কাঁকড়াটি কর্কট রাশির সাধারণ চিত্র গঠন করে, এটি ল্যাটিন শব্দ কাঁকড়ার জন্য আসে I প্রাচীন রাশি চক্রের আজকের আধুনিক জ্যোতিষ রাশিফলের অধ্যয়নে, আপনার রাশিফলের মাধ্যমে প্রেম, সৌভাগ্য, স্বাস্থ্য, এবং আপনার ব্যক্তিত্বের উপরে অন্তর্দৃষ্টি পেতে কর্কট রাশির জন্য রাশিফলের পরামর্শ অনুসরণ করেন I
কিন্তু প্রাচীনরা কি এইভাবে কর্কট রাশি অধ্যয়ন করেছিলেন?
এর অর্থ মূলত কি?
সাবধান হন! এর জবাব দেওয়া আপনার জ্যোতিষকে অপ্রত্যাশিত রূপে উন্মুক্ত করে দেবে – আপনাকে এক ভিন্ন যাত্রায় যাত্রা করাবে তখন আপনি আপনার রাশিফল কেবল পরীক্ষা করার সময়ে যা আপনি অভিপ্রায় করেছিলেন…
আমরা প্রাচীন জ্যোতিষকে অনুসরণ করেছি এবং প্রাচীন রাশিফলের কন্যা থেকে মিথুন রাশি পর্যন্ত পরীক্ষা করে, আমরা কর্কট রাশির সাথে যা কর্কা নামেও পরিচিত, অব্যাহত রেখেছি I
কর্কট রাশির নক্ষত্রমন্ডলের জ্যোতিষ
কর্কট রাশির তারা নক্ষত্রের চিত্রটি পর্যবেক্ষণ করুন I তারাগুলির মধ্যে কাঁকড়ার সাদৃশ্যযুক্ত কিছু দেখতে পাচ্ছেন?

আমরা যদি কর্কট রাশির মধ্যে তারাগুলিকে রেখা সমূহের সাথে যুক্ত করি এখনও একটি কাঁকড়া ‘দেখা’ কঠিন I এটি উল্টো Y এর ন্যায় দেখতে লাগে I

এখানে রাশিচক্রের জাতীয় ভৌগলিক পোস্টারের একটি চিত্র রয়েছে, যা উত্তর গোলার্ধে কর্কট রাশিকে দেখাচ্ছে I

লোকেরা এর থেকে প্রথমে কাঁকড়ার আবিষ্কার কি করে করল? কিন্তু আমরা মানব ইতিহাসকে যত দূর জানি, কর্কট রাশি ফিরে চলে যায় I
অন্যান্য রাশি চক্রের নক্ষত্র সমূহের ন্যায়, কর্কট রাশির ছবিটি নক্ষত্রের নিজের মধ্য থেকে স্পষ্ট নয় I বরং, কর্কট রাশির ধারনাটি প্রথমে এসেছিল I প্রথমে জ্যোতিষশাস্ত্রবিদগণ তখন জ্যোতিষের মাধ্যমে তারাগুলির উপরে ছবিটির উপরে চাপিয়ে দেয় I পূর্বপুরুষগণ তাদের সন্তানদের নিকটে কর্কট রাশির নক্ষত্রের বিষয়ে সংকেত দিতে পারতেন এবং এর সাথে যুক্ত কাহিনীর সম্বন্ধে বলতে পারতেন I
কেন? পূর্বপুরুষদের কাছে এর অর্থ কি ছিল?
চক্র রাশির মধ্যে কর্কট
এখানে কর্কট রাশির কয়েকটি সাধারণ জ্যোতিষ শাস্ত্রের ছবি দেওয়া হয়েছে I



মিশরের দেন্ডেরা মন্দিরে এখানে রাশি চক্র রয়েছে, 2000 বছরের পুরনো, লাল রঙে বৃত্তাকার কর্কট রাশির চিত্র সহ I

যদিও নকশাটি ‘কাঁকড়ার’ চিত্রটিকে লেবেল করে তবুও এটিলে আসলে একটি গুবরে পোকার মতন দেখায় I প্রায় 4000 বছর আগেকার প্রাচীন মিশরীয় নথিগুলি কর্কট রাশিকে একটি ঐশ্বরিক (গুবরে পোকা বিশেষ) পোকা হিসাবে বর্ণনা করেছিল, যা তাদের অমরত্বের প্রতীক I
প্রাচীন মিশরে গোবরে পোকা পুনর্জন্ম বা পুনর্সৃষ্টির প্রতীক ছিল I একটি গোবরে পোকা বা গোবরে পোকার মাথাওয়ালা মানুষটি, সাধারণত মিশরীয় দেবতা খেপরি, উদীয়মান সূর্যকে চিত্রিত করেছিল I

প্রাচীন কাহিনীর মধ্যে কর্কট রাশি
আমরা দেখলাম যে বাইবেল বলে যে সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর তাঁর কাহিনী প্রকাশ করতে নক্ষত্রগুলিকে তৈরী করেছিলেন I কন্যা রাশি থেকে নিয়ে রাশি চক্রের উপরে চিহ্নগুলি আমাদের এই কাহিনীটি দেখাচ্ছে I
কর্কট রাশি কাহিনীটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে I এমনকি আপনি যদি আধুনিক রাশিফল অর্থে কর্কট রাশি না হন, তবে কর্কট রাশির জ্যোতিষশাস্ত্রটি আপনার জানা দরকার I
কর্কট রাশির মূল অর্থ
প্রাচীন মিশরীয়রা সেই রাশিচক্রের গল্পের সময়ে অনেক বেশি কাছাকাছি ছিল, সুতরাং আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত রাশিফলের কাঁকড়ার পরিবর্তে গোবরে পোকাটি কর্কট রাশির প্রাচীন চক্র রাশির অর্থ বোঝার মূল চাবি কাঠি I মিশর সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ স্যার ওয়ালেস বাজ প্রাচীন মিশরের খেপেরা এবং গোবরে পোকা সম্বন্ধে এটি লিখেছিলেন I
ক্ষেপারা ছিল একটি প্রাচীন আদি দেবতা এবং যে ধরনের পদার্থ নিজের মধ্যে রয়েছে তার মধ্যে জীবানু রয়েছে যা একটি নতুন অস্তিত্বে পরিণত হতে চলেছে; এভাবে তিনি সেই মৃত দেহকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যেখান থেকে আধ্যাত্মিক দেহ উঠতে চলেছিল। তাকে একজন মানুষের আকারে দেখানো হয়েছে যার মাথায় একটি পোকা রয়েছে এবং এই পোকাটি তার প্রতীক হয়ে উঠেছিল কারণ এটি স্ব-জন্ম এবং স্ব-উত্পাদিত হওয়ার কথা ছিল।স্যার ডব্লিউ এ.
বাজ, ইজিপ্সিয়ান রিলিজিয়ন পৃষ্ঠা 99
গোবরে পোকা: পুনরুত্থানের প্রাচীন প্রতীক
শেষ পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক গোবরে পোকায় রূপান্তরিত হওয়ার আগে গোবরে পোকাটি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায় I ডিম থেকে বের হওয়ার পরে, গোবরে পোকাগুলি কৃমির ন্যায় লাভা হয়ে যায় যাকে শুক কীট বলা হয় I শুক কীট হিসাবে তারা জমিতে বসনাস করে, গোবর, ছত্রাক, শিকড় বা পচা মাংসের মতন পচনশীল পচা পদার্থ খায় I
এক শুক কীট হিসাবে হামাগুঁড়ি দেওয়ার পরে, এটি তখন নিজেকে একটি গুটিপোকার মধ্যে রেশম কীটে পরিনত করে I খাদ্য আর গ্রহণ করা হয় না এবং সমস্ত ইন্দ্রিয় বন্ধ হয় I জীবনের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায় এবং গোবরে পোকা রেশম কীটের মধ্যে জড়ভাবে শীতযাপন করে I এখানে শুক কীটের দেহ দ্রবীভূত হয়ে পুনরায় একত্রিত হয়ে রুপান্তরিত হয় I নির্ধারিত সময়ে প্রাপ্ত বয়স্ক গোবরে পোকা রেশম কীট থেকে উঠে আসে I এর প্রাপ্ত বয়স্ক পোকার রূপটি কীট-জাতীয় দেহের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয় না যা কেবল মাটিতে হামাগুঁড়ি দিতে পারত I এখন পোকা ফেটে যায়, ইচ্ছামত আকাশে এবং রোদে উড়ে যায় এবং উঁচুতে উড়ে I
প্রথম মিশরীয়রা গোবরে পোকার উপাসনা করেছিল কারণ এটি প্রথম মানুষদের প্রতি প্রতিশ্রুত পুনরুত্থানকে তাত্পর্যপূর্ণ করেছিল I
কর্কট রাশি – পুনরুত্থান শরীরের প্রতীক
কর্কট রাশি ঘোষণা করে যে আমাদের জীবন একটি অনুরূপ নমুনা অনুসরণ করে I এখন আমরা পৃথিবীর উপরে বাস করি, পরিশ্রম ও দুর্ভোগের দাস, অন্ধকার ও সন্দেহপূর্ণ – পৃথিবীতে জন্মগ্রহণকারী এবং ময়লা-খাওয়া গোবরে পোকার মতন অসম্পূর্ণতা ও ঝামেলার কেবল গ্রন্থি, যদিও আমাদের মধ্যে বীজ বহন করছে এবং চূড়ান্ত গৌরব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে I
তারপরে আমাদের পার্থিব জীবন মৃত্যুতে অবসান হয় এবং মমির মতন অবস্থায় যায় যেখানে আমাদের অন্তস্থ: ব্যক্তি মৃত্যুতে নিদ্রা যায়, সাথে আমাদের দেহটি কবর থেকে ফেটে যাওয়ার জন্য পুনরুত্থানের আহ্বানের অপেক্ষায় থাকে I এটি কর্কট রাশির প্রাচীন অর্থ এবং প্রতীক ছিল – মুক্তিদাতার আহ্বানের সাথে সাথে দেহের পুনরুত্থান সূচিত হয়েছিল I গোবরে পোকা যেমন এর শীতযাপনতা থেকে ফেটে বেরোয়, তেমনি মৃতরাও জেগে উঠবে I
2আর মৃত্তিকার ধূলিতে নিদ্রিত লোকদের মধ্যে অনেকে জাগরিত হইবে—কেহ কেহ অনন্ত জীবনের উদ্দেশে, এবং কেহ কেহ লজ্জার ও অনন্ত ঘৃণার উদ্দেশে। 3আর যাহারা বুদ্ধিমান্, তাহারা বিতানের দীপ্তির ন্যায়, এবং যাহারা অনেককে ধার্ম্মিকতার প্রতি ফিরায়, তাহারা তারাগণের ন্যায় অনন্তকাল দেদীপ্যমান হইবে।
দানিয়েল 12:2-3
খ্রীষ্ট আমাদের জন্য তাঁর পুনরুত্থানের পথে চলতে আহ্বান জানালে এটি ঘটবে I
20কিন্তু বাস্তবিক খ্রীষ্ট মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইয়াছেন, তিনি নিদ্রাগতদের অগ্রিমাংশ। 21কেননা মনুষ্য দ্বারা যখন মৃত্যু আসিয়াছে, তখন আবার মনুষ্য দ্বারা মৃতগণের পুনরুত্থান আসিয়াছে। 22কারণ আদমে যেমন সকলে মরে, তেমনি আবার খ্রীষ্টেই সকলে জীবনপ্রাপ্ত হইবে। 23কিন্তু প্রত্যেক জন আপন আপন শ্রেণীতে; খ্রীষ্ট অগ্রিমাংশ, পরে খ্রীষ্টের লোক সকল তাঁহার আগমনকালে। 24তৎপরে পরিণাম হইবে; তখন তিনি সমস্ত আধিপত্য এবং সমস্ত কর্ত্তৃত্ব ও পরাক্রম লোপ করিলে পর পিতা ঈশ্বরের হস্তে রাজ্য সমর্পণ করিবেন। 25কেননা যাবৎ তিনি “সমস্ত শত্রুকে তাঁহার পদতলে না রাখিবেন,” তাঁহাকে রাজত্ব করিতেই হইবে। 26শেষ শত্রু যে মৃত্যু, সেও বিলুপ্ত হইবে। 27কারণ “তিনি সকলই বশীভূত করিয়া তাঁহার পদতলে রাখিলেন”। কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, সকলই বশীভূত করা হইয়াছে, তখন স্পষ্ট দেখা যায়, যিনি সকলই তাঁহার বশীভূত করিলেন, তাঁহাকে বাদ দেওয়া হইল। 28আর সকলই তাঁহার বশীভূত করা হইলে পর পুত্র আপনিও তাঁহার বশীভূত হইবেন, যিনি সকলই তাঁহার বশে রাখিয়াছিলেন; যেন ঈশ্বরই সর্ব্বেসর্ব্বা হন।
1 করিন্থীয় 15:20-28
একটি নতুন পুনরুত্থানের আড়ম্বর
যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক গোবরে পোকাটি, কৃমি-জাতীয় শুককীট যার থেকে এটি উত্থিত হয়েছিল আগে থেকেই দেখার দ্বারা বৈশিষ্ট্য সমূহ ও অকল্পনীয় ক্ষমতা সহ, ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত হয়, সেইহেতু আমাদের পুনরুত্থানের দেহ আমাদের আজকের দেহের চেয়ে একটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের হবে I
20কারণ আমরা স্বর্গপুরীর প্রজা; আর তথা হইতে আমরা ত্রাণকর্ত্তার, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের, আগমন প্রতীক্ষা করিতেছি; 21তিনি আমাদের দীনতার দেহকে রূপান্তর করিয়া নিজ প্রতাপের দেহের সমরূপ করিবেন, যে কার্য্যসাধক-শক্তিতে তিনি সকলই আপনার বশীভূত করিতে পারেন, তাহারই গুণে করিবেন।
ফিলিপীয় 3:20-21
35কিন্তু কেহ বলিবে, মৃতেরা কি প্রকারে উত্থাপিত হয়? কি প্রকার দেহেই বা আইসে? 36হে নির্ব্বোধ, তুমি আপনি যাহা বুন, তাহা না মরিলে জীবিত করা যায় না। 37আর যাহা বুন, যে দেহ উৎপন্ন হইবে, তুমি তাহা বুন না; বরং গোমেরই হউক, কি অন্য কোন কিছুরই হউক, বীজমাত্র বুনিতেছ; 38আর ঈশ্বর তাহাকে যে দেহ দিতে ইচ্ছা করিলেন, তাহাই দেন; আর তিনি প্রত্যেক বীজকে তাহার নিজের দেহ দেন।
39সকল মাংস এক প্রকার মাংস নয়; কিন্তু মনুষ্যের এক প্রকার, পশুর মাংস অন্য প্রকার, পক্ষীর মাংস অন্য প্রকার, ও মৎস্যের অন্য প্রকার।
40আর স্বর্গীয় দেহ আছে, ও পার্থিব দেহ আছে; কিন্তু স্বর্গীয় দেহগুলির এক প্রকার তেজ, ও পার্থিব দেহগুলির অন্য প্রকার। 41সূর্য্যের এক প্রকার তেজ, চন্দ্রের আর এক প্রকার তেজ, ও নক্ষত্রগণের আর এক প্রকার তেজ; কারণ তেজ সম্বন্ধে একটী নক্ষত্র হইতে অন্য নক্ষত্র ভিন্ন।
42মৃতগণের পুনরুত্থানও তদ্রূপ। ক্ষয়ে বপন করা যায়, অক্ষয়তায় উত্থাপন করা হয়; 43অনাদরে বপন করা যায়, গৌরবে উত্থাপন করা হয়; দুর্ব্বলতায় বপন করা যায়, শক্তিতে উত্থাপন করা হয়; 44প্রাণিক দেহ বপন করা যায়, আত্মিক দেহ উত্থাপন করা হয়। যখন প্রাণিক দেহ আছে, তখন আত্মিক দেহও আছে। 45এইরূপ লেখাও আছে, প্রথম “মনুষ্য” আদম “সজীব প্রাণী হইল;” শেষ আদম জীবনদায়ক আত্মা হইলেন। 46কিন্তু যাহা আত্মিক, তাহা প্রথম নয়, বরং যাহা প্রাণিক, তাহাই প্রথম; যাহা আত্মিক তাহা পশ্চাৎ। 47প্রথম মনুষ্য মৃত্তিকা হইতে, মৃন্ময়, দ্বিতীয় মনুষ্য স্বর্গ হইতে। 48মৃন্ময় ব্যক্তিরা সেই মৃন্ময়ের তুল্য, এবং স্বর্গীয় ব্যক্তিরা সেই স্বর্গীয়ের তুল্য। 49আর আমরা যেমন সেই মৃন্ময়ের প্রতিমূর্ত্তি ধারণ করিয়াছি, তেমনি সেই স্বর্গীয় ব্যক্তির প্রতিমূর্ত্তিও ধারণ করিব।
1 করিন্থীয় 15:35-49
রাজার প্রত্যাবর্তনে
এটি তার প্রত্যাবর্তনের সময়ে যখন এটি ঘটবে I
13কিন্তু, হে ভ্রাতৃগণ, আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই, সেই অন্য সকল লোকের মত তোমরা দুঃখার্ত্ত না হও। 14কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর যীশু দ্বারা নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন।
15কেননা আমরা প্রভুর বাক্য দ্বারা তোমাদিগকে ইহা বলিতেছি যে, আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্য্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না। 16কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের রব সহ, এবং ঈশ্বরের তূরীবাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে। 17পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত সকসঙ্গে তাহাদের সহিত মেষযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব। 18অতএব তোমরা এই সকল কথা বলিয়া এক জন অন্য জনকে সান্ত্বনা দেও।
1 থিষলনীকীয় 4:13-18
মকর রাশির রাশিফল
রাশিফল গ্রীক ‘হোরো’ (মুহূর্ত) থেকে আসে এবং এর অর্থ বিশেষ মুহূর্ত বা সময়ের চিহ্নিতকরণ (স্কোপাস) I যীশু নিম্নলিখিত উপায়ে মকর রাশির সময়কে (হোরো) চিহ্নিত করেছিলেন I
24সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে ব্যক্তি আমার বাক্য শুনে, ও যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাকে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন প্রাপ্ত হইয়াছে, এবং বিচারে আনীত হয় না, কিন্তু সে মৃত্যু হইতে জীবনে পার হইয়া গিয়াছে। 25সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, এমন সময় আসিতেছে, বরং এখন উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে। 26কেননা পিতার যেমন আপনাতে জীবন আছে, তেমনি তিনি পুত্রকেও আপনাতে জীবন রাখিতে দিয়াছেন।
যোহন 5:24-26
একটি নির্দিষ্ট সময় আসছে যখন যিনি বিশ্বকে অস্তিত্বে আসতে বলেছিলেন তিনি আবার বলবেন I যারা শুনবে তারা মৃতদের মধ্য থেকে উঠবে I কর্কট রাশি প্রাচীনদের দ্বারা তারাগুলির থেকে পড়া পুনরুত্থানের এই আসন্ন সময়ের প্রতীক ছিল I
আপনার কর্কট রাশির অধ্যয়ন
আপনি কর্কট রাশির রাশিফলকে আজকের দিনে নিম্নলিখিত উপায়ে প্রয়োগ করতে পারেন I
কর্কট রাশি আপনাকে ক্রমাগত আপনার পুনরুত্থানের হোরোর অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকতে বলে I যারা বলে এইরকম কোনো পুনরুত্থান আসছে না তাদেরকে বোকা বানাতে দিও না I যদি আপনি কেবল ভোজন এবং পান করার জন্য এবং একটি ভাল সময় কাটাবার জন্য এখানে এবং এখন থাকেন, তাহলে আপনি নির্বোধ হবেন I আপনি যদি পুরো বিশ্বকে লাভ করেন এবং এটিকে প্রেম. আনন্দ এবং উত্তেজনা দিয়ে ভরপুর করেন এবং আপনি আপনার নিজের প্রাণ হারিয়ে ফেলেন তবে আপনি কি অর্জন করবেন?
অতএব দৃঢ়ভাবে স্থির থাকুন I কোনো কিছুই আপনাকে বিচলিত না করুক I দৃশ্য বস্তুর উপর নয় অদৃশ্য বস্তুর উপরে দৃষ্টি স্থির করুন I দৃশ্য বস্তু সাময়িক, কিন্তু যা অদৃশ্য তা অনন্তকালীন I অদৃশ্যের মধ্যে বেড়ে ওঠে নিদ্রারত এক বিশাল ভিড় যা আপনার সাথে তাদের প্রতি আহ্বানের রবের জন্য অপেক্ষা করছে I অদৃশ্যের সর্শন করতে যা আপনাকে বাধা দেয় এমন সমস্ত কিছু ফেলে দিন এবং এমন পাপকে ফেলে দিন যা সহজেই জড়িয়ে ফেলে I তারপরে অধ্যাবসায়ের সঙ্গে আপনার চ্জন্য চিহ্নিত প্রতিযোগিতায় দৌড়ান, জীবিত মেষশাবকের উপরে দৃষ্টি স্থির করে, যিনি বিশ্বাসের পথিকৃৎ এবং সিদ্ধিদাতা I কারণ তাঁর সামনে স্থাপিত আনন্দের জন্য তিনি ক্রুশ সহ্য করেছিলেন, লজ্জাকে অবজ্ঞা করেছিলেন এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের ডান দিকে বসেছিলেন I যিনি পাপীদের কাছ থেকে এইরকম বিরোধিতা সহ্য করেছিলেন তাকে বিবেচনা করুন, যাতে আপনি ক্লান্ত না হয়ে পড়েন এবং নিরাশ না হন I
আরও রাশিফলের কাহিনীর মধ্য দিয়ে এবং কর্কট রাশির আরও গভীরে
মুক্তিদাতা তারাদের মধ্যে অনেক আগেই কর্কট রাশিকে রেখেছিলেন বোঝাতে যে তিনি পুনরুত্থানের মধ্য দিয়ে তাঁর কাজটি শেষ করবেন I রাশি চক্রের কাহিনীটি সিংহ রাশি দিয়ে শেষ হয়েছে I
প্রাচীন জ্যোতিষ শাস্ত্রের মূলটি এখানে শিখুন I কন্যা রাশি দিয়ে এর শুরুটি পড়ুন I
তবে কর্কট রাশির সাথে সম্পর্কিত আরও লেখাগুলি পড়ুন:
- পুনরুত্থানের প্রথম ফল সমূহ: আপনার জন্য জীবন
- যীশু, জীবন মুক্তা, মৃতদের পবিত্র নগরে যাত্রা করে
- দিন 7, বিশ্রামে স্বস্তি
- যীশুর পুনরুত্থান: মিথ বা ইতিহাস?