Skip to content

খ্রীষ্টের আগমন:’সাত’ চক্রে

  • by

পবিত্র সাত

সাত একটি শুভ সংখ্যা যা নিয়মিতরূপে পবিত্রতার সঙ্গে যুক্ত I সাতটি পবিত্র নদী সমূহের সম্বন্ধে বিবেচনা করুন: গঙ্গা, গোদাবরী, যমুনা, সিন্ধু, সরস্বতী, কাবেরী, এবং নর্মদা I

সাতটি পবিত্র স্থলের সাথে সাতটি পবিত্র শহর (সপ্ত পুরী) I সাতটি তীর্থ স্থান:

1.  অযোধ্যা (অযোধ্যা পুরী)

2, মথুরা (মথুরা পুরী)

3. হরিদ্বার (মায়া পুরী)

4. বারানসী (কাশী পুরী)

5. কাঞ্চিপুরম (কাঁচি পুরী)

6. উজ্জৈন (অবন্তিকা পুরী)

7. দ্বারকা (দ্বারকা পুরী)

মহাজাগতিক বিশ্বে সাতটি ঊর্ধ্ব এবং সাতটি নিম্ন লোক সমূহ রয়েছে I উইকিপিডিয়া বলে

… 14টি জগৎ, সাতটি উর্ধ্বে I (ব্যহর্তি)এবং সাতটি নিম্নে (পাতাল), অর্থাৎ ভু:, ভুর্ভ:, স্ব:, মহ:”, জন:, তপ:, এবং সত্য উপরে এবং নীচে অতল, বিতল, সুতল, রসাতল, তলাতল, মহাতল, পাতাল…  

চক্রের ছাত্ররা নিয়মিতভাবে আমাদের শরীরের সাত চক্র মন্ডল উদ্ধৃত করে

1. মূলাধার চক্র 2. স্বাধিস্টান চক্র 3. নাভি-মনিপুর চক্র 4. অনাহত চক্র 5. বিশুদ্ধি চক্র 6. আজ্ঞা চক্র 7. সহস্রা চক্র  

হিব্রু বেদে ‘সাত’ পবিত্র

যেহেতু নদী, তীর্থ, ব্যহর্তি, পাতাল এবং চক্র সমূহ ‘সাতের’ দ্বারা সম্পূর্ণ হয়েছে, সেই হেতু এটি দেখতে পাওয়া আশ্চর্য নয় যে হিব্রু বেদে খ্রীষ্টের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করতে সাত কে আবারও ব্যবহার করা হয়েছিল I প্রকৃতপক্ষে. প্রাচীন ঋষিগণ তাঁর আগমনকে নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য সাতের সাতটি চক্র ব্যবহার করেছিলেন I আমরা এই ‘সাত সমূহের সাত’ চক্রকে উদঘাটন করি, তবে প্রথমে এই প্রাচীন হিব্রু ভাববাদীদের একটি সামান্য পর্যালোচনা I

যদিও কয়েক শত বছর ধরে একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্নতা, তাদের নিজেদের মধ্যে মানবীয় সামঞ্জস্যকে অসম্ভব করে তোলে, তাদের ভাববাণীগুলো আসন্ন খ্রীষ্টের উপরে কেন্দ্রীভূত ছিলI যিশাইয় এই বিষয়টিকে আরম্ভ করতে শাখার চিহ্নকে ব্যবহার করেছিলেন I সখরিয় ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে এই শাখার নাম ইহোশুয়া হবে I (ইংরেজিতে যীশু) I হ্যাঁ, খ্রীষ্টের বিশেষ নামটি যীশুর বেঁচে থাকার 500 বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I   

নবি দানিয়েল – সাত সমূহের মধ্যে

এখন দানিয়েলের সম্বন্ধে I তিনি বাবিলের নির্বাসনে বাস করতেন, বাবিল এবং পারস্য সরকারের মধ্যে এক শক্তিশালী পদাধিকারী হয়েছিলেন – এবং একজন হিব্রু ভাববাদী I

কালপঞ্জির মধ্যে হিব্রু বেদের অন্যান্য ভাববাদীদের সঙ্গে দানিয়েলকে দেখান হয়েছে  

 তার বইয়ের মধ্যে, দানিয়েল নিম্নলিখিত বার্তাটি পেয়েছিলেন:

২১ যখন আমি প্রার্থনা করছিলাম, সেই ব্যক্তি গাব্রিয়েল যাকে আমি আগের দর্শনে দেখেছিলাম, সন্ধ্যার নৈবেদ্যর দিনের উড়ে আমার কাছে এলেন। 

২২ তিনি আমাকে বুদ্ধি দিলেন এবং আমাকে বললেন, “দানিয়েল, আমি এখন তোমাকে বোঝার ক্ষমতা ও বুদ্ধি দিতে এসেছি। 

২৩ যখন তুমি দয়ার জন্য প্রার্থনা করতে শুরু করেছিলে, তখন আদেশ দেওয়া হয়েছিল আর তাই আমি তোমাকে সেই উত্তর জানাতে এসেছি, কারণ তোমাকে অনেক ভালবাসা হয়েছে। তাই এই বাক্যর বিষয়ে তুমি চিন্তা করো ও এই দর্শনটা বুঝে নাও। 

২৪ তোমার লোকদের ও তোমার পবিত্র শহরের জন্য সত্তর সপ্তাহ, অপরাধ শেষ করার জন্য, পাপ শেষ করতে, অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে, অনন্তকালীন ধার্ম্মিকতা স্থাপন করতে, দর্শন ও ভবিষ্যদ্বাণী মুদ্রাঙ্কিত করতে এবং মহাপবিত্র স্থানকেa অভিষেক করতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে। 

২৫ তুমি জেনে নাও ও বোঝো যে, যিরূশালেমকে আবার স্থাপন ও তৈরী করার আদেশ বের হওয়া থেকে শুরু করে সেই অভিষিক্ত নেতাb (যিনি একজন শাসনকর্ত্তা হবেন) আসা পর্যন্ত সাত সপ্তাহ আর বাষট্টি সপ্তাহ হবে। যিরূশালেমকে আবার রাস্তা ও পরিখার সঙ্গে আবার নতুন করে তৈরী করা হবে এবং তা সঙ্কটকালেই হবে। 

২৬ বাষট্টি সপ্তাহ পরে সেই অভিষিক্ত ব্যক্তিকে মেরে ফেলা হবে এবং তাঁর কিছুই থাকবে না।

দানিয়েল ৯:২১-২৬এ

এটি ‘অভিষিক্ত ব্যক্তির’ সম্বন্ধে একটি ভবিষ্যদ্বাণী (=খ্রীষ্ট = মসীহ) পূর্বাভাস দেয় কখন তিনি আসবেন I এটি ‘যিরূশালেমের পুনস্থাপন এবং পুনর্নির্মাণের’ আদেশ জারি করার সাথে শুরু হবে I যদিও দানিয়েলকে এই বার্তাটি দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি লিখেছিলেন (প্রায় ৫৩৭ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে) এই উল্টো গণনা শুরু হওয়া দেখতে তিনি বেঁচে থাকেন নি I

যিরূশালেমের পুনস্থাপনের অদেশ জারি

তবে নহিমিয়, দানিয়েলের প্রায় একশত বছরের পরে, এই উল্টোগণনাকে শুরু হতে দেখেছিলেন I তিনি তার বইয়ের মধ্যে লিখেছেন যে 

১ অর্তক্ষস্ত রাজার রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাaসে রাজার সামনে আঙ্গুর রস থাকাতে আমি সেই আঙ্গুর রস নিয়ে রাজাকে দিলাম। তার আগে আমি তাঁর সামনে কখনও দুঃখিত হইনি। 

২ রাজা আমাকে বললেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি, তবে মুখ কেন দুঃখিত দেখাচ্ছে? এ তো মনের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” তখন আমি খুব ভয় পেলাম। 

৩ আর আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ দীর্ঘজীবী হোন। আমি কেন দুঃখিত হব না? যে শহর আমার পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, তা ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে গেছে।” 

৪ তখন রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম। 

৫ আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশী হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি আমাকে যিহূদায়, আমার পূর্বপুরুষদের কবরের শহরে, যেতে অনুমতি দিন, যেন আমি তা তৈরী করি।” 

৬ তখন রাজা-রাণীও তাঁর পাশে বসে ছিলেন-আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে? আর কবে ফিরে আসবে?” এই ভাবে রাজা খুশি হয়ে আমাকে বিদায় দিলেন, আর আমি তার কাছে দিন জানালাম।

নহিমিয় ২:১-৬

আর আমি যিরূশালেমে এসে সেই জায়গায় তিন দিন থাকলাম।

নহিমিয় ২:১১

এটি ‘যিরূশালেমের পুনস্থাপন এবং পুনর্নির্মাণের’ আদেশকে নথিভুক্ত করে যার সম্বন্ধে দানিয়েল উল্টো গণনা শুরু হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I এটি ইতিহাসের সু-পরিচিত পারস্য সম্রাট অর্তক্ষস্তের রাজত্বের বিংশতিতম বছরে ছিল যা ৪৬৫ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে শুরু হয় I সুতরাং তার বিংশতিতম বছর 444 খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে এই আদেশকে স্থাপন করা হবে I দানিয়েলের প্রায় এক শত বছর পরে. পারস্য সম্রাট তার আদেশ জারি করলেন, উল্টো গণনা শুরু করে যা খ্রীষ্টকে নিয়ে আসবে I   

রহস্যময় সাত সমূহ

দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী ইঙ্গিত দিল যে “সাত ‘সপ্তাহ’ এবং বাষট্টি ‘সপ্তাহ’” এর পরে খ্রীষ্ট প্রকাশিত হবেন I  

একটি ‘সাত’ বলতে কি বোঝায়? 

মশির ব্যবস্থায় একটি সাত-বছরের চক্র রয়েছে I প্রত্যেকে সাত বছর অন্তর  জমিকে কৃষিকার্য থেকে বিশ্রাম দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল যাতে জমিকে সম্পুরন করা যেতে পারে I অতএব ‘সাত’ একটি ৭-বছরের চক্র I সেটিকে মনে রেখে আমরা দেখি যে উল্টো গণনা দু ভাগে আসে I প্রথম ভাগটি ছিল ‘সাত সপ্তাহ’ বা সাত 7-বছর সময়কাল I এই 7X7=49 বছর যিরূশালেমকে পুনর্নির্মাণ করতে সময় নিয়েছিল I এর পরে বাষট্টি সপ্তাহ ছিল. সুতরাং পুরো উল্টো গননা ছিল ৭x৭+৬২x৭= ৪৮৩ বছর I আদেশ জারির থেকে খ্রীষ্টের প্রকাশন পর্যন্ত 483 বছর হবে I      

৩৬০-দিনের বছর

আমাদেরকে সামান্য একটু ক্যালেডার সমন্বয় করতে হবে I যেমনভাবে বহু প্রাচীনরা করেছিলেন, ভাববাদীরা এক 360 দিন দীর্ঘ বছর ব্যবহার করতেন I একটি ক্যালেণ্ডারের মধ্যে একট ‘বছরের’ দৈর্ঘ্য নির্ধারণ করার বিভিন্ন উপায়  রয়েছে I পাশ্চাত্য একটি (সৌর প্রদক্ষিণের উপরে ভিত্তিশীল) ৩৬৫. ২৪ দিন  দীর্ঘ, মুসলিম একটি ৩৫৪ দিন (চন্দ্রের চক্রের উপরে ভিত্তিশীল) I যেটি দানিয়েল ব্যবহার করেছিল তা ৩৬০ দিনের অর্ধেক পথ ছিল I অতএব ৪৮৩  ‘৩৬০-দিন’ বছরের ৪৮৩X৩৬০/৩৬৫.২৪ = ৪৭৬ সৌর বছর হয় I          

যে বছর খ্রীষ্টের আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল

আমরা এখন হিসাব করতে পারি কখন খ্রীষ্টের আগমন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I আমরা ‘খ্রীষ্টপূর্বাব্দ’ থেকে ‘খ্রীষ্টাব্দ’ যুগে 1 খ্রীষ্ট পূর্বাব্দ থেকে 1 খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত (কোনো ‘শুন্য’ বছর নেই) শুধুমাত্র 1 বছরের সাথে যাই I এখানে হিসাবটি রয়েছে I

শুরুর বছর ৪৪৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ (অর্তক্ষত্রের বিংশতিতম বছর)
সময়ের দৈর্ঘ্য ৪৭৬ সৌর বছর
আধুনিক ক্যালেন্ডারের প্রত্যাশিত আগমন (-৪৪৪+৪৭৬+১)(‘+১’ কারণ কোনো ০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ নেই = ৩৩
প্রত্যাশিত বছর৩৩ খ্রীষ্টাব্দ
খ্রীষ্টের আগমনের জন্য আধুনিক ক্যালেন্ডারের হিসাব

নাসরতের যীশু যিরূশালেমে একটি গাধার উপরে চড়ে এসেছিলেন যার মধ্য দিয়ে সু-পরিচিত খর্জুর রবিবারের উৎসব গড়ে উঠলো I সেই দিনই তিনি নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তাদের খ্রীষ্ট হিসাবে যিরূশালেমে প্রবেশ করেছিলেন I বছরটি ছিল ৩৩ খ্রীষ্টাব্দ – যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I    

ভাববাদী দামিয়েল এবং নহিমিয়, একে অপরকে জানতে অক্ষম ছিল যেহেতু তারা 100 বছরের ব্যবধানে বাস করেছিল, ঈশ্বরের দ্বারা সমন্বিত হয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণীগুলো জানার জন্য উল্টোগণনাকে গতিশীল করতে যা খ্রীষ্টকে প্রকাশ করেছিল I দানিয়েলের ‘সত্তর সপ্তাহের’ তার দর্শন পাওয়ার ৫৩৭ বছরের পরে, যীশু খ্রীষ্ট রূপে যিরূশালেমে প্রবেশ করেছিলেন I খ্রীষ্টের নামের বিষয়ে সখরিয়র ভবিষ্যদ্বাণীর পাশাপাশি, এই ভাববাদীগণ আশ্চর্য ভবিষ্যদ্বাণী লিখেছিলেন যাতে সকলে ঈশ্বরের পরিকল্পনার প্রকাশ দেখতে পায় I   

আগমনের ‘সেই দিনের’ সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী

এটি ঘটার কয়েক শত বছর পূর্বে, প্রবেশের বছর সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা, বিস্ময়কর I তবে তারা দিনটির বিষয়েও এটিকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I 

খ্রীষ্টের প্রকাশনের পূর্বে এক 360-দিনের বছরকে ব্যবহার করে দানিয়েল 483 বছরের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I তদানুসারে, দিনগুলোর সংখ্যা হ’ল:   

৪৮৩ বছর X ৩৬০ দিন/বছর = ১৭৩৮৮০ দিন

আধুনিক আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রে 365.242 দিন/বছর সহ এটি হ’ল অতিরিক্ত ২৫ দিন সহ ৪৭৬ বছর I (১৭৩৮৮০/৩৬৫.২৪২১৯৮৭৯ = ৪৭৬ অবশিষ্ট ২৫)

রাজা অর্তক্ষত্র যিরূশালেমের পুনস্থাপনের আদেশ জারি করলেন:

বিংশতিতম বছরের নীসনের মাসে…

নহিমিয় ২:

নীসনের ১ তারিখ নিশ্চিত যেহেতু এটি যিহূদি এবং পার্সিয়ান নতুন বছর শুরু করেছিল, যা উৎসবের মধ্যে রাজার পক্ষে নহিমিয়র সাথে কথা বলার কারণ দেয় I নীসনের ১ তারিখ এছাড়াও এক অমাবস্যাকে চিহ্নিত করে যেহেতু তারা চান্দ্র মাসের ব্যবহার করত I আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের সাহায্যে আমরা জানি খ্রীষ্টপূর্ব ৪৪৪ এর নীসনের ১ তারিখ যা আমাবস্যাকে চিহ্নিত করে কখন ঘটেছিল I জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুসারে পারস্য সম্রাট অর্তক্ষত্রর বিংশতিতম বছরের নীসনের ১ তারিখের অর্ধ চন্দ্রকে আধুনিক ক্যালেন্ডারের মধ্যে খ্রীষ্টপূর্ব ৪৪৪ এর মার্চ ৪ তারিখের রাত্রি ১০ টায় স্থাপন করে[[i]]I      

পাম রবিবারের সেই দিনের প্রতি

দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী করা সময়ের ৪৭৬ বছরকে আজকের দিনের সাথে যোগ করলে আমাদের কাছে ৩৩ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ ৪ তারিখ নিয়ে আসে, যেমন ভাবে উপরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে I দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী করা সময়ের অবশিষ্ট ২৫ দিনগুলো ৩৩ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ 4 তারিখের সঙ্গে যোগ করলে আমাদেরকে ৩৩ খ্রীষ্টাব্দের ২৯ মার্চ দেয় I ৩৩ খ্রীষ্টাব্দের ২৯ মার্চ ছিল রবিবার – খর্জুর রবিবারসেই বিশেষ দিন যাতে খ্রীষ্ট হওয়ার দাবি কোরে, যীশু গাধার উপরে চড়ে যিরূশালেমে প্রবেশ করেছিলেন[ii]I     

আরম্ভ – আদেশ জারি হয় মার্চ ৪, ৪৪৪ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ
সৌর বছরগুলো যুক্ত করুন (-৪৪৪+ ৪৭৬+১)মার্চ ৪, ৩৩ খ্রীষ্টাব্দ
শেষ ‘সাত সপ্তাহের’ ২৫ দিনগুলো যোগ করুনমার্চ ৪ + ২৫ = মার্চ ২৯, ৩৩ খ্রীষ্টাব্দ
মার্চ ২৯.৩৩ খ্রীষ্টাব্দখর্জুর রবিবারে যিরূশালেমে যীশুর প্রবেশ
২৯ মার্চ, ৩৩ খ্রীষ্টাব্দে, গাধার উপরে চড়ে যিরূশালেমে প্রবেশ করে, যীশু সখরিয় এবং দানিয়েল উভয়ের ভবিষ্যদ্বাণী পূরণ করেছিলেন – সেই দিনে I 
দানিয়েলের ‘সাত সপ্তাহের’ চক্র খর্জুর রবিবারের দিনকে পূরণ করেছিল

খ্রীষ্টের প্রকাশনের 173880 দিনের পূর্বে দানিয়েল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল; নহিমিয় সময়টি আরম্ভ করেছিল I এটি 29 মার্চ, 33 খ্রীষ্টাব্দে শেষ হয়েছিল যখন যীশু খর্জুর রবিবারের দিনে যিরূশালেমে প্রবেশ করেছিলেন. সবকিছু ‘সাত সপ্তাহের’ মধ্যে পুরো হয়ে গিয়েছিল I  

পরে সেই একই দিনে যীশু আর একটি সাত সৃষ্টির সপ্তাহের নমুনায় তাঁর ক্রিয়া কলাপ আরম্ভ করলেন I এইভাবে তিনি তাঁর শত্রু মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়া ঘটনাগুলোকে গতিশীল করলেন I  


১.ডা. হ্যারল্ড ডব্লিউ. হোএনার, খ্রীস্টের জীবনের ঐতিহাসিক বিষয় সমূহ I ১৯৭৭. ১৭৬ পৃষ্ঠা.

২.আসন্ন শুক্রবার ছিল নিস্তারপর্ব, এবং নিস্তারপর্ব সর্বদা নীসনের ১৪ তারিখে হত I 33 খ্রীষ্টাব্দের নীসনের ১৪ তারিখ ছিল ৩ এপ্রিল I  শুক্রবার ৩ এপ্রিলের ৫ দিন পূর্বে খর্জুর রবিবার ছিল ২৯ মার্চ I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *