মহা শিবরাত্রি (শিবের মহান রাত্রি) উদযাপন ফাল্গুনের (ফেব্রুয়ারী/মার্চ) 13 তারিখের সন্ধ্যায় শুরু হয়ে, 14 তারিখ পর্যন্ত চলে I অন্যান্য উৎসবগুলোর থেকে আলাদা, এটি সূর্যাস্তের পরে আরম্ভ হয় এবং সারা রাতের মধ্য দিয়ে গিয়ে পরের দিন পর্যন্ত যায় I অন্যান্য উৎসবগুলির আনন্দময় মজা উপভোগ করার পরিবর্তে উপবাস, অন্তর্দৃষ্টি এবং সজাগতা এর উদযাপনগুলিকে চিহ্নিত করে I মহা শিবরাত্রি জীবন এবং বিশ্বের “অন্ধকার ও অজ্ঞতা” কাটিয়ে ওঠার এক গম্ভীর স্মৃতিকে চিহ্নিত করে I উৎসাহী ভক্তরা সারা-রাত জেগে থাকে I
মহা শিবরাত্রি এবং মহাসাগরের মন্থন
পুরাণ মহা শিবরাত্রির জন্য বিভিন্ন কারণ দেয় I কেউ বলে যে এই নির্দিষ্ট দিনে সমুদ্র মন্থনের (মহাসাগরের মন্থন) সময়ে উৎপন্ন হলাহল বিষকে গলায় ধারণ করে ভগবান শিব গলাধঃকরণ করেছিলেন I এটি আঘাতে বিবর্ণ করল এবং তাঁর গলাকে নীল করে তুলে তাঁকে নীলকন্ঠ নাম দিল I ভাগবত পুরাণ, মহাভারত এবং বিষ্ণু পুরাণ এই কাহিনীটি বর্ণনা করেছে এবং অমরত্বের পানীয়, অমৃতের জন্মও বাখ্যা করেছে I মহাসাগর মন্থনের জন্য তারা মন্দোরা পর্বতকে মন্থনের একটি ডান্ডা হিসাবে ব্যবহার করেছিল I তারা শিবের ঘাড়ে বসবাসকারী একটি নাগরাজ সর্প বাসুকীকে মন্থনের দড়ি হিসাবে ব্যবহার করেছিল I

মহাসাগরের মন্থনের আগে পিছনে, সর্প বাসুকী এমন একটি শক্তিশালী মারাত্মক বিষ ছাড়ল যাতে এটি শুধুমাত্র মহাসাগরের মন্থনকেই ধ্বংস করত না, বরং পাশাপাশি সমগ্র পৃথিবীকেও I তাদেরকে বাঁচাতে শিব বিষকে তাঁর গলায় ধারণ করলেন এবং তা তার গলাকে নীল রঙে পরিবর্তন করল I কয়েকটি সংস্করণে, ভগবান শিব বিষকে গলাধঃকরণ করেছিলেন এবং এটি তাঁর শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন I এই কারণেই ভক্তরা উপলক্ষটিকে উপবাস রেখে, বিষন্ন এবং অন্তর্মুখী উপায়ে পালন করে I

সমুদ্র মন্থনের গল্প এবং মহা শিবরাত্রি যা এটি উদযাপন করে, আবেগী সপ্তাহের ষষ্ঠ দিনে যীশু যা করেছিলেন তার প্রসঙ্গ দেয়, যাতে আমরা এর অর্থকে উপলব্ধি করতে পারি I
যীশু এবং মহাসাগরের রূপক মন্থন
যীশু যখন প্রথম দিনে যিরূশালেমে প্রবেশ করলেন তিনি মোরিয়া পর্বতের উপরে দাঁড়ালেন, যেখানে 2000 বছর পূর্বে আব্রাহাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে এক মহান বলিদান দেওয়া ‘হবে’ (ভবিষ্যত কাল) I তখন যীশু ঘোষণা করলেন:
31 এখন জগতের বিচারের সময়৷ এই জগতের শাসককে দূরে নিক্ষেপ করা
হবে৷যোহন 12:31

তাঁর এবং প্রায়শই এক সর্প রূপে চিত্রিত ‘পৃথিবীর রাজকুমার’ শয়তানের মধ্যে, সেই পর্বতের উপরে আসন্ন সংঘটিত লড়াইয়ের চারিদিকে ‘পৃথিবী’ ঘুরে বেড়াত I রূপক ভাবে বলতে গেলে, মোরিয়া পর্বত ছিল ঘুর্নায়মান ডাণ্ডা, মন্দোরা পর্বত, যা পরবর্তী যুদ্ধে সমগ্র পৃথিবীকে মন্থন করবে I
সর্প (নাগরাজ) শয়তান খ্রীষ্টকে আঘাত করতে পঞ্চম দিনে যুদাসের মধ্যে প্রবেশ করল I বাসুকী যেমন একটি ঘুর্নায়মান দড়ি হ’ল, শয়তান, রূপকভাবে বলতে গেলে মোরিয়া পর্বতের চারিদিকে মন্থনের দড়ি হয়ে উঠলো কারণ এই দুজনের মধ্যে যুদ্ধের চূড়ান্ততা নিকটবর্তী হয়ে উঠেছিল I
শেষ নৈশ ভোজ
পরের সন্ধ্যায় যীশু তাঁর শেষ নৈশ ভোজে শিষ্যদের সাথে ভাগ নিল I এটি মহা শিবরাত্রির ত্রয়োদশ সন্ধ্যা ছিল. যেমন মহা শিব রাত্রি ত্রয়োদশ তারিখে শুরু হয় I সেই ভোজে যীশু যে ‘কাপটি’ পান করতে চলেছিলেন, সে সম্পর্কে ভাগ করে নিয়েছিলেন, শিবের মতই বাসুকীর বিষ পান করেছিলেন I এখানে সেই বক্তৃতাটি রয়েছে I
27 এরপর তিনি পানপাত্র নিয়ে ধন্যবাদ দিলেন আর পানপাত্রটি শিষ্যদের দিয়ে বললেন, ‘তোমরা সকলে এর থেকে পান কর৷
হল৷মথি 26:27-28
28 কারণ এ আমার রক্ত, নতুন নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হওযার রক্ত যা বহুলোকের পাপ মোচনের জন্য পাতিত
তখন তিনি উদাহরণ এবং শিক্ষার মাধ্যমে কিভাবে পরস্পরকে ভালবাসতে হয় এবং আমাদের জন্য ঈশ্বরের মহান প্রেমকে ব্যাখ্যা করলেন, যাকে সুসমাচার থেকে এখানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে I পরে, তিনি সমস্ত বিশ্বাসীদের জন্য প্রার্থনা করলেন (এখানে পড়ুন)
গেৎসিমনের বাগানে
তারপরে, মহা শিবরাত্রির মতন, তিনি বাগানে সারা-রাত ধরে তাঁর সজাগতা আরম্ভ করলেন I
36 এরপর যীশু তাঁদের সঙ্গে গেত্শিমানী নামে একটা জায়গায় গিয়ে তাঁর শিষ্যদের বললেন, ‘আমি ওখানে গিয়ে যতক্ষণ প্রার্থনা করি, তোমরা এখানে বসে থাক৷’
গেছে৷’মথি: 26:36-46
37 এরপর তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চলতে থাকলেন৷ য়েতে য়েতে তাঁর মন উদ্বেগ ও ব্যথায় ভরে গেল, তিনি অভিভূত হয়ে পড়লেন৷
38 তখন তিনি তাদের বললেন, ‘দুঃখে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে৷ তোমরা এখানে থাক আর আমার সঙ্গে জেগে থাকো৷’
39 পরে তিনি কিছু দূরে গিয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে প্রার্থনা করে বললেন, ‘আমার পিতা, যদি সন্ভব হয় তবে এই কষ্টের পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূরে যাক; তবু আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছা পূর্ণ হোক্৷’
40 এরপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে দেখলেন, তাঁরা ঘুমাচ্ছেন৷ তিনি পিতরকে বললেন, ‘একি! তোমরা আমার সঙ্গে এক ঘন্টাও জেগে থাকতে পারলে না?
41 জেগে থাক ও প্রার্থনা কর য়েন প্রলোভনে না পড়৷ তোমাদের আত্মা ইচ্ছুক বটে, কিন্তু দেহ দুর্বল৷’
42 তিনি গিয়ে আর একবার প্রার্থনা করলেন, ‘হে আমার পিতা, এই দুঃখের পানপাত্র থেকে আমি পান না করলে যদি তা দূর হওযা সন্ভব না হয় তবে তোমারইইচ্ছা পূর্ণ হোক্৷’
43 পরে তিনি ফিরে এসে দেখলেন, শিষ্যরা আবার ঘুমিয়ে পড়েছেন, কারণ তাদের চোখ ভারী হয়ে গিয়েছিল৷
44 তখন তিনি তাঁদের ছেড়ে চলে গেলেন ও তৃতীয় বার প্রার্থনা করলেন৷ তিনি আগের মতো সেই একই কথা বলে প্রার্থনা করলেন৷
45 পরে তিনি শিষ্যদের কাছে এসে বললেন, ‘তোমরা এখনও ঘুমিয়ে রয়েছ ও বিশ্রাম করছ? শোন, সময় ঘনিয়ে এল, মানবপুত্রকে পাপীদের হতে তুলে দেওযা হবে৷
46 ওঠ, চল আমরা যাই! ঐ দেখ! য়ে লোক আমায় ধরিয়ে দেবে, সে এসে
শিষ্যরা জেগে থাকতে পারল না এবং সজাগতা সবেমাত্র আরম্ভ হয়েছিল! সুসমাচার তারপরে বর্ণনা করে কিভাবে যুদাস তাকে বিশ্বাসঘাতকতা করল I
বাগানের মধ্যে গ্রেফতার
2 যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে প্রায়ই সেখানে আসতেন৷ এইজন্য যিহূদা সেই স্থানটি জানত৷ এই যিহূদা যীশুর সঙ্গে প্রতারণা করেছিল৷
হানন৷যোহন 18:2-13
3 সে ফরীশীদের ও প্রধান যাজকদের কাছ থেকে একদল সৈনিক ও কিছু রক্ষী নিয়ে সেখানে এল৷ তাদের হাতে ছিল মশাল, লন্ঠন ও নানা অস্ত্র৷
4 তখন যীশু, তাঁর প্রতি কি ঘটতে চলেছে সে সবই তাঁর জানা থাকার ফলে এগিয়ে গিয়ে বললেন, ‘তোমরা কাকে খুঁজছ?’
5 তারা তাঁকে বলল, ‘নাসরতীয় যীশুকে৷’যীশু বললেন, ‘আমিই তিনি৷’ য়ে যিহূদা যীশুর বিরুদ্ধে গিয়েছিল সেও তাদেরই সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল৷
6 তিনি যখন তাদের বললেন, ‘আমিই তিনি৷’ তখন তারা পিছু হটে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল৷
7 তাই আবার একবার তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমরা কাকে খুঁজছ?’তারা বলল, ‘নাসরতীয় যীশুকে৷’
8 এর উত্তরে যীশু বললেন, ‘আমি তো তোমাদের আগেই বলেছি, ‘আমিই তিনি৷’ সুতরাং যদি তোমরা আমাকেই খুঁজছ, তাহলে এদের য়েতে দাও৷’
9 এটা ঘটল যাতে তাঁর আগের বক্তব্য যথার্থ প্রতিপন্ন হয়, ‘তুমি আমায় যাদের দিয়েছ তাদের কাউকে আমি হারাই নি৷’
10 তখন শিমোন পিতরের কাছে একটা তরোয়াল থাকায় তিনি সেটা টেনে বের করে মহাযাজকের চাকরকে আঘাত করে তার ডান কান কেটে ফেললেন৷ সেই চাকরের নাম মল্ক৷
11 তখন যীশু পিতরকে বললেন, ‘তোমার তরোযাল খাপে ভরো, য়ে পানপাত্র পিতা আমায় দিয়েছেন, আমাকে তা পান করতেই হবে৷’
12 এরপর সৈন্যরা ও তাদের সেনাপতি এবং ইহুদী রক্ষীরা যীশুকে গ্রেপ্তার করে বেঁধে প্রথমে হাননের কাছে নিয়ে গেল৷
13 সেই বছর যিনি মহাযাজক ছিলেন৷ সেই কায়াফার শ্বশুর এই

যীশু বাগানে প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন I সেখানে যুদাস তাকে গ্রেফতার করতে সৈন্যদের নিয়ে এলেন I গ্রেফতার যদি আমাদের ভয়ভীত করে তবে আমরা লড়াই করতে, পালাতে বা লুকোতে পারি I কিন্তু এগুলোর মধ্যে যীশু কোনটাই করলেন না I তিনি স্বীকার করলেন যে তিনিই সেই ব্যক্তি যাকে তারা খুঁজছে I তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি (“আমিই সে”) সৈন্যদের হতচকিত করল তাই তাঁর শিষ্যরা পলায়ন করল I যীশু গ্রেফতারের কাছে সমর্পণ করলেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হ’ল I
প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ
সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে কিভাবে তারা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল:
19 এরপর মহাযাজক যীশুকে তাঁর শিষ্যদের বিষয়ে ও তাঁর শিক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করতে লাগলেন৷
যোহন 18:19-24
20 যীশু এর উত্তরে তাঁকে বললেন, ‘আমি সর্বদাই সকলের কাছে প্রকাশ্যে কথা বলেছি৷ আমি মন্দিরের মধ্যে ও সমাজ-গৃহেতে য়েখানে ইহুদীরা একসঙ্গে সমবেত হয় সেখানে সব সময় শিক্ষা দিয়েছি৷ আর আমি কখনও কোন কিছু গোপনে বলিনি৷
21 তোমরা আমায় কেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করছ? যাঁরা আমার কথা শুনেছে তাদেরই জিজ্ঞেস কর আমি তাদের কি বলেছি৷ আমি কি বলেছি তারা নিশ্চয়ই জানবে!’
22 তিনি যখন একথা বলছেন, তখন সেই মন্দির রক্ষীবাহিনীর একজন য়ে সেখানে দাঁড়িয়েছিল সে যীশুকে এক চড় মেরে বলল, ‘তোর কি সাহস, তুই মহাযাজককে এরকম জবাব দিলি!’
23 এর উত্তরে যীশু তাকে বললেন, ‘আমি যদি অন্যায় কিছু বলে থাকি, তবে সকলকে বল কি অন্যায় বলেছি; কিন্তু আমি যদি সত্যি কথা বলে থাকি তাহলে তোমরা আমায় মারছ কেন?’
24 এরপর হানন, যীশুকে মহাযাজক কায়াফার কাছে পাঠিয়ে দিলেন৷ যীশু তখনও বাঁধা অবস্থায় ছিলেন৷
অতএব তারা একটি দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহা যাজকের কাছে যীশুকে পাঠাল I
দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাবাদ
তারা সেখানে তাঁকে সমস্ত নেতাদের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করল I সুসমাচার এই দ্বিতীয় জিজ্ঞাসাবাদ লিপিবদ্ধ করেছিল:
53 তখন তারা যীশুকে মহাযাজকের কাছে নিয়ে এল৷ প্রধান যাজকরা, বয়স্ক ইহুদী নেতারা এবং ব্যবস্থার শিক্ষকরা সকলে এক জায়গায় জড়ো হলেন৷
গেল৷মথি 14:53-65
54 আর পিতর দূরে দূরে থেকে যীশুর পেছনে য়েতে য়েতে মহাযাজকের উঠোন পর্যন্ত গেলেন এবং রক্ষীদের সঙ্গে বসে আগুন পোহাতে লাগলেন৷
55 তখন প্রধান যাজকরা এবং মহাসভার সকলেই এমন একজন সাক্ষী খুঁজছিলেন যার কথার জোরে যীশুকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যায়; কিন্তু তেমন সাক্ষ্য তারা পেলেন না৷
56 কারণ অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিল বটে কিন্তু তাদের সাক্ষ্য মিলল না৷
57 তখন কিছু লোক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে বলল,
58 ‘আমরা তাঁকে বলতে শুনেছি, ‘মানুষের হাতে তৈরী এই মন্দিরটি ভেঙ্গে ফেলব এবং তিন দিনের মধ্যে মানুষের হাত দিয়ে তৈরী নয় এমনই একটি মন্দির আমি গড়ে তুলব৷”
59 কিন্তু এতেও তাদের সাক্ষ্যের প্রমাণ মিলল না৷
60 তখন মহাযাজক সকলের সামনে দাঁড়িয়ে যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি কিছুই উত্তর দেবে না? এই সমস্ত লোকরা তোমার বিরুদ্ধে কি সাক্ষ্য দিচ্ছে?’
61 কিন্তু তিনি চুপচাপ থাকলেন, কোন উত্তর দিলেন না৷ আবার মহাযাজক তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি সেই পরম খ্রীষ্ট পরম ধন্য, ঈশ্বরের পুত্র?’
62 যীশু বললেন, ‘হ্যাঁ, আমিই ঈশ্বরের পুত্র৷ তোমরা একদিন মানবপুত্রকে ঈশ্বরের ডানপাশে বসে থাকতে আকাশের মেঘে আবৃত হয়ে আসতে দেখবে৷’
63 তখন মহাযাজক তাঁর পোশাক ছিঁড়ে বললেন, ‘আমাদের সাক্ষীর আর কি প্রযোজন?
64 তোমরা তো ঈশ্বর নিন্দা শুনলে৷ তোমাদের কি মনে হয়?’ তারা সকলে তাঁকে দোষী স্থির করে বলল, ‘এঁর মৃত্যুদণ্ড হওযা উচিত৷’
65 তখন কেউ কেউ তাঁর মুখে থুথু ছিটিয়ে দিল, তাঁর মুখ ঢেকে ঘুষি মারল এবং বলতে লাগল, ‘ভাববাণী করে বল তো, কে তোমাকে ঘুষি মারল?’ পরে রক্ষীরা তাঁকে মারতে মারতে নিয়ে
যিহূদি নেতারা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন I তবে যেহেতু রোমীয় রাজ্যপাল তাদের শাসন করত, কেবলমাত্র রোমীয় রাজ্যপালই একটি মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করতে পারত I সুতরাং তারা যীশুকে রোমীয় রাজ্যপাল পন্তিয়াস পীলাতের কাছে নিয়ে গেল I সুসমাচার আরও লিপিবদ্ধ করে যীশুর বিশ্বাসঘাতক যুদাস ইস্করিয়োতের সাথে কি ঘটেছিল I
বিশ্বাসঘাতক যুদাসের সাথে কি ঘটল?
র হলে প্রধান যাজকরা ও সমাজপতিরা সবাইমিলেযীশুকে হত্যা করার চক্রান্ত করল৷
মরল৷মথি 27:1-5
2 তারা তাঁকে বেঁধে রোমীয় রাজ্যপাল পীলাতের কাছে হাজির করল৷
3 যীশুকে শত্রুদের হাতে য়ে ধরিয়ে দিয়েছিল, সেই যিহূদা যখন দেখল যীশুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তখন তার মনে খুব ক্ষোভ হল৷ সে তখন যাজকদের ও সমাজপতিদের কাছে গিয়ে সেই ত্রিশটা রূপোর টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলল,
4 ‘একজন নিরপরাধ লোককে হত্যা করার জন্য আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে তাঁর প্রতি আমি বিশ্বাসঘাতকতা করেছি, আমি মহাপাপ করেছি৷ইহুদী নেতারা বলল, ‘তাতে আমাদের কি? তুমি বোঝগে যাও৷’
5 তখন যিহূদা সেই টাকা মন্দিরের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিল, পরে বাইরে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে
যীশুকে রোমীয় রাজ্যপালের দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল
11 এদিকে যীশুকে রাজ্যপালের সামনে হাজির করা হল; রাজ্যপাল যীশুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি ইহুদীদের রাজা?’যীশু বললেন, ‘হ্যাঁ, আপনি য়েমন বললেন৷’
৷মথি 27:11-26
12 কিন্তু প্রধান যাজকরা ও ইহুদী নেতারা সমানে যখন তাঁর বিরুদ্ধে দোষ দিচ্ছিল, তখন তিনি তার একটারও জবাব দিলেন না৷
13 তখন পীলাত তাঁকে বললেন, ‘ওরা, তোমার বিরুদ্ধে কত দোষ দিচ্ছে, তুমি কি শুনতে পাচ্ছ না?’
14 কিন্তু যীশু তাঁকে কোন জবাব দিলেন না, এমন কি তাঁর বিরুদ্ধে একটা অভিযোগেরও উত্তর দিলেন না, এতে পীলাত আশ্চর্য হয়ে গেলেন৷
15 রাজ্যপালের রীতি অনুসারে প্রত্যেক নিস্তারপর্বের সময় জনসাধারণের ইচ্ছানুযাযী য়ে কোন কয়েদীকে তিনি মুক্ত করে দিতেন৷
16 সেই সময় বারাব্বানামে এক কুখ্যাত আসামী কারাগারে ছিল৷
17 তাই লোকরা সেখানে একসঙ্গে জড়ো হলে পীলাত তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের জন্য আমি কাকে ছেড়ে দেব? তোমরা কি চাও, বারাব্বাকে বা যীশু, যাকে খ্রীষ্ট বলে তাকে?’
18 কারণ পীলাত জানতেন, তারা যীশুর ওপর ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছিল৷
19 পীলাত যখন বিচার আসনে বসে আছেন, সেই সময় তাঁর স্ত্রী তাঁকে বলে পাঠালেন, ‘ঐ নির্দোষ লোকটির প্রতি তুমি কিছু করো না, কারণ রাত্রে স্বপ্নে আমি তাঁর বিষয়ে যা দেখেছি তাতে আজ বড়ই উদ্বেগে কাটছে৷’
20 কিন্তু প্রধান যাজকরা ও ইহুদী নেতারা জনতাকে প্ররোচনা দিতে লাগল, য়েন তারা বারাব্বাকে ছেড়ে দিতে ও যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওযার কথা বলে৷
21 তখন রাজ্যপাল তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই দুজনের মধ্যে তোমরা কাকে চাও য়ে আমি তোমাদের জন্য ছেড়ে দিই?’ তারা বলল, ‘বারাব্বাকে!’
22 পীলাত তখন তাদের বললেন, ‘তাহলে যীশু যাকে মশীহ বলে তাকে নিয়ে কি করব?’তারা সবাইবলল, ‘ওকে ক্রুশে দেওযা হোক৷’
23 পীলাত বললেন, ‘কেন? ও কি অন্যায় করেছে?’ কিন্তু তারা তখন আরো জোরে চিত্কার করতে লাগল, ‘ওকে ক্রুশে দাও, ক্রুশে দাও!’
24 পীলাত যখন দেখলেন য়ে তাঁর চেষ্টার কোন ফল হল না, বরং আরো গোলমাল হতে লাগল, তখন তিনি জল নিয়ে লোকদের সামনে হাত ধুয়ে বললেন, ‘এই লোকের রক্তপাতের জন্য আমি দাযী নই৷’ এটা তোমাদেরইদায়৷
25 এই কথার জবাবে লোকেরা সমস্বরে বলল, ‘আমরা ও আমাদের সন্তানরা ওব রক্তের জন্য দাযী থাকব৷’
26 তখন পীলাত তাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দিলেন; কিন্তু যীশুকে চাবুক মেরে ক্রুশে দেবার জন্য সঁপে দিলেন
যীশুর ক্রুশারোপন, মৃত্যু এবং সমাধি
সুসমাচার তখন যীশুর ক্রুশারোপণের বিস্তৃত বর্ননা লিপিবদ্ধ করে I
27 এরপর রাজ্যপালের সেনারা যীশুকে রাজভবনের সভাগৃহে নিয়ে গিয়ে সেখানে সমস্ত সেনাদলকে তাঁর চারধারে জড়ো করল৷
মথি 27:27-54
28 তারা যীশুর পোশাক খুলে নিল, আর তাঁকে একটা লাল রঙের পোশাক পরাল৷
29 পরে কাঁটা লতা দিয়ে একটা মুকুট তৈরী করে তা তাঁর মাথায় চেপে বসিয়ে দিল, আর তাঁর ডান হাতে একটা লাঠি দিল৷ পরে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে তাঁকে ঠাট্টা করে বলল, ‘ইহুদীদের রাজা, দীর্ঘজীবি হোন্!’
30 তারা তাঁর মুখে থুথু দিল ও তাঁর লাঠিটি নিয়ে তাঁর মাথায় মারতে লাগল৷
31 এইভাবে তাঁকে বিদ্রূপ করবার পর তারা সেইপোশাকটি তাঁর গা থেকে খুলে নিয়ে তাঁর নিজের পোশাক আবার পরিয়ে দিল, তারপর তাঁকে ক্রুশে দেবার জন্য নিয়ে চলল৷
32 সৈন্যরা যখন যীশুকে নিয়ে নগরের বাইরে যাচ্ছে, তখন পথে শিমোন নামে কুরীশীয় অঞ্চলের একজন লোককে দেখতে পেয়ে যীশুর ক্রুশ বইবার জন্য তাকে তারা জোর করে বাধ্য করল৷
33 পরে তারা ‘গলগথা’ নামে এক জায়গায় এসে পৌঁছল৷ ‘গলগথা’ শব্দটির অর্থ ‘মাথার খুলিস্থান৷’
34 সেখানে পৌঁছে তারা যীশুকে মাদক দ্রব্য মেশানো তিক্ত দ্রাক্ষারস পান করতে দিল; কিন্তু তিনি তা সামান্য আস্বাদ করে আর খেতে চাইলেন না৷
35 তারা তাঁকে ক্রুশে দিয়ে তাঁর জামা কাপড় খুলে নিয়ে ঘুঁটি চেলে সেগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল৷
36 আর সেখানে বসে যীশুকে পাহারা দিতে লাগল৷
37 তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের এই লিপি ফলকটি তাঁর মাথার উপরে ক্রুশে লাগিয়ে দিল, ‘এ যীশু, ইহুদীদের রাজা৷’
38 তারা দুজন দস্যুকেও যীশুর সঙ্গে ক্রুশে দিল, একজনকে তাঁর ডানদিকে ও অন্যজনকে তাঁর বাঁ দিকে৷
39 সেই সময় ঐ রাস্তা দিয়ে য়ে সব লোক যাতাযাত করছিল, তারা তাদের মাথা নেড়ে তাঁকে ঠাট্টা করে বলল,
40 ‘তুমি না মন্দির ভেঙ্গে আবার তা তিন দিনের মধ্যে তৈরী করতে পার! তাহলে এখন নিজেকে রক্ষা কর৷ তুমি যদি ঈশ্বরের পুত্র হও তবে ক্রুশ থেকে নেমে এস৷’
41 সেইভাবেই প্রধান যাজকরা, ব্যবস্থার শিক্ষকরা ও ইহুদী নেতারা বিদ্রূপ করে তাঁকে বলতে লাগলেন,
42 ‘এ লোক তো অপরকে রক্ষা করত, কিন্তু এ নিজেকে বাঁচাতে পারে না! ও তো ইস্রায়েলের রাজা, তাহলে এখন ও ক্রুশ থেকে নেমে আসুক, তাহলে আমরা ওর ওপর বিশ্বাস করব৷
43 ঐ লোকটি ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস করে৷ যদি তিনি চান, তবে ওকে এখনই রক্ষা করুন, কারণ ও তো বলেছে, ‘আমি ঈশ্বরের পুত্র৷'”
44 তাঁর সঙ্গে য়ে দুজন দস্যুকে ক্রুশে দেওযা হয়েছিল, তারাও সেইভাবেই তাঁকে বিদ্রূপ করতে লাগল৷
45 সেই দিন দুপুর বারোটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত সমস্ত দেশ অন্ধকারে ঢেকে রইল৷
46 প্রায় তিনটের সময় যীশু খুব জোরে বলে উঠলেন, ‘এলি, এলি লামা শবক্তানী?’ যার অর্থ, ‘ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমায় ত্যাগ করেছ?’
47 যাঁরা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকজন একথা শুনে বলতে লাগল, ‘ও এলীয়কে ডাকছে৷’
48 তাদের মধ্যে একজন তখনই দৌড়ে গিয়ে একটা স্পঞ্জ কতকটা সিরকায় ডুবিয়ে দিয়ে একটা নলের মাথায় সেটা লাগিয়ে তা যীশুর মুখে তুলে ধরে তাকে খেতে দিল৷
49 কিন্তু অন্যরা বলতে লাগল, ‘ছেড়ে দাও, দেখি এলীয় ওকে রক্ষা করতে আসেন কি না?’
50 পরে যীশু আর একবার খুব জোরে চিত্কার করে প্রাণ ত্যাগ করলেন৷
51 সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের মধ্যেকার সেই ভারী পর্দাটা ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত চিরে দুভাগ হয়ে গেল, পৃথিবী কেঁপে উঠল, বড় বড় পাথরের চাঁই ফেটে গেল,
52 সমাধিগুহাগুলি খুলে গেল, আর মারা গিয়েছিলেন এমন অনেক ঈশ্বরের লোকের দেহ পুনরুত্থিত হল৷
53 যীশুর পুনরুত্থানের পর এরা কবর ছেড়ে পবিত্র নগর জেরুশালেমে গিয়ে বহুলোককে দেখা দিয়েছিলেন৷
54 ক্রুশের পাশে শতপতি ও তার সঙ্গে যাঁরা যীশুকে পাহারা দিচ্ছিল, তারা ভূমিকম্প ও অন্য সব ঘটনা দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বলল, ‘সত্যইইনি ঈশ্বরের পুত্র ছিলেন৷’

তাঁর পাঁজরে ‘ছিদ্র’ করা হয়
যোহনের সুসমাচার ক্রুশারোপণের এক আকর্ষণীয় বর্ণনা লিপিবদ্ধ করে I এটি বলে:
31 ঐ দিনটা ছিল আযোজনের দিন৷ য়েহেতু বিশ্রামবার একটি বিশেষ দিন, ইহুদীরা চাইছিল না য়ে দেহগুলি ক্রুশের ওপরে থাকে৷ তাই ইহুদীরা পীলাতের কাছে গিয়ে তাঁকে আদেশ দিতে অনুরোধ করল, য়েন ক্রুশবিদ্ধ লোকদের পা ভেঙ্গে দেওযা হয় যাতে তাড়াতাড়ি তাদের মৃত্যু হয় এবং মৃতদেহগুলি ঐ দিনই ক্রুশ থেকে নামিয়ে ফেলা যায়৷
সত্য৷যোহন 19:31-35
32 সুতরাং সেনারা এসে প্রথম লোকটির পা ভাঙ্গল, আর তার সঙ্গে যাকে ক্রুশে দেওযা হয়েছিল তারও পা ভাঙ্গল৷
33 কিন্তু তারা যীশুর কাছে এসে দেখল য়ে তিনি মারা গেছেন, তখন তাঁর পা ভাঙ্গল না৷
34 কিন্তু একজন সৈনিক যীশুর পাঁজরের নীচে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করল, আর সঙ্গে সঙ্গে সেখান দিয়ে রক্ত ও জল বেরিয়ে এল৷
35 এই ঘটনা য়ে দেখল সে এবিষয়ে সাক্ষ্য দিল তা আপনারা সকলেই বিশ্বাস করতে পারেন, আর তার সাক্ষ্য সত্য৷ আর সে জানে য়ে সে যা বলছে তা
যোহন রোমীয় সৈন্যদের দ্বারা যীশুকে একটি বর্শা দিয়ে ছিদ্র করতে দেখেছিল I রক্ত এবং জল আলাদাভাবে বেরিয়া আসা, সংকেত দেয় যে হৃদয় যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর মৃত্যু ঘটেছিল I

অনেকে আবার মহা শিবরাত্রিকে উদযাপন করে কারণ সেই দিন শিব পার্বতীকে বিবাহ করেছিলেন বলে তারা এটিকে বিবেচনা করে I শুভ শুক্রবারের সমান্তরাল মহা শিবরাত্রির সেই দিনে যীশু তাঁর রহস্যময় কনেও জিতেছিলেন, তাঁর পাঁজরে বর্শা দ্বারা ছাপ মেরে, এখানে আরও বাখ্যা করা হয়েছে I
যীশুর সমাধি
সুসমাচার সেই দিনের চূড়ান্ত ঘটনা লিপিবদ্ধ করে – তাঁর সমাধি I
57 সন্ধ্যা নেমে আসছে এমন সময় আরিমাথিযার য়োষেফ নামে এক ধনী ব্যক্তি জেরুশালেমে এলেন; তিনিও যীশুর একজন অনুগামী ছিলেন৷
রইলেন৷মথি 27:57-61
58 পীলাতের কাছে গিয়ে য়োষেফ যীশুর দেহটা চাইলেন৷ তখন পীলাত তাকে তা দিতে হুকুম করলেন৷
59 য়োষেফ দেহটি নিয়ে পরিষ্কার একটা কাপড়ে জড়ালেন৷
60 তারপর সেই দেহটা নিয়ে তিনি নিজের জন্য পাহাড়ের গায়ে য়ে নতুন সমাধিগুহা কেটে রেখেছিলেন, তাতে রাখলেন৷ পরে সেই সমাধির মুখ বন্ধ করতে বড় একটা পাথর গড়িয়ে নিয়ে গিয়ে তা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেলেন৷
61 মরিয়ম মগ্দলীনী ও সেই অন্য মরিয়ম কবরের সামনে বসে
দিন 6 – গুভ শুক্রবার
প্রত্যেক দিন যিহূদি ক্যালেন্ডার সূর্যাস্তে আরম্ভ হয় I সুতরাং দিন 6 শিষ্যদের সঙ্গে শেষ নৈশ ভোজে ভাগ নেওয়ার সাথে আরম্ভ হ’ল I সেই দিনের শেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হ’ল, সারা রাত ধরে অনেকবার বিচারে রাখা হ’ল, ক্রুশবিদ্ধ করা হ’ল, একটি বর্শা দিয়ে ছিদ্র করা হ’ল, এবং সমাধিস্থ করা হ’ল I এটি প্রকৃতপক্ষে যীশুর ‘এক মহা রাত্রি’ ছিল I যন্ত্রণা, দুখ, অপমান, এবং মৃত্যু এই দিনটিকে চিহ্নিত করেছিল এবং তাই লোকেরা মহা শিবরাত্রির মতই উদ্বিগ্ন চিন্তায় এটি স্মরণ করে I কিন্তু এই দিনটিকে ‘শুভ শুক্রবার’ বলা হয় I তবে কিভাবে বিশ্বাসঘাতকতা, অত্যাচার এবং মৃত্যুর একটি দিনকে কখনও ‘ভাল’ বলা হয়?
কেন শুভ শুক্রবার এবং ‘খারাপ শুক্রবার’ নয়?
যেভাবে শিব সাপের বিষ গলাধ:করণ করে পৃথিবীকে রক্ষা করেছিল, সেইভাবে যীশু তাঁর কাপ পান করে বিশ্বকে রক্ষা করেছিল I এটি নীসন 14 তারিখে, পড়েছিল, সেই একই নিস্তারপর্বের দিন যখন 1500 বছর পূর্বে, বলি দেওয়া মেষ শাবক মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছিল যা দেখায় এটিকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল I

মানুষের বৃত্তান্ত তাদের মৃত্যুর সাথে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু যীশুর নয় I পরে এসেছিল সাবাথ – দিন 7