Skip to content

দিন 4: কল্কির মতন চড়ে নক্ষত্রদের নেভাতে

  • by

যীশু তৃতীয় দিবসে একটি অভিশাপ উচ্চারণ করলেন. তাঁর জাতিকে নির্বাসনে দণ্ড দিলেন I এছাড়াও যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে তাঁর অভিশাপের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, সঞ্চালিত ঘটনাগুলি এই যুগ শেষ করবে I শিষ্যরা এই সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল এবং যীশু তাঁর প্রত্যাবর্তনকে সেই কল্কির (কাল্কিন) মতন বর্ণনা করে, ব্যাখ্যা করলেন I  

তিনি এইভাবে আরম্ভ করলেন I

শু মন্দির থেকে যখন বের হয়ে যাচ্ছিলেন, সেইসময়তাঁর শিষ্যরা তাঁর কাছে এসে মন্দিরের বড় বড় দালানের দিকে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেন৷
2 এর জবাবে যীশু তাঁদের বললেন, ‘তোমরা এখন এখানে এসব দেখছ, কিন্তু আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এখানে একটা পাথর আর একটা পাথরের ওপর থাকবে না, এসবই ভুমিস্যাত্ হবে৷’
3 যীশু যখন জৈতুন পর্বতমালার ওপর বসেছিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা একান্তে তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললেন, ‘আমাদের বলুন, কখন এসব ঘটবে, আর আপনার আসার এবং এযুগের শেষ পরিণতির সময় জানার চিহ্নই বা কি হবে?’

মথি 24:1-3

তিনি তাঁর অভিশাপের বিস্তৃত বর্ণনা দিয়ে আরম্ভ করলেন I তারপরে সন্ধ্যা হলে  তিনি যিরূশালেমের বাইরে অলিভ পর্বতে যেতে মন্দির ছেড়ে চলে গেলেন (i)I সূর্যাস্তে যিহূদি দিন শুরু হওয়ার কারণে, এটি এখন ছিল সপ্তাহের চতুর্থ দিন যখন তিনি তাঁর প্রত্যাবর্তনের বর্ণনা করলেন I  

পুরাণের কল্কি

গরুড় পুরাণ ব বিষ্ণুর দশাবতারের (দশটি প্রাথমিক অবতার/দেহধারণ) চূড়ান্ত অবতার রূপে কল্কির বর্ণনা করে I বর্তমান যুগ, কলি যুগের শেষে কল্কি আসবে I পুরাণ বলে যে কল্কির আবির্ভাবের ঠিক পূর্বে পৃথিবীর অধ:পতন হবে, ধর্ম হারিয়ে যাবে I লোকেরা অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক সমূহের মধ্যে যুক্ত হবে, নগ্নতা এবং অধার্মিক আচরণের অনুরাগী হয়ে উঠবে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারী ঘটবে I এই মুহুর্তে, জ্বলন্ত তরোয়াল চালিয়ে এবং একটি ঘোড়ায় চড়ে, অবতার কল্কি আবির্ভূত হবেন I কল্কি পৃথিবীর দুষ্ট বাসিন্দাদের ধ্বংস করবে, এবং এক নতুন যুগের সূচনা করবে, পৃথিবীকে সত্য যুগে ফিরিয়ে আনবে I     

যাইহোক, উইকিপিডিয়া বলে যে বেদ কল্কি/কাল্কিনের উল্লেখ করে না I ষষ্ঠ দশাবতার অবতার পরশুরামের বিস্তৃতি হিসাবে কেবল মহাভারতে তিনি প্রথমে আবির্ভূত হন I এই মহাভারতের সংস্করণে, কল্কি কেবলমাত্র মন্দ শাসকদের ধ্বংস করেন কিন্তু সত্য যুগের নবীকরণ নিয়ে আসেন না I পন্ডিতরা পরামর্শ দেয় খ্রীষ্টাব্দ 7–9 শতাব্দীর কোনো এক সময় এক কল্কির আদিরূপের বিকাশ হয় I  

কল্কির আকাঙ্খা

কল্কির বিকাশ এবং অন্যান্য ঐতিহ্য সমূহের মধ্যে অনুরূপ ব্যক্তি (বৌদ্ধ ধর্মে মৈত্রেয়, ইসলাম ধর্মে মেহদী, শিখ মেহদী মীর) আমাদের সহজাত বোধ প্রদর্শন করে যে পৃথিবীর সাথে কোনোকিছু অন্যায় হচ্ছে I আমরা চাই কেউ এসে  এটিকে ঠিক করুক I আমরা কামনা করি যে তিনি দুষ্ট অত্যাচারীদের পদচ্যুত করুন, দুর্নীতি দূর করুন এবং ধর্মকে উন্নত করুন I কিন্তু আমরা ভুলে যাই কেবল তাঁকে অবশ্যই মন্দকে ‘সেখানে’ মুছে ফেলতে হবে তা নয়, বরং আমাদের ভেতরের দুর্নীতিকেও পরিষ্কার করতে হবে I অন্য পবিত্র গ্রন্থগুলি কেউ এসে মন্দকে পরাভূত করুক এই আকাঙ্খা প্রকাশ করার অনেক আগেই, যীশু শিখিয়েছিলেন যে, কিভাবে তিনি দ্বি-অংশের কাজটির সম্বন্ধে অগ্রসর হবেন I তাঁর প্রথম আগমনেই তিনি আমাদের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিকে পরিষ্কার করেন, তাঁর  দ্বিতীয় আগমনে তিনি সরকারী এবং সামাজিক অধর্মের মোকাবেলা করেন I এই সপ্তাহের চতুর্থ দিনে তাঁর প্রত্যাবর্তনের লক্ষণ সমূহকে বর্ণনা করে যীশু তাঁর দ্বিতীয় আগমনের প্রত্যাশা করেছিলেন I       

দিন – 4 – তাঁর প্রত্যাবর্তনের লক্ষণ সমূহ

4 এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘দেখো! কেউ য়েন তোমাদের না ঠকায়৷
5 আমি তোমাদের একথা বলছি কারণ অনেকে আমার নামে আসবে আর তারা বলবে, ‘আমি খ্রীষ্ট৷’ আর তারা অনেক লোককে ঠকাবে৷
6 তোমরা নানা যুদ্ধের কথা শুনবে এবং তোমাদের কানে যুদ্ধের গুজব আসেব৷ কিন্তু দেখো, তোমরা ভয় পেও না, কারণ ঐ সব ঘটনা অবশ্যই ঘটবে কিন্তু তখনও শেষ নয়৷
7 হ্যাঁ, এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে লড়াইকরবে; আর এক রাজ্য অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে যাবে৷ সর্বত্র দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হবে৷
8 কিন্তু এসব কেবল যন্ত্রণার আরন্ভ মাত্র৷
9 ‘সেই সময় শাস্তি দেবার জন্য তারা তোমাদের ধরিয়ে দেবে ও হত্যা করবে৷ আমার শিষ্য হয়েছ বলে জগতের সকল জাতির লোকেরা তোমাদের ঘৃণা করবে৷
10 সেই সময় অনেক লোক বিশ্বাস থেকে সরে যাবে৷ তারা একে অপরকে শাসনকর্তাদের হাতে ধরিয়ে দেবে আর তারা পরস্পরকে ঘৃণা করবে৷
11 অনেক ভণ্ড ভাববাদীর আবির্ভাব হবে, যাঁরা বহু লোককে ঠকাবে৷
12 অধর্ম বেড়ে যাওযার ফলে অধিকাংশ লোকদের মধ্য থেকে ভালবাসা কমে যাবে৷
13 কিন্তু শেষ পর্যন্ত য়ে নিজেকে স্থির রাখবে, সে রক্ষা পাবে৷
14 আর রাজ্যের (স্বর্গ) এইসুসমাচার জগতের সর্বত্র প্রচার করা হবে৷ সমস্ত জাতির কাছে তা সাক্ষ্যরূপে প্রচারিত হবে, আর তারপরই উপস্থিত হবে সেই সময়৷
15 ‘তোমরা তখন দেখবে য়ে, ভাববাদী দানিয়েলের মধ্য দিয়ে য়ে ‘সর্বনাশা ঘৃণার বস্তুর’কথা বলা হয়েছিল তা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে৷’ য়ে একথা পড়ছে সে বুঝুক এর অর্থ কি৷
16 ‘সেই সময় যাঁরা যিহূদিয়াতে থাকবে, তারা পাহাড় অঞ্চলে পালিয়ে যাক্৷
17 য়ে ছাদে থাকবে, সে য়েন ঘর থেকে তার জিনিস নেবার জন্য নীচে না নামে৷
18 ক্ষেতের মধ্যে য়ে কাজ করবে, সে তার জামা নেবার জন্য ফিরে না আসুক৷
19 হায়! সেই মহিলারা, যাঁরা সেইদিনগুলিতে গর্ভবতী থাকবে, বা যাদের কোলে থাকবে দুধের শিশু৷
20 তাই প্রার্থনা কর য়েন শীতকালে বা বিশ্রামবারে তোমাদের পালাতে না হয়৷
21 ‘সেই দিনগুলিতে এমন মহাকষ্ট হবে যা জগতের শুরু থেকে এই সময় পর্যন্ত আর কখনও হয় নি এবং হবে ও না৷
22 আরো বলছি, সেইদিনগুলির সংখ্যা ঈশ্বর যদি কমিয়ে না দিতেন তবে কেউই অবশিষ্ট থাকত না৷ কিন্তু তাঁর মনোনীত লোকদের জন্য তিনি সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে রেখেছেন৷
23 সেই সময় কেউ যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, মশীহ (খ্রীষ্ট)’ এখানে, অথবা ‘দেখ, তিনি ওখানে,’ তাহলে সে কথায় বিশ্বাস করো না৷
24 ‘আমি একথা বলছি, কারণ অনেক ভণ্ড খ্রীষ্ট ও ভণ্ড ভাববাদীর উদয় হবে৷ তারা মহা আশ্চর্য কাজ করবে ও চিহ্ন দেখাবে, য়েন লোকদের ঠকাতে পারে৷ যদি সন্ভব হয় এমনকি ঈশ্বরের মনোনীত লোকদেরও ঠকাবে৷
25 দেখ, আমি আগে থেকেইতোমাদের এসব কথা বলে রাখলাম৷
26 ‘তাইতারা যদি তোমাদের বলে, ‘দেখ, খ্রীষ্ট প্রান্তরে আছেন!’ তবে তোমরা সেখানে য়েও না, অথবা যদি বলে দেখ, ‘তিনি ভেতরের ঘরে লুকিয়ে আছেন, তাদের কথায় বিশ্বাস করো না৷
27 আকাশে বিদ্য়ুত্ য়েমন পূর্ব দিকে দেখা দিয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত চমকে দেয়, তেমনি করেইমানবপুত্রের আবির্ভাব হবে৷
28 য়েখানে শব, সেখানেইশকুন এসে জড় হবে৷
29 মহাক্লেশের সেইদিনগুলির পরই, ‘সূর্য় অন্ধকার হয়ে যাবে, চাঁদ আর আলো দেবে না৷ তারাগুলো আকাশ থেকে খসে পড়বে আর আকাশমণ্ডলে মহা আলোড়নের সৃষ্টি হবে৷’
30 ‘সেই সময় আকাশে মানবপুত্রের চিহ্ন দেখা দেবে৷ তখন পৃথিবীর সকল গোষ্ঠী হাহুতাশ করবে; আর তারা মানবপুত্রকে মহাপরাক্রম ও মহিমামণ্ডিত হয়ে আকাশের মেঘে করে আসতে দেখবে৷
31 খুব জোরে তূরীধ্বনির সঙ্গে তিনি তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠাবেন৷ তাঁরা আকাশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত, চার দিক থেকে তাঁর মনোনীত লোকদের জড়ো

করবেন৷মথি 24:4-31

চতুর্থ দিনে যীশু মন্দিরের আসন্ন ধ্বংসকে অতীতে দেখছিলেন I তিনি শিখিয়েছিলেন যে ক্রমবর্ধমান মন্দতা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ, এবং অত্যাচার সমূহ তাঁর প্রত্যাবর্তনের পূর্বে পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য হবে I তবুও, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে সুসমাচার সারা পৃথিবী জুড়ে তখনও প্রচারিত হবে (পদ 14) I খ্রীষ্টের সম্বন্ধে জগত জানার সাথে সাথে সেখানে ভুয়ো শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়বে এবং তাঁর ও তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্বন্ধে ছদ্ম দাবি করা হবে I নির্বিচার মহাজাগতিক অশান্তি, যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা এবং সঙ্কটের মাঝে তাঁর প্রত্যাবর্তনের আসল লক্ষণ হবে I তিনি নক্ষত্র, সূর্য এবং চন্দ্রের থেকে আলো নিভিয়ে   দেবেন I      

তাঁর প্রত্যাবর্তন বর্ণিত

যোহন এটিকে কল্কির মতন চিত্রিত করে পরে তাঁর প্রত্যাবর্তনের ব্যাখ্যা করেছিলেন:

11 এরপর আমি দেখলাম, স্বর্গ উন্মুক্ত, আর সেখানে সাদা একটা ঘোড়া দাঁড়িয়ে আছে৷ তার ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁর নাম ‘বিশ্বস্ত ও সত্যময়’ আর তিনি ন্যায়সিদ্ধ বিচার করেন ও যুদ্ধ করেন৷
12 আগুনের শিখার মতো তাঁর চোখ, আর তাঁর মাথায় অনেকগুলি মুকুট আছে; সেই মুকুটগুলির উপর এমন এক নাম লেখা আছে, যার অর্থ তিনি ছাড়া অন্য আর কেউ জানে না৷
13 রক্তে ডোবানো পোশাক তাঁর পরণে; তাঁর নাম ঈশ্বরের বাক্য৷
14 স্বর্গের সেনাবাহিনী সাদা ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পেছনে পেছনে চলেছিল৷ তাদের পরণে ছিল শুচিশুভ্র মসীনার পোশাক৷
15 একটি ধারালো তরবারি তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসছিল, যা দিয়ে তিনি পৃথিবীর সমস্ত জাতিকে আঘাত করবেন৷ লৌহ যষ্টি হাতে জাতিবৃন্দের ওপর তিনি শাসন পরিচালনা করবেন৷ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রচণ্ড ক্রোধের কুণ্ডে তিনি সব দ্রাক্ষা মাড়াই করবেন৷
16 তাঁর পোশাকে ও উরুতে লেখা আছে এই নাম:‘রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু৷’
17 পরে আমি দেখলাম, একজন স্বর্গদূত সূর্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন৷ তিনি উঁচু আকাশ পথে য়ে সব পাখি উড়ে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে খুব জোরে চিত্‌কার করে বললেন: ‘এস, ঈশ্বর য়ে মহাভোজের আযোজন করেছেন, তার জন্য এক জায়গায় জড়ো হও৷
18 এক, রাজাদের, প্রধান সেনাপতিদের ও বীরপুরুষদের মাংস, ঘোড়া ও ঘোড়-সওয়ারদের মাংস, স্বাধীন অথবা ক্রীতদাস, ক্ষুদ্র অথবা মহান সকল মানুষের মাংস খেয়ে যাও৷’
19 তখন আমি দেখলাম ঐ ঘোড়ার ওপর যিনি বসেছিলেন, তিনি ও তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে সেই পশু ও পৃথিবীর রাজারা তাদের সমস্ত সেনাবাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করার জন্য একত্র হল৷
20 কিন্তু সেই পশু ও ভণ্ড ভাববাদীকে ধরা হল৷ এই সেই ভণ্ড ভাববাদী, য়ে পশুর জন্য অলৌকিক কাজ করেছিল৷ এই অলৌকিক কাজের দ্বারা ভণ্ড ভাববাদী তাদের প্রতারণা করেছিল যাদের সেই পশুর চিহ্ন ছিল এবং যাঁরা তার উপাসনা করেছিল৷ ভণ্ড ভাববাদী এবং পশুটিকে জ্বলন্ত গন্ধকের হ্রদে ছুঁড়ে ফেলা হল৷
21 যাঁরা বাকী থাকল তারা সকলে সেই সাদা ঘোড়ার সওয়ারীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ধারালো তলোয়ারের আঘাতে মারা পড়ল; আর সমস্ত পাখি তাদের মাংস খেয়ে তৃপ্ত

হল৷প্রকাশিত বাক্য 19:11-21

লক্ষণগুলির মূল্যায়ন করা

আমরা দেখতে পারি যুদ্ধ, সঙ্কট এবং ভূমিকম্প ক্রমশঃ বাড়ছে – সুতরাং তাঁর ফিরে আসার সময় নিকট হচ্ছে I তবে স্বর্গে এখনও কোনো ঝামেলা নেই তাই তাঁর প্রত্যাবর্তন ঠিক এখনও হয়নি I  

আমরা কতটা কাছে আছি?

এর উত্তর দিতে যীশু বলতে থাকলেন

32 ‘ডুমুর গাছ দেখে শিক্ষা নাও, তার কচি ডালে পাতা বের হলে জানা যায় গ্রীষ্মকাল কাছে এসে গেছে৷
33 ঠিক সেই রকম, যখন তোমরা দেখবে এসব ঘটছে, বুঝবে মানবপুত্রের পুনরুত্থানের সময় এসে গেছে, তা দরজার গোড়ায় এসে পড়েছে৷
34 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না এসব ঘটছে এই যুগের লোকদের শেষ হবে না৷
35 আকাশ ও সমগ্র পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কিন্তু আমার কোন কথা বিলুপ্ত হবে

না৷মথি 24:32:35

আমাদের চোখের সামনে ডুমুর গাছের পাতা সবুজ হচ্ছে

মনে রাখুন ইস্রায়েলের প্রতীক, ডুমুর গাছ, যাকে তিনি তৃতীয় দিনে অভিশাপ দিয়েছিলেন? 70 খ্রীষ্টাব্দে ইস্রায়েলের শুকিয়ে যাওয়া আরম্ভ হয়েছিল যখন রোমীয়রা মন্দিরকে ধ্বংস করেছিল এবং এটি 1900 বছর ধরে শুকনো  থাকলো I যীশু আমাদেরকে ডুমুর গাছ থেকে বেরিয়ে আসা সবুজ অঙ্কুরের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলেছিলেন জানতে কখন তাঁর ফেরৎ আসা ‘নিকটস্থ’ হবে I বিগত 70 বছরে আমরা এই ‘ডুমুর গাছ’ কে লক্ষ্য করে এসেছি যা সবুজ  এবং পাতাগুলো আবার অঙ্কুরিত হতে শুরু করেছে I হ্যাঁ, এটি আমাদের সময়ে যুদ্ধ, সঙ্কট ও ঝামেলাগুলো যোগ করেছে, তবে তিনি আমাদের সতর্ক করেছিলেন বলে এটি আমাদের অবাক না করা উচিত I    

অতএব, আমাদের সময়ে আমাদের যত্নবান এবং সজাগ থাকা উচিত যেহেতু  তিনি তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে অসতর্কতা এবং উদাসীনতার বিরুদ্ধে সাবধান  করেছিলেন I  

36 ‘সেই দিন ও মুহূর্ত্তের কথা কেউ জানে না, এমন কি স্বর্গদূতেরা অথবা পুত্র নিজেও তা জানেন না, কেবলমাত্র পিতা (ঈশ্বর) তা জানেন৷
37 নোহের সময় য়েমন হয়েছিল, মানবপুত্রের আগমনের সময় সেইরকম হবে৷
38 নোহের সময়ে বন্যা আসার আগে, য়ে পর্যন্ত না নোহ সেই জাহাজে ঢুকলেন, লোকেরা সমানে ভোজন পান করেছে, বিয়ে করেছে ও ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়েছে৷
39 ‘য়ে পর্যন্ত না বন্যা এসে তাদের সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল, সে পর্যন্ত তারা কিছুইবুঝতে পারে নি য়ে কি ঘটতে যাচ্ছে৷ মানবপুত্রের আগমনও ঠিক সেই রকমভাবেইহবে৷
40 সেই সময় দুজন লোক মাঠে কাজ করবে৷ তাদের একজনকে নিয়ে যাওযা হবে, অন্য জন পড়ে থাকবে৷
41 দুজন স্ত্রীলোক য়াঁতা পিষবে, তাদের একজনকে নিয়ে যাওযা হবে, আর অন্যজন পড়ে থাকবে৷
42 ‘তাই তোমরা সজাগ থাক, কারণ তোমাদের প্রভু কোন দিন আসবেন, তা তোমরা জানো না৷
43 তবে একথা মনে রেখো, যদি গৃহস্থ জানত রাত্রে কোন সময় চোর আসবে, তবে সে জেগে থাকত৷ সে চোরকে নিজের ঘরের সিঁধ কাটতে দিত না৷
44 তাই তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ তোমরা যখন তাঁর আগমনের বিষয়ে ভাববেও না, মানবপুত্র সেই সময়ই আসবেন৷
45 ‘সেইবিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস তাহলে কে, যার ওপর তার প্রভু তাঁর বাড়ির অন্যান্য দাসদের ঠিক সময়ে খাবার দেবার দাযিত্ব দিয়েছেন?
46 সেই দাস ধন্য যার মনিব ফিরে এসে তাকে তার কর্তব্য করতে দেখবেন৷
47 আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি সেই দাসকেই তাঁর সমস্ত সম্পত্তি দেখাশোনার ভার দেবেন৷
48 কিন্তু ধর, সেই দাস যদি দুষ্ট হয়, আর মনে মনে বলে, ‘আমার মনিবের ফিরে আসতে অনেক দেরী আছে৷
49 ‘তাই সে তার সঙ্গী দাসদের মারধর করে এবং মাতালদের সঙ্গে খাওযা-দাওযা করতে শুরু করে৷
50 তাহলে য়ে দিন ও য়ে সময়ের কথা সেইদাস ভাবতেও পারবে না বা জানবেও না, সেই দিন ও সেই মুহূর্ত্তেইতার মনিব এসে হাজির হবেন৷
51 তখন তার মনিব তাকে কঠোর শাস্তি দেবেন, ভণ্ডদের মধ্যে তাকে স্থান দেবেন; য়েখানে লোকেরা কান্নাকাটি করে ও যন্ত্রণায় দাঁতে দাঁত

ঘসে৷মথি 24:36-51

যীশু শিক্ষা দিতে থাকলেন I লিঙ্কটি এখানে রয়েছে I

দিন 4 সারাংশ

আবেগী সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবারে, যীশু তাঁর প্রত্যাবর্তনের লক্ষণগুলোকে বর্ণনা করেছিলেন – সমস্ত স্বর্গীয় দেহের অন্ধকারের সাথে চূড়ান্ত পরিণতি I

দিন 4: হিব্রু বেদের নিয়মগুলোর সাথে আবেগী সপ্তাহের ঘটনাগুলোর তুলনা

তিনি আমাদের সবাইকে তাঁর ফেরৎ আসার জন্য সজাগ থেকে লক্ষ্য করতে সতর্ক করেছিলেন I যেহেতু আমরা এখন ডুমুর গাছকে সবুজ দেখতে পাচ্ছি, আমাদের যত্ন নেওয়া উচিত I

সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে কিভাবে তাঁর শত্রু পরে, পঞ্চম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে অগ্রসর হ’ল I 

[i] সেই সপ্তাহের প্রতিটি দিনকে বর্ণনা করে, লুক ব্যাখ্যা করেন:

লুক 21:37

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *