Skip to content

দিন 4: কল্কির মতন চড়ে নক্ষত্রদের নেভাতে

  • by

যীশু তৃতীয় দিবসে একটি অভিশাপ উচ্চারণ করলেন. তাঁর জাতিকে নির্বাসনে দণ্ড দিলেন I এছাড়াও যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে তাঁর অভিশাপের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, সঞ্চালিত ঘটনাগুলি এই যুগ শেষ করবে I শিষ্যরা এই সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল এবং যীশু তাঁর প্রত্যাবর্তনকে সেই কল্কির (কাল্কিন) মতন বর্ণনা করে, ব্যাখ্যা করলেন I  

তিনি এইভাবে আরম্ভ করলেন I

১ পরে যীশু ঈশ্বরের গৃহ থেকে বের হয়ে নিজের রাস্তায় চলেছেন, এমন দিনের তাঁর শিষ্যেরা তাঁকে মন্দিরের গাঁথনিগুলি দেখানোর জন্য কাছে গেলেন।
২ কিন্তু তিনি তাঁদের বললেন, “তোমরা কি এই সব দেখছ না? আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই মন্দিরের একটা পাথর অন্য পাথরের উপরে থাকবে না, সব কিছুই ধ্বংস হবে।”
৩ পরে তিনি জৈতুন পর্বতের উপরে বসলে শিষ্যেরা গোপনে তাঁর কাছে এসে বললেন, “আমাদেরকে বলুন দেখি, এই সব ঘটনা কখন ঘটবে? আর আপনার আবার ফিরে আসার এবং যুগ শেষ হওয়ার চিহ্ন কি?”

মথি ২৪:১-৩

তিনি তাঁর অভিশাপের বিস্তৃত বর্ণনা দিয়ে আরম্ভ করলেন I তারপরে সন্ধ্যা হলে  তিনি যিরূশালেমের বাইরে অলিভ পর্বতে যেতে মন্দির ছেড়ে চলে গেলেন (i)I সূর্যাস্তে যিহূদি দিন শুরু হওয়ার কারণে, এটি এখন ছিল সপ্তাহের চতুর্থ দিন যখন তিনি তাঁর প্রত্যাবর্তনের বর্ণনা করলেন I  

পুরাণের কল্কি

গরুড় পুরাণ ব বিষ্ণুর দশাবতারের (দশটি প্রাথমিক অবতার/দেহধারণ) চূড়ান্ত অবতার রূপে কল্কির বর্ণনা করে I বর্তমান যুগ, কলি যুগের শেষে কল্কি আসবে I পুরাণ বলে যে কল্কির আবির্ভাবের ঠিক পূর্বে পৃথিবীর অধ:পতন হবে, ধর্ম হারিয়ে যাবে I লোকেরা অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক সমূহের মধ্যে যুক্ত হবে, নগ্নতা এবং অধার্মিক আচরণের অনুরাগী হয়ে উঠবে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারী ঘটবে I এই মুহুর্তে, জ্বলন্ত তরোয়াল চালিয়ে এবং একটি ঘোড়ায় চড়ে, অবতার কল্কি আবির্ভূত হবেন I কল্কি পৃথিবীর দুষ্ট বাসিন্দাদের ধ্বংস করবে, এবং এক নতুন যুগের সূচনা করবে, পৃথিবীকে সত্য যুগে ফিরিয়ে আনবে I     

যাইহোক, উইকিপিডিয়া বলে যে বেদ কল্কি/কাল্কিনের উল্লেখ করে না I ষষ্ঠ দশাবতার অবতার পরশুরামের বিস্তৃতি হিসাবে কেবল মহাভারতে তিনি প্রথমে আবির্ভূত হন I এই মহাভারতের সংস্করণে, কল্কি কেবলমাত্র মন্দ শাসকদের ধ্বংস করেন কিন্তু সত্য যুগের নবীকরণ নিয়ে আসেন না I পন্ডিতরা পরামর্শ দেয় খ্রীষ্টাব্দ ৭-৯ শতাব্দীর কোনো এক সময় এক কল্কির আদিরূপের বিকাশ হয় I  

কল্কির আকাঙ্খা

কল্কির বিকাশ এবং অন্যান্য ঐতিহ্য সমূহের মধ্যে অনুরূপ ব্যক্তি (বৌদ্ধ ধর্মে মৈত্রেয়, ইসলাম ধর্মে মেহদী, শিখ মেহদী মীর) আমাদের সহজাত বোধ প্রদর্শন করে যে পৃথিবীর সাথে কোনোকিছু অন্যায় হচ্ছে I আমরা চাই কেউ এসে  এটিকে ঠিক করুক I আমরা কামনা করি যে তিনি দুষ্ট অত্যাচারীদের পদচ্যুত করুন, দুর্নীতি দূর করুন এবং ধর্মকে উন্নত করুন I কিন্তু আমরা ভুলে যাই কেবল তাঁকে অবশ্যই মন্দকে ‘সেখানে’ মুছে ফেলতে হবে তা নয়, বরং আমাদের ভেতরের দুর্নীতিকেও পরিষ্কার করতে হবে I অন্য পবিত্র গ্রন্থগুলি কেউ এসে মন্দকে পরাভূত করুক এই আকাঙ্খা প্রকাশ করার অনেক আগেই, যীশু শিখিয়েছিলেন যে, কিভাবে তিনি দ্বি-অংশের কাজটির সম্বন্ধে অগ্রসর হবেন I তাঁর প্রথম আগমনেই তিনি আমাদের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিকে পরিষ্কার করেন, তাঁর  দ্বিতীয় আগমনে তিনি সরকারী এবং সামাজিক অধর্মের মোকাবেলা করেন I এই সপ্তাহের চতুর্থ দিনে তাঁর প্রত্যাবর্তনের লক্ষণ সমূহকে বর্ণনা করে যীশু তাঁর দ্বিতীয় আগমনের প্রত্যাশা করেছিলেন I       

৪র্থ দিন – তাঁর প্রত্যাবর্তনের লক্ষণ সমূহ

৪ যীশু এর উত্তরে তাঁদের বললেন, “সাবধান হও, কেউ যেন তোমাদের না ঠকায়।”

৫ কারণ অনেকেই আমার নাম ধরে আসবে, বলবে, আমিই সেই খ্রীষ্ট, আর অনেক লোককে ঠকাবে।

৬ আর তোমরা যুদ্ধের কথাও যুদ্ধের গুজব শুনবে, দেখো, অস্থির হয়ো না, কারণ এসব অবশ্যই ঘটবে, কিন্তু তখনও এর শেষ নয়।

৭ কারণ এক জাতি অন্য জাতির বিরুদ্ধে ও এক রাজ্যে অন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে উঠবে। জায়গায় জায়গায় ভূমিকম্প ও দূর্ভিক্ষ হবে।

৮ কিন্তু এই সবই যন্ত্রণা আরম্ভ মাত্র।

৯ সেই দিনের লোকেরা কষ্ট দেবার জন্য তোমাদের সমর্পণ করবে, ও তোমাদের বধ করবে, আর আমার নামের জন্য সমস্ত জাতি তোমাদের ঘৃণা করবে।

১০ আর সেই দিন অনেকে বিশ্বাস ছেড়ে চলে যাবে, একজন অন্য জনকে শত্রুর হাতে সমর্পণ করবে, একে অন্যকে ঘৃণা করবে।

১১ আর অনেক ভণ্ড ভাববাদী আসবে এবং অনেককে ভোলাবে।

১২ আর অধর্ম্ম বৃদ্ধি হওয়াতে অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হয়ে যাবে।

১৩ কিন্তু যে কেউ শেষ পর্যন্ত স্থির থাকবে, সে উদ্ধার পাবে।

১৪ আবার সব জাতির কাছে সাক্ষ্য দাওয়ার জন্য রাজ্যের এই সুসমাচার সমস্ত জগতে প্রচার করা হবে, আর তখন শেষ দিন উপস্থিত হবে।

১৫ অতএব যখন তোমরা দেখবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার জিনিসের বিষয়ে দানিয়েল ভাববাদী বলেছেন, যা পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে আছে, যে ব্যক্তি এই বিষয়ে পড়ে সে বুঝুক, 

১৬ তখন যারা যিহূদিয়াতে থাকে, তারা পাহাড়ি অঞ্চলে পালিয়ে যাক, 

১৭ যে কেউ ছাদের উপরে থাকে, সে ঘর থেকে জিনিসপত্র নাওয়ার জন্য নীচে না নামুক, 

১৮ আর যে কেউ ক্ষেতে থাকে, সে তার পোশাক নাওয়ার জন্য পেছনে ফিরে না যাক।

১৯ হায়, সেই দিনের গর্ভবতী এবং যাদের কোলে দুধের বাচ্চা তাদের খুবই কষ্ট হবে!

২০ আর প্রার্থনা কর, যেন তোমাদের শীতকালে কিম্বা বিশ্রামবারে পালাতে না হয়।

২১ কারণ সেদিন এমন মহাসংকট উপস্থিত হবে, যা জগতের আরম্ভ থেকে এ পর্যন্ত কখনও হয়নি, আর কখনও হবেও না।

২২ আর সেই দিনের সংখ্যা যদি কমিয়ে দেওয়া না হত, তবে কোন মানুষই উদ্ধার পেত না, কিন্তু যারা মনোনীত তাদের জন্য সেই দিনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হবে।

২৩ তখন যদি কেউ তোমাদের বলে, দেখ, সেই খ্রীষ্ট এখানে, কিম্বা ওখানে, তোমরা বিশ্বাস কর না।

২৪ কারণ ভণ্ড খ্রীষ্টেরা ও ভণ্ড ভাববাদীরা উঠবে এবং এমন মহান মহান চিহ্ন ও আশ্চর্য্য আশ্চর্য্য কাজ দেখাবে যে, যদি হতে পারে, তবে মনোনীতদেরও ভোলাবে।

২৫ দেখ, আমি আগেই তোমাদের বললাম।

২৬ অতএব লোকে যদি তোমাদের বলে, দেখ, তিনি মরূপ্রান্তে, তোমরা বাইরে যেও না, দেখ, তিনি গোপন ঘরে, তোমরা বিশ্বাস করো না।

২৭ কারণ বিদ্যুৎ যেমন পূর্ব দিক থেকে বের হয়ে পশ্চিম দিক পর্যন্ত প্রকাশ পায়, তেমন ভাবেই মনুষ্যপুত্রের আগমনও হবে।

২৮ যেখান মৃতদেহ থাকে সেইখানে শকুন জড়ো হবে।

২৯ আর সেই দিনের সংকটের পরেই সূর্য্য অন্ধকার হবে, চাঁদও জ্যোৎস্না দেবে না, আকাশ থেকে তারা খসে পড়বে ও আকাশমন্ডলের সমস্ত ক্ষমতা।

৩০ আর তখন মনুষ্যপুত্রের চিহ্ন আকাশে দেখা যাবে, আর তখন পৃথিবীর সমস্ত জাতি বিলাপ করবে এবং মনুষ্যপুত্রকে আকাশে মেঘরথে পরাক্রম ও মহা প্রতাপে আসতে দেখবে।

৩১ আর তিনি মহা তূরীধ্বনির সঙ্গে তাঁর দূতদের পাঠাবেন, তাঁরা আকাশের এক সীমা থেকে আর এক সীমা পর্যন্ত, চারদিক থেকে তাঁর মনোনীতদের একত্রিত করবেন।

মথি ২৪:৪-৩১

চতুর্থ দিনে যীশু মন্দিরের আসন্ন ধ্বংসকে অতীতে দেখছিলেন I তিনি শিখিয়েছিলেন যে ক্রমবর্ধমান মন্দতা, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ, এবং অত্যাচার সমূহ তাঁর প্রত্যাবর্তনের পূর্বে পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য হবে I তবুও, তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে সুসমাচার সারা পৃথিবী জুড়ে তখনও প্রচারিত হবে (পদ ১৪) I খ্রীষ্টের সম্বন্ধে জগত জানার সাথে সাথে সেখানে ভুয়ো শিক্ষকদের সংখ্যা বাড়বে এবং তাঁর ও তাঁর প্রত্যাবর্তনের সম্বন্ধে ছদ্ম দাবি করা হবে I নির্বিচার মহাজাগতিক অশান্তি, যুদ্ধ, বিশৃঙ্খলা এবং সঙ্কটের মাঝে তাঁর প্রত্যাবর্তনের আসল লক্ষণ হবে I তিনি নক্ষত্র, সূর্য এবং চন্দ্রের থেকে আলো নিভিয়ে দেবেন I      

তাঁর প্রত্যাবর্তন বর্ণিত

যোহন এটিকে কল্কির মতন চিত্রিত করে পরে তাঁর প্রত্যাবর্তনের ব্যাখ্যা করেছিলেন:

১১ তখন আমি দেখলাম স্বর্গ খোলা আছে এবং আমি সাদা রঙের একটা ঘোড়া দেখতে পেলাম, আর যিনি সেই ঘোড়ার উপর বসে আছেন তিনি বিশ্বস্ত ও সত্য নামে পরিচিত। তিনি ন্যায়ভাবে বিচার ও যুদ্ধ করেন। 

১২ তাঁর চক্ষু জ্বলন্ত আগুনের শিখার মত এবং তাঁর মাথায় অনেকগুলি মুকুট আছে; তাঁর গায়ে একটা নাম লেখা আছে যেটা তিনি ছাড়া আর অন্য কেউ জানে না। 

১৩ তাঁর পরনে রক্তে ডুবান কাপড় ছিল এবং তার নাম ছিল “ঈশ্বরের বাক্য”। 

১৪ আর স্বর্গের সৈন্যদল সাদা পরিষ্কার এবং মসীনা কাপড় পরে সাদা রঙের ঘোড়ায় চড়ে তাঁর পিছনে পিছনে যাচ্ছিল। 

১৫ আর তাঁর মুখ থেকে এক ধারালো তরবারি বের হচ্ছিল যেন সেটা দিয়ে তিনি জাতিকে আঘাত করতে পারেন; আর তিনি লোহার রড দিয়ে তাদেরকে শাসন করবেন; এবং তিনি সর্বশক্তিমান্ ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর ক্রোধ স্বরূপ পায়ে আঙ্গুর মাড়াই করবেন। 

১৬ তাঁর পোশাকে এবং ঊরুতে একটা নাম লেখা আছে, তা হলো “রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু”। 

১৭ আমি একজন দূতকে সূর্য্যের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম; আর তিনি খুব জোরে চীৎকার করে আকাশের মধ্য দিয়ে যে সব পাখী উড়ে যাচ্ছিল সে সব পাখিকে বললেন, এস ঈশ্বরের মহা ভোজ খাওয়ার জন্য একসঙ্গে জড়ো হও। 

১৮ এস রাজাদের মাংস, সেনাপতির মাংস, শক্তিমান্ লোকদের মাংস, ঘর এবং ঘোড়া ও আরোহীদের মাংস এবং স্বাধীন ও দাস, ছোটো ও বড় সব মানুষের মাংস খাও। 

১৯ পরে আমি দেখলাম, যিনি ঘোড়ার ওপর বসে ছিলেন তাঁর ও তাঁর সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য সেই জন্তুটি ও পৃথিবীর রাজারা ও তাদের সৈন্যরা একসঙ্গে জড়ো হল। 

২০ সেই জন্তুকে ধরা হলো এবং যে ভণ্ড ভাববাদী তার সামনে আশ্চর্য্য কাজ করত এবং জন্তুটির চিহ্ন সবাইকে গ্রহণ করাত ও তার মূর্তির পূজো করাত এবং তাদের ভুল পথে চালনা করত সেও তার সঙ্গে ধরা পড়ল; তাদের দুজনকেই জীবন্ত জ্বলন্ত গন্ধকের আগুনের হ্রদে ফেলা হলো। 

২১ আর বাকি সবাইকে যিনি সেই সাদা ঘোড়ার ওপরে বসে ছিলেন তাঁর মুখ থেকে বের হওয়া তরবারি দিয়ে মেরে ফেলা হলো; আর সব পাখিরা তাদের মাংস খেয়ে নিল।

প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-২১

লক্ষণগুলির মূল্যায়ন করা

আমরা দেখতে পারি যুদ্ধ, সঙ্কট এবং ভূমিকম্প ক্রমশঃ বাড়ছে – সুতরাং তাঁর ফিরে আসার সময় নিকট হচ্ছে I তবে স্বর্গে এখনও কোনো ঝামেলা নেই তাই তাঁর প্রত্যাবর্তন ঠিক এখনও হয়নি I  

আমরা কতটা কাছে আছি?

এর উত্তর দিতে যীশু বলতে থাকলেন

৩২ ডুমুরগাছের গল্প থেকে শিক্ষা নাও, যখন তার ডালে কচি পাতা বের হয়, তখন তোমরা জানতে পার, গ্রীষ্মকাল এসে গেছে, 
৩৩ তেমনি তোমরা ঐ সব ঘটনা দেখলেই জানবে, তিনিও আসছেন, এমনকি, দরজার কাছে উপস্থিত।
৩৪ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, এই যুগের লোকদের লোপ হবে না, যে পর্যন্ত না এ সমস্ত কিছু পূর্ণ হয়।
৩৫ আকাশের ও পৃথিবীর লোপ হবে কিন্তু আমার বাক্যের লোপ কখনও হবে না।

মথি ২৪:৩২-৩৫

আমাদের চোখের সামনে ডুমুর গাছের পাতা সবুজ হচ্ছে

মনে রাখুন ইস্রায়েলের প্রতীক, ডুমুর গাছ, যাকে তিনি তৃতীয় দিনে অভিশাপ দিয়েছিলেন? 70 খ্রীষ্টাব্দে ইস্রায়েলের শুকিয়ে যাওয়া আরম্ভ হয়েছিল যখন রোমীয়রা মন্দিরকে ধ্বংস করেছিল এবং এটি 1900 বছর ধরে শুকনো  থাকলো I যীশু আমাদেরকে ডুমুর গাছ থেকে বেরিয়ে আসা সবুজ অঙ্কুরের দিকে তাকিয়ে থাকতে বলেছিলেন জানতে কখন তাঁর ফেরৎ আসা ‘নিকটস্থ’ হবে I বিগত 70 বছরে আমরা এই ‘ডুমুর গাছ’ কে লক্ষ্য করে এসেছি যা সবুজ  এবং পাতাগুলো আবার অঙ্কুরিত হতে শুরু করেছে I হ্যাঁ, এটি আমাদের সময়ে যুদ্ধ, সঙ্কট ও ঝামেলাগুলো যোগ করেছে, তবে তিনি আমাদের সতর্ক করেছিলেন বলে এটি আমাদের অবাক না করা উচিত I    

অতএব, আমাদের সময়ে আমাদের যত্নবান এবং সজাগ থাকা উচিত যেহেতু  তিনি তাঁর প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে অসতর্কতা এবং উদাসীনতার বিরুদ্ধে সাবধান  করেছিলেন I  

৩৬ কিন্তু সেই দিনের ও সেই মুহূর্তের বিষয় কেউই জানে না, এমনকি স্বর্গ দূতেরাও জানে না, পুত্রও জানে না, শুধু পিতা জানেন।

৩৭ যেমন নোহের দিনের হয়েছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনও তেমন হবে।

৩৮ কারণ বন্যা আসার আগে থেকে, জাহাজে নোহের প্রবেশের দিন পর্যন্ত, লোকে যেমন খাওয়া দাওয়া করত, বিয়ে করত, ও বিয়ে দিয়েছে।

৩৯ এবং ততক্ষণ বুঝতে পারল না, যতক্ষণ না বন্যা এসে সবাইকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল, তেমন মনুষ্যপুত্রের আগমনের দিনের ও হবে।

৪০তখন দুই জন ক্ষেতে থাকবে, এক জনকে নিয়ে নাওয়া হবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

৪১দুটি মহিলা যাঁতা পিষবে, এক জনকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং অন্য জনকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

৪২ অতএব জেগে থাক, কারণ তোমাদের প্রভু কোন্ দিন আসবেন, তা তোমরা জান না।

৪৩ কিন্তু এটা জেনে রাখো, চোর কোন মুহূর্তে আসবে, তা যদি বাড়ির মালিক জানত, তবে জেগে থাকত, নিজের বাড়িতে সিঁধ কাটতে দিত না।

৪৪ এই জন্য তোমরাও প্রস্তুত থাক, কারণ যে দিন তোমরা মনে করবে তিনি আসবেন না, সেই দিনই মনুষ্যপুত্র আসবেন।

৪৫ এখন, সেই বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাসকে, যাকে তার মালিক তাঁর পরিজনের উপরে নিযুক্ত করেছেন, যেন সে তাদের উপযুক্ত দিনের খাবার দেয়?

৪৬  ধন্য সেই দাস, যাকে তার মালিক এসে তেমন করতে দেখবেন।

৪৭ আমি তোমাদের সত্যি বলছি, তিনি তাকে তাঁর সব কিছুর উপরে নিযুক্ত করবেন।

৪৮ কিন্তু সেই দুষ্টু দাস যদি তার হৃদয়ে বলে, আমার মালিকের আসবার দেরি আছে, 

৪৯ আর যদি তার দাসদের মারতে এবং মাতাল লোকদের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করতে, আরম্ভ করে, 

৫০ তবে যে দিন সে অপেক্ষা করবে না এবং যে মুহূর্তের আশা সে করবে না, সেই দিন ও সেই মুহূর্তে সেই দাসের মালিক আসবেন, 

৫১ আর তাকে দুই খন্ড করে ভণ্ডদের মধ্যে তার স্থান ঠিক করবেন, সে সেই জায়গায় কাঁদবে ও দাঁতে দাঁত ঘষবে।

মথি ২৪:৩৬-৫১

যীশু শিক্ষা দিতে থাকলেন I লিঙ্কটি এখানে রয়েছে I

৪র্থ দিন সারাংশ

আবেগী সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবারে, যীশু তাঁর প্রত্যাবর্তনের লক্ষণগুলোকে বর্ণনা করেছিলেন – সমস্ত স্বর্গীয় দেহের অন্ধকারের সাথে চূড়ান্ত পরিণতি I

দিন 4: হিব্রু বেদের নিয়মগুলোর সাথে আবেগী সপ্তাহের ঘটনাগুলোর তুলনা

তিনি আমাদের সবাইকে তাঁর ফেরৎ আসার জন্য সজাগ থেকে লক্ষ্য করতে সতর্ক করেছিলেন I যেহেতু আমরা এখন ডুমুর গাছকে সবুজ দেখতে পাচ্ছি, আমাদের যত্ন নেওয়া উচিত I

সুসমাচার লিপিবদ্ধ করে কিভাবে তাঁর শত্রু পরে, পঞ্চম দিনে তাঁর বিরুদ্ধে অগ্রসর হ’ল I 

[i] সেই সপ্তাহের প্রতিটি দিনকে বর্ণনা করে, লুক ব্যাখ্যা করেন:

আর তিনি প্রতিদিন মন্দিরে উপদেশ দিতেন এবং প্রতিরাতে বাইরে গিয়ে জৈতুন নামে পর্বতে গিয়ে থাকতেন।

লুক ২১:৩৭

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *