Skip to content

আসন্ন মহৎ রাজা: কয়েকশত বছর পূর্বে নামকরণ

  • by

রাজা ভেনার সম্বন্ধে বিষ্ণু পুরাণ বলে I যদিও ভেনা এক উত্তম রাজা রূপে আরম্ভ করেছিলেন, দুর্নীতির প্রভাবের কারণে তিনি এতটাই মন্দ হয়ে গেলেন যে তিনি ত্যাগ ও প্রার্থনা নিষিদ্ধ করেছিলেন I তিনি এমকি দাবি করলেন যে তিনি বিষ্ণুর চেয়েও শ্রেষ্ঠ I ঋষি এবং ব্রাহ্মণ/পুরোহিতরা তার সাথে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন, এই বলে যে রাজা হিসাবে তার শিক্ষা দেওয়া উচিত এবং যথোচিত ধর্মার জন্য এক উদাহরণ স্থাপন করা উচিত, না একে নিম্নমানের  করা উচিত I যাইহোক ভেনা শুনতেন না I তাই পুরোহিতরা ধর্মাকে পুনস্থাপন করতে বেপরোয়া হলেন এবং যেহেতু তারা তাকে অনুতাপ করতে রাজি করতে  পারে নি, তাই মন্দতার রাজ্যকে যা তিনি হয়েছিলেন উদ্ধার করতে তাকে হত্যা করলেন I   

সেটি রাজ্যকে এক শাসক বিহীন করে ছেড়ে গেল I অতএব পুরোহিতরা রাজার দক্ষিণ হস্তকে ঘর্ষণ করলেন এবং পৃথু/প্রুথু নামে এক সৎ ব্যক্তির উত্থান হ’ল I পৃথুকে ভেনার উত্তরাধিকারী মনোনীত করা হ’ল I সবাই আনন্দিত ছিল যে এই জাতীয় একজন নৈতিক ব্যক্তি রাজা হবেন এবং এমনকি ব্রহ্মা পৃথুর রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য হাজির হলেন I পৃথুর রাজত্বকালে রাজ্য এক স্বর্ণ যুগে প্রবেশ করল I   

এটি ভাববাদী যিশাইয় এবং যিরমিয়র মুখোমুখি অনুরূপ দ্বিধাকে চিত্রিত করে I তারা দেখল ইস্রায়েলর রাজারা প্রাথমিকভাবে মহৎ এবং দশ আজ্ঞা সমূহের ধর্মাকে অনুসরণ করলেও পরে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেল I তারা ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যে রাজবংশের পতন হবে যেমনভাবে একটি বৃক্ষকে কেটে ফেলা হয় I তবে এছাড়াও তারা এক ভবিষ্যতের মহৎ রাজার সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন, একটি শাখা যা পতিত বৃক্ষের গুড়ি থেকে অঙ্কুরিত হবে I 

এছাড়াও ভেনার গল্প পুরোহিত এবং রাজাদের মধ্যে ভূমিকার স্পষ্ট বিচ্ছেদকে চিত্রিত করে I রাজা ভেনাকে পুরোহিতদের দ্বারা সরানোর সময়ে তারা শাসন গ্রহণ করতে পারল না যেহেতু সেটি তাদের অধিকারে ছিল না I যিশাইয় এবং যিরমিয়র সময়েও রাজা এবং পুরোহিতের মধ্যে ভূমিকার এই একই বিচ্ছেদ বলবৎ ছিল I এই গল্পগুলোর মধ্যে পার্থক্য হ’ল যে পৃথুর নাম তার জন্মের পরে দেওয়া হয়েছিল, যেখানে আমরা দেখব হিব্রু ঋষিরা আসন্ন রাজার নাম তার জন্মের কয়েকশত বৎসর পূর্বে কিভাবে দিয়েছিলেন I

যিশাইয় প্রথমে আসন্ন শাখার সম্বদ্ধে লিখলেন I দায়ূদের পতিত রাজবংশের থেকে একটি ‘তিনি, প্রজ্ঞা এবং শক্তির অধিকারী হয়ে আসছেন I যিরমিয় এই বলে অনুসরণ করলেন যে এইশাখাকে প্রভু বলে জানা যাবে – সৃষ্টিকারী ঈশ্বরের জন্য হিব্রু নাম, এবং আমাদের ধার্মিকতা হবেন I

সখরিয় শাখাটিকে চালিয়ে যান 

বাবিলোনীয় নির্বাসনের পরে সখরিয় মন্দির পুনর্নির্মাণ করত ফিরলেন 

ঋষি সখরিয় 520 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বাস করতেন, যখন যিহূদিরা তাদের প্রথম  নির্বাসন থেকে যিরূশালেমে ফেরা আরম্ভ করেছিল I তারা ফিরে এলে, তারা তাদের ধ্বংস মন্দির পুনর্নির্মাণ করতে আরম্ভ করল I সেই সময়ে মহা যাজকের নাম যিহোশুয়া দেওয়া হয়েছিল, এবং তিনি মন্দিরের যাজকদের কাজ পুনরায় আরম্ভ করছিলেন I যিহূদি লোকেদের ফেরৎ নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ঋষি-ভাববাদী, সখরিয় মহা যাজক যিহোশুয়ার সাথে অংশীদার হলেন I সখরিয়র মাধ্যমে – এখানে ঈশ্বর যা – এই যিহোশুয়ার সম্বন্ধে বললেন:

ওহে মহাযাজক যিহোশূয় এবং তোমার সামনে য়ে মহাযাজকেরা বসে আছে, সবাই দয়া করে শোন| অদূর ভবিষ্যতে আমার বিশেষ দাসকে যখন আমি আনব তখন কি ঘটবে তা দেখাবার জন্য এই লোকেরা তার উদাহরণস্বরূপ| তাকে ‘শাখা’ এই নামে ডাকা হয়|
দেখ, আমি যিহোশূয়র সামনে একটা বিশেষ ধরণের পাথর রাখছি| ঐ পাথরটার সাতটা দিক রয়েছে| আমি একটি বিশেষ বার্তা তাতে খোদাই করব| এটাই দেখাবে য়ে আমি একদিনে এই দেশের প্রতিটি পাপ দূর করব|”

সখরিয় 3:8-9

শাখাটি! যিশাইয়র দ্বারা 200 বছর পূর্বে আরম্ভ হয়ে, যিরমিয়র দ্বারা 60 বছর পরে চলতে থাকল I সখরিয় আরও দুরে ‘শাখাটিকে’ বহন করলেন এমনকি যদিও রাজবংশটিকে এখন কেটে ফেলা হয়েছিল I বটবৃক্ষের মতন এই শাখাটি একটি মৃত গুড়ির থেকে মূল বিস্তার করে চলতে থাকল I শাখাটিকে এখন ‘আমার দাস’ বলা হয় – ঈশ্বরের দাস I য়িরুশালেমে 520 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে কোনো ভাবে সখরিয়র সহকর্মী মহা যাজক যিহোশুয়া, এই আসন্ন শাখার প্রতীকী ছিলেন I

কিন্তু কিভাবে?

‘এক দিনের মধ্যে’ প্রভুর দ্বারা কিভাবে পাপগুলোকে অপসারণ করা হবে? 

শাখাটি: যাজক এবং রাজাকে ঐক্যবদ্ধ করছে 

বুঝতে আমাদের জানা উচিত যে হিব্রু বেদে যাজক এবং রাজার ভূমিকা সমূহ উভয়কে কঠোরভাবে পৃথক করা হয়েছিল I রাজাদের মধ্যে কেউ যাজক হতে পারতেন না এবং যাজকরা রাজা হতে পারতেন না I যাজকের ভূমিকা ছিল ঈশ্বরের কাছে বলি অর্পণ করার দ্বারা ঈশ্বর এবং মানুষের মধ্যে মধ্যস্ততা করা এবং রাজার দায়িত্ব ছিল সিংহাসন থেকে ন্যায়ের সাথে শাসন করা I উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ছিল; উভয়ই স্বতন্ত্র ছিল I তবুও সখরিয় লিখলেন যে ভবিষ্যতে:

তখন আমি প্রভুর কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পেলাম| তিনি বললেন,
10 “হিল্দয, টোবিয ও য়িদায বাবিলের বন্দী দশা থেকে ফিরে এসেছে| সেই লোকেদের কাছ থেকে তুমি রূপো ও সোনা সংগ্রহ কর এবং সফনিয়ের পুত্র য়োশিযের বাড়ী যাও|
11 সেই রূপো ও সোনা ব্যবহার করে একটি মুকুট তৈরী কর এবং যিহোষাদকের পুত্র, মহাযাজক যিহোশূয়কে মুকুট মণ্ডিত কর| তারপর যিহোশূয়কে এই বিষয়গুলি বল:
12 প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেন: ‘শাখা নামে এক মানুষ আছেন, তিনি শক্তিমান হয়ে উঠবেন, তিনি প্রভুর মন্দির গাঁথবেন|
13 তিনি প্রভুর মন্দির গাঁথবেন ও সম্মান গ্রহণ করবেন| তিনি সিংহাসনে বসে শাসন করবেন| আর একজন যাজক তার সিংহাসনের পাশে দাঁড়াবে| এই দুই জন একসাথে শান্তিতে কাজ করবে|

সখরিয় 6:9, 11-13

পূর্বের নজিরের বিপরীত, সখরিয়ের দিনে মহা যাজককে (যিহোশুয়া) শাখা হিসাবে প্রতীকীভাবে রাজার মুকুট পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল (মনে রাখুন যিহোশুয়া আসন্ন জিনিসগুলোর ‘প্রতীকী’ ছিলেন) I মহা যাজক যিহোশুয়া, রাজার মুকুট পরে, এক ব্যক্তির মধ্যে রাজা এবং যাজকের ঐক্যবদ্ধকারী ভবিষ্যতের পূর্বাভাষ দেখেছিলেন – রাজার সিংহাসনে একজন যাজক I তদুপরি সখরিয় লিখলেন যে ‘যিহোশুয়া’ শাখাটির নাম ছিল I সেটির কি অর্থ ছিল?

নাম সমূহ ‘যিহোশুয়া’ এবং ‘যীশু’ 

বাইবেল অনুবাদের কিছু ইতিহাস আমাদের জানা প্রয়োজন I মূল হিব্রু বেদ 250 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে গ্রীকে অনুবাদিত হয়েছিল, এবং সেপ্টুজিয়ান্ট বা LXX বলা  হত I এখনও ব্যাপকভাবে পড়া হয়, আমরা দেখলাম কিভাবে ‘খ্রীষ্ট’ কে প্রথমে LXX এর মধ্যে ব্যবহার করা হ’ল এবং এখানে ‘যিহোশুয়ার’ জন্য আমরা সেই একই বিশ্লেষণকে অনুসরণ করি I

যিহোশুয়া’ = ‘যীশু’ উভয়ই হিব্রু নাম ‘যহোশুয়া’ থেকে এসেছিল 

যিহোশুয়া মূল হিব্রু নাম ‘যহোশুয়া’র একটি বাংলা অক্ষরীকরণ I চতুর্থাংশ #1 দেখায় কিভাবে সখরিয় 520 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ‘যিহোশুয়া’ লিখেছিলেন I এটিকে বাংলায় ‘যিহোশুয়া’ অক্ষরীকরণ করা হয় (#1=> #3) I হিব্রুতে ‘যহোশুয়া’ বাংলায় যিহোশুয়ার মতন একই I যখন 250 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে LXX কে হিব্রু থেকে গ্রীকে অনুবাদ করা হয়েছিল তখন যহোশুয়াকে যেসাসে অক্ষরীকরণ করা হয়েছিল (#1 => #2) I হিব্রুতে যহোশুয়া গ্রীকের মধ্যে যেসাসের মতন একই I যখন গ্রীক বাংলায় অনুবাদিত হয়, যেসাস কে ‘যীশু’তে অক্ষরীকরণ করা হয় (#2 => #3) I গ্রীকের মধ্যে যেসাস বাংলার মধ্যে যীশুর মতন একই I     

যখন হিব্রুতে কথা বলা হয় তখন যীশুকে যহোশুয়া বলা হয়, তবে গ্রীক নতুন নিয়মের মধ্যে তার নামকে ‘যেসাস’ বলে লেখা হয়েছিল – ঠিক যেভাবে গ্রীক পুরনো নিয়ম LXX ওই নামটিকে লিখেছিল I যখন গ্রীক নতুন নিয়মকে গ্রীক থেকে [বাংলায়] অনুবাদিত করা হয় (#2 => #3) ‘যেসাস’ কে পরিচিত ‘যীশু’ তে অক্ষরীকরণ করা হয় I অতএব নাম ‘যেসাস’ = ‘যিহোশুয়া’, সহ ‘যীশু’ একটি মধ্যবর্তী গ্রীক পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং যিহোশুয়া  হিব্রুর থেকে সরাসরি আসছে I       

সংক্ষিপ্তভাবে, উভয়ই নাসরতের যীশু, এবং 520 খ্রীষ্টাব্দের মহা যাজক যিহোশুয়ার একই নাম ছিল, তাদের স্থানীয় হিব্রুতে ‘যহোশুয়া’ বলা হত I গ্রীকের মধ্যে, উভয়কে ‘যেসাস’ বলা হত I

নাসরতের যীশু শাখা হয় 

এখন সখরিয়র ভবিষ্যদ্বাণীটি বোধগম্য I 520 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে করা ভবিষ্যদ্বাণীটি  ছিল যে আসন্ন শাখাটির নামযীশু’ হবে, সরাসরি নাসরতের যীশুর দিকে সংকেত দেয় I

যীশু ‘যিশয়ের গুড়ি থেকে’ আসে যেহেতু যিশয় এবং দায়ূদ তার পূর্বপুরুষ ছিলেন I যীশু অধিকারী ছিলেন প্রজ্ঞার এবং বুদ্ধির এমন একটি মাত্রা পর্যন্ত যা তাকে আলাদা করে রাখে I তার বিচক্ষণতা, ভারসাম্য এবং অন্তর্দৃষ্টি সমালোচক এবং অনুগামী উভয়দের মুগ্ধ করে চলেছে I সুসমাচারগুলোতে অলৌকিক কার্যের মাধ্যমে তার শক্তি অনস্বীকার্য I কেউ হয়ত সেগুলোকে বিশ্বাস করতে পছন্দ না করতে পারে; কিন্তু কেউ তাদেরকে উপেক্ষা করতে পারে না I যীশু ব্যতিক্রমী প্রজ্ঞা এবং ক্ষমতা রাখার মানের সাথে খাপ খান যা যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন একদিন এই শাখা থেকে আসবে I

এখন নাসরতের যীশুর জীবনের কথা ভাবুন I তিনি নিশ্চিতভাবে এক রাজা হতে দাবি করেছিলেন – প্রকৃতপক্ষে রাজা I এটাই যা ‘খ্রীষ্ট’ বলতে বোঝায় I তবে পৃথিবীতে থাকাকালীন তিনি যা করেছিলেন তা যাজকীয় ছিল I যাজক লোকেদের স্বপক্ষে গ্রহণযোগ্য বলি অর্পণ করতেন I যীশুর মৃত্যু তাতে  তাত্পর্যপূর্ণ ছিল, এছাড়াও এটি, আমাদের স্বপক্ষে ঈশ্বরের কাছে একটি অর্পণ ছিল I তার মৃত্যু যে কোনো ব্যক্তির পাপ এবং অপরাধের জন্য প্রায়শ্চিত্ত   করে I দেশের পাপ সমূহকে আক্ষরিকভাবে ‘একটি দিনের মধ্যে’ অপসারণ করা  হয়েছিল যেমন সখরিয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন – সেই দিন যীশু মৃত্যু বরণ করলেন এবং সকল পাপ সমূহের জন্য মূল্য প্রদান করলেন I এমনকি যদিও  তিনি সর্বাধিকভাবে খ্রীষ্ট/রাজা হিসাবে পরিচিত হন, তার মৃত্যুতে তিনি যাজক হিসাবে সমস্ত প্রয়োজনীয়তাগুলোকে পূরণ করলেন I তার পুনরুত্থানে তিনি তার শক্তি এবং মৃত্যুর উপরে কর্তৃত্বকে দেখালেন I তিনি দুটি ভূমিকাকে একসাথে নিয়ে এলেন I দায়ূদ দীর্ঘ সময় পূর্বে যে শাখাটিকে ‘খ্রীষ্ট’ বলে অভিহিত করেছিলেন, তিনি হলেন যাজক-রাজা I এবং তার নামকে তার জন্মের 500 বছর পূর্বে সখরিয় দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I

ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ প্রমাণ 

তার সময়ে, আজকের মতন, তার কর্তৃত্বকে প্রশ্ন করতে যীশুর সমালোচক   ছিল I তার উত্তরটি তার আগে আসা ভাববাদীদের দিকে ইঙ্গিত করে দাবি করা হয়েছিল যে তারা জীবন সম্পর্কে আগে থেকেই দেখেছিলেন I এখানে একটি উদাহরণ যেখানে যীশু তাদের বললেন যারা তার বিরোধিতা করছে:

… এইগুলো বিশেষ শাস্ত্রীয় বাক্য সমূহ যা আমার সম্বন্ধে স্বাক্ষ্য দেয় … (যোহন 5:39)

অন্য কথায়, যীশু দাবি করলেন যে তার জীবনের সম্বন্ধে হিব্রু বেদে কয়েকশত  বছর পূর্বে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I যেহেতু মানবিক অন্তর্দৃষ্টি ভবিষ্যত সম্পর্কে কয়েকশত বছরের ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে না, যীশু বললেন যাচাই করার এটি প্রমাণ ছিল যে মানব জাতির জন্য তিনি প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী এসেছিলেন I আজ ব্যক্তিগতভাবে এটিকে যাচাই করতে আমাদের জন্য হিব্রু বেদ উপলব্ধ আছে I   

আজ পর্যন্ত হিব্রু ভাববাদীরা যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আসুন তার সংক্ষিপ্তসার করা যাক I যীশুর আগমনের সম্বন্ধে মানব ইতিহাসের শুরুতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল I তারপরে আব্রাহাম অবস্থানটির সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন যেখানে যীশুকে বলি দেওয়ার কথা ছিল যখন নিস্তারপর্ব বছরের দিনের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল I আমরা দেখলাম যে গীতসংহিতা 2 ছিল যেখানে ‘খ্রীষ্ট’ উপাধিকে এক আসন্ন রাজার ভবিষ্যদ্বাণী রূপে ব্যবহার করা হয়েছিল I আমরা সবেমাত্র দেখেছি যে তার বংশ, যাজকীয় কর্মজীবন এবং নামের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল I সমগ্র ইতিহাসের মধ্যে আপনি কি আর কারোর সম্বন্ধে ভাবতে পারেন যার জীবনকে নাসরতের যীশুর মতন এমনকি এত দূর থেকেও এতগুলো  ভাববাদীদের দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল? 

উপসংহার: জীবনের বৃক্ষ সকলকে দেওয়া হয়েছে 

বট বৃক্ষের মতন, একটি অমর এবং টেকসই বৃক্ষের চিত্র, বাইবেলের একেবারে শেষ অধ্যায় পর্যন্ত চলতে থাকে, পুনরায় ভবিষ্যতের মধ্যে দূরদৃষ্টি, পরবর্তী বিশ্বের দিকে, একটি ‘জীবন-জলের নদীর’ সাথে যেখানে

নদীটি নগরের রাজপথের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে৷ নদীর তীরেই জীবনবৃক্ষ আছে৷ বছরের বারো মাসই তাতে বারো বার ফল ধরে, প্রতি মাসে নতুন নতুন ফল হয়৷ সেই জীবন বৃক্ষের পাতা জাতিবৃন্দের আরোগ্য দায়ক৷

প্রকাশিত বাক্য 22:2

সমস্ত জাতির লোকেরা – আপনি সহ –মৃত্যু থেকে উদ্ধার এবং জীবন-বৃক্ষের ঐশ্বর্য – একটি প্রকৃতপক্ষে অমর বটবৃক্ষ উভয়ের অভিজ্ঞতা লাভ করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে I তবে হিব্রু ভাববাদীরা ভাববাণী করেন এর জন্য  প্রখমে কিভাবে শাখাটির ‘কাটার’ প্রয়োজন হবে, যেমন আমরা পরবর্তী তে দেখি I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *