাসের পরিবর্তন এবং আমাদের জীবনকে আরও গভীরভাবে প্রভাবিত করে, ঘটনাগুলির একটি শৃঙ্খলকে স্ফুলিঙ্গ করে তোলে I যীশুর কর সেবকের কার্যাবলী তাঁর কেন্দ্রীয় মিশনকে প্রকাশিত করেছিল I     

কি ছিল যীশুর মিশন?

যীশু শিক্ষা দিয়েছিলেন, সুস্থ করেছিলেন, এবং অনেক অলৌকিক কার্য সমূহ সম্পন্ন করেছিলেন I তবে প্রশ্নটি এখনও শিষ্য, অনুগামী এবং এমনকি তাঁর সেবাকারীদের মনে থেকে যায়: কেন তিনি এসেছিলেন? মশি সহ পূর্ববর্তী ঋষিদের মধ্যে অনেকে আবারও শক্তিশালী অলৌকিক কার্য সম্পাদিত করেছিল I যেহেতু মশি ইতিমধ্যেই ধর্মের ব্যবস্থা দিয়েছিলেন, এবং “যীশু ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করতে আসেন নি”, তাহলে তাঁর মিশন কি ছিল? 

যীশুর বন্ধু অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ল I তাঁর শিষ্যরা আশা করেছিল যে যীশু তাঁর বন্ধুকে সুস্থ করবেন, যেভাবে তিনি অন্য অনেকদের সুস্থ করেছেন I সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে কিভাবে তিনি তাঁর বন্ধুকে শুধুমাত্র সুস্থতা করার চেয়ে স্বেচ্ছাকৃতভাবে আরও অনেক গভীর ভাবে সাহায্য করলেন I এটি প্রকাশিত করল তিনি কি করতে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন, তাঁর কর সেবক হিসাবে মিশনকে I এখানে বিবরণটি রয়েছে I     

মৃত্যুর মুখোমুখি যীশু

সার নামে একটি লোক অসুস্থ ছিলেন; তিনি বৈথনিযা গ্রামে থাকতেন৷ সেই গ্রামেই মরিয়ম ও তাঁর বোন মার্থাও থাকতেন৷
2 এই মরিয়মই বহুমূল্য সুগন্ধি আতর যীশুর উপরে ঢেলে নিজের চুল দিয়ে তাঁর পা মুছিয়ে দিয়েছিলেন৷ লাসার ছিলেন এই মরিয়মেরই ভাই৷
3 তাই লাসারের বোনেরা একটি লোক পাঠিয়ে যীশুকে বলে পাঠালেন, ‘প্রভু, আপনার প্রিয় বন্ধু লাসার অসুস্থ৷’
4 যীশু একথা শুনে বললেন, ‘এই রোগে তার মৃত্যু হবে না; কিন্তু তা ঈশ্বরের মহিমার জন্যই হয়েছে, য়েন ঈশ্বরের পুত্র মহিমান্বিত হন৷’
5 যীশু মার্থা, তার বোনও লাসারকে ভালবাসতেন৷
6 তাই তিনি যখন শুনলেন য়ে লাসার অসুস্থ, তখন য়েখানে ছিলেন সেই জায়গায় আরো দুদিন রয়ে গেলেন৷
7 এরপর তিনি শিষ্যদের বললেন, ‘চল, আমরা আবার যিহূদিযাতে যাই৷’
8 তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, ‘গুরু, সম্প্রতি সেখানকার লোকেরা আপনাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতে চাইছিল৷ তবে কেন আপনি আবার সেখানে য়েতে চাইছেন?’
9 এর উত্তরে যীশু বললেন, ‘দিনে বারো ঘন্টা আলো থাকে৷ কেউ যদি দিনের আলোতে চলে তবে সে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় না, কারণ সে জগতের আলো দেখতে পায়৷
10 কিন্তু কেউ যদি রাতের আঁধারে চলে তবে সে হোঁচট খায়, কারণ তার সামনে কোন আলো নেই৷’
11 তিনি একথা বলার পর তাদের আবার বললেন, ‘আমাদের বন্ধু লাসার ঘুমিয়ে পড়েছে; কিন্তু আমি তাকে জাগাতে যাচ্ছি৷
12 তখন তাঁর শিষ্যরা তাঁকে বললেন, ‘প্রভু, সে যদি ঘুমিয়ে থাকে তবে সে ভাল হয়ে যাবে৷’
13 যীশু লাসারের মৃত্যুর বিষয়ে বলছিলেন, কিন্তু তাঁরা মনে করলেন তিনি তাঁর স্বাভাবিক ঘুমের কথা বলছেন৷
14 তাই যীশু তখন তাদের স্পষ্ট করে বললেন, ‘লাসার মারা গেছে৷
15 আর তোমাদের কথা ভেবে আমি আনন্দিত য়ে আমি সেখানে ছিলাম না, কারণ এখন তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে৷ চল, এখন আমরা তার কাছে যাই৷’
16 তখন থোমা (যাঁকে দিদুমঃ বলে) অন্য শিষ্যদের উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘চল, আমরাও যাবো, আমরাও যীশুর সঙ্গে মরব৷’
17 যীশু বৈথনিযাতে এসে জানতে পারলেন য়ে গত চারদিন ধরে লাসার কবরে আছেন৷
18 বৈথনিযা থেকে জেরুশালেমের দূরত্ব ছিল প্রায় দুই মাইল৷
19 তাই ইহুদীদের অনেকেই মার্থা ও মরিয়মকে তাঁদের ভাইয়ের মৃত্যুর পর সান্ত্বনা দিতে এসেছিল৷
20 মার্থা যখন শুনলেন য়ে যীশু এসেছেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, কিন্তু মরিয়ম ঘরেই থাকলেন৷
21 মার্থা যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন তাহলে আমার ভাই মরত না৷
22 কিন্তু এখনও আমি জানি য়ে, আপনি ঈশ্বরের কাছে যা কিছু চাইবেন, ঈশ্বর আপনাকে তাই দেবেন৷’
23 যীশু তাঁকে বললেন, ‘তোমার ভাই আবার উঠবে৷’
24 মার্থা তাঁকে বললেন, ‘আমি জানি শেষ দিনে পুনরুত্থানের সময় সে আবার উঠবে৷’
25 যীশু মার্থাকে বললেন, ‘আমিই পুনরুত্থান, আমিই জীবন৷ য়ে কেউ আমাকে বিশ্বাস করে, সে মরবার পর জীবন ফিরে পাবে৷
26 য়ে কেউ জীবিত আছে ও আমায় বিশ্বাস করে, সে কখনও মরবে না৷ তুমি কি একথা বিশ্বাস কর?’
27 মার্থা তাঁকে বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রভু! আমি বিশ্বাস করি য়ে জগতে যাঁর আসার কথা আছে আপনিই সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র৷’
28 এই কথা বলার পর মার্থা সেখান থেকে চলে গেলেন ও তার বোন মরিয়মকে একান্তে ডেকে বললেন, ‘গুরু এসেছেন, আর তিনি তোমায় ডাকছেন৷’
29 মরিয়ম একথা শুনে তাড়াতাড়ি করে যীশুর কাছে গেলেন৷
30 যীশু তখনও গ্রামের মধ্যে ঢোকেন নি৷ মার্থা য়েখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি সেখানেই ছিলেন৷
31 য়ে ইহুদীরা মরিয়মের সঙ্গে বাড়িতে ছিল ও তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল, তারা যখন দেখল য়ে মরিয়ম তাড়াতাড়ি করে উঠে বাইরে যাচ্ছেন, তখন তারাও তার পিছনে পিছনে চলল, তারা মনে করল য়ে তিনি হয়তো লাসারের কবরের কাছে যাচ্ছেন ও সেখানে গিয়ে কাঁদবেন৷
32 যীশু য়েখানে ছিলেন, মরিয়ম সেখানে এসে তাঁকে দেখে তাঁর পায়ের ওপর পড়ে বললেন, ‘প্রভু, আপনি যদি এখানে থাকতেন, আমার ভাই মরত না৷’
33 যীশু যখন দেখলেন য়ে মরিয়ম কাঁদছেন আর তার সঙ্গে য়ে সব ইহুদীরা এসেছিল তারাও কাঁদছে, তখন তিনি দুঃখিত হয়ে উঠলেন এবং অন্তরে গভীরভাবে বিচলিত হলেন৷
34 তখন তিনি বললেন, ‘তোমরা তাকে কোথায় রেখেছ?’ তারা বললেন, ‘প্রভু, আসুন, এসে দেখুন৷’
35 যীশু কেঁদে ফেললেন৷
36 তখন সেই ইহুদীরা সকলে বলতে লাগল, ‘দেখ! উনি লাসারকে কত ভালোবাসতেন৷’
37 কিন্তু তাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ বলল, ‘যীশু তো অন্ধকে দৃষ্টিশক্তি দিয়েছেন; কেন তিনি লাসারকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন না?’
38 এরপর যীশু আবার অন্তরে বিচলিত হয়ে উঠলেন৷ লাসারকে য়েখানে রাখা হয়েছিল, যীশু সেই কবরের কাছে গেলেন৷ কবরটি ছিল একটা গুহা, যার প্রবেশ পথ একটা পাথর দিয়ে ঢাকা ছিল৷
39 যীশু বললেন, ‘ঐ পাথরটা সরিয়ে ফেল৷’সেই মৃত ব্যক্তির বোন মার্থা বললেন, ‘প্রভু চারদিন আগে লাসারের মৃত্যু হয়েছে৷ এখন পাথর সরালে এর মধ্য থেকে দুর্গন্ধ বের হবে৷’
40 যীশু তাঁকে বললেন, ‘আমি কি তোমায় বলিনি, যদি বিশ্বাস কর তবে ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পাবে?’
41 এরপর তারা সেই পাথরখানা সরিয়ে দিল, আর যীশু উর্দ্ধ দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘পিতা, আমি তোমায় ধন্যবাদ দিই, কারণ তুমি আমার কথা শুনেছ৷
42 আমি জানি তুমি সব সময়ই আমার কথা শুনে থাক৷ কিন্তু আমার চারপাশে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছে তাদের জন্য আমি একথা বলছি, য়েন তারা বিশ্বাস করে য়ে তুমি আমায় পাঠিয়েছ৷’
43 এই কথা বলার পর যীশু জোর গলায় ডাকলেন, ‘লাসার বেরিয়ে এস!’
44 মৃত লাসার সেই কবর থেকে বাইরে এল৷ তার হাতপা টুকরো কাপড় দিয়ে তখনও বাঁধা ছিল আর তার মুখের ওপর একখানা কাপড় জড়ানো ছিল৷যীশু তখন তাদের বললেন, ‘বাঁধন খুলে দাও এবং ওকে য়েতে দাও৷’

যোহন 11:1-44

যীশুর স্বেচ্ছাকৃত সেবা …

ভগ্নীরা আশা করেছিল যে যীশু তাদের ভাইকে সুস্থ করতে দ্রুত আসবেন I যীশু উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে তার পৌঁছোতে দেরী করলেন, লাসারকে মারা যেতে অনুমতি দিলেন, এবং কেউ বুঝলো না কেন I বিবরণটি দুবার বলে যে যীশু ‘গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছিলেন’ এবং তাই তিনি রোদন করলেন I    

কি তাকে মর্মাহত করল?

যীশু মৃত্যুর নিজের প্রতি ক্রোধিত ছিলেন, বিশেষভাবে যেহেতু তিনি তাঁর  বন্ধুর উপরে তার কর্ত্তৃত্ব দেখলেন I 

এই উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর আগমনটি সুনির্দিষ্টভাবে বিলম্ব করেছিলেন – যাতে তিনি মৃত্যুর নিজের সাথে মুখোমুখি হতে পারেন I যীশু চার দিন অপেক্ষা করলেন যাতে প্রত্যেকে – আমরা যারা এটি পড়ছি তারা সহ – নিশ্চিত ভাবে জানব যে লাসার মৃত ছিল, শুধুমাত্র গুরুতরভাবে অসুস্থ ছিল না I   

… আমাদের মহত্তম প্রয়োজন

অসুস্থ লোকেদের সুস্থ করা ভাল অর্থাৎ যেমন, তাদের মৃত্যুকে স্থগিত করে I সুস্থ হোক বা না হোক, ভাল বা মন্দ, স্ত্রী বা পুরুষ, বৃদ্ধ বা যুবক, ধার্মিক বা নয় মৃত্যু লোকেদের অবশেষে হরণ করবে I আদমের সময় থেকে এটি সত্য হয়ে এসেছে, যে তার অবাধ্যতার কারণে মরণশীল হয়ে উঠেছিল I তার সমস্ত বংশধরগণ, আমি আপনি সহ, এক শত্রুর দ্বারা বন্দী হয়ে আছি – মৃত্যু I আর অনুভব করি যে মৃত্যুর বিরুদ্ধে কোনো উত্তর, কোনো আশা নেই I যখন কেবল অসুস্থতা থাকে আশা টিকে থাকে, সেই জন্যই লাসারের বোনেদের কাছে সুস্থতার মধ্যে আশা ছিল I কিন্তু মৃত্যুর সাথে তাদের কোনো আশা ছিল না I এটি আমাদের ক্ষেত্রেও সত্য I হাঁসপাতালে কোনো আশা থাকলেও অন্তিম সংস্কারে কোনো আশা নেই I মৃত্যু আমাদের চূড়ান্ত শত্রু I এটি এমন শত্রু যাকে যীশু আমাদের জন্য স্বেচ্ছাকৃতভাবে পরাস্ত করেছিলেন আর এই জন্যই তিনি বোনেদের কাছে ঘোষণা করলেন:   

“আমিই পুনরুত্থান এবং জীবন I”

যোহন 11:25

যীশু মৃত্যর ক্ষমতাকে ভাঙ্গতে এসেছিলেন এবং সকলকে জীবন দিতে যারা এটিকে চেয়েছিল I এই মিশনের জন্য তিনি লাসারকে মৃত্যু থেকে উঠিয়ে প্রকাশ্যে তাঁর কর্ত্তৃত্ব দেখিয়েছিলেন I তিনি অন্য সকলের জন্য সেই একই প্রস্তাব দেন যারা মৃত্যুর পরিবর্তে জীবন চাইবে I    

প্রতিক্রিয়া সমূহ একটি কলহ শুরু করে

যদিও মৃত্যু সকল লোকেদের চূড়ান্ত শত্রু, আমাদের মধ্যে অনেকে ক্ষুদ্রতর  ‘শত্রুদের’ সঙ্গে জড়িয়ে পরে, যার ফলে বিরোধগুলো (রাজনৈতিক, ধর্মীয়, জাতিগত ইত্যাদি) সর্বদা আমাদের চতুর্দিকে চলতে থাকে I অযোধ্যা কোন্দলের মধ্যে এটিকে আমরা দেখি I যাই হোক সকল লোকেরা এটি বা অন্য বিরোধগুলোর মধ্যে’ তারা তাদের ‘পক্ষে’ সঠিক হোক বা না হোক তাতে কিছু এসে যায় না, তারা মৃত্যুর বিরুদ্ধে শক্তিহীন I সতী এবং শিবের সাথে আমরা এটিকে দেখেছি

যীশুর সময়েও এটি সত্য ছিল I এই অলৌকিক কার্যের প্রতি প্রতিক্রিয়াগুলো থেকে আমরা দেখতে পারি তখনকার বসবাসকারী বিভিন্ন লোকেদের মধ্যে কি চিন্তা ছিল I সুসমাচার বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াগুলো লিপিবদ্ধ করেছিল৷  

45 তখন মরিয়মের কাছে যাঁরা এসেছিল, সেই সব ইহুদীদের মধ্যে অনেকে যীশু যা করলেন তা দেখে যীশুর ওপর বিশ্বাস করল৷
46 কিন্তু তাদের মধ্যে কয়েকজন ফরীশীদের কাছে গিয়ে যীশু যা করেছিলেন তা তাদের জানালো৷
47 এরপর প্রধান যাজক ও ফরীশীরা পরিষদের এক মহাসভা ডেকে সেখানে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করল, ‘আমরা এখন কি করব? এই লোকটা তো অনেক অলৌকিক চিহ্নকার্য় করছে৷
48 আমরা যদি ওকে এই ভাবেই চলতে দিই তাহলে তো সকলেই এর ওপর বিশ্বাস করবে৷ তখন রোমীয়েরা এসে আমাদের এই মন্দির ও আমাদের জাতিকে ধ্বংস করবে৷’
49 কিন্তু তাদের মধ্যে একজন, য়াঁর নাম কাযাফা, যিনি সেই বছরের জন্য মহাযাজকের পদ পেয়েছিলেন, তাদের বললেন, ‘তোমরা কিছুই জানো না৷
50 আর তোমরা এও বোঝ না য়ে গোটা জাতি ধ্বংস হওযার পরিবর্তে সেই মানুষের মৃত্যু হওযা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে৷’
51 একথা কাযাফা য়ে নিজের থেকে বললেন তা নয়, কিন্তু সেই বছরের জন্য মহাযাজক হওযাতে তিনি এই ভাববাণী করলেন, য়ে সমগ্র জাতির জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন৷
52 যীশু য়ে কেবল ইহুদী জাতির জন্য মৃত্যুবরণ করবেন তা নয়, সারা জগতে য়ে সমস্ত ঈশ্বরের সন্তানরা চারদিকে ছড়িয়ে আছে, তাদের সকলকে একত্রিত করার জন্য যীশু মৃত্যুবরণ করবেন৷
53 তাই সেই দিন থেকে তারা যীশুকে হত্যা করার জন্য চক্রান্ত করতে লাগল৷
54 যীশু তখন প্রকাশ্যে ইহুদীদের মধ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দিলেন৷ তিনি সেখান থেকে মরুপ্রান্তরের কাছে ইফ্রযিম নামে এক শহরে চলে গেলেন এবং সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে থাকলেন৷
55 ইহুদীদের নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসছিল, আর অনেক লোক নিজেদের শুচি করবার জন্য নিস্তারপর্বের আগেই দেশ থেকে জেরুশালেমে গেল৷
56 তারা সেখানে যীশুর খোঁজ করতে লাগল৷ তারা মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে পরস্পর বলাবলি করতে লাগল,. ‘তোমরা কি মনে কর? তিনি কি এই পর্বে আসবেন?’
57 প্রধান যাজকরা ও ফরীশীরা এই আদেশ দিল য়ে, যীশু কোথায় আছেন তা যদি কেউ জানে তবে তাদের য়েন জানানো হয় যাতে তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে

পারে৷যোহন 11:45-57

নেতারা যিহূদিদের অবস্থা সম্পর্কে অধিক উদ্বিগ্ন ছিল I একটি সমৃদ্ধ মন্দির সমাজের মধ্যে তাদের খ্যাতি সুনিশ্চিত করেছিল I তারা মৃত্যুর হাতছানির  থেকে বেশি চিন্তিত ছিল I   

সুতরাং উত্তেজনা বেড়ে উঠল I যীশু ঘোষণা করলেন যে তিনি ‘জীবন’ এবং ‘পুনরুত্থান’ এবং স্বয়ং মৃত্যুকে পরাস্ত করবেন I লোকেদের মধ্যে অনেকে তাঁকে বিশ্বাস করল, তবে অন্য অনেকে কি বিশ্বাস করতে হবে তা জানল না I       

নিজেকে এটি জিজ্ঞাসা করুন ….

আপনি যদি লাসারের উত্থাপন দেখতেন আপনি কি পচ্ছন্দ করতেন? আপনি কি ফারিসীদের মতন পছন্দ করতেন, কিছু বিরোধের উপরে মনোনিবেশ করতেন যাকে ইতিহাস শীঘ্র ভুলে যাবে, এবং মৃত্যুর থেকে জীবনের প্রস্তাবকে    হারাতেন? বা আপনি কি তাঁকে ‘বিশ্বাস’ করবেন, পুনরুত্থানের তাঁর প্রস্তাবকে, এমনকি আপনি যদি আদৌ এটিকে না বুঝে থাকেন? বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সমূহ যাকে সুসমাচার অতীতে তখন লিপিবদ্ধ করে তাঁর প্রস্তাবের প্রতি সেই প্রতিক্রিয়াগুলো আজকের দিনেও আমরা করি I এটি আমাদের জন্য সেই মূল বিতর্ক যেমন এটি অতীতে তখন ছিল I    

নিস্তারপর্ব এগিয়ে আসার সাথে সাথে সেই বিতর্কগুলো বাড়তে থাকল – যে উৎসবটি 1500 বছর পূর্বে মৃত্যুকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চিহ্ন রূপে শুরু হয় I সুসমাচার দেখায়  কিভাবে যীশু মৃত্যুর বিরুদ্ধে তাঁর কর সেবার মিশন সম্পন্ন করতে মৃতের পবিত্র নগরে প্রবেশের সাথে সাথে, বারাণসীর মতন একটি শহর, এখন খর্জুর রবিবার বলে পরিচিত এমন এক দিনে যাত্রা শুরু করেছিলেন I    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *