ধর্মীয় আচারগতভাবে শুদ্ধ হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ? শুদ্ধতা বজায় রাখতে এবং অশুদ্ধতা এড়িয়ে যেতে? আমাদের মধ্যে অনেকে শুদ্ধতার বিভিন্ন পদ্ধতি সমূহকে এড়িয়ে যেতে বা কম করতে কঠিন পরিশ্রম করে, যেমন ছুয়াছুই, লোকেদের মধ্যে পারস্পরিক স্পর্শতা যা একে অপরকে অশুদ্ধ করে I অনেকে আবার অশুদ্ধ খাদ্য এড়িয়ে যায়, আর এক প্রকারের অশুদ্ধতা যেখানে আহার প্রস্তুতকারী একজনের অশুদ্ধতার কারণে আমাদের আহারের নিমিত্ত খাদ্যের মধ্যে অশুদ্ধতা উৎপন্ন হয় I
ধর্মগুলো শুদ্ধতা বজায় রাখে
যখন আপনি এটির উপরে প্রতিবিম্বিত করেন, আমরা বিধিগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে প্রচুর চেষ্টা করতে পারি I একটি শিশুর জন্মের পরে, মায়ের সুতকের নির্ধারিত নিয়মগুলো অনুসরণ করা উচিত, যা এক দীর্ঘ সময়ের জন্য সামাজিক দুরত্বকে অন্তর্ভুক্ত করে I জন্মের পরে যাচচাকে (নুতন মা) কিছু পরম্পরায় এক মাস ধরে অশুদ্ধ বিবেচনা করা হয় I কেবলমাত্র একটি শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়ার (সর) মাধ্যমে যা স্নান এবং মালিশকে অন্তর্ভুক্ত করে, মাকে পুনরায় শুদ্ধ বলে বিবেচনা করা হবে I জন্ম ছাড়াও, স্ত্রীর মাসিক রক্তস্রাবের সময় যা সাধারণত তাকে অশুদ্ধ করে বলে দেখা হয় তাই তাকেও ধর্মীয় আচারের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুদ্ধতা পুনর্লাভ করা উচিত I বিবাহের পূর্বে বা অগ্নি নৈবেদ্যের (হোম বা যজ্ঞ) আগে, শুদ্ধতা বজায় রাখতে অনেক লোক ধর্মীয় আচারের প্রক্রিয়া পালন করবে যাকে পুণ্যহবচনম বলা হয় যেখানে মন্ত্র উচ্চারণ করা হয় এবং লোকেদের উপরে জল ছিটানো হয় I
যে খাদ্য আমরা খাই, যে জিনিসগুলো বা লোকেদের আমরা স্পর্শ করি, বা আমাদের শারীরিক কার্যকলাপ যাই হোক না কেন, নানান পদ্ধতি সমূহ আছে যার দ্বারা আমরা শুদ্ধ হতে পারি I অতএব অনেকে শুদ্ধতা বজায় রাখতে কঠিন পরিশ্রম করে I এই জন্যই উত্তরণের আচার অনুষ্ঠানকে, সমস্কার (বা সংস্কার) বলে জানা যায়, যা দেওয়া হয়েছিল – যথাযথভাব সুদ্ধতার সাথে জীবনের মাধ্যমে প্রগতি করতে I
গৌতম ধর্ম সুত্র
প্রাচীনতম সংস্কৃত ধর্মসুত্রগুলোর মধ্যে গৌতম ধর্মসুত্র একটি অন্যতম I এর তালিকার মধ্যে 40টি বাহ্যিক সমস্কারগুলো (যেমন স্নানের পরে ধর্মীয় শুদ্ধতা) আছে তবে শুদ্ধতা বজায় রাখতে এছাড়াও আটটি অভ্যন্তরীণ সমস্কারগুলো আছে যেগুলোকে আমাদের অবশ্যই অনুশীলন করা উচিত I সেগুলো হ’ল:
সমস্ত প্রাণীর প্রতি সমবেদনা, ধৈর্য, হিংসার অভাব, বিশুদ্ধতা, প্রশান্তি, একটি ইতিবাচক মনোভাব রাখা, উদারতা এবং অধিকারের অভাব I
সমস্ত প্রাণীর প্রতি সমবেদনা, ধৈর্য, হিংসার অভাব, বিশুদ্ধতা, প্রশান্তি, ইতিবাচক মনোভাব, উদারতা এবং অধিকারের অভাব রয়েছে।
গৌতম ধর্ম-সুত্র 8:23
শুদ্ধতা এবং অশুদ্ধতার উপরে যীশু
আমরা দেখেছি যীশুর বাক্যের শক্তি কিভাবে কর্ত্তৃত্বর সাথে শিক্ষা দেয়, লোকেদের সুস্থ করে, এবং প্রকৃতিকে আজ্ঞা দেয় I এছাড়াও যীশু আমাদের অভ্যন্তরীণ শুদ্ধতার সম্বন্ধে আমাদেরকে চিন্তা করতে বললেন, এবং শুধুমাত্র বাহ্যিক নয় I যদিও আমরা অন্য লোকেদের বাহ্যিক শুদ্ধতাকে কেবলমাত্র দেখতে পারি, ঈশ্বরের পক্ষে এটি আলাদা – তিনি অভ্যন্তরকেও দেখেন I যখন ইস্রায়েলের রাজাদের মধ্যে একজন বাহ্যিক শুদ্ধতা বজায় রাখলেন, কিন্তু তার অভ্যন্তরীণ হৃদয়ের শুদ্ধতা পালন করলেন না, তার গুরু বাইবেলে লিপিবদ্ধ এই বার্তাটি নিয়ে এলেন:
কারণ সদাপ্রভুর প্রতি যাদের হৃদয় এক থাকে, তাদের জন্য নিজেকে বলবান দেখাবার জন্য তাঁর চোখ পৃথিবীর সব জায়গায় থাকে।
২ বংশাবলী ১৬:৯এ
অভ্যন্তরীণ শুদ্ধতার সম্পর্ক আমাদের ‘হৃদয়ের’ সাথে হয় – যে ‘আপনি’ যা ভাবে, অনুভব করে, সিদ্ধান্ত নেয়, সমর্পণ করে, মান্য করে এবং জিভকে নিয়ন্ত্রণ করে I কেবল আমাদের অভ্যন্তরীণ সুদ্ধতার সাথে আমাদের সমস্কার কার্যকর হবে I তাই যীশু তার শিক্ষায় বাহ্যিক শুদ্ধতার বিপরীত এটির উপরে জোর দিয়েছিলেন I এখানে সুসমাচার অভ্যন্তরীণ শুদ্ধতা সম্পর্কে তার শিক্ষাকে লিপিবদ্ধ করে I
লুক ১১:৩৭-৪৪৩৭ তিনি কথা বলছেন, এমন দিনের একজন ফরীশী তাঁকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করল, আর তিনি ভিতরে গিয়ে খেতে বসলেন।
৩৮ ফরীশী দেখে আশ্চর্য্য হলো, কারণ খাবার আগে তিনি স্নান করেননি।
৩৯ কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, “তোমরা ফরীশীরা তো পান করার পাত্র ও খাওয়ার পাত্র্রের বাইরে পরিষ্কার কর, কিন্তু তোমাদের ভিতরে লোভ ও দুষ্টতায় পরিপূর্ণ।
৪০ নির্বোধেরা, যিনি বাইরের অংশ তৈরি করেছেন, তিনি কি ভেতরের অংশও তৈরি করেননি?
৪১ বরং ভিতরে যা যা আছে, তা দান কর, তাহলে দেখবে, তোমাদের পক্ষে সব কিছুই শুদ্ধ।
৪২ কিন্তু ফরীশীরা, ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা পুদিনা, ধনে ও সমস্ত প্রকার শাকের দশমাংশ দান করে থাক, আর ন্যায়বিচার ও ঈশ্বরের প্রেম উপেক্ষা করে থাক, কিন্তু এসব পালন করা এবং ঐ সমস্ত পরিত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
৪৩ ফরীশীরা, ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা সমাজঘরে প্রধান আসন, ও হাটে বাজারে লোকদের শুভেচ্ছা পেতে ভালবাসো।
৪৪ ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা এমন গোপন কবরের মতো, যার উপর দিয়ে লোকে না জেনে যাতায়াত করে।”
৫২ ব্যবস্থার গুরুরা, ধিক তোমাদের, কারণ তোমরা জ্ঞানের চাবি নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছ, আর নিজেরাও প্রবেশ করলে না এবং যারা প্রবেশ করছিল, তাদেরও বাধা দিলে।”
দিচ্ছ৷’লুক ১১:৫২
(‘ফরীশীরা’ স্বামী বা পন্ডিতদের অনুরূপ, যিহূদি শিক্ষক ছিলেন I যীশু ঈশ্বরকে ‘দশমাংশ’ দেওয়ার উল্লেখ করেছেন I এটি ছিল ধর্মীয় ভিক্ষা দান)
একটি মৃত শরীর স্পর্শ করা যিহূদি ব্যবস্থায় অশুদ্ধতা ছিল I যীশু যখন বললেন তারা ‘চিহ্নবিহীন কবরের’ দিয়ে হেঁটে গেছে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে তারা এমনকি এটি না জেনেও অশুচি ছিল কারণ তারা অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছনতাকে উপেক্ষা করছিল I অভ্যন্তরীণ শুদ্ধতাকে উপেক্ষা করা আমাদেরকে একটি মৃত দেহ স্পর্শ করার মতন অশুদ্ধ করে I
ধর্মীয়ভাবে শুদ্ধ ব্যক্তিকে হৃদয় অপবিত্র করে
নিম্নলিখিত শিক্ষায়, যীশু ভাববাদী যিশাইয় থেকে উদ্ধৃত করলেন যিনি ৭৫০ খ্রীষ্টাব্দে বাস করতেন I
ঐতিহাসিক কালপঞ্জির মধ্যে ঋষি যিশাইয় এবং অন্যান্য হিব্রু ঋষিগণ (ভাববাদীরা)
মথি ১৫:১-২০১ তখন যিরুশালেম থেকে কয়েকজন ফরীশীরা ও ব্যবস্থার শিক্ষকরা যীশুর কাছে এসে বললেন,
২ আপনার শিষ্যরা কি জন্য প্রাচীন পূর্বপুরুষদের নিয়ম কানুন পালন করে না? কারণ খাওয়ার দিনের তারা হাত ধোয় না।
৩ তিনি এর উত্তরে তাদের বললেন, “তোমরাও তোমাদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের আদেশ অবজ্ঞা কর কেন?”
৪ কারণ ঈশ্বর আদেশ করলেন, “তুমি তোমার বাবাকে ও মাকে সম্মান করবে, আর যে কেউ বাবার কি মায়ের নিন্দা করে, তার মৃত্যুদণ্ড অবশ্যই হবে।”
৫ কিন্তু তোমরা বলে থাক, যে ব্যক্তি বাবাকে কি মাকে বলে, “আমি যা কিছু দিয়ে তোমার উপকার করতে পারতাম, তা ঈশ্বরকে উত্সর্গ করা হয়েছে,”
৬ সেই ব্যক্তির বাবাকে বা তার মাকে আর সম্মান করার দরকার নেই, এই ভাবে তোমরা নিজেদের পরম্পরাগত নিয়ম কানুনের জন্য ঈশ্বরের বাক্যকে অগ্রাহ্য করছ।
৭ ভণ্ডরা, যিশাইয় ভাববাদী তোমাদের বিষয়ে একদম ঠিক কথা বলেছেন,
৮ “এই লোকেরা শুধুই মুখে আমার সম্মান করে, কিন্তু এদের হৃদয় আমার থেকে দূরে থাকে
৯ আর এরা বৃথাই আমার আরাধনা করে এবং মানুষের বানানো নিয়মকে প্রকৃত নিয়ম বলে শিক্ষা দেয়।”
১০ পরে তিনি লোকদেরকে কাছে ডেকে বললেন, “তোমরা শোনো ও বোঝ।
১১ মুখের ভেতরে যা কিছু যায়, তা যে মানুষকে অপবিত্র করে, এমন নয়, কিন্তু মুখ থেকে যা বের হয়, সে সব মানুষকে অপবিত্র করে।”
১২ তখন শিষ্যরা কাছে এসে তাঁকে বললেন, “আপনি কি জানেন, এই কথা শুনে ফরীশীরা আঘাত পেয়েছে?”
১৩ তিনি এর উত্তরে বললেন, “আমার স্বর্গীয় পিতা যে সমস্ত চারা রোপণ করেননি, সে সমস্তই উপড়িয়ে ফেলা হবে।”
১৪ ওদের কথা বাদ দাও, ওরা নিজেরা অন্ধ হয়ে অন্য অন্ধদের পথ দেখায়, অন্ধ যদি অন্ধকে পথ দেখায় তবে দুজনেই গর্তে পড়বে।
১৫ পিতর তাঁকে বললেন, “এই গল্পের অর্থ আমাদেরকে বুঝিয়ে দিন।”
১৬ তিনি বললেন, “তোমরাও কি এখনও বুঝতে পার না?
১৭ এটা কি বোঝ না যে, যা কিছু মুখের ভিতরে যায়, তা পেটের মধ্যে যায়, পরে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়?
১৮ কিন্তু যা যা মুখ থেকে বের হয়, তা হৃদয় থেকে আসে, আর সেগুলোই মানুষকে অপবিত্র করে।”
১৯ কারণ হৃদয় থেকে কুচিন্তা, নরহত্যা, ব্যভিচার, বেশ্যাগমন, চুরি, মিথ্যাসাক্ষ্য, ঈশ্বরনিন্দা বের হয়ে আসে।
২০ এই সমস্তই মানুষকে অপবিত্র করে, কিন্তু হাত না ধুয়ে খাবার খেলে মানুষ তাতে অপবিত্র হয় না।
আমাদের হৃদয় থেকে যা বেরিয়ে আসে তা আমাদের অশুদ্ধ করে I গৌতম ধর্মসূত্রে তালিকাভুক্ত শুদ্ধ চিন্তার তালিকার প্রায় ঠিক বিপরীত যীশুর অশুদ্ধ চিন্তার তালিকা I এইভাবে তারা একই শিক্ষা দেয় I
ম্থি ২৩:২৩-২৮২৩ ধর্মশিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা পুদিন না, মৌরি ও জিরার দশমাংশ দিয়ে থাক, আর ব্যবস্থার মধ্যে প্রধান বিষয়, ন্যায়বিচার, দয়া ও বিশ্বাস ত্যাগ করেছ, কিন্তু এ সব পালন করা এবং ঐ গুলিও ত্যাগ না করা, তোমাদের উচিত ছিল।
২৪ অন্ধ পথ পরিচালনাকারীরা, তোমরা মশা ছেঁকে ফেল, কিন্তু উট গিলে খাও।
২৫ ধর্মশিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা পান করার পাত্র ও খাওয়ার পাত্রের বাইরে পরিষ্কার করে থাক, কিন্তু সেগুলির ভেতরে দৌরাত্ম্য ও অন্যায়ে ভরা।
২৬ অন্ধ ফরীশী, আগে পান পাত্রের ও খাওয়ার পাত্রের ভেতরেও পরিষ্কার কর, যেন তা বাইরেও পরিষ্কার হয়।
২৭ ব্যবস্থার শিক্ষকেরা ও ফরীশীরা, হে ভণ্ডরা, ধিক তোমাদের! কারণ তোমরা চুনকাম করা কবরের মতো, যা বাইরে দেখতে খুবই সুন্দর, কিন্তু ভেতরে মরা মানুষের হাড় ও সব রকমের অশুচিতায় ভরা।
২৮ একইভাবে তোমরাও বাইরে লোকদের কাছে নিজেদের ধার্মিক বলে দেখিয়ে থাক, কিন্তু ভিতরে তোমরা ভণ্ড ও পাপে পরিপূর্ণ।
যে কোনো পেয়ালায় আপনি পান করুন, আপনি চাইবেন ভেতরটা পরিষ্কার হোক, কেবল বাইরেটা নয় I এই দৃষ্টান্তটির মধ্যে আমরা হলাম পেয়ালা I ঈশ্বরও চান আমরা ভেতর থেকে পরিষ্কার হই, কেবল বাইরেটা নয় I
আমরা সবাই যা দেখেছি যীশু তা উল্লেখ করছেন I ধর্মীয়দের মধ্যে বাহ্যিক পরিচ্ছনতা অনুসরণ করা একেবারে সাধারণ বিষয় হতে পারে, তবে অনেকে এখনও অভ্যন্তরে লোভ এবং প্রবৃত্তিতে পরিপূর্ণ – এমনকি তারাও যারা ধর্মীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ I অভ্যন্তরীণ শুদ্ধতা অর্জন করা প্রয়োজন – তবে এটি অনেক কঠিন I
যীশু গৌতম ধর্মসূত্রের মতই অনেক কিছু শিক্ষা দিলেন, যা আটটি অভ্যন্তরীণ সংস্কারের তালিকা তৈরি করার ঠিক পরে বলে:
একজন লোক যে চল্লিশ সংস্কার সমূহ পালন করেছে কিন্তু এই আট গুণগুলোর অভাব আছে সে ব্রহ্মার সাথে একাত্মতা অর্জন করে না I
একজন লোক যে চল্লিশ সংস্কার সমূহের মধ্যে কেবল কিছু পালন করেছে কিন্তু এই আট গুণগুলোর অধিকারী, অন্য দিকে, সে ব্রহ্মার সাথে একাত্মতা অর্জন করতে নিশ্চিত হয় I
গৌতম ধর্ম-সুত্র ৮:২৪-২৫
অতএব সমস্যাটি উত্থিত হয়েছে I কিভাবে আমরা আমাদের হৃদয়কে শুদ্ধ করি যাতে আমরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারি – ব্রহ্মার সাথে একাত্মতা? দ্বিজা সম্পর্কে শিখতে আমরা সুসমাচারের মধ্যে দিয়ে চলতে যাচ্ছি I