বারাণসী সাত পবিত্র শহরগুলোর (সপ্ত পুরী) মধ্যে পবিত্রতম I প্রতি বছর 10 লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী তীর্থ-যাত্রায় আসে, অনেকে এর অবস্থান (যেখানে বরুণা এবং অসি গঙ্গায় যোগদান করে), এবং এর পৌরাণিক বিশিষ্টতা এবং ইতিহাসের কারণে তীর্থ-যাত্রার জন্য, জীবন মুক্ত রূপে আসে I এছাড়াও বেনারস, বারাণসী, অভিমুক্ত, বা কাশী (“আলোর শহর”) বলে পরিচিত, বারাণসী যেখানে শিব পাপের জন্য ক্ষমাকে দেখতে পেয়েছিলেন I
কাশী খন্ড (বৃহৎ তীর্থ স্থলের জন্য ‘ভ্রমণ নির্দেশিকা’ পুরাণ) অনুসারে, শিব ভৈরবের আকারে, এবং ব্রহ্মার সঙ্গে এক উত্তপ্ত বিতর্কে, ব্রহ্মার একটি মাথা তার দেহ থেকে বিছিন্ন করে ফেললেন I এই মারাত্মক অপরাধের কারণে, বিচ্ছিন্ন মাথাটি তার হাতে আটকে গেল – দোষ তার কাছ থেকে ছেড়ে গেল না I শিব/ভৈরব দোষ (এবং আটকানো মাথা) থেকে নিজেকে মুক্তি পেতে অনেক স্থানে ভ্রমণ করলেন কিন্তু যখন তিনি বারাণসীতে এলেন তখনই তার হাত থেকে বিচ্ছিন্ন মাথাটি ভেগে গেল I অতএব শিব অন্যান্য সমস্ত তীর্থগুলোর উপরে বারাণসীকে পচ্ছন্দ করলেন এবং আজ বারাণসীতে তাঁর প্রতি উৎসর্গীকৃত অনেক মঠ এবং লিঙ্গ সমূহ রয়েছে I
বারাণসী: মৃত্যুর পবিত্র নগর
কাল ভৈরব শিবের ভয়ংকর গুনাবলীর একটি প্রকাশ, এবং কাল (সংস্কৃত: काल) হয় ‘মৃত্যু’ বা ‘কালো’ কে বোঝায় I এটি বারাণসীতে ভৈরবকে মৃত্যুর প্রহরী করে তোলে I যম, মৃত্যুর আর এক দেবতা বারাণসীতে প্রবেশ করতে অক্ষম I এইভাবে ভৈরব আত্মাগুলোকে শাস্তি দেওয়া এবং সংগ্রহ করার ভূমিকা পুরণ করেন I বলা হয় যে যারা বারাণসীতে মারা যায় তারা ভৈরবের (ভৈরবী যাতনার) মুখোমুখি হবে I
অতএব বারাণসী মারা যাওয়া এবং অন্তিম সংস্কারের একটি শুভ স্থান, যেহেতু মৃত্যুর আধ্যাত্মিক বিষয়টি সেখানে শক্তিশালী, এবং সেখানে মৃত্যু এবং সংসার থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্রমবর্ধমান আশা রয়েছে I অনেকে তাদের নিকটবর্তী মৃত্যুর প্রত্যাশায় আসে এবং এর জন্য ধর্মশালায় অপেক্ষা করে I এই অর্থে জীবনের তীর্থযাত্রায় বারানসী চূড়ান্ত গন্তব্য স্থল I বারাণসীতে দুটি বিশিষ্ট দাহ সংস্কারের ঘাট আছে, মনিকর্নিকা এবং হরিশ্চন্দ্র I দুটির মধ্যে মনিকর্নিকা অধিক জনপ্রিয়, মৃত্যুর পবিত্র স্থান বলে পরিচিত, নদী সংলগ্ন স্থান যেখানে শ্মশানের আগুন অবিরত জ্বলতে থাকে I এক দিনে 30,000 পর্যন্ত শ্রদ্ধালু বারাণসীর গঙ্গার ঘাটগুলোতে স্নান করতে পারে I
তদনুসারে, সারা ভারত থেকে লোকেদের ঝাঁক বারাণসীতে মরতে আসে যাতে তাদের মৃত্যুর সময়ে শিবের থেকে নির্দেশ পেতে পারে কিভাবে পুনর্জন্মের চক্র ভাঙ্গতে পারে এবং এইভাবে মোক্ষ অর্জন করতে পারে I সংক্ষেপে, বারাণসী হ’ল মৃতদের পবিত্র নগর I তবে আরও একটি এই ধরণের নগর আছে এবং এটি ঠিক যেমন পবিত্র, তেমনই প্রাচীন…
যিরূশালেম: মৃত্যুর পবিত্র নগর
যিরূশালেমকে মৃতদের আর একটি পবিত্র নগর যা জানার যোগ্য হয় I সেখানে সমাধিস্থ হওয়া শুভ বলে বিবেচিত করা হয় যেহেতু বিশ্বাস করা হয় যে সমাধিস্থ হওয়া ব্যক্তিরা সর্বপ্রথম সেখানে মৃত্যু থেকে প্রথমে পুনরুত্থিত হবে, তাদের উপরে মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তির সন্ধান পাবে I ফলস্বরূপ, শতাব্দী ধরে, যিহূদিরা এই আসন্ন মুক্তির প্রত্যাশা করে সেখানে সমাধিস্থ হতে চেয়ে আসছে I
এটি ছিল এই পবিত্র নগরী যেখানে যীশু এসেছিলেন, সেই দিন যাকে এখন খর্জুর রবিবার বলা হয় I যে কায়দায় তিনি এরকম করলেন, এবং এর সময়সীমা তাঁকে জীবন মুক্ত (এমনকি জীবিত অবস্থায় মৃত্যু থেকে মুক্তি) হতে দেখিয়েছিল I তবে তিনি কেবল নিজের জন্য জীবন মুক্ত ছিলেন না, বরং আপনার এবং আমার জন্য জীবন মুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন I আমরা জানি মৃতদের পবিত্র শহরে প্রবেশের পাশাপাশি মৃত্যু থেকে লাসারকে জীবনে উত্থাপন করে কিভাবে তিনি এইরকম করলেন I সুসমাচারটি বিবৃত করে:
যীশু রাজা হিসাবে যিরূশালেমে আসেন
যোহন ১২:১২-১৯১২ পরের দিন অনেক লোক উত্সবে এসেছিল। তখন তারা শুনতে পেল যীশু যিরূশালেমে আসছেন,
১৩ তারা খেঁজুর পাতা নিয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেল এবং চিত্কার করতে লাগল, “হোশান্না! তিনি ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর নামে আসছেন, যিনি ইস্রায়েলের রাজা।”
১৪ যীশু একটা গাধাশাবক দেখতে পেলেন এবং তার ওপর বসলেন; যেরকম লেখা ছিল,
১৫ “ভয় কোরো না, সিয়োন কন্যা; দেখ, তোমার রাজা আসছেন, একটা গাধাশাবকের উপরে বসে আসছেন।”
১৬ তাঁর শিষ্যরা প্রথমে এই সব বিষয় বুঝতে পারেনি; কিন্তু যীশু যখন মহিমান্বিত হলেন, তখন তাঁদের মনে পড়ল যে, তাঁর বিষয়ে এই সব লেখা ছিল এবং তারা তাঁর প্রতি এই সব করেছে।
১৭ যীশু যখন লাসারকে কবর থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন তখন যে সব লোক তাঁর সঙ্গে ছিল এবং তিনি লাসারকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, সেই বিষয়ে তারা সাক্ষ্য দিচ্ছিল।
১৮ এটার আরও কারণ ছিল যে লোকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল কারণ তারা এই সব চিহ্ন কাজের কথা শুনেছিল।
১৯ ফরীশীরা ঐ কারণে তাদের মধ্যে বলতে লাগলো, “দেখ, তোমরা কিছু করতে পারবে না; দেখ, সারা জগত তাঁকে অনুসরণ করছে।”
কি ঘটেছিল তাকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করতে আমাদের বোঝা দরকার হিব্রু বেদ প্রাচীন রাজার প্রথা সম্পর্কে কি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I
দাউদের অশ্বমেধ যজ্ঞের রীতি
পিতৃপুরুষ রাজা দায়ূদ (১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) দিয়ে শুরু করে, হিব্রু রাজাগণ তাদের রাজকীয় ঘোড়ায় চড়ে একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিবছর পবিত্র নগর যিরূশালেমে প্রবেশ করতেনI যদিও প্রাচীন বৈদিক অশ্বমেধ/অশ্বমেধা যজ্ঞের বলি রূপ এবং পদ্ধতিতে আলাদা, উদ্দেশ্য একই ছিল – তাদের প্রজা এবং অন্যান্য শাসকদের উপরে সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব প্রমাণ করা I
সখরিয় দ্বারা ‘পৃথক’ প্রবেশের ভবিষ্যদ্বাণী
সখরিয়, যিনি আসন্ন রাজার নামের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, আরও পূর্বাভাষ দিয়েছিলেন যে এই আসন্ন রাজা যিরূশালেমে প্রবেশ করবেন, তবে রাজকীয় আরোহণের পরিবর্তে গাধার উপরে উপবিষ্ট হয়ে I বিভিন্ন হিব্রু ঋষিগণ এই উচ্চ অস্বাভাবিক ঘটনার বিভিন্ন বিষয়গুলোকে আগে থেকেই দেখেছিলেন I
সখরিয় এবং অন্যান্যরা যারা আসন্ন রাজার যিরূশালেমের প্রবেশকে আগে থেকেই দেখেছিলেন
উপরে সুসমাচারে উদ্ধৃত করা সখরিয়র ভবিষ্যদ্বাণীর অংশকে রেখাঙ্কিত করা হয়েছে I সখরিয়র সম্পূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীটি ছিল:
সীয়োনের রাজার আগমন
সখরিয় ৯:১১৯ হে সিয়োন কন্যা, উঁচুস্বরে আনন্দ কর! হে যিরূশালেম কন্যা, উল্লাস করো! দেখ! তোমার রাজা তোমার কাছে ধার্ম্মিকতায় আসছেন এবং তিনি উদ্ধার নিয়ে আসছেন; তিনি নম্র, তিনি গাধীর উপরে বসে আছেন, গাধীর একটি বাচ্চার উপরে আছেন।
১০ তখন আমি ইফ্রয়িমের রথ ও যিরূশালেমের সমস্ত ঘোড়া ধ্বংস করব এবং যুদ্ধ থেকে ধনুক ধ্বংস করা হবে; কারণ তিনি জাতিদের কাছে শান্তি ঘোষণা করবেন এবং তাঁর রাজত্ব সমুদ্র থেকে সমুদ্র পর্যন্ত হবে, নদী থেকে পৃথিবীর শেষ সীমা পর্যন্ত হবে।
১১ আর তোমরা, তোমাদের সঙ্গে আমার রক্তের নিয়মের জন্য, আমি তোমার বন্দীদের সেই গর্ত থেকে মুক্ত করেছি যেখানে কোনো জল নেই।
সখরিয় এক আসন্ন রাজার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যিনি অন্যান্য রাজাদের থেকে আলাদ হবেন I তিনি ‘রথ’, ‘যুদ্ধের ঘোড়া’, এবং ‘যুদ্ধের ধনুক’ ব্যবহার করে রাজা হবেন না I প্রকৃতপক্ষে, এই রাজা এই অস্ত্রগুলোকে অপসারণ করবেন এবং পরিবর্তে ‘জাতি সমূহের প্রতি শান্তি ঘোষণা করবেন’ I তবে, এই রাজাকে তখনও এক শত্রুকে পরাজিত করতে হবে – সব থেকে বড় শত্রু মৃত্যুকে I
এই রাজার মুখোমুখী হওয়ার বিষয়টি আমরা যখন বুঝতে পারি তখন এটি স্পষ্ট হয়ে যায় I সাধারণতঃ, একজন রাজার শত্রু এক বিরোধী জাতির অন্য আর একজন রাজা, বা অন্য শত্রু, বা তার লোকেদের মধ্য থেকে বিদ্রোহী, বা তার বিরোধী প্রজারা হয় I তবে ভাববাদী সখরিয় লিখেছিলেন যে একটি ‘গাধার’ উপরে প্রকাশিত রাজা ‘জলহীন খাই থেকে বন্দিদের মুক্ত করতে যাচ্ছিলেন’ (পদ ১১) I ‘খাই’ কে হিব্রু পদ্ধতিতে কবর বা মৃত্যুর কথা বোঝায় I এই আসন্ন রাজা যারা একনায়ক, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, দুষ্ট রাজার বন্দী ছিল বা কারাগারে আটকে ছিল তাদের নয়, যারা মৃত্যুর ‘বন্দী’ ছিল তাদেরকে মুক্ত করতে যাচ্ছিলেন I
মৃত্যু থেকে লোকেদের রক্ষা করার কথা যখন বলা হয় আমরা বুঝতে পারি শুধুমাত্র কারোর মৃত্যুকে বিলম্ব করা হয় I আমরা হয়ত, উদাহরণস্বরূপ, একজন ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করি বা কারোর জীবন বাঁচাতে ঔষধ প্রদান করি I এটি কেবল মৃত্যুকে স্থগিত করে কারণ ‘রক্ষা পাওয়া’ ব্যক্তি পরে মারা যাবে I তবে সখরিয় ‘মৃত্যু থেকে’ লোকেদের ‘রক্ষা করার’ বিষয়ে নয়, বরং মৃত্যু দ্বারা যারা বন্দী তাদের উদ্ধার করার বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করছিলেন – যারা ইতিমধ্যেই মৃত I সখরিয় দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা একটি গাধার উপরে আসা রাজা, মৃত্যুর মুখোমুখি হবেন এবং নিজেই পরাজিত করবেন – এর বন্দিদের মুক্ত করে I
খর্জুর রবিবারের দিনে যীশুর পরিপূর্ণতা
যীশু এখন খর্জুর রবিবার নামে খ্যাত দিনটিতে সখরিয়র ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে যিরূশালেমে প্রবেশের মাধ্যমে রাজকীয় ‘অশ্বমেধ’ যজ্ঞের মিছিলকে একীভূত করলেন I একটি যুদ্ধের ঘোড়ার পরিবর্তে তাঁকে একটি গাধার উপরে চড়ানো হয়েছিল I লোকেরা যেমন দায়ূদের জন্য করেছিলেন তেমনি যীশুর জন্য তাদের পবিত্র গীতা (গীসংহিতা) থেকে একই গান গাইলেন:
গীতসংহিতা ১১৮:২৫-২৭২৫ অনুগ্রহ করে আমাদের বিজয় দাও, সদাপ্রভুু।
২৬ ধন্য তিনি যিনি সদাপ্রভুুর নামে আসছেন; আমরা সদাপ্রভুুর ঘর থেকে তোমাদেরকে ধন্যবাদ করি।
২৭ সদাপ্রভুুই ঈশ্বর; তিনি আমাদেরকে আলো দিয়েছেন; তোমরা দড়ি দিয়ে উৎসবের বলি বেদির শিঙে বাঁধ।
লোকেরা তার প্রতি এই প্রাচীন গান গাইল কারণ তারা জানত যীশু লাসারকে উত্থাপন করেছেন, এবং তারা যিরূশালেমে তার আগমনকে প্রত্যাশিত করেছিল I তারা ‘হোশান্না’ অর্থাৎ ‘পরিত্রাহি’ বলে চীৎকার করছিল যেমন গীতসংহিতা ১১৮:২৫ বহু পূর্বে লিখেছিল I যীশু তাদেরকে কিসের থেকে ‘রক্ষা’ করতে যাচ্ছিলেন? ভাববাদী সখরিয় আমাদের বলেছিলেন – মৃত্যুকে স্বয়ং I কতটা উপযুক্ত ছিল যে একটি গাধার উপরে চড়ে মৃতদের পবিত্র নগরে প্রবেশ করার দ্বারা যীশু নিজেকে এই রাজা বলে ঘোষণা করলেন I
যীশু দুঃখের সাথে রোদন করলেন
খর্জুর রবিবারের দিনে যখন যীশু যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন (বিজয়ী প্রবেশ বলেও পরিচিত) ধর্মীয় নেতারা তাঁর বিরোধিতা করল I সুসমাচার তাদের বিরোধের প্রতি প্রতিক্রিয়া লিপিবদ্ধ করে I
৪১ পরে যখন তিনি কাছে আসলেন, তখন যিরূশালেম শহরটি দেখে তার জন্য দুঃখিত হয়ে ক্রন্দন করলেন,
৪২ বললেন, তুমি, তুমিই যদি আজকের দিনের যা যা শান্তিজনক তা বুঝতে! কিন্তু এখন সে সব তোমার দৃষ্টি থেকে গোপন থাকল।
৪৩ কারণ তোমার উপরে এমন দিন আসবে, যেদিনের তোমার শত্রুরা তোমার চারদিকে দেয়াল গাঁথবে, তোমাকে ঘিরে রাখবে, তোমাকে সবদিকে অবরোধ করবে,
৪৪ এবং তোমাকে ও তোমার মধ্যবর্তী তোমার সন্তানদের ভূমিসাৎ করবে, তোমার মধ্যে পাথরের উপরে পাথর থাকতে দেবে না; কারণ তোমার ঈশ্বরের তত্ত্বাবধানের দিন তুমি বোঝোনি।
লুক ১৯:৪১-৪৪
যীশুবললেন নেতাদের ‘এই দিনে’ ঈশ্বরের আগমনের সময়কে’ চেনা উচিত ছিল I
তিনি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন? তারা কি হারাল?
তারা তাদের বেদে ৫৩৩ বছর আগে দানিয়েলের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা ‘সত্তর সপ্তাহের’ হেঁয়ালিটি বুঝতে ভুল করেছিল I সত্তর সপ্তাহের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণীটি পাঁচশত বছর আগেও রাজার আগমনের দিনটিকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I
খর্জুর রবিবার শুভ ছিল যেহেতু সখরিয়র ভবিষ্যদ্বাণীগুলো (একটি গাধার উপরে চড়ে মৃত্যুকে পরাজিত করতে রাজার আসার বিষয়ে) এবং দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী সেই একই দিন এবং একই নগর – যিরূশালেমে, মৃতদের পবিত্র নগরে সম্মিলিত হয়েছিল I
জাতিদের মধ্যে আমাদের জন্য
এর শুভ অবস্থানের কারণে বারাণসী মৃতদের পবিত্র নগরের তীর্থ যাত্রা I তীর্থযাত্রীদের উপরে আশীর্বাদ একমাত্র তখনই আসে যদি তারা উপরে বর্ণিত ভৈরবের কাহিনীর অবস্থানে আসে I এই কারণেই এর অপর নাম হ’ল কাশী, আলোর শহর I
আমাদের জীবন মুক্ত হিসাবে যীশুর সাথে এটি ভিন্ন ছিল যেহেতু যিরূশালেমে মৃত্যুর উপরে তাঁর বিজয়, তাঁর হিসাবে, যিরূশালেমের বাইরে সমস্ত জাতিগণের কাছে অগ্রসর হবে I
কেন?
কারণ তিনি নিজেকে ‘জগতের আলো’ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন যার বিজয় যিরূশালেম থেকে বার হয়ে সমস্ত জাতিগণের দিকে যাবে – যেখানেই আপনি এবং আমি থাকি না কেন I যীশুর বিজয়ের দ্বারা অশির্বাদিত হতে আমাদের যিরূশালেমের যাত্রায় যেতে হবে না I আমরা দেখব কিভাবে সেই সপ্তাহে ঘটনাগুলো মৃত্যুর সাথে যুদ্ধের দিকে তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল I