যখন কেউ রচিত সমস্ত মহান মহাকাব্য এবং প্রেমের গল্পগুলি বিবেচনা করে, রামায়ণ নিশ্চিতভাবে তালিকার শীর্ষে আসে I এই মহাকাব্যের অনেক মহৎ দিক রয়েছে:
- রাম এবং সীতার মধ্যে প্রেম I
- সিংহাসনের জন্য লড়াইয়ের পরিবর্তে জঙ্গলের নির্বাসন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে রামের বিনম্রতা
- রামের উত্তমতা রাবনের মন্দতার বিরুদ্ধে দাঁড় করায়
- রাবনের বন্দীদশায় থাকাকালীন সীতার পবিত্রতা
- ওনাকে বাঁচাতে রামের সাহসিকতা
মন্দের উপরে ভালর বিজয়ের দীর্ঘ যাত্রার ফলস্বরূপ, যা স্বয়ং এর বীরদের চরিত্রগুলিকে সামনে নিয়ে আসে, তা রামায়ণকে এক সময়াতীত মহাকাব্য করে তুলেছে I এই কারণের জন্য, সম্প্রদায় প্রতি বছর রামলীলা অনুষ্ঠিত করে, বিশেষত বিজয়াদশমী (দশেহরা, দসারা বা দশাইন) উৎসবের সময়ে, যা রামায়ণের থেকে নেওয়া প্রায়শই সাহিত্যের উপর ভিত্তিশীল, যেমন রামচরিতমানস I
আমরা রামায়ণের ‘মধ্যে’ ভাগীদার হতে পারি না
রামায়ণের বৃহৎ দুর্বলতা যে আমরা কেবল পড়তে, শুনতে বা নাটক দেখতে পারি I কেউ কেউ রামলীলায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তবে রামলীলা সত্য কাহিনী নয় I এটি কি ভাল হত না যদি আমরা প্রকৃতপক্ষে অযোধ্যার রাজা দশরথের রামায়ণের জগতে প্রবেশ করতে পারতাম এবং রামের সঙ্গে তার রোমাঞ্চে সঙ্গী হতাম?
সেই মহাকাব্য যার ‘মধ্যে’ আমাদের প্রবেশ করতে আমন্ত্রিত করা হয়েছে
যদিও সেটি আমাদের কাছে উপলব্ধ নয়, তবে আর একটি মহাকাব্য আছে, রামায়ণের মতন একই পর্যায়ে, যার মধ্যে আমাদের প্রবেশ করতে আমন্ত্রিত করা হয়েছে I রামায়ণের সাথে এই মহাকাব্যটির অনেক মিল আছে যাতে আমরা এই বাস্তবিক জীবনের মহাকাব্যকে বুঝতে রামায়ণকে এক আদর্শ রূপে ব্যবহার করতে পারি I এই মহাকাব্যটি প্রাচীন হিব্রু বেদকে গঠন করে, যা এখন প্রায়শই বাইবেল বলে পরিচিত I তবে এই মহাকাব্যটি এই জগতে অনুষ্ঠিত হয় যার মধ্যে আমরা বাস করি, আমাদেরকে এর নাটকে প্রবেশ করতে অনুমতি দেয় I যেহেতু এটি আমাদের কাছে নতুন হতে পারে, আমরা রামায়ণের চশমা দিয়ে এর দিকে তাকিয়ে, এর গল্পটিকে বুঝতে পারি এবং ভূমিকাটি এর মধ্যে পালন করি I
হিব্রু বেদ: রামায়ণের মতন একটি প্রেমের মহাকাব্য
যদিও অনেক ছোট ছোট কাহিনীর সাথে মিলে একটি মহাকাব্য রচিত হয়, রামায়ণের মূলটি নায়ক রাম এবং নায়িকা সীতার মধ্যে এক প্রেম কাহিনী রচনা করে I ঠিক একই ভাবে, যদিও হিব্রু মহাকাব্য অনেক ছোট ছোট কাহিনীর সাথে একটি বিরাট মহাকাব্য রচনা করে, বাইবেলের কেন্দ্র বিন্দু হ’ল একটি প্রেম কাহিনী যীশু (নায়ক) এবং এই জগতের লোকেদের মধ্যে যারা তাঁর কনে হয় যেমন সীতা রামের কনে হয়েছিল I সীতা যেমন রামায়ণের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল ঠিক তেমনি বাইবেলীয় কাহিনীর মধ্যে আমাদেরকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হয় I
আরম্ভ: প্রেম হারিয়ে যায়
তবে শুরুতে আমাদের আরম্ভ করা যাক I বাইবেল বলে যে পৃথিবীর মাটি থেকে ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করলেন, অনুরূপভাবে সীতা বেশিরভাগ রামায়ণের পাঠ্যগুলির মধ্যে পৃথিবী থেকে বের হয়ে এসেছিল I ঈশ্বর এটি করেছিলেন কারণ তিনি মানুষকে ভালোবেসেছিলেন, তাঁর সাথে এক সম্পর্ক চেয়েছিলেন I প্রাচীন হিব্রু বেদে লক্ষ্য করুন ঈশ্বর লোকেদের জন্য কিভাবে তাঁর আকাঙ্খা বর্ণনা করলেন I
আমি আমার জন্য তাকে দেশে রোপণ করব এবং আমি লো-রুহামাকে দয়া করব। আমি তাদের বলব যারা আমার প্রজা নয়, তোমরা আমার প্রজা। এবং তারা আমায় বলবে, তুমি আমার ঈশ্বর।
হোশেয় ২:২৩
খলনায়কের দ্বারা নায়িকাকে বন্দী
যাইহোক, ঈশ্বর যদিও মানবজাতিকে এই সম্পর্কের জন্য সৃষ্টি করলেন, একজন খলনায়ক সম্পর্কটিকে ধ্বংস করল I যেভাবে রাবণ সীতাকে অপহরণ করল এবং তার রাজ্যে তাকে বন্দী করে রাখল, সেইভাবে ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দী, শয়তানকে, প্রায়শই এক অশুর-সম সর্প হিসাবে চিত্রিত করা হয়, যে মানবজাতির বন্দীত্বকে নিয়ে এসেছিল I বাইবেল এই বাক্যগুলির মধ্য দিয়ে তার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আমাদের পরিস্থিতিকে বর্ণনা করে I
১ যখন তোমরা নিজ নিজ অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদেরকেও জীবিত করলেন; ২ সেই সমস্ত কিছুতে তোমরা আগে চলতে এই জগতের যুগ অনুসারে, আকাশের শাসনকর্ত্তার অনুসারে কাজ করতে, যে মন্দ আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানদের মাঝে কাজ করছে সেই আত্মার কর্তৃত্বের অনুসারে চলতে। ৩ সেই লোকদের মাঝে আমরাও সবাই আগে নিজের নিজের মাংসিক অভিলাষ অনুসারে ব্যবহার করতাম, মাংসের ও মনের নানা রকম ইচ্ছা পূর্ণ করতাম এবং অন্য সকলের মত স্বভাবতঃ ক্রোধের সন্তান ছিলাম।
ইফিষীয় ২:১-৩
আসন্ন সংঘর্ষ গড়ে ওঠা
রাবণ যখন সীতাকে তার রাজ্যে বন্দী করল, রাম তখন তাকে সাবধান করলেন যে তিনি তাকে উদ্ধার করবেন এবং তাকে ধ্বংস করবেন I ঠিক একই ভাবে, শয়তান যখন পাপ এবং মৃত্যুর মধ্যে আমাদের পতনকে নিয়ে এল, মানব ইতিহাসের শুরুতে, ঈশ্বর শয়তানকে সাবধান করলেন, স্ত্রীর বংশের মাধ্যমে কিভাবে তিনি তাকে ধ্বংস করবেন – আর এটাই হেঁয়ালি যা বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হল I
ঈশ্বর এই বীজের আগমন সম্পর্কে প্রাচীন কালেই সুনিশিত করেছিলেন:
ঠিক এই ভাবেই রামায়ণ রাবণ এবং রামের মধ্যে চরম পরীক্ষার পরিকল্পনা করল:
- একটি অসম্ভব গর্ভধারণ (দশরথের পত্নীরা স্বর্গীয় হস্তক্ষেপ ব্যতীত গর্ভধারণ করতে পারেনি),
- এক পুত্রকে দিয়ে দেওয়া (দশরথকে রামকে বনবাসে ছেড়ে দিতে হয়েছিল),
- লোকেদের উদ্ধার করা (রাক্ষস সুবাহ জঙ্গলের মুনিদের উপরে অত্যাচার করত, বিশেষ করে বিশ্বামিত্রকে, যতক্ষণ না পর্যন্ত রাম তাকে ধ্বংস করলেন),
- এক রাজকীয় বংশের স্থাপনা (রাম অবশেষে রাজা হিসাবে রাজত্ব করতে সক্ষম হলেন) I
নায়ক তার প্রেমকে বাঁচাতে আসে
সুসমাচার প্রকাশ করে যে যীশু সেই বংশ রূপে আসতে কুমারী স্ত্রীর মাধ্যমে প্রতিশ্রুত হয়েছিলেন I রাম যেমনভাবে রাবণের দ্বারা বন্দী সীতাকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন, ঠিক তেমনি যীশু জগতে এসেছিলেন তাদেরকে উদ্ধার করতে যারা মৃত্যু এবং পাপের দ্বারা বন্দী ছিল I যদিও রামের মতন তিনি স্বর্গীয় রাজবংশ থেকে ছিলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে সুবিধা এবং ক্ষমতা থেকে নিজেকে খালি করেছিলেন I বাইবেল এটিকে এইভাবে বর্ণনা করে
৫ খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তা তোমাদের মনের মধ্যেও হোক। ৬ ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকতেও তিনি ঈশ্বরের সাথে সমান ইচ্ছা মনে করলেন না, ৭ কিন্তু নিজেকে শূন্য করলেন, তিনি দাসের মত হলেন, মানুষের মত হয়ে জন্ম নিলেন; ৮ এবং তিনি মানুষের মত হয়ে নিজেকে অবনত করলেন; মৃত্যু পর্যন্ত, এমনকি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হলেন।
ফিলিপীয় ২:৫-৮
পরাজয়ের মাধ্যমে বিজয়
এখানে রামায়ণ এবং বাইবেলীয় মহাকাব্যের মধ্যে বৃহৎ পার্থক্য ঘটে I রামায়ণে, রাম পরাক্রমের বলের দ্বারা রাবণকে পরাজিত করেন I তিনি তাকে এক বীরতাপূর্ণ যুদ্ধে হত্যা করেন I
যীশুর জন্য বিজয় পথ ভিন্ন ছিল; এটি পরাজয়ের পথের মাধ্যমে চলেছিল I এক শারীরিক যুদ্ধের পরিবর্তে, যীশু এক শারীরিক মৃত্যু বরণ করলেন, যেমনটি পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I তিনি এইরকম করলেন কারণ আমাদের বন্দীত্ব স্বয়ং মৃত্যুর কাছে, তাই তাঁর মৃত্যুকে পরাজিত করার প্রয়োজন ছিল I তিনি মৃত্যু থেকে উত্থিত হওয়ার দ্বারা এইরকম করলেন, যেটিকে আমরা ঐতিহাসিকভাবে পরীক্ষা করতে পারি I আমাদের জন্য মৃত্যু বরণ করে, তিনি আক্ষরিকভাবে আমাদের স্বপক্ষে স্বয়ংকে দান করেছিলেন I যেরকমভাবে বাইবেল যীশুর সম্বন্ধে বলে
১৪ যিনি আমাদের জন্য নিজেকে দান করলেন, যেন মূল্য দিযে অধর্মীদের সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করেন এবং নিজের জন্য নিজের লোকদেরকে, ভালো কাজে উদ্যোগী লোকদের পবিত্র করেন।
তীত ২:১৪
প্রেমিকার আমন্ত্রণ…
রামায়ণে, রাবনের পরাজয়ের পরে রাম এবং সীতার পুনর্মিলন হয়েছিল I বাইবেলের মহাকাব্যে, এখন সেই যীশু মৃত্যুকে পরাজিত করে, অনুরূপভাবে আপনার এবং আমাকে ভক্তির মধ্যে সাড়া দিয়ে তাঁর হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ প্রসারিত করলেন, I যারা এটিকে পছন্দ করল তারা তাঁর কনে হ’ল I
২৫ স্বামীরা, তোমরা নিজের নিজের স্ত্রীকে সেই মত ভালবাসো, যেমন খ্রীষ্টও মণ্ডলীকে ভালবাসলেন, আর তার জন্য নিজেকে দান করলেন; ২৬ যেন তিনি জল স্নান দ্বারা বাক্যে তাকে শুচি করে পবিত্র করেন, ২৭ যেন নিজে নিজের কাছে মণ্ডলীকে মহিমাময় অবস্থায় উপস্থিত করেন, যেন তার কলঙ্ক বা সঙ্কোচ বা এই রকম আর কোন কিছুই না থাকে, বরং সে যেন পবিত্র ও নিন্দা হীন হয়।
ইফিষীয় ৫:২৫-২৭
৩২ এই লুকানো সত্য মহৎ, কিন্তু আমি খ্রীষ্টের ও মণ্ডলীর উদ্দেশ্যে এটা বললাম।
ইফিষীয় ৫:৩২
…সুন্দর এবং পবিত্র হতে
রামায়ণে, রাম সীতাকে ভালবাসেন কারণ তিনি সুন্দর ছিলেন I তাঁর কাছে এক পবিত্র চরিত্রও ছিল I বাইবেলীয় মহাকাব্য এই জগতে আমাদের সাথে উদঘাটিত হয় যারা পবিত্র নয়, তবে সুন্দর ও পবিত্র করে তাদেরকে গড়ে তুলতে, নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পূর্ণ হয়
২২ কিন্তু পবিত্র আত্মার ফল প্রেম, আনন্দ, শান্তি, ধৈর্য্য, দয়া, পরোপকারিতা, বিশ্বস্ততা, ২৩ নম্র, ইন্দ্রিয় দমন (আত্মসংযম), এই সব গুনের বিরুদ্ধে নিয়ম নেই।
গালাতীয় ৫:২২-২৩
…অগ্নি পরীক্ষার পর
যদিও রাবণের পরাজয়ের পর রাম ও সীতা পুনর্মিলিত হলেন, সীতার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠতে লাগল I কেউ কেউ তাকে রাবনের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন অশুদ্ধ হওয়ার অভিযোগ করল I অতএব সীতাকে তার নির্দোষিতা প্রমাণ করতে অগ্নি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হল I বাইবেলীয় মহাকাব্যে, পাপ এবং মৃত্যুর উপর বিজয় প্রাপ্ত করার পরে, যীশু স্বর্গে আরোহন করলেন তাঁর প্রেমকে প্রস্তুত করতে যার জন্য তিনি ফিরে আসবেন I আমরা যখন তাঁর থেকে বিচ্ছিন হই, আমাদেরকেও অগ্নি পরীক্ষা, বিচারের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাকে বাইবেল আগুনের সাথে তুলনা করে; আমাদের নির্দোষিতা প্রমাণ করতে নয়, আমাদেরকে তার থেকে শুদ্ধ করতে যা তাঁর পবিত্র প্রেমকে দুষিত করে I বাইবেল এই চিত্রটিকে ব্যবহার করে
৩ ধন্য আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরও পিতা, তিনি তাঁর অসীম দয়া অনুযায়ী মৃতদের মধ্য থেকে যীশু খ্রীষ্টকে পুনরুত্থানের মাধ্যমে, জীবন্ত প্রত্যাশার জন্য আমাদেরকে নতুন জন্ম দিয়েছেন, ৪ অক্ষয়, পবিত্র ও যা কখনো ধ্বংস হবে না, সেই অধিকার দিয়েছেন, যা তোমাদের জন্য স্বর্গে সঞ্চিত আছে, ৫ এবং তোমাদের উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরের শক্তিতে বিশ্বাস দিয়ে রক্ষা করা হচ্ছে, এই উদ্ধার শেষকালে প্রকাশিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। ৬ তোমরা এইসবে আনন্দ করছ, যদিও এটি খুবই প্রয়োজন যেন তোমরা নানারকম পরীক্ষায় কষ্ট সহ্য কর, যা খুবই অল্প দিনের র জন্য, ৭ যেমন, সোনা ক্ষয়শীল হলেও তা আগুন দিয়ে পরীক্ষা করা হয়, তার থেকেও বেশি মূল্যবান তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষার সফলতা যেন, যীশু খ্রীষ্টের প্রকাশকালে প্রশংসা, সম্মান ও গৌরবের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। ৮ তোমরা তাঁকে না দেখেও ভালবাসছ, এখন দেখতে পাচ্ছ না, তবুও তাঁকে বিশ্বাস করে অবর্ণনীয় ও মহিমায় পরিপূর্ণ হয়ে আনন্দে উল্লাস করছ, ৯ এবং তোমাদের বিশ্বাসের পরিণাম অর্থাৎ তোমাদের আত্মার উদ্ধার পেয়েছ।
১ পিতর ১:৩-৯
… মহান বিবাহের জন্য
বাইবেল ঘোষণা করে যে যীশু আবার ফিরে আসবেন তাঁর প্রেমের জন্য এবং এইরকম করার দ্বারা তাকে তাঁর কনে করবেন I তাই, অন্য সমস্ত মহান মহাকাব্যগুলিতে যেমন পাওয়া যায়, বাইবেল একটি বিবাহের সাথে শেষ হয় I যীশু যে মূল্য দিয়েছিলেন তা এই বিবাহের জন্য রাস্তা তৈরী করেছিল I এই বিবাহ অলংকারিক নয় বরং সত্য, এবং যারা তাঁর বিবাহের নিমন্ত্রণ স্বীকার করছেন তিনি তাদেরকে ‘খ্রীষ্টের কনে’ বলেন I যেমন এটি বলে:
৭ “এসো আমরা মনের খুশিতে আনন্দ করি এবং তাঁকে গৌরব দিই, কারণ মেষশিশুর বিয়ের দিন এসে গেছে এবং তাঁর কন্যে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।”
প্রকাশিত বাক্য ১৯:৭
যারা যীশুর মুক্তির উপহারকে পায় তারা তাঁর ‘কনে’ হয় I তিনি এই স্বর্গীয় বিবাহটিকে আমাদের সকলকে দিয়েছেন I তাঁর বিবাহতে আসার জন্য আপনার এবং আমার জন্য এই আমন্ত্রণ দিয়ে বাইবেল শেষ হয় I
১৭ আত্মাও কনে বললেন, এস! যে এই কথা শুনে সেও বলুক, এস, আর যাদের পিপাসা পেয়েছে সে আসুক; যে কেউ ইচ্ছা করে, সে মূল্য ছাড়াই জীবন জল পান করুক।
প্রকাশিত বাক্য ২২:১৭
মহাকাব্যের মধ্যে প্রবেশ করা: সাড়া দেওয়ার দ্বারা
যীশুর মধ্যে আমাদের সাথে প্রস্তাবিত সম্পর্ককে বুঝতে রামায়ণের সীতা ও রামের মধ্যে সম্পর্কটিকে একটি চশমা রূপে ব্যবহার করা হয়েছে I এটি ঈশ্বরের স্বর্গীয় রোমান্স যিনি আমাদের ভালবাসেন I তিনি সবাইকে কনে হিসাবে বিবাহ করবেন যারা তাঁর বিবাহের প্রস্তাবকে স্বীকার করে I অন্য যে কোনো বিবাহের মতন আপনাকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয়, প্রস্তাবটিকে স্বীকার করা বা না করা I প্রস্তাবটিকে স্বীকার করে আপনি সেই সময়াতীত মহাকাব্যের মধ্যে প্রবেশ করেন যা এমনকি রামায়ণ মহাকাব্যের আড়ম্বরকে ছাড়িয়ে যায় I