একুআরিয়াস, বা কুম্ভ রাশি, প্রাচীন রাশি চক্র কাহিনীর ষষ্ঠ রাশিফল এবং সেই অংশ যা রাশিচক্রের ইউনিট আসন্ন একজনের বিজয় সম্বন্ধে আমাদের জন্য ফলাফল প্রকাশ করছে I কুম্ভরাশি, ‘জল বহনকারী’ ল্যাটিনের থেকে আসে, এমন এক লোকের চিত্র গঠন করে যে একটি ঐশ্বরিক পাত্র থেকে জলের নদী ঢালছে I আধুনিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে আপনি কুম্ভরাশির জন্য প্রেম, সৌভাগ্য, স্বাস্থ্য এবং আপনার রাশিফলের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি লাভের জন্য রাশিফলের পরামর্শ অনুসরণ করুন I
কিন্তু কুম্ভরাশি দেখায় যে সম্পদ, ভাগ্য এবং সুখের জন্য আমাদের তৃষ্ণা অপর্যাপ্ত I কুম্ভরাশিতে কেবলমাত্র মানুষই এমন জল সরবরাহ করতে পারে যা আমাদের তৃষ্ণা মেটাবে I প্রাচীন রাশিচক্রে কুম্ভরাশি সমস্ত মানুষকে তার জল সরবরাহ করে I সুতরাং আপনি যদি আধুনিক রাশিফল অর্থে কুম্ভ না হন তবে কুম্ভরাশির তারাদের প্রাচীন জ্যোতিষশাস্ত্রীয় কাহিনীটি জানা দরকার যাতে আপনি তার জল পান করবেন কিনা বেছে নিতে পারবেন I
তারাগুলির মধ্যে নক্ষত্রমন্ডলের কুম্ভরাশি
এখানে কুম্ভরাশির গঠনকারী তারাগুলি রয়েছে I আপনি কি এই তারার ছবিতে একজন মানুষের সদৃশ্য কিছু দেখতে পাচ্ছেন যে একটি পাত্র থেকে জল ঢালছে?
এমনকি আমরা যদি কুম্ভরাশির মধ্যে তারাগুলিকে সংযুক্ত করি তবে এ জাতীয় কোনো চিত্রকে ‘দেখতে’ অসুবিধা থেকে যায় I কিভাবে কেউ এমনকি একজন মানুষের সম্বন্ধে ভাবতে পারে যে এর থেকে মাছের উপরে জল ঢালছে?
তবে এই চিহ্নটি মানব ইতিহাসে আমরা যতদুর জানি ফিরে চলে যায় I 2000 বছরের বেশি পুরনো মিশরের দেন্ডেরা মন্দিরে এই রাশিচক্রটি, জলবহনকারী লাল রঙের বৃত্তাকারে কুম্ভ রাশির চিত্রটির সাথে রয়েছে I পাশের নকসায় আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে জলটি একটি মাছের দিকে প্রবাহিত হয়েছে I
এখানে রাশিচক্রের একটি জাতীয় ভৌগলিক পোস্টার রয়েছে যা দক্ষিণ গোলার্ধে কুম্ভরাশিকে যেমন দেখা যায় তা দেখায় I
এমনকি কুম্ভরাশির গঠনকারী তারাগুলিকে রেখা সমূহের সাথে সংযুক্ত করার পরেও এই তারা নক্ষত্র মন্ডলের মধ্যে কোনও মানুষ, পাত্র জল ঢালার মতন সাদৃশ্যপূর্ণ কোনকিছুকে ‘দেখা’ মুশকিল I তবে নীচে কুম্ভরাশির কিছু সাধারণ চিত্র দেওয়া আছে
কুম্ভরাশি এবং জলের নদী
কুম্ভরাশিকে পিসসিস অস্ট্রালিস – দক্ষিণের মাছকে জল ঢালতে দেখা যায়
পূর্ববর্তী চক্ররাশির নক্ষত্রমন্ডলের ন্যায়, জল-বহনকারীর চিত্রটি স্বয়ং নক্ষত্র মন্ডল থেকে সুস্পষ্ট নয় I এটি তারা নক্ষত্রমন্ডলের মধ্যে সহজাত নয় I বরং জল-বহনকারী ধারনাটি প্রথমে এসেছিল I তারপরে প্রথম জ্যোতিষীরা একটি স্মৃতি সহায়ক হিসাবে এই ধারনাটিকে তারাগুলির উপরে একটি চিত্র রূপে আবৃত করেন I প্রাচীনরা তাদের সন্তানদের চিত্রটি সম্বন্ধে সংকেত দিতে পারতেন এবং জল-বহনকারীর সাথে সম্পর্কিত কাহিনীটি বলতে পারতেন I এটি এর আসল জ্যোতিষ সংক্রান্ত উদ্দেশ্য ছিল যেমন আমরা এখানে দেখলাম I
কিন্তু কেন? এবং প্রাচীনদের কাছে এর অর্থ কি ছিল?
কুম্ভরাশি থেকে মাছের দিকে জলটি প্রবাহিত হওয়ার কারণে কেন প্রাচীন সময় থেকে কুম্ভরাশি দক্ষিণের মাছ নক্ষত্র মন্ডলের সাথে সংযুক্ত হয়েছে?
প্রাচীন চক্ররাশির কাহিনী
আমরা দেখলাম যে বাইবেলের প্রাচীন বইগুলি ঘোষণা করে যে ঈশ্বর নক্ষত্র মন্ডলকে তৈরী করেছিলেন I মানব জাতির মার্গদর্শনকারী তাঁর কাহিনীর মধ্যে সেগুলি চিহ্ন সমূহ হিসাবে কাজ করেছিল I এইরূপে আদম/মনু এবং তার পুত্ররা তাদের বংশধরদের ঈশ্বরের পরিকল্পনার নির্দেশ দিয়ে সেগুলিকে শিক্ষা দিয়েছিলেন I কন্যা রাশি কুমারীর আসন্ন পুত্র – যীশুর সম্পর্কে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন I আমরা মহান সংঘর্ষের কাহিনীর মধ্য দিয়ে আমাদের পথে কাজ করেছি এবং এখন আমরা দ্বিতীয় ইউনিটে আছি যা আমাদের কাছে তার বিজয়ের উপকার সমূহ প্রকাশ করছে I
কুম্ভরাশির মূল অর্থ
কুম্ভরাশি প্রাচীনদের দুটি দুর্দান্ত সত্য বলেছিলেন যা আজও আমাদের জ্ঞানের কথা বলে I
- আমরা তৃষ্ণার্ত লোক (দক্ষিণী মাছের দ্বারা জলের মধ্যে পান করতে দেখা গেছে)
- মানুষের জলই একমাত্র জল যা শেষপর্যন্ত আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করবে I
এই সত্য দুটিকে প্রাচীন ঋষি/ভাববাদীদের দ্বারাও শেখানো হয়েছিল I
আমরা তৃষ্ণার্ত
প্রাচীন ভাববাদীরা বিভিন্নভাবে আমাদের তৃষ্ণার কথা লিখেছিলেন I গীতসংহিতা (প্রাচীন গীতা) এটিকে এইভাবে প্রকাশ করেছে:
1হরিণী যেমন জলস্রোতের আকাঙ্ক্ষা করে,
তেমনি, হে ঈশ্বর, আমার প্রাণ তোমার আকাঙ্ক্ষা করিতেছে।
2ঈশ্বরের জন্য, জীবন্ত ঈশ্বরের জন্য আমার প্রাণ তৃষ্ণার্ত্ত।
আমি কখন আসিয়া ঈশ্বরের সাক্ষাতে উপস্থিত হইব?
গীতসংহিতা 42:1-2
1হে ঈশ্বর, তুমি আমার ঈশ্বর; আমি সযত্নে তোমার অন্বেষণ করিব;
আমার প্রাণ তোমার জন্য পিপাসু, আমার মাংস তোমার জন্য লালায়িত,
গীতসংহিতা 63:1
শুষ্ক ও শ্রান্তিকর দেশে, জলবিহীন দেশে।
কিন্তু যখন অন্য “জলের” সাথে এই তৃষ্ণা মেটাতে চেষ্টা করি তখন সমস্যাগুলি দেখা দেয় I যিরমিয় শিক্ষা দিয়েছিলেন এটি আমাদের পাপের মূল ছিল I
13কেননা আমার প্রজাবৃন্দ দুই দোষ করিয়াছে;
জীবন্ত জলের উনুই যে আমি, আমাকে তাহারা ত্যাগ করিয়াছে;
আর আপনাদের জন্য কূপ খুদিয়াছে,
সেগুলি ভগ্ন কূপ, জলাধার হইতে পারে না।
যিরমিয় 2:13
আমরা জলের যে জলাধারগুলিকে অনুসরণ করি তা অনেক: অর্থ, যৌন, আনন্দ, কাজ, পরিবার, বিবাহ, মর্যাদা I কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত তৃপ্ত করবে না এবং এখনও আরও বেশির জন্য ‘তৃষ্ণার্ত’ হয়ে পড়ি I তার প্রজ্ঞার জন্য বিখ্যাত মহারাজা সলোমন এটিই আমাদের মায়া হিসাবে লিখেছিলেন I কিন্তু আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করতে আমরা কি করতে পারি?
আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ করতে স্থায়ী জল
এছাড়াও এই প্রাচীন ভাববাদীগণ এমন এক সময়কে আগে থেকে দেখেছিলেন যখন আমাদের তৃষ্ণা নিবারণ হবে I মশির রূপে যত দূর সম্ভব তারা সেই দিনটির অপেক্ষা করেছিল যখন:
7উহার কলস হইতে জল উথলিয়া উঠিবে,
উহার বীজ অনেক জলে সিক্ত হইবে,
উহার রাজা অগাগ অপেক্ষাও উচ্চ হইবেন,
উহার রাজ্য উন্নত হইবে।
গণনাপুস্তক 24:7
এর পরে এটি ভাববাদী যিশাইয়র বার্তা সমূহের সাথে অনুসরণ করা হয়েছিল
1দেখ, এক রাজা ধার্ম্মিকতায় রাজত্ব করিবেন, ও শাসনকর্ত্তৃগণ ন্যায়ে শাসন করিবেন। 2যেমন বাত্যা হইতে আচ্ছাদন, ও ঝটিকা হইতে অন্তরাল, যেমন শুষ্ক স্থানে জলস্রোত ও শ্রান্তিজনক ভূমিতে কোন প্রকাণ্ড শৈলের ছায়া, এক জন মনুষ্য তদ্রূপ হইবেন।
যিশাইয় 32:1-2
17দুঃখী দরিদ্রগণ জল অন্বেষণ করে কিন্তু জল নাই,
তাহাদের জিহ্বা তৃষ্ণাতে শুষ্ক হইয়াছে;
আমি সদাপ্রভু তাহাদিগকে উত্তর দিব,
আমি ইস্রায়েলের ঈশ্বর তাহাদিগকে ত্যাগ করিব না।
যিশাইয় 41:17
সুতরাং তৃষ্ণা কিভাবে নিবারিত হবে? যিশাইয় অব্যাহত রাখলেন
3কেননা আমি তৃষিত ভূমির উপরে জল,
এবং শুষ্ক স্থানের উপরে জলপ্রবাহ ঢালিয়া দিব;
আমি তোমার বংশের উপরে আপন আত্মা, তোমার সন্তানদের উপরে আপন আশীর্ব্বাদ, ঢালিব।
যিশাইয় 44:3
সুসমাচারের মধ্যে, যীশু ঘোষণা করলেন যে তিনিই সেই জল
37শেষ দিন, পর্ব্বের প্রধান দিন, যীশু দাঁড়াইয়া উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন, কেহ যদি তৃষ্ণার্ত্ত হয়, তবে আমার কাছে আসিয়া পান করুক। 38যে আমাতে বিশ্বাস করে, শাস্ত্রে যেমন বলে, তাহার অন্তর হইতে জীবন্ত জলের নদী বহিবে। 39যাহারা তাঁহাতে বিশ্বাস করিত, তাহারা যে আত্মাকে পাইবে, তিনি সেই আত্মার বিষয়ে এই কথা কহিলেন; কারণ তখনও আত্মা দত্ত হন নাই, কেননা তখনও যীশু মহিমাপ্রাপ্ত হন নাই।
যোহন 7:37-39
তিনি শিখিয়েছিলেন যে ‘জল’ যা নিবারণ করে তা হ’ল তাঁর আত্মা বা প্রাণ যিনি পেন্টেকোস্টের দিনে লোকেদের অভ্যন্তরে বাস করতে এসেছিলেন I এটি ছিল আংশিক পূর্ণতা, যেটিকে ঈশ্বরের রাজ্যে চূড়ান্ত করা হবে যেমন এটি বলে:
1আর তিনি আমাকে “জীবন-জলের নদী” দেখাইলেন, তাহা স্ফটিকের ন্যায় উজ্জ্বল, তাহা ঈশ্বরের ও মেষশাবকের সিংহাসন হইতে নির্গত হইয়া তথাকার চকের মধ্যস্থানে বহিতেছে;
প্রকাশিত বাক্য 22:1
তৃষ্ণার্ত দক্ষিণী মাছ
মাছ অপেক্ষা জল কে ভালবাসে? সুতরাং কুম্ভরাশিকে পিসসিস অস্ট্রালিস – দক্ষিণী মাছকে তার জল ঢালতে চিত্রিত করা হয় I এটি সহজ সত্যকে চিত্রিত করে যে মানুষটির – কুমারীর বীজ – দ্বারা বিজয় এবং আশির্বাদ – নিশ্চিতভাবে তাদের দ্বারা প্রাপ্ত হবে যাদের জন্য তাদের অভীষ্ট করা হয়েছে I কিন্তু এটিকে পেতে হলে আমাদের দরকার:
1অহো, তৃষিত লোক সকল,
তোমরা জলের কাছে আইস;
যাহার রৌপ্য নাই, আইসুক; তোমরা আইস, খাদ্য ক্রয় কর, ভোজন কর;
হাঁ, আইস, বিনা রৌপ্যে খাদ্য, বিনা মূল্যে দ্রাক্ষারস ও দুগ্ধ ক্রয় কর।
2কেন অখাদ্যের নিমিত্ত রৌপ্য তৌল করিতেছ,
যাহাতে তৃপ্তি নাই, তাহার জন্য স্বস্ব শ্রমফল দিতেছ?
শুন, আমার কথা শুন, উত্তম ভক্ষ্য ভোজন কর,
পুষ্টিকর দ্রব্যে তোমাদের প্রাণ আপ্যায়িত হউক।
3কর্ণপাত কর, আমার নিকটে আইস;
শ্রবণ কর, তোমাদের প্রাণ সঞ্জীবিত হইবে;
আর আমি তোমাদের সহিত এক নিত্যস্থায়ী নিয়ম করিব,
দায়ূদের [প্রতি কৃত] অটল দয়া স্থির করিব।
যিশাইয় 55:1-3
এই আশীর্বাদ প্রাপ্ত বহু লোকের ছবিটি মীন রাশির মাছ গুলিতে আরও বিশদভাবে দেওয়া হয়েছে I তার জলের উপহার সকলের জন্য উপলব্ধ – আপনি এবং আমি অন্তর্ভুক্ত I
কুম্ভরাশির রাশিফল
গ্রীক ‘হোরো’ (মুহূর্ত) থেকে এসেছে এবং তাই এর অর্থ হ’ল বিশেষ মুহুর্তের চিহ্নিতকরণ I ভবিষ্যদ্বাণীমূলক লেখাগুলি এই পদ্ধতিতে যীশুর মাধ্যমে কুম্ভরাশির ‘হোরো’ কে চিহ্নিত করে I
13যীশু উত্তর করিয়া তাহাকে কহিলেন, যে কেহ এই জল পান করে, তাহার আবার পিপাসা হইবে; 14কিন্তু আমি যে জল দিব, তাহা যে কেহ পান করে, তাহার পিপাসা আর কখনও হইবে না; বরং আমি তাহাকে যে জল দিব, তাহা তাহার অন্তরে এমন জলের উনুই হইবে, যাহা অনন্ত জীবন পর্য্যন্ত উথলিয়া উঠিবে।21যীশু তাহাকে বলেন, হে নারি, আমার কথায় বিশ্বাস কর; এমন সময় আসিতেছে, যখন তোমরা না এই পর্ব্বতে, না যিরূশালেমে পিতার ভজনা করিবে। 22তোমরা যাহা জান না, তাহার ভজনা করিতেছ; আমরা যাহা জানি, তাহার ভজনা করিতেছি, কারণ যিহূদীদের মধ্য হইতেই পরিত্রাণ। 23কিন্তু এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন প্রকৃত ভজনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।
যোহন 4:13-14, 21-23
সুতরাং আমরা এখন কুম্ভরাশির ‘সময়ে’ আছি I এই সময়টি মকররাশির মতন সংক্ষিপ্ত নির্দিষ্ট সময় নয় I পরিবর্তে এটি একটি দীর্ঘ এবং প্রশস্ত উন্মুক্ত সময় যা সেই কথোপথনের সময় থেকে আজ অবধি প্রসারিত I কুম্ভরাশির এই সময়টিতে, যীশু আমাদের এমন জল সরবরাহ করেন যা আমাদের মধ্যে অনন্তকালীন জীবনের জন্য অনুকুল হবে I
আপনার কুম্ভরাশির অধ্যয়ন
আপনি কুম্ভরাশির অধ্যয়নটিকে আজকের দিনে নিম্নলিখিত উপায়ে প্রয়োগ করতে পারেন I
কুম্ভরাশি বলে ‘নিজেকে জানুন’ I নিজের ভেতরে এমন গভীরতা কি যা আপনাকে তৃষ্ণার্ত করে? এই তৃষ্ণা কিভাবে নিজেকে আপনার চারপাশের দেখা লোকেদের বৈশিষ্ট্য সমূহ হিসাবে দেখায়? অর্থ, দীর্ঘ জীবন, যৌন, বিবাহ, রোমান্টিক সম্পর্ক বা আরও ভাল খাবার এবং পানীয় যাই হোক না কেন আপনি সম্ভবত ‘আরও কিছুর’ জন্য, অস্পষ্ট তৃষ্ণার সম্পর্কে কেবলমাত্র অবগত রয়েছেন I সেই তৃষ্ণা আপনাকে ইতিমধ্যে আপনার নিকটবর্তীদের সাথে বেমানান করে তুলতে পারে, সে আপনার সহকর্মী, পরিবারের সদস্য, প্রেমিক যেই হোক না কেন, আপনার যে কোনও সম্পর্কের মধ্যে হতাশার কারণ ঘটবে I সতর্ক থাকুন যে আপনার কাছে যা আছে তাকে যেন তৃষ্ণা হারাতে না দেয় I
‘জীবন্ত জল’ বলতে কি বোঝায় তা জিজ্ঞাসা করার এখনই ভাল সময় I এর বৈশিষ্ট্যগুলি কি? কুম্ভরাশির প্রস্তাবকে বর্ণনা করার জন্য ‘অনন্ত জীবন,’ ‘ঝর্না,’ ‘আত্মা,’ এবং ‘সত্য’ এর মতন শব্দগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল I তারা ‘প্রাচুর্য,’ ‘তৃপ্তি,’ ‘সতেজকরণের’ মতন বৈশিষ্ট্যগুলিকে মনে নিয়ে আসে I এটি আপনার সম্পর্ককে ঘুরিয়ে দিতে পারে যাতে আপনি কেবল একজন ‘গ্রহণকারী’ না হয়ে ‘দাতা’ হন I তবে এটি আপনার তৃষ্ণাকে জেনে এবং আপনাকে কি চালায় সে সম্পর্কে সৎ হয়ে সমস্তটা শুরু করে I এই কথোপকথনে মহিলার উদাহরণ অনুসরণ করুন এবং দেখুন যেভাবে তিনি প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিলেন তা আপনি শিখতে পারেন কি না I আপনার হৃদয় পরীক্ষা করার সাথে সাথে একটি মূল্যবান জীবনযাপন আসে I
আরও রাশিচক্রের কাহিনীর মাধ্যমে এবং কুম্ভ রাশির আরও গভীরে
কুম্ভরাশিকে তারাগুলির মধ্যে স্থাপন করা হয়েছিল যাতে সকলে মনে রাখবে যে আমরা এই জীবনে আরও অধিক কিছুর জন্য তৃষ্ণা করি এবং কন্যার বীজ আমাদের মধ্যে সেই তৃষ্ণাকে নিবারণ করতে এসেছিলেন I
প্রাচীন রাশিচক্রের কাহিনীকে মীনরাশি অব্যাহত রাখে I প্রাচীন জ্যোতিষ শাস্ত্রের ভিত্তিকে এখানে শিখুন I
কুম্ভরাশির লিখিত বার্তাটিকে গভীরভাবে বুঝতে দেখুন:
- প্রাচুর্যের মায়াতে সলোমনের প্রজ্ঞা
- গঙ্গায় তীর্থের চশমার মাধ্যমে জীবন্ত জল
- যীশু শিক্ষা দিয়েছিলেন যে প্রাণ দ্বিজের দিকে চালিত করে