যখন আমরা আশীর্বাদ এবং উত্তম ভাগ্যের সম্বন্ধে চিন্তা করি আমাদের মন ভাগ্য, সফলতা এবং ধনের দেবী লক্ষীর দিকে যায় I তিনি কঠোর পরিশ্রমকে আশীর্বাদ দেন যখন এটিকে লোভের মধ্যে না করা হয় I দুগ্ধ মহাসমুদ্রের মন্থনের কাহিনীর মধ্যে, লক্ষ্মী ইন্দ্রের দ্বারা পবিত্র ফুল সমূহকে ছুঁড়ে ফেলার সময়ে অশ্রদ্ধার কারণে দেবতাদের ছেড়ে দুগ্ধ মহাসমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করলেন I যাইহোক, তার প্রত্যাবর্তনের জন্য এক সহস্র বছর ধরে সমুদ্র মন্থনের পরে, তিনি তার পুনর্জন্মের সাথে বিশ্বস্তকে আশীর্বাদ দিলেন I
যখন আমরা বিনাশ, জনশূন্যতা এবং প্রলয়ের কথা ভাবি তখন আমাদের মন বৈভব, শিবের প্রচন্ড অবতার, বা এমনকি শিবের তৃতীয় চক্ষুর দিকে যায় I এটি প্রায়ই সর্বদা বন্ধ থাকে তবে তিনি মন্দকারীদের বিনাশ করতে এটি খোলেন I লক্ষ্মী এবং শিব উভয়ই শ্রদ্ধালুদের থেকে অনেক মনোযোগ পান, কারণ লোকেরা একজনের থেকে আশীর্বাদের আকাঙ্খা করে এবং অন্যজনের থেকে অভিশাপের ভয় বা বিনাশ I
আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহ … ইস্রায়েলীয়দের প্রতি … আমাদের প্রতি নির্দেশের জন্য
হিব্রু বেদার মধ্যে প্রকাশিত সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর লক্ষ্মীর প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য এই জাতীয় আশীর্বাদ এবং ভৈরব বা শিবের ত্রিনেত্রর মতন ততটাই ভয়ানক অভিশাপ এবং বিনাশ উভয়েরই রচিয়তা ছিলেন I এটি তার মনোনীত লোকেদের কাছে নির্দেশিত হ’ল – ইস্রায়েলীয়দের কাছে – যারা তার শ্রদ্ধালু ছিল I ঈশ্বরের দ্বারা ইস্রায়েলীয়দের মিসরের দাসত্ব থেকে বার করে নিয়ে আসার পরে তাদেরকে দেওয়া হ’ল এবং তাদেরকে দশ আজ্ঞা সমূহ দিলেন – পাপ তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে কিনা তা জানার জন্য মানদণ্ড I এই আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহকে ইস্রায়েলীয়দের প্রতি নির্দেশিত করা হয়েছিল তবে তাদেরকে বহু পূর্বে ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে অন্যান্য জাত সমূহ লক্ষ্য করবে এবং উপলব্ধি করবে যে তিনি আমাদেরকেও আশীর্বাদ দেবেন যে ক্ষমতার সাহায্যে তিনি ইস্রায়েলীয়দের উপরে আশীর্বাদ প্রদান করেছেন I আমাদের মধ্যে সবাই যারা সমৃদ্ধি এবং আশীর্বাদ চায় এবং বিনাশ ও অভিশাপ এড়াতে চায় তারা ইস্রায়েলীয়দের অভিজ্ঞতার থেকে শিখতে পারে I
ভাববাদী মশি ৩৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে বাস করতেন এবং তিনি পাঁচটি বই লিখেছিলেন যা হিব্রু বেদাকে প্রস্তুত করে I তার শেষ বই, দ্বিতীয় বিবরণে, তার মারা যাওয়ার ঠিক পূর্বে লেখা চূড়ান্ত বাক্যগুলো রয়েছে I তার এই আশীর্বাদগুলো ইস্রায়েলের লোকেদের কাছে ছিল – যিহূদিদের কাছে, তবে এছাড়া তার অভিশাপগুলোও I মশি লিখলেন যে এই আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহ বিশ্ব ইতিহাসকে রূপ দেবে এবং লক্ষ্য করা উচিত, কেবলমাত্র যিহূদিদের দ্বারা নয়, বরং অন্য জাতিদের কাছেও I এই আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহ ভারতের ইতিহাসকে প্রভাবিত করেছে I তাই এর উপরে প্রতিফলন করতে আমাদের জন্য এটিকে লেখা হয়েছিল I সম্পূর্ণ আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহ এখানে রয়েছে I সংক্ষিপ্তসারটি নিম্নরূপ:
ভাববাদী মশির আশীর্বাদ সমূহ
মশি আশীর্বাদ সমূহকে বর্ণনা করার দ্বারা আরম্ভ করলেন যে ইস্রায়েলীয়রা পাবে যদি তারা ব্যবস্থাকে (দশ আজ্ঞা সমূহ) মানে I ঈশ্বরের আশীর্বাদ এত মহান হবে যে অন্য সমস্ত জাতি সমূহ তাঁর আশীর্বাদগুলোকে চিনতে পারবে I এই আশীর্বাদগুলোর পরিণতি হবে:
১০ আর পৃথিবীস্থ সমস্ত জাতি দেখিতে পাইবে যে, তোমার উপরে সদাপ্রভুর নাম কীর্ত্তিত হইয়াছে, এবং তাহারা তোমা হইতে ভীত হইবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:১০
… এবং অভিশাপ সমূহ
যাইহোক, ইস্রায়েলীয়রা যদি আজ্ঞা সমূহকে মানতে ব্যর্থ হয় তবে তারা অভিশাপ পাবে যা আশীর্বাদগুলোর সমকক্ষ এবং দর্পণ হবে I এই অভিশাপগুলোকে পরিবেষ্টিত জাতিদের দ্বারা দেখা যাবে যাতে করে:
৩৭ আর সদাপ্রভু তোমাকে যে সকল জাতির মধ্যে লইয়া যাইবেন, তাহাদের কাছে তুমি বিস্ময়ের, প্রবাদের ও উপহাসের আস্পদ হইবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:৩৭
এবং অভিশাপগুলো ইতিহাসের মাধ্যমে প্রসারিত হবে I
৪৬ এ সমস্ত তোমার ও যুগে যুগে তোমার বংশের উপরে চিহ্ন ও অদ্ভুত লক্ষণস্বরূপ থাকিবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:৪৬
তবে ঈশ্বর সতর্ক করলেন যে অভিশাপগুলোর সবচেয়ে খারাপ অংশ অন্য জাতিদের থেকে আসবে I
৪৯ সদাপ্রভু তোমার বিরুদ্ধে অতি দূর হইতে, পৃথিবীর প্রান্ত হইতে এক জাতিকে আনিবেন; যেমন ঈগল পক্ষী উড়িয়া আইসে, [সে সেইরূপ আসিবে]; সেই জাতির ভাষা তুমি বুঝিতে পারিবে না।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:৪৯-৫২
৫০ সেই জাতি ভয়ঙ্কর-বদন, সে বৃদ্ধের মুখাপেক্ষা করিবে না, ও বালকের প্রতি কৃপা করিবে না।
৫১ আর যে পর্য্যন্ত তোমার বিনাশ না হইবে, তাবৎ সে তোমার পশুর ফল ও তোমার ভূমির ফল ভোজন করিবে; যাবৎ সে তোমার বিনাশ সাধন না করিবে, তাবৎ তোমার জন্য শস্য, দ্রাক্ষারস কিম্বা তৈল, তোমার গোরুর বৎস কিম্বা তোমার মেষীর শাবক অবশিষ্ট রাখিবে না।
৫২ আর তোমার সমস্ত দেশে যে সকল উচ্চ ও সুরক্ষিত প্রাচীরে তুমি বিশ্বাস করিতে, সে সকল যাবৎ ভূমিসাৎ না হইবে, তাবৎ সে তোমার সমস্ত নগর-দ্বারে তোমাকে অবরোধ করিবে; তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর দত্ত তোমার সমস্ত দেশে সমস্ত নগরদ্বারে সে তোমাকে অবরোধ করিবে।
এটি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাবে I
৬3 আর তোমাদের মঙ্গল ও বৃদ্ধি করিতে যেমন সদাপ্রভু তোমাদের সম্বন্ধে আনন্দ করিতেন, সেইরূপ তোমাদের বিনাশ ও লোপ করিতে সদাপ্রভু তোমাদের সম্বন্ধে আনন্দ করিবেন; এবং তুমি যে দেশ অধিকার করিতে যাইতেছ, তথা হইতে তোমরা উন্মূলিত হইবে।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:৬৩-৬৫
৬৪ আর সদাপ্রভু তোমাকে পৃথিবীর এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে ছিন্নিভন্ন করিবেন; সেই স্থানে তুমি আপনার ও আপন পিতৃপুরুষদের অজ্ঞাত অন্য দেবগণের, কাষ্ঠ ও প্রস্তরের, সেবা করিবে।
৬৫ আর তুমি সেই জাতিগণের মধ্যে কিছু সুখ পাইবে না, ও তোমার পদতলের জন্য বিশ্রামস্থান থাকিবে না, কিন্তু সদাপ্রভু সেই স্থানে তোমাকে হৃৎকম্প, চক্ষুর ক্ষীণতা ও প্রাণের শুষ্কতা দিবেন।
এই আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহ ঈশ্বর এবং ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে বিধিবৎ চুক্তির দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল:
১৩ এই জন্য করিতেছেন, যেন তিনি অদ্য তোমাকে আপন প্রজারূপে স্থাপন করেন, ও তোমার ঈশ্বর হন, যেমন তিনি তোমাকে বলিয়াছেন, আর যেমন তিনি তোমার পিতৃপুরুষ অব্রাহাম, ইস্হাক ও যাকোবের কাছে দিব্য করিয়াছেন।
দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:১৩-১৫
১৪ আর আমি এই নিয়ম ও এই দিব্য কেবল তোমাদেরই সহিত করিতেছি, তাহা নয়;
১৫ বরং আমাদের সঙ্গে অদ্য এই স্থানে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্মুখে যে কেহ দাঁড়াইয়া আছে, ও আমাদের সঙ্গে অদ্য যে নাই, সেই সকলের সহিত করিতেছি।—
এই নিয়ম সন্তানগণ, বা ভবিষ্যত প্রজন্ম সমূহের উপরে বাধ্য হবে I প্রকৃতপক্ষে এই নিয়মকে ভবিষ্যত প্রজন্মদের প্রতি নির্দেশিত করা হয়েছিল – ইস্রায়েলীয় এবং বিদেশী উভয়ের ক্ষেত্রে I
২২ আর সদাপ্রভু সেই দেশের উপরে যে সকল আঘাত ও রোগ আনিবেন, তাহা যখন ভাবী বংশ, তোমাদের পরে উৎপন্ন তোমাদের সন্তানগণ, এবং দূরদেশ হইতে আগত বিদেশী দেখিবে;
দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:২২-২৪
২৩ ফলতঃ সদাপ্রভু আপন ক্রোধে ও রোষে যে সদোম, ঘমোরা, অদ্মা ও সবোয়িম নগর উৎসন্ন করিয়াছিলেন, তাহার মত এই দেশের সমস্ত ভূমি গন্ধক, লবণ ও দহনে পরিপূর্ণ হইয়াছে, তাহাতে কিছুই বুনা যায় না, ও তাহা ফল উৎপন্ন করে না, ও তাহাতে কোন তৃণ হয় না, এ সকল যখন দেখিবে; তখন তাহারা বলিবে, এমন কি,
২৪ সকল জাতি বলিবে, সদাপ্রভু এ দেশের প্রতি কেন এমন করিলেন? এরূপ মহাক্রোধ প্রজ্বলিত হইবার কারণ কি?
উত্তর হবে:
২৫ তখন লোকে বলিবে, কারণ এই, তাহাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু মিসর দেশ হইতে সেই পিতৃপুরুষদিগকে বাহির করিয়া আনিবার সময়ে তাহাদের সহিত যে নিয়ম স্থির করেন, সেই নিয়ম তাহারা ত্যাগ করিয়াছিল;
দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:২৫-২৮
২৬ আর গিয়া অন্য দেবগণের সেবা করিয়াছিল, যে দেবগণকে তাহারা জানিত না, যাহাদিগকে তিনি তাহাদের জন্য নিরূপণ করেন নাই, সেই দেবগণের কাছে প্রণিপাত করিয়াছিল;
২৭ তাই এই পুস্তকে লিখিত সমস্ত শাপ দেশের উপর আনিতে এই দেশের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল,
২৮এবং সদাপ্রভু ক্রোধে, রোষে ও মহাকোপে তাহাদিগকে তাহাদের দেশ হইতে উৎপাটনপূর্ব্বক অন্য দেশে নিক্ষেপ করিয়াছেন, যেমন অদ্য দেখা যাইতেছে।
আশীর্বাদ এবং অভিশাপগুলো কি ঘটেছিল?
আশীর্বাদগুলো আনন্দদায়ক ছিল, এবং অভিশাপগুলো ভয়ংকর ছিল, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন আমরা যা জিজ্ঞাসা করতে পারি তা হ’ল: ‘সেগুলো কি ঘটেছিল?’ হিব্রু বেদার অধিকাংশ ইস্রায়েলীয় ইতিহাসের নথিভুক্ত তাই আমরা তাদের অতীতকে জানি I এছাড়া আমাদের কাছে পুরনো নিয়মের বাইরে ঐতিহাসিক নথি সমূহ এবং অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক কীর্তিস্তম্ভ আছে I তারা সকলে ইস্রায়েলীয় বা যিহূদি ইতিহাসের এক সামঞ্জস্যপূর্ণ চিত্র অঙ্কন করে I একটি কালপঞ্জির মাধ্যমে এটিকে এখানে দেওয়া হ’ল I এটিকে পড়ুন এবং নিজের জন্য মূল্যায়ন করুন মশির অভিশাপগুলো সত্য হয়েছে কিনা I এটি ব্যাখ্যা করে কেন যিহূদি গোষ্ঠী সমূহ (অর্থাৎ মিজোরামের মনশি: সন্তান) ২৭০০ বছর আগে থেকে শুরু করে ভারতে বাস করতে আগমন করেছিল I অশুরিয় এবং বাবিলোনিয়ান বিজয় সমূহের ফলে গণ নির্বাসনের পরে তারা ভারতবর্ষ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল – ঠিক যেভাবে মশি সাবধান করেছিলেন I
মুসার আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহের সমাপ্তি
মশির চূড়ান্ত বাক্য সমূহ অভিশাপের সঙ্গে শেষ হয় নি I এখানে যেভাবে মশি তার চূড়ান্ত ঘোষণা করলেন I
১ আমি তোমার সম্মুখে এই যে আশীর্ব্বাদ ও অভিশাপ স্থাপন করিলাম, ইহার সমস্ত কথা যখন তোমাতে ফলিবে, তখন তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু যে সকল জাতির মধ্যে তোমাকে দূর করিবেন,
দ্বিতীয় বিবরণ ৩০:১-৫
২ সেখানে যদি তুমি মনে চেতনা পাও, এবং তুমি ও তোমার সন্তানগণ যদি সমস্ত হৃদয়ের ও সমস্ত প্রাণের সহিত তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে ফিরিয়া আইস, এবং অদ্য আমি তোমাকে যে সকল আজ্ঞা দিতেছি, তদনুসারে যদি তাঁহার রবে অবধান কর;
৩ তবে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার বন্দিত্ব ফিরাইবেন, তোমার প্রতি করুণা করিবেন, ও যে সকল জাতির মধ্যে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাকে ছিন্নভিন্ন করিয়াছিলেন, তথা হইতে আবার তোমাকে সংগ্রহ করিবেন।
৪ যদ্যপি তোমরা কেহ দূরীকৃত হইয়া আকাশমণ্ডলের প্রান্তে থাক, তথাপি তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তথা হইতে তোমাকে সংগ্রহ করিবেন, ও তথা হইতে লইয়া আসিবেন।
৫ আর তোমার পিতৃপুরুষেরা যে দেশ অধিকার করিয়াছিল, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই দেশে তোমাকে আনিবেন, ও তুমি তাহা অধিকার করিবে, এবং তিনি তোমার মঙ্গল করিবেন, ও তোমার পিতৃপুরুষদের অপেক্ষাও তোমার বৃদ্ধি করিবেন।
সহস্রাধিক বছর ধরে নির্বাসনে থাকার পরে, ১৯৪৮ সালে – আজকের দিনে অনেক জীবিতদের জীবনকালের মধ্যে – সংযুক্ত রাষ্ট্রের প্রস্তাবের থেকে ইস্রায়েলের আধুনিক রাষ্ট্রের পুনর্জন্ম হ’ল এবং যিহূদিরা বিশ্বের চতুর্দিকের রাষ্ট্র সমূহের থেকে ইস্রায়েলে ফিরে আসতে শুরু করল – ঠিক যেমনভাবে মশি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন I ভারতবর্ষে আজকে, কোচিন, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মিজোরামের সহস্র বছরের যিহূদি সম্প্রদায় সমূহের সংখ্যা তাদের পৈতৃক ভূমিতে ফিরে যাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে I কেবলমাত্র ৫০০০ যিহূদি ভারতে রয়ে গেছে I মশির আশীর্বাদ সমূহ আমাদের চোখের সামনে পূর্ণ হচ্ছে, যেমন নিশ্চিতরূপে অভিশাপগুলো যেভাবে তাদের ইতিহাসকে রূপ দিয়েছিল I
আমাদের জন্য এটির মধ্যে অনেক তাত্পর্য আছে I প্রথমত, আশীর্বাদ এবং অভিশাপ সমূহের কাছে ঈশ্বরের থেকে তাদের কতৃত্ব এবং ক্ষমতা ছিল I মুসা কেবলমাত্র একজন আলোকিত বার্তাবাহক – ভাববাদী ছিলেন I ঘটনা হল যে এই অভিশাপ এবং আশীর্বাদগুলো হাজর হাজার বছর অবধি পৌঁছেছে, বিশ্বের সমস্ত জাতি সমূহ জুড়ে, এবং কোটি কোটি লোকেদের প্রভাবিত করেছে (ইস্রায়েলে যিহূদিদের প্রত্যাবর্তন অশান্তির সৃষ্টি করেছে – নিয়মিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে বিশ্বব্যাপী শিরোনাম তৈরী করছে) – যা স্বাক্ষ্য হয় যে এই ঈশ্বরের কাছে পরাক্রম এবং কর্তৃত্ব আছে যা বাইবেল (বেদা পুস্তকম) বলে তার আছে I সেই একই হিব্রু বেদে তিনি এছাড়াও প্রতিশ্রুতি দিলেন ‘যে পৃথিবীর উপরে সমস্ত লোকেরা’ আশির্বাদিত হবে I ‘পৃথিবীর উপরে সমস্ত লোক’ আপনাকে এবং আমাকে অন্তর্ভুক্ত করে I পুনরায় আব্রাহামের পুত্রের বলিদানের মধ্যে, ঈশ্বর পুনরাবৃত্তি করলেন যে ‘সমস্ত জাতি সমূহ আশির্বাদিত হবে’ I ওই বলিদানের আকর্ষণীয় অবস্থান এবং বিবরণ কিভাবে এই আশীর্বাদ পাওয়া যায় তা জানতে আমাদের সাহায্য করে I এই আশীর্বাদগুলোকে এখন মিজোরাম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কেরালা থেকে প্রত্যাবর্তনকারী যিহূদিদের উপরে ঢেলে দেওয়া হচ্ছে যা একটি চিহ্ন যে ঈশ্বর ভারতের সমস্ত রাজ্যগুলোকে এবং বিশ্বের অন্য জাতি সমূহের লোকেদের সমানভাবে আশীর্বাদ দিতে চান এবং পারেন যেমন তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ছিলেন I আমাদের অভিশাপের মধ্যে আমাদেরকেও যিহূদিদের মতন আশীর্বাদ প্রদান করা হয়েছে I আশীর্বাদের উপহারকে গ্রহণ কেন করি না?