Skip to content

যীশু শিক্ষা দেন যে প্রাণ আমাদের দ্বিজর কাছে নিয়ে আসে

  • by

দ্বিজর অর্থ হ’ল ‘দ্বিতীয় জন্ম’ বা পুনরায় জন্ম’ I এটি এই ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত যে একজন ব্যক্তির প্রথমে জন্ম হয় এবং পরে আধ্যাত্মিকভাবে দ্বিত্বীয় বার জন্ম হয় I এই আধ্যাত্মিক জন্মটি পরম্পরাগতভাবে উপনয়ন অনুষ্ঠানের সময়ে ঘটে বলে প্রতীকী হয়, যখন পবিত্র সূতো (যজ্ঞপবীত, উপবীত বা জনৌ) পরিধান করা হয় I যাই হোক. যদিও প্রাচীন বৈদিক (১৫০০-৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) পাঠ্য যেমন বৌদ্ধায়ন গৃহসুত্র উপনয়ন সম্বদ্ধে আলোচনা করে, দ্বিজ সম্পর্কে কোনো প্রাচীন গ্রন্থ উল্লেখ করে না I উইকিপীডিয়া বলে        

এর ক্রমবর্দ্ধমান উল্লেখগুলো মধ্য থেকে শেষ প্রথম-সহ্রসাব্দ খ্রীষ্টাব্দের গ্রন্থের ধর্মশাস্ত্রগুলো পাঠ্যে প্রদর্শিত হয় I দ্বিজ শব্দের উপস্থিতি এমন একটি চিহ্ন যা এই পাঠ্যটি সম্ভবত মধ্যযুগীয় যুগের ভারতীয় পাঠ্য I   

অতএব যদিও দ্বিজ বর্তমানে একটি পরিচিত ধারণা, এটি আপেক্ষিকভাবে নতুন I দ্বিজ কোথা থেকে এসেছিল?

থোমার দ্বারা যীশু এবং দ্বিজ

দ্বিজর উপরে প্রাচীনতম যে কারোর দ্বারা নথিভুক্ত শিক্ষা হ’ল যীশুর I যোহনের সুসমাচার (৫০-১০০ খ্রীষ্টাব্দে লেখা) দ্বিজ সম্পর্কে যীশুর নেতৃত্বে একটি আলোচনাকে লিপিবদ্ধ করে I এটা খুব ভালো হতে পেরেছিল যে যীশুর এক শিষ্য থোমা, যিনি প্রথমে ভারতবর্ষে এসেছিলেন ৫২ খ্রীষ্টাব্দে মালাবার উপকূলে এবং তারপরে চেন্নাইতে যীশুর জীবন এবং শিক্ষার একজন প্রত্যক্ষদর্শী রূপে দ্বিজর ধারনাটিকে নিয়ে এসেছিলেন এবং ভারতীয় চিন্তাধারা এবং অনুশীলনের মধ্যে এটিকে প্রবর্তন করেছিলেন I যীশুর শিক্ষার সাথে ভারতবর্ষে থোমার আগমন ভারতীয় গ্রন্থে দ্বিজর উত্থানের সঙ্গে মেলে I       

প্রাণের মাধ্যমে যীশু এবং দ্বিজ

যীশু দ্বিজকে সংযুক্ত করেছিলেন, উপনয়নের সঙ্গে নয়, বরং প্রাণের (प्राण) সঙ্গে, যা আরও একটি প্রাচীন ধারণা I প্রাণ স্বাস, আত্মা, বায়ু বা জীবন শক্তিকে বোঝায় I প্রাণ সম্পর্কে প্রাচীনতম উল্লেখগুলোর মধ্যে একটি ৩০০০ বছরের পুরনো ছন্দোক  উপনিষদে রয়েছে, তবে কথা, মুন্দকা এবং প্রশ্ন উপনিষদ সহ অন্য অনেক উপনিষদগুলো ধারনাটি ব্যবহার করে I বিভিন্ন গ্রন্থে বিকল্প সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া রয়েছে, তবে প্রাণ প্রাণায়াম ও আয়ুর্বেদ সহ আমাদের শ্বাস/শ্বাস-প্রশ্বাসের দক্ষতা অর্জনের জন্য সমস্ত যৌগিক কৌশল অবলম্বন করে I প্রাণগুলোকে মাঝে মাঝে প্রাণ, অপান, উদান, সমান, আর ব্যান হিসাবে আয়ুর (বায়ু) দ্বারা শ্রেণীবদ্ধ করা হয় I    

এখানে দ্বিজর পরিচয় দিতে গিয়ে যীশুর কথোপকথন পাওয়া যায় I (নিম্নরেখাঙ্কিত শব্দগুলো দ্বিজ বা দ্বিতীয় জন্মের উল্লেখগুলোকে যখন মোটা মুদ্রাক্ষর বিশিষ্ট শব্দগুলো প্রাণ বা বায়ু, আত্মাকে চিহ্নিত করে)   

১ ফরীশীদের মধ্যে নীকদীম নামে একজন মানুষ ছিলেন; তিনি একজন ইহূদি সভার নেতা। 

২ এই মানুষটি রাত্রিতে যীশুর কাছে এসে তাঁকে বললেন, রব্বি, আমরা জানি যে আপনি একজন গুরু এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন; কারণ আপনি এই যে সব আশ্চর্য্য কাজ করছেন তা ঈশ্বর সঙ্গে না থাকলে কেউ করতে পারে না। 

৩ যীশু উত্তর দিয়ে তাকে বললেন, আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, কারুর নতুন জন্ম না হওয়া পর্যন্ত সে ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পারে না।

৪ নীকদীম তাঁকে বললেন, মানুষ যখন বুড়ো হয় তখন কেমন করে তার আবার জন্ম হতে পারে? সে তো আবার মায়ের গর্ভে ফিরে গিয়ে দ্বিতীয়বার জন্ম নিতে পারে না, সে কি তা পারে? 

৫ যীশু উত্তর দিলেন, আমি তোমাদের সত্যি সত্যি বলছি, যদি কেউ জল এবং আত্মা থেকে না জন্ম নেয় তবে সে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে না।

৬ যা মানুষ থেকে জন্ম নেয় তা মাংসিক এবং যা আত্মা থেকে জন্ম নেয় তা আত্মাই।

৭ তোমাদের অবশ্যই নতুন জন্ম হতে হবে এই কথা আমি বললাম বলে তোমরা বিষ্মিত হয়ো না।

৮ বাতাস যে দিকে ইচ্ছা করে সেই দিকে বয়ে চলে। তুমি শুধু তার শব্দ শুনতে পাও কিন্তু কোন দিক থেকে আসে অথবা কোন দিকে চলে যায় তা জান না; আত্মা থেকে যারা জন্ম নেয় প্রত্যেক জন সেই রকম।

৯ নীকদীম উত্তর করে তাঁকে বললেন, এ সব কেমন ভাবে হতে পারে? 

১০ যীশু তাঁকে উত্তর দিয়ে বললেন, তুমি একজন ইস্রায়েলের গুরু, আর তুমি এখনো এ সব বুঝতে পারছ না?

১১ সত্য, সত্যই, আমরা যা জানি তাই বলছি এবং যা দেখেছি তারই সাক্ষ্য দিই। আর তোমরা আমাদের সাক্ষ্য গ্রাহ্য কর না।

১২ আমি যদি জাগতিক বিষয়ে তোমাদের বলি এবং তোমরা বিশ্বাস না কর, তবে যদি স্বর্গের বিষয়ে বলি তোমরা কেমন করে বিশ্বাস করবে?

১৩ আর স্বর্গে কেউ ওঠেনি শুধুমাত্র যিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছিলেন তিনি ছাড়া, আর তিনি হলেন মনুষ্যপুত্র।

১৪ আর মোশি যেমন মরূপ্রান্তে সেই সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, ঠিক তেমনি মানবপুত্রকেও উঁচুতে অবশ্যই তুলতে হবে, 

১৫ সুতরাং যারা সবাই তাঁতে বিশ্বাস করবে তারা অনন্ত জীবন পাবে।

১৬ কারণ ঈশ্বর জগতকে এত ভালবাসলেন যে, নিজের একমাত্র পুত্রকে দান করলেন, যেন যে কেউ তাঁতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।

১৭ কারণ ঈশ্বর জগতকে দোষী প্রমাণ করতে পুত্রকে জগতে পাঠাননি কিন্তু জগত যেন তাঁর মাধ্যমে পরিত্রান পায়।

১৮ যে তাঁতে বিশ্বাস করে তাকে দোষী করা হয় না। যে বিশ্বাস না করে তাকে দোষী বলে আগেই ঠিক করা হয়েছে কারণ সে অদ্বিতীয় ঈশ্বরের পুত্রের নামে বিশ্বাস করে নি।

১৯ বিচারের কারণ হলো এই যে, পৃথিবীতে আলো এসেছে এবং মানুষেরা আলো থেকে অন্ধকার বেশি ভালবেসেছে, কারণ তাদের কর্মগুলি ছিল মন্দ।

২০ কারণ প্রত্যেকে যারা মন্দ কাজ করে তারা আলোকে ঘৃণা করে এবং তাদের সব কর্ম্মের দোষ যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য তারা আলোর কাছে আসে না।

২১ যদিও, যে সত্য কাজ করে সে আলোর কাছে আসে, যেন তার সব কাজ ঈশ্বরের ইচ্ছামত করা হয়েছে বলে প্রকাশ পায়।

যোহন ৩:১-২১

এই কথপোকথনের মধ্যে বিভিন্ন ধারণা সমূহকে উত্থাপন করা হয়েছে I প্রথমত, যীশু এই দ্বিতীয় জন্মের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন (‘আপনাকে অবশ্যই আবার জন্মগ্রহণ করতে হবে’) I তবে এই জন্মের মধ্যে কোনো মানবীয় প্রতিনিধি নেই I প্রথম জন্ম, যা মাংসের থেকে তা মাংসকে জন্ম দেয়’ এবং ‘জলের থেকে জন্ম’ মানবীয় প্রতিনিধির থেকে আসে এবং মানবীয় নিয়ন্ত্রণের অধীন হয় I কিন্তু দ্বিতীয় জন্ম (দ্বিজ) তিনটি স্বর্গীয় প্রতিনিধিকে জড়িত করে: ঈশ্বর, মনুষ্য পুত্র, এবং আত্মাকে (প্রাণ) I এগুলোকে আমাদের অন্বেষণ করা যাক   

ঈশ্বর

যীশু বললেন যে ‘ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করলেন…’ অর্থাৎ ঈশ্বর সকল লোকদের ভালবাসেন … এই জগতের প্রত্যেক নিবাসীকে … কেউ বাদ নয় I আমরা এই ভালবাসার সীমাটির উপরে প্রতিফলন করতে সময় ব্যয় করতে পারি, তবে যীশু চান যে আমরা প্রথমে স্বীকৃতি দিই যে এর অর্থ ঈশ্বর আপনাকে ভালবাসেন I ঈশ্বর আপনাকে অনেক ভালবাসেন, বর্ণ, ধর্ম, ভাষা, বয়স, লিঙ্গ, ধন সম্পদ, শিক্ষা … আপনার অবস্থা যাই হোক না কেন I যেমন অন্য কোথাও বলা হয়েছে:  

৩৮ কারণ আমি নিশ্চয় জানি যে, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল, কি বর্তমান বিষয়গুলি, কি ভবিষ্যতের বিষয়, কি পরাক্রম,

৩৯ কি উচ্চ জায়গা, কি গভীরতা, এমনকি অন্য কোন সৃষ্টির জিনিস, কোনো কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে ঈশ্বরের ভালবাসা থেকে আমাদের আলাদা করতে পারবে না।

রোমীয় ৮:৩৮-৩৯

আপনার জন্য (এবং আমার জন্য) ঈশ্বরের ভালবাসা দ্বিতীয় জন্মের প্রয়োজনীয়তাকে অপসারণ করে না (“তারা যতক্ষণ না আবার জন্ম না নেয় কেউ ঈশ্বরের রাজ্য দেখতে পায় না”) বরং আপনার জন্য ঈশ্বরের ভালবাসা তাঁকে কার্যে পরিচালিত করেছিল I 

 “ঈশ্বর জগতকে এমন প্রেম করলেন যে তিনি তাঁর একটি এবং একমাত্র পুত্রকে দান করলেন …”

আমাদেরকে দ্বিতীয় স্বর্গীয় প্রতিনিধির কাছে নিয়ে আসে …

মনুষ্য পুত্র

 ‘মনুষ্য পুত্র’ যীশুর নিজের প্রতি উল্লেখ I এই পরিভাষাটির অর্থ কি আমরা পরে দেখব I এখানে তিনি বলছেন যে পুত্রকে পিতার দ্বারা প্রেরণ করা হয়েছিল I তারপরে তিনি উপরে ওঠার বিষয়ে মজার বিবৃতি দেন I 

১৪ আর মোশি যেমন মরূপ্রান্তে সেই সাপকে উঁচুতে তুলেছিলেন, ঠিক তেমনি মানবপুত্রকেও উঁচুতে অবশ্যই তুলতে হবে,

যোহন ৩:১৪

এটি প্রায় ১৫০০ বছর আগে মশির সময়ে ঘটা হিব্রু বেদের বিবরণকে উল্লেখ করে যা এখানে দেওয়া হয়েছে:

ব্রোঞ্জের সর্প

৪ তারা হোর পর্বত থেকে চলে গিয়ে ইদোম দেশ পাশ দিয়ে ঘোরার জন্য লাল সাগরের দিকে যাত্রা করল। পথের মধ্যে লোকেদের প্রাণ বিরক্ত হয়ে গেল। 

৫ লোকেরা ঈশ্বরের ও মোশির বিরুদ্ধে বলতে লাগল, “তোমরা কি আমাদেরকে মিশর থেকে বের করে আনলে, যেন আমরা মরুপ্রান্তে মারা যাই? রুটিও নেই, জলও নেই এবং আমরা এই হালকা খাবার ঘৃণা করি।” 

৬ তখন সদাপ্রভু লোকেদের মধ্যে বিষাক্ত সাপ পাঠালেন। তারা লোকেদেরকে কামড়ালে ইস্রায়েলের অনেক লোক মারা গেল। 

৭ লোকেরা মোশির কাছে এসে বলল, “সদাপ্রভুর ও তোমার বিরুদ্ধে কথা বলে আমরা পাপ করেছি। তুমি সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা কর, যেন তিনি আমাদের কাছ থেকে এইসব সাপ দূর করেন।” 

৮ সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, “তুমি একটি বিষাক্ত সাপ তৈরী করে পতাকার উপরে রাখ, সাপে কামড়ানো যে কোন ব্যক্তি তার দিকে দেখবে, সে বাঁচবে।” 

৯ তখন মোশি পিতলের একটি সাপ তৈরী করে পতাকার উপরে রাখলেন; তাতে এইরকম হল, সাপ কোন মানুষকে কামড়ালে করলে যখন সে ঐ পিতলের সাপের দিকে তাকালো, তখন বাঁচল।

গণনা পুস্তক ২১:৪-৯

যীশু এই গল্পটিকে ব্যবহার করে স্বগীয় সংস্থায় তার ভূমিকা ব্যাখ্যা করেছিলেন I সাপে কামড়ানো লোকেদের জন্য কি ঘটে থাকবে ভেবে দেখুন I   

যখন বিষাক্ত সাপের দ্বারা দংশিত হয় বিশ শরীরে প্রবেশ করে I স্বাভাবিক চিকিৎসা হ’ল বিষ চুষে বার করে দেওয়া; দংশিত অঙ্গ শক্তকরে বাঁধা যাতে রক্ত প্রবাহিত না হয় এবং বিষ দংশন থেকে ছড়িয়ে না যায়; এবং ক্রিয়াকলাপ কমিয়ে দেয় যাতে হৃৎপিণ্ডের কম স্পন্দন বিষকে দ্রুত পাম্প করে সারা শরীরে ছড়িয়ে না দেয় I    

যখন সর্পরা ইস্রায়েলীয়দের সংক্রমিত করল তাদের বলা হ’ল যে নিরাময় পেতে তাদেরকে নিকটস্থ একট পোলের উপরে উত্থিত ব্রোঞ্জ সর্পের দিকে তাকাতে হবে I আপনি এটি কল্পনা করতে পারেন যেন কেউ বিছানা থেকে ঘুরপাক খেতে খেতে কাছের উত্থিত সর্পটির দিকে তাকাচ্ছে এবং তারপরে সুস্থ হচ্ছে I কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের শিবিরে ৩০ লক্ষ লোক ছিল (তারা সামরিক যুগের ৬,০০০০০ লাখেরও বেশি গণনা করেছিল) – একটি বৃহৎ আধুনিক শহরের আকার I সম্ভাবনা বেশি ছিল এই দংশনগুলো কয়েক মিটার দুরে ছিল এবং ব্রোঞ্জের সর্পের পোলের থেকে দেখার   বাইরে I অতএব সাপে দংশিতদের একটি পছন্দ করতে ছিল I তারা ক্ষতটি শক্তভাবে বেঁধে রাখা এবং বিষের বিস্তারকে সীমাবদ্ধ করার জন্য বিশ্রাম সহ সামান্য সাবধানতা অবলম্বন করতে পারত I অথবা তাদেরকে মশির দ্বারা ঘোষিত উপশমের উপরে ভরসা করতে হত এবং কয়েক কিলোমিটার চলতে হত রক্ত প্রবাহকে বাড়িয়ে  এবং বিষকে ছড়িয়ে পোলের উপরে ব্রোঞ্জের সর্পের দিকে তাকাতে I এটি মুসার বাক্যের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাসের অভাব হবে যা প্রতিটি ব্যক্তির ক্রিয়াকলাপ নির্ধারণ করবে I

যীশু ব্যাখ্যা করছিলেন যে তার সত্তা ক্রুশের উপরে উত্থিত হয়েছিল যা আমাদের পাপ এবং মৃত্যু থেকে মুক্ত করতে তাকে শক্তি দেয়, ঠিক যেমন ব্রোঞ্জের সর্প ইস্রায়েলীয়দের বিষাক্ত মৃত্যুর থেকে মুক্ত করত I যাইহোক, ঠিক যেমন ইস্রায়েলীয়দের ব্রোঞ্জের সর্পের উপশমের উপরে ভরসা করা এবং পোলের দিকে তাকানো দরকার ছিল আমাদেরও ভরসার চোখ, বা বিশ্বাস নিয়ে যীশুর দিকে তাকানোর দরকার I তার জন্য তৃতীয় স্বর্গীয় প্রতিনিধির কাজ করা দরকার I    

আত্মা – প্রাণ

আত্মা সম্পর্কে যীশুর বক্তব্য বিচার করুন

বাতাস যে দিকে ইচ্ছা করে সেই দিকে বয়ে চলে। তুমি শুধু তার শব্দ শুনতে পাও কিন্তু কোন দিক থেকে আসে অথবা কোন দিকে চলে যায় তা জান না; আত্মা থেকে যারা জন্ম নেয় প্রত্যেক জন সেই রকম।

যোহন ৩:

এটি ‘আত্মা’ হিসাবে বায়ুরজন্য একই গ্রীক শব্দ (নিউমা) I ঈশ্বরের আত্মা বায়ুর মতন I কোনো মানুষ সরাসরিভাবে বায়ুকে কখনও দেখে নি I আপনি এটিকে দেখতে পারেন না I তবে বায়ু আমাদের চারিদিকে সর্বত্র রয়েছে I বায়ু  পর্যবেক্ষণযোগ্য I আপনি জিনিসগুলোতে এর প্রভাবের মাধ্যমে এটিকে পর্যবেক্ষণ করেন I বায়ু যখন যায় তখন এটি পাতাগুলো সঞ্চার করে, চুল ওড়ায়, পতাকা পতপত করায় এবং জিনিসগুলোকে উত্তেজিত করে I আপনি বায়ুকে নিয়ন্ত্রণ এবং এটিকে নির্দেশিত করতে পারেন না I বায়ু সেখানেই বয়ে যায় যেখানে এ বইবে I আমরা পাল তুলতে পারি যাতে বায়ুর শক্তি আমাদের নৌবহরে চালিত করে I উত্তোলিত এবং জড়িত পালটি তা হয় যা আমাদেরকে তার শক্তি প্রদান কোরে বায়ুকে আমাদের সাথে চলতে দেয় I ওই উত্থিত পাল ব্যতীত বায়ুর গতি এবং শক্তি, যদিও এটি আমাদের চারপাশে ঘুরপাক খায়, আমাদের কোনো উপকার করে না I   

আত্মার ক্ষেত্রেও এটি একই রকম I আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেখানে সে ইচ্ছা করে আত্মা সেখানেই চলে I তবে আত্মার অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আপনি এটিকে আপনাকে প্রভাবিত করতে আপনি অনুমতি দিতে পারেন, এর জীবন শক্তিকে আপনার কাছে নিয়ে আসতে, আপনাকে চালাতে I ইনি ক্রুশের উপরে উত্থিত মনুষ্য পুত্র, যা  উত্থিত ব্রোঞ্জের সর্প, বা বাযুতে উত্থিত পাল I ক্রুশে উত্থিত মনুষ্য পুত্রের উপরে আমরা যখন ভরসা রাখি এটি আমাদেরকে জীবন দান করতে আত্মাকে অনুমতি  দেয় I আমরা তখন আবার জন্ম গ্রহণ করি – আত্মার এই দ্বিতীয় সময় I আমরা তখন আত্মার জীবন পাই – প্রাণ I আত্মাটির প্রাণ আমাদের ভেতর থেকে আমাদেরকে দ্বিজ হতে সক্ষম করে I কেবল উপনয়ন হিসাবে বাইরের প্রতীক রূপে নয় I       

দ্বিজ – উপর থেকে

এটিকে যোহনের সুসমাচারে একসাথে এনে এইভাবে সংক্ষিপ্তসার করা হয়:

১২ কিন্তু যতজন মানুষ তাঁকে গ্রহণ করল, যারা তাঁর নামে বিশ্বাস করল, সেই সব মানুষকে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার অধিকার দিলেন, 

১৩ যাদের জন্ম রক্ত থেকে নয়, মাংসিক অভিলাস থেকেও নয়, মানুষের ইচ্ছা থেকেও নয়, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছা থেকেই হয়েছে।

যোহন ১:১২-১৩

একটি শিশু হতে গেলে একটি জন্মের দরকার, সেইরকমভাবে ‘ঈশ্বরের সন্তান হতে’ দ্বিতীয় জন্মের বর্ণনা করছে – দ্বিজ I দ্বিজকে উপনয়নের মতন বিভিন্ন রীতিনীতির মাধ্যমে প্রতীকী করা যেতে পারে কিন্তু প্রকৃত অভ্যন্তরীণ দ্বিতীয় জন্মকে ‘মানবীয় সিদ্ধান্তের’ দ্বারা অভিষিক্ত করা যায় না I একটি রীতিনীতি, যেমনটি ঠিক, জন্মের বর্ণনা দিতে পারে, আমাদের এই জন্মের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দিতে পারে তবে এ এটিকে নিয়ে আসতে পারে না I আমরা যখন ‘তাঁকে গ্রহণ করি’ এবং ‘তাঁর নামে বিশ্বাস করি’ তখনই এটি কেবল ঈশ্বরের অভ্যন্তরীণ কাজ হয়।       

আলো এবং অন্ধকার

নৌযানটির পদার্থবিদ্যা বোঝার অনেক আগেই লোকে শতাব্দী ধরে পাল ব্যবহার করে বায়ুর শক্তি ব্যবহার করেছে I অনুরূপভাবে, আমরা দ্বিতীয় জন্মের জন্য আত্মাকে শক্তিশালী করতে পারি, এমনকি যদিও আমরা এটিকে আমাদের মন দিয়ে পুরোপুরি বুঝতে না পারি I এটি কোনো বুদ্ধির অভাব নয় যা আমাদের বাধা দেবে I যীশু বরং শিখিয়েছিলেন যে এটি আমাদের অন্ধকারের ভালবাসা (আমাদের মন্দ কর্ম) হতে পারে যা আমাদের সত্যের আলোতে আসতে বাধা দেয় I 

১৯ বিচারের কারণ হলো এই যে, পৃথিবীতে আলো এসেছে এবং মানুষেরা আলো থেকে অন্ধকার বেশি ভালবেসেছে, কারণ তাদের কর্মগুলি ছিল মন্দ।

যোহন ৩:১৯

এটি আমাদের বুদ্ধিদীপ্ত উপলব্ধি অপেক্ষা বরং আমাদের নৈতিক প্রতিক্রিয়া যা আমাদের দ্বিতীয় জন্মকে বাধা দেয়। আমাদের আলোতে আসার পরিবর্তে অনুযোগ করা হয় I  

২১ যদিও, যে সত্য কাজ করে সে আলোর কাছে আসে, যেন তার সব কাজ ঈশ্বরের ইচ্ছামত করা হয়েছে বলে প্রকাশ পায়।

যোহন ৩:২১

আমরা দেখি কিভাবে তাঁর দৃষ্টান্তগুলো আমাদের আলোতে আসার সম্পর্কে আরও শিক্ষা দেয় I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *