কৈলাশ পর্বত (বা কৈলাসা) ভারতের সীমার ঠিক ওপারে চীনের তিব্বতীয় অঞ্চলে একটি পর্বত I হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈনরা কৈলাশ পর্বতকে একটি পবিত্র পর্বত রূপে গন্য করে I হিন্দুদের জন্য, কৈলাশ পর্বত স্ত্রী সঙ্গী, দেবী পার্বতী (উমা,গৌরী বলেও পরিচিত) এবং তাদের বংশধর প্রভু গনেশ (গণপতি বা বিনায়ক) সহ প্রভু শিবের (বা মহাদেব) নিবাস স্থান রূপে বিবেচনা করে I সহস্রাধিক হিন্দু এবং জৈন কৈলাশ পর্বতে তীথযাত্রা করে পবিত্র রীতিতে এর চতুর্দিকে ভ্রমণ করে এবং এর দেওয়া আশীর্বাদ গ্রহণ করে I
কৈলাশে প্রভু শিব তার মস্তক ছিন্ন করে গনেশকে হত্যা করলেন যখন গনেশ তাকে পার্বতীকে তার স্নানের সময়ে দেখতে বাধা দিল I এইরূপে গনেশের সুপরিচিত কাহিনী শুরু হয় কিভাবে সে মৃত্যু থেকে শিবের কাছে ফিরল যখন একটি হাতির মস্তক তার ধড়ের উপরে স্থাপন করা হল I হাতি গনেশকে বলিসংক্রান্ত রূপে তার মস্তক দিতে গিয়ে মারা গেল তাই শিব মৃত্যুর থেকে তার পুত্রকে ফিরে পেতে পারল I এই বলিদান কৈলাশ পর্বতের উপরে ঘটল, এটিকে পবিত্র পর্বত রূপে তৈরী করলো যা আজকের দিনে বিদ্যমান I কিছুলোক এমনকি বিবেচনা করে যে কৈলাশ মেরু পর্বতের একটি নৈসর্গিক প্রকাশন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আধ্যাত্মিক এবং অধিবিদ্যামূলক কেন্দ্র I কৈলাশ পর্বতের মাধ্যমে মেরু পর্বত থেকে অনেক মন্দির এককেন্দ্রিক বৃত্ত সমূহের সাথে নির্মিত হয় চিহ্ন হিসাবে যা এই আধ্যাত্মিক কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করে
একটি পর্বতে উপরে বলিদানের মাধ্যমে মৃত্যু থেকে এক পুত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্বন্ধে ঈশ্বরের এই প্রকাশন আবারও একটি নমুনা যা আব্রাহামের দ্বারা অন্য একটি পর্বতের উপরে অভিজ্ঞতা লব্ধ হয় – মোরিয়া পর্বতে – তার পুত্রের সাথে I সে বলিদানও যেশু সৎসঙ্গের – যীশুর আসন্ন অবতারের মধ্যে একটি গভীর অধিবিদ্যামূলক বাস্তবতার দিকে নির্দেশ করে I হিব্রু বেদ আমাদের জন্য 4000 বছর পূর্বে শ্রী আব্রাহামের অভিজ্ঞতা সমূহকে বর্ণনা করতে থাকে I এটি সেই উপলব্ধিকে ঘোষণা করে যে এই চিহ্ন ‘সমস্ত জাতির’ প্রতি আশীর্বাদের প্রতিফল হবে – কেবল হিব্রুদের নয় I তাই কাহিনীটিকে জানা এবং এর তাত্পর্যকে বোঝা উপযুক্ত হয় I
ভাববাদী আব্রাহামের বলিদানের চিহ্ন
আমরা দেখলাম কিভাবে আব্রাহামকে, অনেক দিন আগে, জাতিগণ সম্বন্ধে একটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল I আজকের যিহূদি এবং আরবরা আব্রাহামের থেকে এসেছিল, তাই আমরা জানি প্রতিশ্রুতিটি সত্য হ’ল এবং তিনি ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক পালন করেছেন I আব্রাহামের এই প্রতিশ্রুতির উপরে বিশ্বাসের কারণে তাকে ধার্মিকতা দেওয়া হয়েছিল – তিনি মোক্ষ লাভ করলেন কঠোর যোগ্যতার মাধ্যমে নয় কিন্তু তিনি এটিকে এক উপহার রূপে গ্রহণ করলেন I
কিছুদিন পরে, আব্রাহাম সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পুত্রকে পেল, ইসহাক (যার থেকে আজকের যিহূদিরা তাদের পূর্বপুরুষদের সন্ধান করে) ইসহাক এক যুবক পুরুষ হয়ে উঠল I কিন্তু তখন ঈশ্বর আব্রাহামকে এক নাটকীয়ভাবে পরীক্ষা করলেন I আপনারা এখানে সম্পূর্ণ বিবরণটি পড়তে পারেন আর আমরা এই রহস্যজনক পরীক্ষার অর্থটিকে উদঘাটন করতে মূল বিবরণগুলোর উপরে যাব – আমাদের বুঝতে সাহায্য করতে কিভাবে ধার্মিকতার জন্য মূল্য দেওয়া হবে I
আব্রাহামের পরীক্ষা
পরীক্ষাটি একটি ভয়ংকর আজ্ঞা দিয়ে আরম্ভ হ’ল:
২ তখন তিনি কহিলেন, তুমি আপন পুত্রকে, তোমার অদ্বিতীয় পুত্রকে, যাহাকে তুমি ভাল বাস, সেই ইস্হাককে লইয়া মোরিয়া দেশে যাও, এবং তথাকার যে এক পর্ব্বতের কথা আমি তোমাকে বলিব, তাহার উপরে তাহাকে হোমার্থে বলিদান কর।
আদিপুস্তক ২২:২
আব্রাহাম, আজ্ঞার বাধ্যতায় ‘পরের দিন ভোর বেলায় উঠলেন’ এবং ‘তিন দিন যাত্রার পরে’ তারা পর্বতে পৌছাল I তারপরে
৯ ঈশ্বরের নির্দ্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হইলে অব্রাহাম সেখানে যজ্ঞবেদি নির্ম্মাণ করিয়া কাষ্ঠ সাজাইলেন, পরে আপন পুত্র ইস্হাককে বাঁধিয়া বেদিতে কাষ্ঠের উপরে রাখিলেন।
আদিপুস্তক ২২:৯-১০
১০ পরে অব্রাহাম হস্ত বিস্তার করিয়া আপন পুত্রকে বধ করণার্থে খড়গ গ্রহণ করিলেন।
আব্রাহাম আজ্ঞা পালন করতে অগ্রসর হলেন I কিন্তু তখন কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটল:
১১ এমন সময়ে আকাশ হইতে সদাপ্রভুর দূত তাঁহাকে ডাকিলেন, কহিলেন, অব্রাহাম, অব্রাহাম। তিনি কহিলেন, দেখুন এই আমি।
আদিপুস্তক ২২:১১-১৩
১২ তখন তিনি বলিলেন, যুবকের প্রতি তোমার হস্ত বিস্তার করিও না, উহার প্রতি কিছুই করিও না, কেননা এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে ভয় কর, আমাকে আপনার অদ্বিতীয় পুত্র দিতেও অসম্মত নও।
১৩ তখন অব্রাহাম চক্ষু তুলিয়া চাহিলেন, আর দেখ, তাঁহার পশ্চাৎ দিকে একটী মেষ, তাহার শৃঙ্গ ঝোপে বদ্ধ; পরে অব্রাহাম গিয়া সেই মেষটি লইয়া আপন পুত্রের পরিবর্ত্তে হোমার্থ বলিদান করিলেন।
অবশেষে ইসহাককে মৃত্যুর থেকে রক্ষা করা হল এবং আব্রাহাম একটি পুরুষ মেশকে দেখলেন এবং তার পুত্রের পরিবর্তে তাক বলি দিলেন I ঈশ্বর একটি মেষের যোগান দিয়েছিলেন এবং মেষটি ইসহাকের স্থান নিল I
বলিদান: ভবিষ্যতের দিকে দেখছে
আব্রাহাম তখন সেই স্থানটির নাম দেন: লক্ষ্য করুন তিনি এটার কি নাম দেন I
আর অব্রাহাম সেই স্থানের নাম যিহোবা-যিরি [সদাপ্রভু যোগাইবেন] রাখিলেন। এই জন্য অদ্যাপি লোকে বলে, সদাপ্রভুর পর্ব্বতে যোগান হইবে।
আদিপুস্তক ২২:১৪
আব্রাহাম এটির নাম দিলেন ‘সদাপ্রভু যোগান দেবেন’ I এখানে একটি প্রশ্ন আছে I ওই নামটি কি অতীত কাল, বর্তমান কাল বা ভবিষ্যত কালে রয়েছে? এটি স্পষ্টভাবে ভবিষ্যত কালের মধ্যে রয়েছে I সমস্ত সন্দেহকে অপসারণ করতে অনুসৃত মন্তব্যটি পুনরাবৃত্তি করে “… এটিকে যোগান দেওয়া হবে” I এটি পুনরায় ভবিষ্যত কালের মধ্যে রয়েছে – এইরূপে আবারও ভবিষ্যতের দিকে দেখছে I কিন্তু এই নামকরণ ইসহাকের পরিবর্তে মেষটির (একটি পুরুষ মেষ) বলিদানের পরে ঘটল I অনেকে ভাবে যে আব্রাহাম, ওই স্থানটির নামকরণের সময়, ঝোপে বন্ধ সেই মেষকে উল্লেখ করছিল এবং সেই স্থানে তার পুত্রের পরিবর্তে বলি দিল I কিন্তু এটিকে ইতিমধ্যেই বলি দেওয়া হয়েছিল এবং এই মুহুর্তে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল I আব্রাহাম যদি মেষটির কথা ভাবছিল – ইতিমধ্যেই মৃত, বলিতে উৎসর্গীকৃত এবং অগ্নিদ্বগ্ধ – তিনি স্থানটির নামকরণ করে থাকতেন ‘সদাপ্রভু যোগান দিয়েছেন’ , অর্থাৎ অতীত কালে I আর মন্তব্যটি বলে থাকত ‘আর আজ পর্যন্ত এটা বলা হয় “সদাপ্রভুর পর্বতের উপরে এটিকে যোগান দেওয়া হয়েছিল” I কিন্তু আব্রাহাম এটিকে স্পষ্টভাবে অতীতকালে নাম দিয়েছিলেন আর তাই সেই ইতিমধ্যেই মৃত এবং উৎসর্গীকৃত মেষটির সম্বন্ধে ভাবছিল না I তিনি কিছু ভিন্ন বিষয়ের প্রতি আলোকিত হলেন I ভবিষ্যত সম্বন্ধে এমনকিছুর মধ্যে তার অন্তর্দৃষ্টি ছিল I কিন্তু কি?
বলিদান কোথায় ঘটেছিল
মনে রাখবেন যে পর্বতটির দিকে আব্রাহামকে এই বলিদানের জন্য নির্দেশিত করা হয়েছিল তা ছিল:
তহন ঈশ্বর বললেন< তোমার পুত্রে নাও, একমাত্র পুত্র ইসহাক, যাকে তুনি ভালবাস, আর মোরিয়া অঞ্চলে যাও…
পদ ২
এটি ‘মোরিয়ার’ মধ্যে ঘটল’ I কোথায় সেটা? আব্রাহামের সময়ে (2000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ), যদিও এটি একটি প্রান্তরের অঞ্চল ছিল এক সহস্র বছর পরে (1000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ), রাজা দায়ূদ সেখানে যিরূশালেম শহরের প্রতিষ্ঠা করলেন এবং তার পুত্র শলোমন সেখানে প্রথম মন্দির নির্মাণ করলেন I পুরনো নিয়মের ঐতিহাসিক বইগুলোর মধ্যে পরে আমরা পড়ি যে:
পরে শলোমন যিরূশালেমে মোরিয়া পর্ব্বতে সদাপ্রভুর গৃহ নির্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিলেন; [সদাপ্রভু] সেই স্থানে তাঁহার পিতা দায়ূদকে দর্শন দিয়াছিলেন, এবং দায়ূদ সেই স্থান নিরূপণ করিয়াছিলেন; তাহা যিবূষীয় অর্ণানের খামার।
২ বংশাবলি ৩:১
অন্য কথায়, আব্রাহামের আদি পুরনো নিয়মের সময়ে (4000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দ) ‘পর্বত মোরিয়া’ প্রান্তরের মধ্যে একটি বিচ্ছিন্ন পর্বত শৃঙ্গ ছিল কিন্তু 1000 বছর পরে দায়ূদ এবং শলোমনের মাধ্যমে এটি ইস্রালীয়দের কেন্দ্রীয় শহরে পরিণত হল যেখানে তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে মন্দির নির্মাণ করলেন I আজকের এই বিশেষ সময়ে যিহূদি লোকেদের জন্য এটি একটি পবিত্র স্থান এবং ইস্রায়েলের রাজধানী I
যীশু – যেশু সৎ সংগ – এবং আব্রাহামের বলিদান
নতুন নিয়মের মধ্যে যীশুর শিরোনাম সম্বন্ধে এখন ভাবুন I তাঁর সঙ্গে যুক্ত যীশুর কাছে অনেকগুলো শিরোনাম ছিল I হয়ত সর্বাধিক সুপরিচিত শিরোনাম হচ্ছে ‘খ্রীষ্ট’ I কিন্ত তাকে আর একটি শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল যেটি আবারও গুরুত্বপূর্ণ I আমরা এটিকে যোহনের সুসমাচারে দেখি যখন বাপ্তিস্মদাতা যোহন তাঁর সম্বন্ধে বলেন:
২৯ পরদিন তিনি যীশুকে আপনার নিকটে আসিতে দেখিলেন, আর কহিলেন, ঐ দেখ, ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান।
যোহন ১:২৯-৩০
৩০ উনি সেই ব্যক্তি, যাঁহার বিষয়ে আমি বলিয়াছিলাম, আমার পশ্চাৎ এমন এক ব্যক্তি আসিতেছেন, যিনি আমার অগ্রগণ্য হইলেন, কেননা তিনি আমার পূর্ব্বে ছিলেন।
অন্য কথায়, যীশু ‘ঈশ্বরের মেষশাবক’ রূপে পরিচিত I এখন যীশুর জীবনের শেষ বিচার করুন I কোথায় তিনি গ্রেফতার এবং ক্রুশারোপিত হয়েছিলেন? এটি যিরূশালেমে ছিল (যেটাকে আমরা যেমন দেখলাম – ‘পর্বত মোরিয়া’) I তাঁর গ্রেফতারের সময় এটিকে খুব স্পষ্ট করে বলা হয় যে:
পরে যখন তিনি জানিতে পারিলেন, ইনি হেরোদের অধিকারের লোক, তখন তাঁহাকে হেরোদের নিকটে পাঠাইয়া দিলেন, কেননা সেই সময়ে তিনিও যিরূশালেমে ছিলেন।
লুক ২৩:৭
যীশুর গ্রেফতারি, বিচার এবং ক্রুশারোপন যিরূশালেমে ঘটল (=পর্বত মোরিয়া) I টাইমলাইন পর্বত মোরিয়াতে ঘটা ঘটনাগুলোকে দেখায় I
এখন আব্রাহামের দিকে ফিরে চিন্তা করুন I কেন তিনি নামটিকে ভবিষ্যত কালে রাখলেন ‘সদাপ্রভু যোগান দেবেন’? কিভাবে তিনি জানতে পারলেন যে তার ভবিষ্যত কালে সেখানে এমনকিছু ‘দেওয়া’ হবে যা এত মূল্যবানরূপে প্রতিফলিত করবে যা তিনি পর্বত মোরিয়াতে সম্পন্ন করলেন? এই সম্বন্ধে ভাবুন – তার পরীক্ষায় ইসহাককে (তার পুত্র) শেষ মুহুর্তে মৃত্যু থেকে রক্ষা করা হয়েছিল কারণ একটি মেষকে তার পরিবর্তে বলি দেওয়া হয়েছিল I দুই সহস্র বছর পরে, যীশুকে ‘ঈশ্বরের মেষশাবক’ বলে অভিহিত করা হয় এবং সেই একই নির্দিষ্ট স্থানে বলি দেওয়া হয়! আব্রাহাম কিভাবে জানতে পারলেন এটি ‘সেই স্থান’ হবে? তিনি কেবলমাত্র জেনে থাকতে পারেন এবং এমনকিছু উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হন যদি তিনি প্রজাপতির থেকে, স্বয়ং ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তার থেকে জ্ঞানের জ্যোতি পেয়ে থাকেন I
এক স্বর্গীয় মন প্রকাশিত হয়
এটি এমন যদিও সেখানে একটি মন আছে যা এই দুটি ঘটনাকে স্থানের দ্বারা যুক্ত করেছে এমনকি যদিও তাদেরকে ২০০০ বছরের ইতিহাসের দ্বারা আলাদা করা হয়েছে I
সংখ্যা বর্ণনা করে কিভাবে আদি ঘটনাটি (আব্রাহামের বলিদান) পরবর্তী একটিকে (যীশুর বলিদান) উল্লেখ করে এবং এই পরবর্তী ঘটনাকে আমাদের স্মরণ করাতে সজ্জিত হয়েছিল I এটি স্বাক্ষ্য যে এই মন (সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর) ঘটনাগুলোকে সমন্বয়ের দ্বারা সহস্রাধিক বছরের বিভাজিতের মাধ্যমে স্বয়ংকে আমাদের কাছে প্রকাশিত করছেন I এটি একটি চিহ্ন যা ঈশ্বর আব্রাহামের মাধ্যমে বললেন I
আপনার এবং আমার জন্য সুসমাচার
এছাড়া এই বিবরণটি অধিক ব্যক্তিগত কারণের জন্য আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ I উপসংহারে, ঈশ্বর অব্রামের কাছে ঘোষণা করলেন যে
আর তোমার বংশে পৃথিবীর সকল জাতি আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত হইবে; কারণ তুমি আমার বাক্যে অবধান করিয়াছ।
আদিপুস্তক ২২:১৮
আপনারা ‘পৃথিবীর উপরে সমস্ত জাতির’ একটির অন্তর্ভুক্ত – এতে কিছু এসে যায় না তোমার ভাষা, ধর্ম, শিক্ষা, বয়স, লিঙ্গ কি; বা সম্পদ! তাহলে এটি একটি প্রতিশ্রুতি যা নির্দিষ্টভাবে আপনাদেরকে দেওয়া হয়েছে I লক্ষ্য করুন প্রতিশ্রুতিটি কি – স্বয়ং ঈশ্বরের থেকে একটি ‘আশীর্বাদ’! এটি এমনকিছু নয় যা কেবলমাত্র যিহূদিদের জন্য ছিল, কিন্তু সমস্ত বিশ্বব্যাপী লোকেদের জন্য I
এই ‘আশীর্বাদ’ কিভাবে দেওয়া হয়? ‘বংশধর’ শব্দটি এখানে একবচনে আছে I এটি ‘বংশধরগণ’ নয় যেমন অনেক বংশধরদের বা লোকেদের মধ্যে, বরং একবচনে একটি ‘সে’ এর মধ্যে I এটি অনেক লোক বা এক দল লোকেদের মাধ্যমে নয় যেমন ‘তারা’ তে হয় I এটি ইতিহাসের শুরুতে প্রতিশ্রুতি দেওয়াকে সঠিকভাবে অনুসরণ করে যখন একটি ‘সে’ সাপের পাদমূল চূর্ণ করবে যেমনটি ইব্রীয় বেদে নথিভুক্ত হয়েছে এবং এছাড়া পুরুসাসুক্তর মধ্যে প্রদত্ত পুরুসার বলিদানের (একটি ‘সে’) প্রতিশ্রুতির সমান্তরাল হয় I এই চিহ্নর সাহায্যে এই প্রাচীন প্রতিশ্রুতিগুলোর আরও বিশদ বিবরণ দিতে নির্দিষ্ট স্থানটি – পর্বত মোরিয়ার (= যিরূশালেম) সম্বন্ধে – ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় I আব্রাহামের বলিদানের নাটকের বর্ণনা আমাদের বুঝতে সাহায্য করে কিভাবে এই আশীর্বাদ দেওয়া হয়, এবং ধার্মিকতার মূল্য কিভাবে দেওয়া হবে I
ঈশ্বরের আশ্বীর্বাদ কিভাবে পাওয়া যায়?
ঠিক যেভাবে মেষ ইসহাককে তার স্থানে বলি হয়ে মৃত্যু থেকে রক্ষা করল, সেইভাবে ঈশ্বরের মেষশাবক, তার বলিসংক্রান্ত মৃত্যুর দ্বারা, মৃত্যুর শক্তি এবং শাস্তি থেকে আমাদের রক্ষা করে I বাইবেল ঘোষণা করে যে
… পাপের বেতন মৃত্যু রোমীয় ৬:২৩
.বলার আর একটি উপায় যে আমাদের থেকে উৎপন্ন পাপ একটি কর্মা যার পরিণাম মৃত্যু I কিন্তু ইসহাকের বিকল্প মেষশাবকের দ্বারা মৃত্যুর মূল্য দেওয়া হল I আব্রাহাম এবং ইসহাককে কেবল স্বীকার করতে ছিল I সে করে নি এবং এটির যোগ্য হওয়ার দাবি করতে পারে না I কিন্তু সে এটিকে একটি উপহার রূপে গ্রহণ করতে পারে I ঠিক এইভাবেই সে মোক্ষ লাভ করল I
এটি একটি নমুনাকে দেখায় যাকে আমরা অনুসরণ করতে পারি I যীশু ঈশ্বরের ‘মেষ শাবক ছিলেন যিনি জগতের পাপ হরণ করেন’ I এটি আপনাদের নিজের পাপকে অন্তর্গত করে I তাই যীশু, মেষশাবক, আপনাদের ‘পাপ সকল হরণ’ করতে অর্পণ করলেন যেহেতু তিনি মৃত্যুর মূল্য দিলেন I আপনারা এটির যোগ্যতা দাবি করতে পারেন না কিন্তু এটিকে এক উপহার রূপে গ্রহণ করতে পারেন I যীশুকে ডাকুন, পুরুসা, এবং আপনাদের পাপ সকল হরণ করতে তাঁকে বলুন I তাঁর বলিদান তাঁকে শক্তি দিয়েছে I আমরা এটি জানি কারণ মোরিয়া পর্বতের উপরে অব্রাহামার পুত্রের বলিদানের উল্লেখযোগ্য বিবরণের মধ্যে সেই সুযোগ সমাপতনের পেছনে এটির পূর্বাভাস ছিল I মোরিয়া পর্বত সেই একই নির্দিষ্ট স্থান যেখানে ২০০০বছর পরে যীশুর দ্বারা ‘এটির যোগান দেওয়া হ’ল’I
এটি ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বারা অনুসৃত হয় যখন এটি নিস্তারপর্বের চিহ্নর মধ্যে ঘটবে I