Skip to content

দিন 2: যীশুর মন্দির বন্ধ করা … মারাত্মক প্রদর্শনের দিকে নিয়ে যায়

  • by

যীশু এক রাজপদের দাবিদার রূপে এবং সমস্ত জাতির জন্য এক জ্যোতি রূপে যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন I এটি ইতিহাসের সর্বাধিক কোলাহলপূর্ণ সপ্তাহগুলোর মধ্যে একটিকে আরম্ভ করেছিল, যা আজও অনুভূত হয় I তবে এর পরে তিনি মন্দিরে যা করলেন তা নেতাদের সাথে তার ফুটন্ত সংঘাতের বিস্ফোট ঘটাল I ওই মন্দিরে কি ঘটেছিল তা বুঝতে আমাদের এটিকে আজকে দিনের সর্বাধিক ধনী এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় মন্দিরগুলোর সাথে তুলনা করা উচিতI   

ভারতের ধনী এবং বিখ্যাত মন্দিরগুলো

বৃহদীশ্বর মন্দির

(রাজারাজেশ্বরম বা পেরুবুদইয়ার কোবিল) তামিলরাজ রাজা চোল ১ এর দ্বারা এক রাজকীয় মন্দির রূপে নির্মিত হয়েছিল (১০০৩ –১০১০ খ্রীষ্টাব্দে) I এর নির্মাণের পেছনে রাজা এবং রাজত্বের ক্ষমতা এবং সম্পদের সাহায্যে রাজকীয় মন্দিরটি বিশাল হয়েছিল যাকে প্রচুর পরিমাণে খন্ডিত গ্রানাইট পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল I বৃহদীশ্বর মন্দির যখন সম্পূর্ণ হ’ল তখন এটি ভারতের বৃহত্তম মন্দিরে পরিণত হয়েছিল এবং আজকের দিনে এটিকে “মহান জীবন্ত চোল মন্দির সমূহের” সর্বোত্তম উদাহরণ রূপে বিবেচনা করা হয় I

কৈলাশ পর্বতে শিবের নিয়মিত গৃহের পরিপূরক রূপে শিবের দক্ষিণের গৃহ হিসাবে নির্মিত হয়েছিল, এছাড়াও এটি নিয়োগকর্তা, বাড়িওয়ালা, এবং টাকা ধার দেবার   একজন ঋণদাতা হিসাবে কার্য করেছিল I এই সমস্ত কার্যকলাপের সাহায্যে বৃহদীশ্বর মন্দির দক্ষিন ভারতের জন্য এক বৃহৎ অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হ’ল, এর সাথে অনেক সম্পত্তি যুক্ত হ’ল I রাজার সরকার রাজকীয় মন্দিরে কর্মচারী নিযুক্ত করল যারা সু-পরিকল্পিত ক্ষমতা এবং দায়িত্ব সমূহের মধ্যে কার্য   করত I ফলস্বরূপ. আর কোনো মন্দিরের কাছে এই মন্দিরের মতন সম্পত্তি, স্বর্ণ, এবং নগদ ছিল না, যতক্ষণ না পর্যন্ত নিচের মন্দিরের দ্বারা নিষ্প্রভ হ’ল  …  

ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির

এটি অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে আছে I মন্দিরটি ভেঙ্কটেশ্বরকে (বালাজী, গোবিন্দ, বা শ্রীনিবাস) উৎসর্গীকৃত করা হয়েছে I এই মন্দিরটির অন্য নামগুলো হ’ল তিরুমালা মন্দির, তিরুপতি মন্দির, এবং তিরুপতি বালাজী মন্দির I এটি অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যা এই মন্দির থেকে প্রাপ্ত উপার্জনকে ব্যবহার করে I ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির ভারতের সর্বাধিক ধনী মন্দির এবং পৃথিবীর সর্বাধিক ধনী ধার্মিক সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম বলা হয় I            

এটি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এক লক্ষ দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে এবং শ্রদ্ধালুদের থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ এবং স্বর্ণ রূপে, কিন্তু চুল হিসাবেও উপহার সমূহ প্রাপ্ত করে I এটি ভেঙ্কটেশ্বরের একটি স্থানীয় কন্যাকে বিয়ে করে যৌতুকের ঋণের জালে পড়ে যাওয়ার কাহিনী থেকে এসেছে I অনেক শ্রদ্ধালুরা বিশ্বাস করে তারা তার জন্য সেই সুদের কিছুটা পরিশোধ করতে সাহায্য করে I কোবিড ১৯ এর কারণে মন্দিরটি কঠিন সময়ে পড়েছে এবং 1200 শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে হয়েছে I     

পদম্নাভস্বামী মন্দির

সাম্প্রতিককালে কেরালা ধনী মন্দিরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে I এই মন্দিরে পদম্নাভস্বামী সর্প আদি শেষনাগের উপর আবৃত প্রধান দেবতা I এর সব থেকে বড় উৎসব হ’ল লক্ষ্য দ্বীপম, বা এক লক্ষ প্রদীপ যা প্রতি 6 বছর অন্তর  ঘটে I 2011 সালে, সরকারী পদাধিকারীরা ঘোষণা করলেন যে তারা পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের গোপন ভূগর্ভস্থ সিন্দুকগুলোতে হীরা, সোনার মুদ্রা, সোনার প্রতিমা, গয়না এবং অন্যান্য ধনসম্পদযুক্ত কোষাগার আবিষ্কার করেছিল I বিশেষজ্ঞরা এখন অনুমান করে এর মূল্য দুই লক্ষ কোটি আমেরিকান ডলার হবে I      

ইব্রীয়দের মন্দির

ইব্রীয়দের কেবলমাত্র একটি মন্দির ছিল, এবং এটি যিরূশালেমে ছিল I বৃহদীশ্বরের মতন, এটি একটি রাজকীয় মন্দির ছিল যা প্রায় ৯৫০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে রাজা শলোমনের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল I এটি অনেকগুলো খোদাই, সাজসজ্জা এবং প্রচুর সোনার বিস্তৃত কাঠামো ছিল I প্রথম মন্দিরটি ধ্বংস হওয়ার পরে ইব্রীয়রা ঠিক একই স্থানে একটি দ্বিতীয় মন্দির নির্মাণ করল I শক্তিশালী মহান হেরোদ এই মন্দিরটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত করেছিলেন যাতে যীশুর প্রবেশের  সময়ে এটি রোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক প্রভাবশালী কাঠামো হয়, যাকে বিস্তীর্ণরূপে সর্বত্র সোনার দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছিল I নির্ধারিত উৎসবগুলোতে রোমান সাম্রাজ্য জুড়ে যিহূদি তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহে  দর্শনার্থীদের বন্যায় স্ফীত করত I এইভাবে যাজক এবং সরবরাহকারীদের একটি বিশাল কর্মীদল মন্দিরের উপাসনাটিকে এটি সমৃদ্ধ শিল্পে পরিণত করেছিল I   

ঐশ্বর্য, প্রতিপত্তি, ক্ষমতা এবং মহিমাতে এই মন্দিরটি বৃহদেশ্বর, ভেঙ্কটেশ্বর এবং পদ্মনাভস্বামী মন্দিরগুলোর মতন ছিল I

তথাপি, এটি অন্যান্য উপায়ে আলাদা ছিল I পুরো দেশ জুড়ে এটি ছিল একমাত্র মন্দির I এর প্রাঙ্গনে কোনো মূর্তি বা প্রতিমা ছিল না I এটি ঈশ্বরের প্রাচীন হিব্রু প্রবক্তারা তাঁর বাসস্থান সম্পর্কে যা দাবি করেছিলেন তা প্রতিফলিত করেছিল I  

১ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “স্বর্গ আমার সিংহাসন এবং পৃথিবী আমার পা রাখার জায়গা। তাহলে তোমরা কোথায় আমার জন্য ঘর তৈরী করবে? সেই জায়গাই বা কোথায় যেখানে আমি বিশ্রাম নিতে পারি? 

২এ আমার হাত এই সমস্ত জিনিস তৈরী করেছে; আর এইভাবেই এই বিষয়গুলি হয়েছে, এই কথা সদাপ্রভু বলেন।

যিশাইয় ৬৬:১-২এ

এই মন্দিরটি তা ছিল না যেখানে ঈশ্বরের বাস করতেন I পরিবর্তে এটি সেই ছিল যেখানে মানুষ ঈশ্বরের মুখোমুখি হতে পারত, যেখানে তাঁর উপস্থিতি সক্রিয় ছিল I ঈশ্বর সেখানে উপাসক নয়, সক্রিয় মাধ্যম ছিলেন I   

সক্রিয় মাধ্যম পরীক্ষা: বা যাত্রী?

এটিকে এইভাবে ভাবুন I বৃহদীশ্বর, ভেঙ্কটেশ্বর এবং পদ্মনাভস্বামী মন্দিরে যাওয়ার সময়ে, শ্রদ্ধালুরা পচ্ছন্দ করেন তারা কোন দেবতার উপাসনা করবেন I উদাহরণস্বরূপ, যদিও বৃহদীশ্বর শিবের প্রতি সমর্পিত, এটি অন্য দেবতাদেরও গৃহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে বিষ্ণু, গনেশ, হরিহরা (অর্ধেক শিব, অর্ধেক বিষ্ণু), সরস্বতী I তাই বৃহদীশ্বরে প্রবেশের সময়ে ভক্তবৃন্দ পচ্ছন্দ করতে আশা করে কোন দেবতার উপাসনা করা যায় I তারা সবাইকে, কিছুকে বা তাদের পচ্ছন্দের কোন সংমিশ্রণকে শ্রদ্ধা জানাতে পারে I এটি এই সমস্ত মন্দিরগুলোর ক্ষেত্রে সত্য যাদের কাছে অনেক মূর্তির জন্য গৃহ আছে I দেবতাকে বেছে নেওয়ার দায়িত্ব যাত্রীর উপরে নির্ভর করে I

তার উপরে, এই মন্দিরগুলোতে এটি ভক্তবৃন্দ চয়ন করেন কোন ধরণের বা কি পরিমান উপহার প্রদান করবেন I এই মন্দিরগুলো যাত্রীগণ, রাজারা এবং পদাধিকারীরা প্রত্যেকে কি দেবে তাদের সিদ্ধান্তের কারণে শত শত বছরের সময়কালের মধ্যে ধনী হয়ে উঠেছে I কি উপহার দেওয়া উচিত সেই বিষয়ে দেবতারা নিজেরা মন্দিরের মধ্যে নির্ধারণ করেন নি I 

যদিও আমরা দেবদেবীদের উপাসনা করতে তীর্থযাত্রা করি, আমরা এমনভাবে কাজ করি যেন দেবতারা আসলে শক্তিহীন যেহেতু আমরা কখনই তাদের আমাদের বেছে নেওয়ার আশা করি না; বরং আমরা তাদের বেছে নিই I 

মন্দিরের সক্রিয় মাধ্যম কারা, ঈশ্বর বা তীর্থযাত্রী, এই বিষয়টি জিজ্ঞাসা করার সাথে আমরা বুঝতে পারি আবেগী সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন, সোমবারে যীশুর সাথে কি ঘটেছিল I সেই মন্দিরের ঈশ্বর, যিনি স্বর্গ এবং পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, তাকে এবং প্রয়োজনীয় উপহারটিকে বেছে নিয়েছিলেন I এই পরিপ্রেক্ষিতের সাথে আমরা পটভূমির নিয়মগুলোকে পর্যালোচনা করি I   

সেই দিনে মেষশাবকের মনোনয়ন

যীশু নীসনের ৯ তারিখে পবিত্র সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবারে যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন I প্রাচীন হিব্রু বেদ পরের দিন নীসনের ১০ তারিখের জন্য নিয়ম দিয়েছিল, যা এটিকে তাদের ক্যালেন্ডারে অনন্য করে তোলে I ১৫০০ বছর পূর্বে, ঈশ্বর আসন্ন নিস্তারপর্বের উৎসব কিভাবে প্রস্তুত করতে হবে সেই বিষয়ে মশিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন I ঈশ্বর আরম্ভ করেছিলেন:  

১ মিশর দেশে সদাপ্রভু মোশি ও হারোণকে বললেন, 

২ তোমাদের জন্য এই মাস হবে মাসগুলির শুরু; আর মাসটি বছরের সব মাসের মধ্যে প্রথম হবে। 

৩ সমস্ত ইস্রায়েল মণ্ডলীকে এই কথা বল, তোমরা এই মাসের দশম দিনের তোমাদের বাবার বংশ অনুসারে প্রত্যেক পরিবার এক এক বাড়ির জন্য এক একটি ভেড়ার বাচ্চা নেবে।

যাত্রাপুস্তক ১২:১-৩

… এবং কেবলমাত্র সেই দিনে

নীসন ছিল যিহূদি বছরের প্রথম মাস I তাই, মুসার থেকে শুরু করে প্রত্যেক যিহূদি পরিবার নীসনের ১০ তারিখের আসন্ন নিস্তারপর্বের উৎসবের জন্য তাদের মেষশাবক বেছে নিত I তারা কেবল সেই দিনেই চয়ন করত I সেই যিরূশালেম মন্দিরের প্রাঙ্গনে নিস্তার পর্বের মেষশাবকদের চয়ন করত – ঠিক সেইখানে যেখানে আব্রাহামের বলিদান বহু পূর্বে যিরূশালেমকে পবিত্র করেছিল I একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি সুস্পষ্ট দিনে (নীসনের ১০), যিহূদিরা তাদের আসন্ন নিস্তারপর্বের (নীসনের ১৪) জন্য মেষশাবকদের চয়ন করত I     

আপনি যেমন কল্পনা করতে পারেন, লোক এবং জানোয়ারদের বিশাল ভিড়, বদলাবদলির আওয়াজ, মুদ্রা বিনিময় নীসনের ১০ তারিখে মন্দিরকে এক উন্মত্ত বাজারে পরিণত করত I আজকের বৃহদীশ্বর, ভেঙ্কটেশ্বর এবং পদ্মনাভস্বামী মন্দিরগুলোতে কার্যকলাপ এবং তীর্থযাত্রীদের দেখা গেছে তা তুলনা করলে শান্ত বলে মনে হবে I

মন্দিরটিকে বন্ধ করার দ্বারাযীশু মনোনীত হন  

যীশু সেই দিন যা করেছিলেন সুসমাচার তা লিপিবদ্ধ করে I যখন এটি বলে ‘পরের দিন’ তখন সেটি তার যিরূশালেমে রাজকীয় প্রবেশের পরের দিন ছিল, সেই দিনটি নীসনের ১০ তারিখে মন্দিরের মধ্যে নিস্তারপর্বের মেষশাবকদের বাছাই করার দিন I    

 ১১ পরে তিনি যিরূশালেমে এসে মন্দিরে গেলেন, চারপাশের সব কিছু দেখতে দেখতে বেলা শেষ হয়ে এলে সেই বারো জনের সঙ্গে বের হয়ে বৈথনিয়াতে চলে গেলেন।

মার্ক ১১:১১

পরের দিন সকাল (নীসন 10)…  

পরের দিন তাঁরা বৈথনিয়া থেকে বেরিয়ে আসার পর যীশুর খিদে পেলো;

মার্ক ১১:১২

১৫ পরে তাঁরা যিরূশালেমে এলেন, পরে যীশু ঈশ্বরের উপাসনা গৃহে প্রবেশ করলেন এবং যত লোক মন্দিরে কেনা বেচা করছিল, সেই সবাইকে বের করে দিতে লাগলেন এবং যারা টাকা বদল করার জন্য টেবিল সাজিয়ে বসেছিল ও যারা পায়রা বিক্রি করছিল, তাদের সব কিছু উল্টিয়ে ফেললেন, ১৬  আর মন্দিরের ভেতর দিয়ে কাউকে কোন জিনিস নিয়ে যেতে দিলেন না। ১৭  আর তিনি শিষ্যদের শিক্ষা দিলেন এবং বললেন, এটা কি লেখা নেই, “আমার ঘরকে সব জাতির প্রার্থনার ঘর বলা যাবে”? কিন্তু তোমরা এটাকে “ডাকাতদের গুহায় পরিণত করেছো।”

মার্ক ১১:১৫-১৭

যীশু সোমবার নীসন 10 তারিখে মন্দিরে গিয়েছিলেন, এবং আগ্রহের সাথে বানিজ্যিক কার্যকলাপ বন্ধ করেছিলেন I কেনা বেচা প্রার্থনার জন্য একটি বাধার সৃষ্টি করেছিল, বিশেষ করে যারা অন্যান্য জাতিগণ তাদের জন্য I এই জাতিগণের জন্য এক জ্যোতি হয়ে, তিনি বানিজ্য বন্ধ করে সেই বাধা ভাঙ্গলেন I তবে এছাড়া অদৃশ্য কিছু একইসঙ্গে ঘটল, যা শিরোনাম দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল যে স্বামী যোহন যীশুকে চিহ্নিত করেছিল I    

ঈশ্বর তাঁর মেষশাবককে মনোনীত করেন

তাঁর পরিচয় দিয়ে যোহন বললেন:

 পরের দিন যোহন যীশুকে নিজের কাছে আসছে দেখে বললেন, ঐ দেখ ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি পৃথিবীর সব পাপ নিয়ে যান। 

যোহন ১:২৯

যীশু ‘ঈশ্বরের মেষশাবক’ ছিলেন I আব্রাহামের বলিদানের মধ্যে, ইনি ঈশ্বর ছিলেন যিনি আব্রাহামের পুত্রের বিকল্পরূপে মেষশাবককে মনোনীত করেছিলেন I মন্দিরটি সেই একই স্থানে ছিল I যীশু যখন নীসন 10 তারিখে মন্দিরে প্রবেশ করলেন তখন ঈশ্বর তাকে তাঁর নিস্তারপর্বের মেষশাবক রূপে মনোনীত  করলেন I মনোনীত হওয়ার জন্য তাঁকে সেই সঠিক দিনে মন্দিরে থাকার কথা ছিল I    

তিনি ছিলেন I

ঈশ্বরের মনোনয়নের আহ্বানকে বহু পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল:

৬উত্সর্গ বা নৈবেদ্যে তোমার কোন আনন্দ নেই,

কিন্তু তুমি আমার কান খুলেছ;

তুমি হোমবলী বা পাপের নৈবেদ্য চাও নি।

৭ তখন আমি বললাম, “দেখ, আমি এসেছি;

বইটিতে আমার বিষয় লেখা আছে।

৮ আমার ঈশ্বর, আমি তোমার ইচ্ছা পূরণ করে আনন্দিত হই,”

গীতসংহিতা ৪০: ৬-৮

মন্দিরের কার্যকলাপকে উপহার এবং নৈবেদ্যের দ্বারা সাহায্য করা হয় I তবে এটি কখনও ঈশ্বরের প্রধান ইচ্ছা ছিল না I ভবিষ্যদ্বাণীটি সংকেত দিয়েছিল যে তিনি একজন নির্দিষ্ট কারোর জন্য কামনা করেছিলেন I যখন ঈশ্বর তাকে দেখলেন, তিনি তাকে ডাকলেন এবং এই ব্যক্তিটি সাড়া দিলেন I এটি ঘটল যখন যীশু মন্দিরটি বন্ধ করলেন I ভবিষ্যদ্বাণীটি এটির পূর্বাভাষ দিয়েছিল এবং যেভাবে ঘটনাগুলো সপ্তাহের বাকি অংশকে প্রকাশ করেছিল I   

কেন যীশু মন্দিরটিকে বন্ধ করেছিলেন

কেন তিনি এরকম করলেন? যীশু যিশাইয় থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে উত্তর দিলেন I ‘আমার গৃহ সর্বজাতির প্রার্থনা গৃহ বলে আখ্যাত হবে’ I পুরো ভবিষ্যদ্বাণীটি পড়ুন (তার রেখাঙ্কিত সহ উদ্ধৃতিটি)

৬ এছাড়া যে বিদেশীরা সদাপ্রভুর সেবার জন্য আর আমাকে ভালবাসবার ও আমার দাস হবার জন্য আমার কাছে নিজেদেরকে দিয়ে দেয় এবং যারা বিশ্রামবার অপবিত্র না করে তা পালন করে এবং আমার নিয়ম শক্ত করে ধরে রাখে, 

৭ তাদেরকে আমি আমার পবিত্র পাহাড়ে নিয়ে আসব এবং আমার প্রার্থনার ঘরে তাদেরকে আনন্দিত করব। তাদের হোমবলি ও তাদের উত্সর্গ সব আমার যজ্ঞবেদীর ওপরে গ্রহণ করা হবে। কারণ আমার ঘরকে সমস্ত জাতির প্রার্থনার ঘর বলে ডাকা হবে।”

যিশাইয় ৫৬:৬-৭
  •  
ঐতিহাসিক কালপঞ্জির মধ্যে ঋষি যিশাইয় এবং অন্যান্য হিব্রু ঋষি (ভাববাদী)

 ‘পবিত্র পর্বত’ ছিল মোরিয়া পর্বত, যেখানে ঈশ্বর আব্রাহামের জন্য মেষশাবক মনোনীত করেছিলেন I ‘প্রার্থনার গৃহ’ ছিল মন্দির যেখানে যীশু নীসনের ১০ তারিখে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন I যাইহোক, কেবল যিহূদিরা সদাপ্রভু ঈশ্বরের উপাসনা করতে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারত I তবে যিশাইয় আগে থেকেই দেখেছিলেন যে ‘বিজাতীয়রা’ (অযিহূদিরা) একদিন দেখবে তাদের উপহার সমূহ তাঁর দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে I যিশাইয়র মাধ্যমে, যীশু ঘোষণা করেছিলেন যে তার বন্ধ করা অ-যিহূদিদের জন্য এই প্রবেশাধিকার নিয়ে আসবে I এটি কিভাবে ঘটবে পরের দিনগুলোতে পরিষ্কার হয় I    

পবিত্র সপ্তাহের পরবর্তী দিনগুলো

আমরা নিস্তারপর্বের মেষশাবকের বাছাই করার নিয়মগুলোকে উপরের দিকে এবং  যীশুর দ্বারা মন্দির বন্ধ করাকে নিচের দিকে সন্নিবেশ করে সেই সোমবারের ঘটনাগুলোকে কালপঞ্জির সাথে যুক্ত করি I 

দ্বিতীয় দিনে সোমবারের ঘটনাগুলোর সাথে হিব্রু বেদের নিয়মগুলোর তুলনা

সুসমাচার যীশুর বন্ধ করার প্রভাবকে লিপিবদ্ধ করে:

১৮ একথা শুনে প্রধান যাজক ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা তাঁকে কিভাবে মেরে ফেলবে, তারই চেষ্টা করতে লাগলো; কারণ তারা তাঁকে ভয় করত, কারণ তাঁর শিক্ষায় সব লোক অবাক হয়েছিল।

মার্ক ১১:১৮

মন্দিরটি বন্ধ করার সময় যীশু নেতাদের সাথে একটি সংঘর্ষ শুরু করলেন কেননা তারা এখন তাঁর হত্যার ষড়যন্ত্র করল I পরের তৃতীয় দিনে, আমরা দেখি, যীশু সহস্র বছর ধরে স্থায়ী হওয়া একটি অভিশাপ উচ্চারণ করলেন I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *