রাজস্থান, মেহন্দিপুরের নিকটবর্তী বালাজি মন্দিরের দুষ্ট আত্মা, শয়তান, ভূত, প্রেত বা অশরীরী সমূহের দ্বারা কষ্টভোগী লোকেদের সুস্থ করার এক খ্যাতি আছে I হনুমান জি (এক শিশুর আকারে প্রভু হনুমান) বালা জি বা বালাজি বলেও পরিচিত I তার বালাজি মন্দির, বা টেম্পল, দুষ্ট আত্মা সমূহের দ্বারা কষ্টভোগী লোকেদের জন্য একটি তীর্থ বা পিলগ্রিমেজ স্থান I প্রতিদিন, কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী, ভক্তবৃন্দ এবং আত্মিক ভাবে কষ্টভোগী লোকেরা এই জাতীয় সমস্ত আত্মিক বন্ধনের থেকে মুক্তি পাবার আশায় তীর্থযাত্রার মধ্য দিয়ে মঠকে পরিদর্শন করে I পৈশাচিক এবং অশরীরী কর্ত্তৃত্ব, মোহ এবং ভূত বিদ্যা সমস্ত কিছু এই বালাজি বা হনুমান মন্দিরের সাধারণ স্থান আর তাই মেহন্দিপুর বালাজি মন্দির তীর্থ স্থান যাকে বিশ্বাস করা হয় আত্মাগুলোর থেকে উদ্ধার করার এক ক্ষমতা দিতে পারে I
কিংবদন্তি বিশদভাবে আলাদা হয় তবে হনুমান এক মূর্তি রূপে সেই স্থানে আত্ম-প্রকাশ করেছিলেন, তাই সেখানে হনুমানজির স্মৃতিতে মন্দিরটিকে নির্মান করা হয় I খবর আছে যে শ্রী মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরে মোহ, সম্মোহনীয় অবস্থায় এবং এমনকি দেওয়ালে শৃঙ্খলে আবদ্ধ লোকেরা মুক্তির জন্য অপেক্ষা করে I ভক্তবৃন্দ এগুলো বালাজির দিন বলে মঙ্গলবার এবং শনিবারে প্রচুর সংখ্যায় আসে I আরতি এবং আরাধনার সময়ে বন্ধকদের আর্তনাদ শোনা যেতে পারে, এবং লোকেদের আগুন জ্বেলে মোহগ্রস্ত হয়ে অস্থিরভাবে নৃত্য করতে দেখা যেতে পারে I
বেদ পুস্তকনের মধ্যে ভূত এবং দুষ্ট আত্মা সমূহ
প্রকৃতপক্ষে ইতিহাস জুড়ে দুষ্ট আত্মা সমূহ লোকেদের কষ্ট দিয়েছে I কেন? কোথা থেকে আসে তারা?
বেদ পুস্তকন (বাইবেল) ব্যাখ্যা করে যে শয়তান, যে প্রান্তরের মধ্যে যীশুকে প্রলুব্ধ করেছিল, অনেক পতিত স্বর্গদূতদের উপরে তার নেতৃত্ব আছে I যবে থেকে প্রথম মানব জাতি সাপের কথা শুনল, তবে থেকে এই দুষ্ট আত্মারা লোকেদের উপরে অত্যাচার এবং নিয়ন্ত্রণ করল I প্রথম মানবজাতি যখন সাপের কথা শুনল, সত্য যুগের অবসান হল এবং আমরা এই দুষ্ট আত্মাদের আমাদের উপরে অত্যাচার ও নিয়ন্ত্রণ করতে অধিকার দিলাম I
যীশু এবং ঈশ্বরের রাজ্য
যীশু ঈশ্বরের রাজ্যের সম্পর্কে কর্ত্তৃত্বের সাথে শিক্ষা দিয়েছিলেন I সেই কর্ত্তৃত্বের উপরে তাঁর অধিকার দেখাতে তিনি লোকেদের উপরে নিপীড়নকারী দুষ্ট আত্মা, পিশাচ, ভূতদের বার করে নিক্ষেপ করলেন I
যীশু পিশাচ-অধিকৃতকে সুস্থ করেন
দুষ্ট আত্মা বা ভূতদের সঙ্গে যীশুর বহুবার সাক্ষাৎকার হয়েছিল I যদিও এক শিক্ষক হিসাবে পরিচিত, সুসমাচারগুলো আবারও অনেকবার তাঁর দ্বারা দুষ্ট আত্মার লোকেদের সুস্থ করার ঘটনাকে লিপিবদ্ধ করে I এখানে তাঁর প্রথম এই জাতীয় সুস্থতা:
২১ পরে তাঁহারা কফরনাহূমে প্রবেশ করিলেন, আর তৎক্ষণাৎ তিনি বিশ্রামবারে সমাজ-গৃহে গিয়া উপদেশ দিতে লাগিলেন।
২২ তাহাতে লোকে তাঁহার উপদেশে চমৎকৃত হইল, কারণ তিনি ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির ন্যায় তাহাদিগকে উপদেশ দিতেন, অধ্যাপকদের ন্যায় নয়।
২৩ তখন তাহাদের সমাজ-গৃহে এক ব্যক্তি ছিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল; সে চেঁচাইয়া কইিল,
২৪ হে নাসরতীয় যীশু, আপনার সহিত আমাদের সম্পর্ক কি? আপনি কি আমাদিগকে বিনাশ করিতে আসিলেন? আমি জানি, আপনি কে; ঈশ্বরের সেই পবিত্র ব্যক্তি।
২৫ তখন যীশু তাহাকে ধমক্ দিলেন, চুপ কর, উহা হইতে বাহির হও।
২৬ তাহাতে সেই অশুচি আত্মা তাহাকে মুচড়াইয়া ধরিয়া উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া তাহার মধ্য হইতে বাহির হইয়া গেল।
২৭ ইহাতে সকলে চমৎকৃত হইল, এমন কি, তাহারা পরস্পর বিতর্ক করিয়া কহিল, আ! এ কি? কেমন নূতন উপদেশ! উনি ক্ষমতা সহকারে অশুচি আত্মাদিগকেও আজ্ঞা করেন, আর তাহারা উহাঁর আজ্ঞা মানে।
২৮ তখন তাঁহার বার্ত্তা তৎক্ষণাৎ সমুদয় গালীল প্রদেশের চারিদিকে ব্যাপিল।
মার্ক ১:২১-২৮
সুসমাচারগুলো পরে একটি সুস্থতার বিবরণ দেয় যেখানে লোকেরা পীড়িত লোকটিকে শৃঙ্খল দ্বারা বেঁধে রাখতে চেষ্টা করেছিল, যেমন মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরে হয়, তবে ওই শৃঙ্খলগুলো তাকে ধরে রাখতে অক্ষম ছিল I সুসমাচার এটিকে এইভাবে লিপিবদ্ধ করে
মার্ক ৫:১-২০১ পরে তাঁহারা সমুদ্রের ওপারে গেরাসেনীদের দেশে উপস্থিত হইলেন।
২ তিনি নৌকা হইতে বাহির হইলে তৎক্ষণাৎ এক ব্যক্তি কবরস্থান হইতে তাঁহার সম্মুখে আসিল, তাহাকে অশুচি আত্মায় পাইয়াছিল।
৩ সে কবরমধ্যে বাস করিত, এবং কেহ তাহাকে শিকল দিয়াও আর বাঁধিয়া রাখিতে পারিত না।
৪ কেননা লোকে বার বার তাহাকে বেড়ী ও শিকল দিয়া বাঁধিত, কিন্তু সে শিকল ছিঁড়িয়া ফেলিত, এবং বেড়ী ভাঙ্গিয়া খণ্ডবিখণ্ড করিত; কেহ তাহাকে বশ করিতে পারিত না।
৫ আর সে রাত দিন সর্ব্বদা কবরে ও পর্ব্বতে থাকিয়া চীৎকার করিত, এবং পাথর দিয়া আপনি আপনাকে কাটিত।
৬ সে দূর হইতে যীশুকে দেখিয়া দৌড়িয়া আসিল, তাঁহাকে প্রণাম করিল,
৭ এবং উচ্চরবে চেঁচাইয়া কহিল, হে যীশু, পরাৎপর ঈশ্বরের পুত্র, আপনার সহিত আমার সম্পর্ক কি? আমি আপনাকে ঈশ্বরের দিব্য দিতেছি, আমাকে যাতনা দিবেন না।
৮ কেননা তিনি তাহাকে বলিয়াছিলেন, হে অশুচি আত্মা, এই ব্যক্তি হইতে বাহির হও।
৯ তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার নাম কি? সে উত্তর করিল, আমার নাম বাহিনী, কারণ আমরা অনেকগুলি আছি।
১০ পরে সে বিস্তর বিনতি করিল, যেন তিনি তাহাদিগকে সেই অঞ্চল হইতে পাঠাইয়া না দেন।
১১ সেই স্থানে পর্ব্বতের পার্শ্বে এক বৃহৎ শূকরপাল চরিতেছিল।
১২ আর তাহারা বিনতি করিয়া কহিল, ঐ শূকরগুলির মধ্যে প্রবেশ করিতে আমাদিগকে পাঠাইয়া দিউন।
১৩ তিনি তাহাদিগকে অনুমতি দিলেন। তখন সেই অশুচি আত্মারা বাহির হইয়া শূকরদের মধ্যে প্রবেশ করিল; তাহাতে সেই শূকরপাল, কমবেশ দুই হাজার শূকর, মহাবেগে দৌড়িয়া ঢালু পাড় দিয়া সমুদ্রে গিয়া পড়িল, এবং সমুদ্রে ডুবিয়া মরিল।
১৪ তখন যাহারা সেগুলিকে চরাইতেছিল, তাহারা পলায়ন করিয়া নগরে ও পল্লীতে পল্লীতে গিয়া সংবাদ দিল। তখন কি ঘটিয়াছে, দেখিবার জন্য লোকেরা আসিল;
১৫ এবং যীশুর নিকটে আসিয়া দেখে, সেই ভূতগ্রস্থ ব্যক্তি, যাহাকে বাহিনী-ভূতে পাইয়াছিল, সে কাপড় পরিয়া সুবোধ হইয়া বসিয়া আছে; তাহাতে তাহারা ভয় পাইল।
১৬ আর ঐ ভূতগ্রস্ত লোকটীর ও শূকরপালের ঘটনা যাহারা দেখিয়াছিল, তাহারা তাহাদিগকে সমস্ত বৃত্তান্ত বলিল।
১৭ তখন তাহারা আপনাদের সীমা হইতে প্রস্থান করিতে তাঁহাকে বিনতি করিতে লাগিল।
১৮ পরে তিনি নৌকায় উঠিতেছেন, এমন সময়ে যে ব্যক্তিকে ভূতে পাইয়াছিল, সে তাঁহাকে বিনতি করিল, যেন তাঁহার সঙ্গে থাকিতে পারে।
১৯ কিন্তু তিনি তাহাকে অনুমতি দিলেন না, বরং কহিলেন, তুমি বাটীতে তোমার আত্মীয়গণের নিকটে চলিয়া যাও, এবং প্রভু তোমার জন্য যে যে মহৎ কার্য্য করিয়াছেন, ও তোমার প্রতি যে কৃপা করিয়াছেন, তাহা তাহাদিগকে জ্ঞাত কর।
২০ তখন সে প্রস্থান করিয়া, যীশু তাহার জন্য যে যে মহৎ কার্য্য করিয়াছিলেন, তাহা দিকাপলিতে প্রচার করিতে লাগিল; তাহাতে সকলেই আশ্চর্য্য জ্ঞান করিল।
মানবীয় দেহে ঈশ্বর পুত্র হিসাবে, যীশু লোকেদের সুস্থ করতে গ্রামগঞ্জের চতুর্দিকে ঘুরে বেড়ালেন I তিনি সেখানে গেলেন যেখানে তারা বাস করত, ভূত এবং প্রেতদের থেকে তাদের অত্যাচারের সঙ্গে পরিচিত হয়ে, কেবলমাত্র তাঁর কথিত বাক্যের কর্ত্তৃত্বের দ্বারা তাদের সুস্থ করলেন I
যীশু অসুস্থকে সুস্থ করেন
১৭ই মার্চ, ২০২০, করোনা জীবানুর প্রাদুর্ভাবের জন্য মেহন্দিপুর বালাজি মন্দির অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। যদিও দুষ্ট আত্মাদের থেকে নিরাময়ের জন্য প্রসিদ্ধ, মেহন্দিপুর বালাজি মন্দিরের শ্রদ্ধালুরা এই নতুন সংক্রামক রোগের প্রতি ঝুঁকিদায়ক I যীশু, যাইহোক, লোকেদের কেবল দুষ্ট আত্মাদের থেকেই মুক্তি দেন নি, বরং সংক্রামক রোগ সমূহের থেকেও মুক্তি দিয়েছেন I এই জাতীয় একটি সুস্থতাকে এইভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে I
মার্ক ১:৪০-৪৫৪০ একদা এক জন কুষ্ঠী আসিয়া তাঁহার সম্মুখে বিনতি করিয়া ও জানু পাতিয়া কহিল, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুচি করিতে পারেন।
৪১ তিনি করুণাবিষ্ট হইয়া হাত বাড়াইয়া তাহাকে স্পর্শ করিলেন, কহিলেন, আমার ইচ্ছা, তুমি শুচীকৃত হও।
৪২ তৎক্ষণাৎ কুষ্ঠরোগ তাহাকে ছাড়িয়া গেল, সে শুচিকৃত হইল।
৪৩ তখন তিনি তাহাকে দৃঢ় আজ্ঞা দিয়া বিদায় করিলেন, বলিলেন,
৪৪দেখিও, কাহাকেও কিছু বলিও না; কিন্তু যাজকের নিকটে গিয়া আপনাকে দেখাও, এবং লোকদের কাছে সাক্ষ্য দিবার ও তোমার শুচীকরণ জন্য মোশির নিরূপিত উপহার উৎসর্গ কর।
৪৫ কিন্তু সে বাহিরে গিয়া সেই কথা এমন অধিক প্রচার করিতে ও চারিদিকে বলিতে লাগিল যে, যীশু আর প্রকাশ্যরূপে কোন নগরে প্রবেশ করিতে পারিলেন না, কিন্তু বাহিরে নির্জ্জন স্থানে থাকিলেন; আর লোকেরা সকল দিক্ হইতে তাঁহার নিকটে আসিতে লাগিল।
সুস্থ করার ক্ষেত্রে যীশুর খ্যাতি বৃদ্ধি পেল যাতে করে লোকেদের ভিড় উপচে পড়ল, ঠিক যেমন তারা বালাজি মন্দিরে (খোলা থাকার সময়ে) করে I
লুক ৪:৩৮-৪১৩৮ পরে তিনি সমাজ-গৃহ হইতে উঠিয়া শিমোনের বাটীতে প্রবেশ করিলেন; তখন শিমোনের শাশুড়ী ভারী জ্বরে পীড়িতা ছিলেন, তাই তাঁহারা তাঁহার নিমিত্তে তাঁহাকে বিনতি করিলেন।
৩৯ তখন তিনি তাঁহার নিকটে দাঁড়াইয়া জ্বরকে ধমক্ দিলেন, তাহাতে তাঁহার জ্বর ছাড়িয়া গেল; আর তিনি তৎক্ষণাৎ উঠিয়া তাঁহাদের পরিচর্য্যা করিতে লাগিলেন।
৪০ পরে সূর্য্য অস্ত যাইবার সময়ে, নানা রোগে রোগী যাহাদের ছিল, তাহারা সকলে তাহাদিগকে তাঁহার নিকটে আনিল; আর তিনি প্রত্যেক জনের উপরে হস্তার্পণ করিয়া তাহাদিগকে সুস্থ করিলেন।
৪১ আর অনেক লোক হইতে ভূতও বাহির হইল, তাহারা চিৎকার করিয়া কহিল, আপনি ঈশ্বরের পুত্র; কিন্তু তিনি তাহাদিগকে ধমক্ দিয়া কথা কহিতে দিলেন না, কারণ তাহারা জানিত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট।
যীশু খঞ্জ, অন্ধ, বধিরকে সুস্থ করেন
শুদ্ধ এবং সুস্থ হওয়ার আশায়, আজকের মতন যীশুর সময়ে তীর্থযাত্রীরা পবিত্র তীর্থগুলোতে পূজা অনুষ্ঠান করত। এই জাতীয় অনেক লিপিবদ্ধ সুস্থতাগুলোর মধ্যে দুটির প্রতি আমরা দেখব:
যোহন ৫:১-১৫১ ইহার পরে যিহূদীদের একটী পর্ব্ব উপস্থিত হইল; আর যীশু যিরূশালেমে গেলেন।
২ যিরূশালেমে মেষ দ্বারের নিকট একটী পুষ্করিণী আছে, ইব্রীয় ভাষায় সেটীর নাম বৈথেস্দা, তাহার পাঁচটী চাঁদনি ঘাট।
৩ সেই সকল ঘাটে বিস্তর রোগী, অন্ধ, খঞ্জ ও শুষ্কাঙ্গ পড়িয়া থাকিত।
৪ [তাহারা জলসঞ্চলনের অপেক্ষায় থাকিত। কেননা বিশেষ বিশেষ সময়ে ঐ পুষ্করিণীতে প্রভুর এক দূত নামিয়া আসিতেন ও জল কম্পন করিতেন; সেই জলকম্পের পরে যে কেহ প্রথমে জলে নামিত, তাহার যে কোন রোগ হউক, সে তাহা হইতে মুক্তি পাইত।]
৫ আর সেখানে একটী লোক ছিল, সে আটত্রিশ বৎসরের রোগী।
৬ যীশু তাহাকে পড়িয়া থাকিতে দেখিয়া ও দীর্ঘকাল সেই অবস্থায় রহিয়াছে জানিয়া কহিলেন, তুমি কি সুস্থ হইতে চাও?
৭ রোগী উত্তর করিল, মহাশয়, আমার এমন কোন লোক নাই যে, যখন জল কম্পিত হয়, তখন আমাকে পুষ্করিণীতে নামাইয়া দেয়; আমি যাইতে যাইতে আর এক জন আমার আগে নামিয়া পড়ে।
৮ যীশু তাহাকে কহিলেন, উঠ, তোমার খাট তুলিয়া লইয়া চলিয়া বেড়াও।
৯তাহাতে তৎক্ষণাৎ সেই ব্যক্তি সুস্থ হইল, এবং আপনার খাট তুলিয়া লইয়া চলিয়া বেড়াইতে লাগিল।
১০ সেই দিন বিশ্রামবার। অতএব যাহাকে সুস্থ করা হইয়াছিল, তাহাকে যিহূদীরা বলিল, আজ বিশ্রামবার, খাট বহন করা তোমার পক্ষে বিধেয় নয়।
১১ কিন্তু সে তাহাদিগকে উত্তর করিল, যিনি আমাকে সুস্থ করিলেন, তিনিই আমাকে বলিলেন, তোমার খাট তুলিয়া লইয়া চলিয়া বেড়াও।
১২ তাহারা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, সেই ব্যক্তি কে, যে তোমাকে বলিয়াছে, খাট তুলিয়া লইয়া চলিয়া বেড়াও?
১৩ কিন্তু যে সুস্থ হইয়াছিল, সে জানিত না, তিনি কে, কারণ সেখানে অনেক লোক থাকাতে যীশু চলিয়া গিয়াছিলেন।
১৪ তার পরে যীশু ধর্ম্মধামে তাহার দেখা পাইলেন, আর তাহাকে বলিলেন, দেখ, তুমি সুস্থ হইলে; আর পাপ করিও না, পাছে তোমার আরও অধিক মন্দ ঘটে।
১৫ সেই ব্যক্তি চলিয়া গেল, ও যিহূদীদিগকে বলিল যে, যীশুই তাহাকে সুস্থ করিয়াছেন।
মথি ৯:২৭-৩৩২৭ পরে যীশু সেখান হইতে প্রস্থান করিলে, দুই জন অন্ধ তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল; তাহারা চেঁচাইয়া বলিতে লাগিল, হে দায়ূদ-সন্তান, আমাদের প্রতি দয়া করুন।
২৮ তিনি গৃহমধ্যে প্রবেশ করিলে পর সেই অন্ধেরা তাঁহার নিকটে আসিল; তখন যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কি বিশ্বাস কর যে, আমি ইহা করিতে পারি? তাহারা তাঁহাকে বলিল, হাঁ, প্রভু।
২৯ তখন তিনি তাহাদের চক্ষু স্পর্শ করিলেন, আর কহিলেন, তোমাদের বিশ্বাস অনুসারে তোমাদের প্রতি হউক।
৩০ তখন তাহাদের চক্ষু খুলিয়া গেল। আর যীশু তাহাদিগকে দৃঢ়রূপে নিষেধ করিয়া দিলেন, কহিলেন, দেখিও, যেন কেহ ইহা জানিতে না পায়।
৩১ কিন্তু তাহারা বাহিরে গিয়া সেই দেশময় তাঁহার কীর্ত্তি প্রকাশ করিল।
৩২ তাহারা বাহিরে যাইতেছে, আর দেখ, লোকেরা এক ভূতগ্রস্ত গোঁগাকে তাঁহার নিকটে আনিল।
৩৩ ভূত ছাড়ান হইলে সেই গোঁগা কথা কহিতে লাগিল; তখন লোক সকল আশ্চর্য্য জ্ঞান করিয়া কহিল, ইস্রায়েলের মধ্যে এমন কখনও দেখা যায় নাই।
যীশু মৃতকে উত্থাপন করেন
সুসমাচারগুলো এমন ঘটনার বর্ণনা দেয় যেখানে যীশু এমনকি মৃত লোকেদের জীবনে ফিরিয়ে এনেছিলেন I এখানে একটি বিবরণ রয়েছে
মার্ক ৫:২১-৪৩২১ পরে যীশু নৌকায় পুনরায় পার হইয়া আসিলে তাঁহার নিকটে বিস্তর লোকের সমাগম হইল; তখন তিনি সমুদ্র-তীরে ছিলেন।
২২ আর সমাজের অধ্যক্ষদের মধ্যে যায়ীর নামে এক জন আসিয়া তাঁহাকে দেখিয়া তাঁহার চরণে পড়িলেন,
২৩ এবং অনেক বিনতি করিয়া কহিলেন, আমার মেয়েটী মারা যায়, আপনি আসিয়া তাহার উপরে হস্তার্পণ করুন, যেন সে সুস্থ হইয়া বাঁচে।
২৪ তখন তিনি তাঁহার সঙ্গে চলিলেন; এবং অনেক লোক তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিল, ও তাঁহার উপরে চাপাচাপি করিয়া পড়িতে লাগিল।
২৫ আর একটী স্ত্রীলোক বারো বৎসর অবধি প্রদর রোগগ্রস্ত হইয়াছিল,
২৬ অনেক চিকিৎসকের দ্বারা বিস্তর ক্লেশ ভোগ করিয়াছিল, এবং সর্ব্বস্ব ব্যয় করিয়াও কিছু উপশম পায় নাই, বরং আরও পীড়িত হইয়াছিল।
২৭ সে যীশুর বিষয় শুনিয়া ভিড়ের মধ্যে তাঁহার পশ্চাৎ দিকে আসিয়া তাঁহার বস্ত্র স্পর্শ করিল।
২৮ কেননা সে কহিল, আমি যদি কেবল উহাঁর বস্ত্র স্পর্শ করিতে পাই, তবেই সুস্থ হইব।
২৯ আর তৎক্ষণাৎ তাহার রক্তস্রোত শুকাইয়া গেল; আর আপনি যে ঐ রোগ হইতে মুক্ত হইয়াছে, ইহা শরীরে টের পাইল।
৩০ যীশু তৎক্ষণাৎ অন্তরে জানিতে পাইলেন যে, তাঁহা হইতে শক্তি বাহির হইয়াছে, তাই ভিড়ের মধ্যে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, কে আমার বস্ত্র স্পর্শ করিল?
৩১ তাঁহার শিষ্যেরা বলিলেন, আপনি দেখিতেছেন, লোকেরা আপনার উপরে চাপাচাপি করিয়া পড়িতেছে, তবু বলিতেছেন, কে আমাকে স্পর্শ করিল?
৩২ কিন্তু কে ইহা করিয়াছিল, তাহাকে দেখিবার জন্য তিনি চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিলেন।
৩৩ তাহাতে সেই স্ত্রীলোকটী ভয়ে কাঁপিতে কাঁপিতে, তাহার প্রতি কি করা হইয়াছে জানাতে, তাঁহার সম্মুখে আসিয়া প্রণিপাত করিল, আর সমস্ত সত্য বৃত্তান্ত তাঁহাকে কহিল।
৩৪ তখন তিনি তাহাকে কহিলেন, হে কন্যে, তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল, শান্তিতে চলিয়া যাও, ও তোমার রোগ হইতে মুক্ত থাক।
৩৫ তিনি এই কথা কহিতেছেন, ইতিমধ্যে সমাজ-গৃহের অধ্যক্ষের বাটী হইতে লোক আসিয়া কহিল, আপনার কন্যার মৃত্যু হইয়াছে, গুরুকে আর কেন কষ্ট দিতেছেন?
৩৬ কিন্তু যীশু সে কথা শুনিতে পাইয়া সমাজ-গৃহের অধ্যক্ষকে কহিলেন, ভয় করিও না, কেবল বিশ্বাস কর।
৩৭ আর পিতর, যাকোব এবং যাকোবের ভাই যোহন, এই তিন জন ছাড়া তিনি আর কাহাকেও আপনার সঙ্গে যাইতে দিলেন না।
৩৮ পরে তাঁহারা সমাজের অধ্যক্ষের বাটীতে আসিলেন, আর তিনি দেখিলেন, কোলাহল হইতেছে, লোকেরা অতিশয় রোদন ও বিলাপ করিতেছে।
৩৯ তিনি ভিতরে গিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, তোমরা কোলাহল ও রোদন করিতেছ কেন? বালিকাটী মরে নাই, ঘুমাইয়া রহিয়াছে।
৪০ ইহাতে তাহারা তাঁহাকে উপহাস করিল; কিন্তু তিনি সকলকে বাহির করিয়া দিয়া, বালিকার পিতামাতাকে এবং আপন সঙ্গীদিগকে লইয়া, যেখানে বালিকাটী ছিল, সেইখানে প্রবেশ করিলেন,
৪১ পরে তিনি বালিকার হাত ধরিয়া তাহাকে কহিলেন, টালিথা কুমী; অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ এই, বালিকে, তোমাকে বলিতেছি, উঠ।
৪২ তাহাতে বালিকাটী তৎক্ষণাৎ উঠিয়া বেড়াইতে লাগিল, কেননা তাহার বয়স বারো বৎসর ছিল। ইহাতে তাহারা বড়ই বিস্ময়ে একেবারে চমৎকৃত হইল।
৪৩ পরে তিনি তাহাদিগকে এই দৃঢ় আজ্ঞা দিলেন, যেন কেহ ইহা জানিতে না পায়, আর কন্যাটীকে কিছু আহার দিতে আজ্ঞা করিলেন।
যীশুর এইরকম নিরাময়ের ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব রয়েছে যে সমস্ত দেশে তাঁর নাম ব্যাপকভাবে পরিচিত, সেখানে খুব কম দুষ্ট আত্মা সকল আছে যাতে বেশিরভাগ লোকেরা সেখানে এখন দুষ্ট আত্মাদের অস্তিত্বকে সন্দেহ করে কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রকাশনগুলো দুর্লভ হয়েছে I
স্বর্গ রাজ্যের একটি পূর্বস্বাদ
যীশু দুষ্ট আত্মাদের ছাড়িয়েছেন, অসুস্থদের সুস্থ করেছেন এবং মৃতদের উঠিয়েছেন কেবলমাত্র লোকেদের সাহায্য করতে নয়, বরং তাঁর শিক্ষা দেওয়া রাজ্যের প্রকৃতিকেও দেখাতে I সেই আসন্ন রাজ্যের মধ্যে
৪ আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।
প্রকাশিত বাক্য ২১:৪
সুস্থতা এই রাজ্যের একটি পূর্বস্বাদ ছিল, যাতে আমরা দেখতে পারি এই ‘পুরনো জিনিসের ক্রমের’ উপরে বিজয় কেমন দেখতে লাগবে I
আপনি কি এই ধরণের একটি ‘নতুন ক্রমের’ একটি রাজ্যের মধ্যে থাকতে পছন্দ করবেন না?
যীশু তাঁর আজ্ঞাসূচক প্রকৃতির দ্বারা তাঁর রাজ্যকে প্রদর্শন করে চলেছেন – নিজেকে দেহের মধ্যে ওম হিসাবে দেখিয়ে I