কাতারগামা উৎসবে যাওয়ার তীর্থযাত্রা (পদ যাত্রা) ভারত ছাড়িয়ে গেছে I এই তীর্থযাত্রা প্রভু মুরুগানের (প্রভু কাতারাগামা, কার্তিকেয়া বা স্কান্দা)তীর্থযাত্রাকে স্মরণ করিয়ে দেয় যখন তিনি স্থানীয় মেয়ে ভাল্লির প্রেমে পড়ে শ্রী লংকা যাত্রা করতে তার পিতা মাতার (শিব এবং পার্বতী) হিমালয়ের গৃহ পরিত্যাগ করেন I শ্রী লংকার কাতারাগামা মন্দিরের কাতারাগানা পেরাহেরা উৎসবে তাদের প্রেম এবং বিবাহকে স্মরণ করা হয় I
ভক্তরা কয়েকশত কিলোমিটার পথ কাতারাগামায় পৌঁছতে উৎসবের 45 দিন পূর্বে তাদের তীর্থযাত্রা শুরু করে I যুদ্ধের দেবতা, প্রভু মুরুগানের স্মৃতিতে অনেকে একটি ভেল (বর্শা) বহন করে যখন তারা তাদের পরিচিত নিরাপদ স্থান ছেড়ে দিয়ে এই তীর্থযাত্রার মাধ্যমে অজানা স্থলে প্রবেশ করে I
তীর্থযাত্রীরা অমাবস্যায় কাতারাগামা উৎসব শুরু করতে কাতারাগামা পর্বতের দুর্গম পথে যাত্রা করে তাদের তীর্থযাত্র শেষ করে I ১৪ সন্ধ্যায় ভাল্লির মন্দিরে মুরুগানের মূর্তির একটি রাত্রিকালীন পেরাহেরা উদযাপিত হয় I পূর্নিমার শেষ সকালে জল-কাটা অনুষ্ঠান শিখরে পৌঁছে যায় যেখানে মুরুগানের মূর্তিকে মেনিক গঙ্গা নদীতে অবগাহন করান হয় এবং এর পর্বিত্র জল ভক্তদের উপরে ঢেলে দেওয়া হয় I
এই উৎসবের আর একটি বিশেস্বত্ব হ’ল আগুনের উপরে চলার অনুষ্ঠান যেখানে ভক্তরা জ্বলন্ত গরম কয়লার আগুনের উপর দিয়ে চলে উপাদানগুলো কাটিয়ে উঠতে অবিশ্বাস্যভাবে তাদের আস্থার প্রদর্শন করে
বিভিন্ন ভাষা, ধর্ম. এবং জাতিভুক্ত লোকেরা গাইডেন্স, আশীর্বাদ, নিরাময় এবং তাদের বিশ্বাসের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে এই বার্ষিক তীর্থযাত্রায় একত্রিত হয় I সেক্ষেত্রে তারা 4000 বছর পূর্বে আব্রাহামের দ্বারা নির্ধারিত ধরনটি অনুসরণ করে I তিনি বেশ কয়েক মাস নয় পুরো জীবন জুড়েই তীর্থ যাত্রা করেছিলেন I তার তীর্থযাত্রার প্রভাব আপনার এবং আমার জীবনকে 4000 বছর পরে প্রভাবিত করে I এছাড়াও তার তীর্থযাত্রা ঈশ্বরে তার বিশ্বাসকে প্রদর্শন করার প্রয়োজন ছিল, এক পবিত্র পর্বতের উপর এক অবিশ্বাস্য বলিদান সমর্পণ করার দ্বারা I এটি এক জাতির উত্থান করে যার জন্মগ্রহণ সমুদ্রকে কেটে এবং আগুনের সাথে গমনাগমন করার দ্বারা হয়েছিল – পরে সমগ্র দক্ষিন এশিয়াকে প্রভাবিত করে I তার তীর্থযাত্রা কিভাবে গতিশীল হয়েছিল তা বোঝা যা আমাদের প্রতি আশীর্বাদ ও দিকনির্দেশনা দেয় যা আমাদের জ্ঞানঅর্জনের জন্য সুচনা হতে পারে I
আমরা আব্রাহামের তীর্থযাত্রা অন্বেষণ করার আগে, আমরা বেদ পুস্তকম থেকে কিছু প্রসঙ্গ দেখব যা তার তার তীর্থযাত্রাকে নথিভুক্ত করেছে I
মানুষের সমস্যা – ঈশ্বরের পরিকল্পনা
আমরা দেখলাম যে মানবজাতি নক্ষত্র এবং গ্রহ সমূহের আরাধনার মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা প্রজাপতির আরাধনাকে দুষিত করল I এই কারণে প্রজাপতি ভাষাগুলোকে বিভ্রান্ত করে মনু/নোহের তিন পুত্রগনের বংশধরদের ছিন্নভিন্ন করলেন I আর সেইজন্যই আজকের দিনে অনেক জাতি সমূহ ভাষার দ্বারা বিচ্ছিন্ন হ’ল I মানব জাতির সাধারণ অতীতের প্রতিধ্বনি আজকের জগতের দ্বারা ব্যবহৃত ৭-দিনের ক্যালেন্ডারগুলোর মধ্যে এবং সেই বিরাট বন্যার স্মৃতিগুলোর মধ্যে দেখা যেতে পারে I
প্রজাপতি ইতিহাসের প্রারম্ভে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে একজন নিখুঁত মানুষের বলিদানের মাধ্যমে ‘প্রাজ্ঞরা অমরত্ব লাভ করবে’ I এই বলিদান কেবল আমাদের বাইরের পরিবর্তে আমাদের অন্তরকে শুচিশুদ্ধ করতে একটি পূজার মতন কার্য করবে I যাইহোক, সৃষ্টিকর্তার আরাধনা দুষিত হওয়ার সাথে, নতুনভাবে বিচ্ছিন্ন জাতিগুলো আগেকার প্রতিশ্রুতি ভুলে গেল I এটিকে কেবল প্রাচীন ঋক বেদ এবং বেদা পুস্তকম – বাইবেল সহ মুষ্টিমেয় স্রোত সমূহের মধ্যে আজকের দিনে স্মরণ করা হয় I
কিন্তু প্রজাপতি/ঈশ্বরের একটি পরিকল্পনা ছিল I এই পরিকল্পনা এমন কিছু ছিল না যেন আপনি এবং আমি অপেক্ষা করতাম কারণ এটি (আমাদের কাছে) অনেক ছোট এবং তাত্পর্যহীন বলে মনে হত I কিন্তু এটাই ছিল পরিকল্পনা যা তিনি চয়ন করেছিলেন I এই পরিকল্পনা প্রায় ২০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে (অর্থাৎ ৪০০০ বছর আগে) একজন মানুষ এবং তার পরিবারকে আহ্বান করা এবং তাকে ও তার বংশধরদের প্রতি আশীর্বাদ দেওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল যদি সে আশীর্বাদ গ্রহণ করতে ইচ্ছা করত I এখানে এইভাবে বাইবেল এটিকে বর্ণনা করে I
আব্রাহামের প্রতি প্রতিশ্রুতি
সদাপ্রভু আব্রামকে বলেছিলেন, “তোমার দেশ, তোমার লোকেরা এবং তোমার বাবার পরিবার থেকে যে দেশ আমি তোমাকে দেখাব সে দেশে যাও।
১ সদাপ্রভু অব্রামকে কহিলেন, তুমি আপন দেশ, জ্ঞাতিকুটুম্ব ও পৈতৃক বাটী পরিত্যাগ করিয়া, আমি যে দেশ তোমাকে দেখাই, সেই দেশে চল।
আদিপুস্তক ১২: ১-৭
২ আমি তোমা হইতে এক মহাজাতি উৎপন্ন করিব, এবং তোমাকে আশীর্ব্বাদ করিয়া তোমার নাম মহৎ করিব, তাহাতে তুমি আশীর্ব্বাদের আকর হইবে।
৩ যাহারা তোমাকে আশীর্ব্বাদ করিবে, তাহাদিগকে আমি আশীর্ব্বাদ করিব, যে কেহ তোমাকে অভিশাপ দিবে, তাহাকে আমি অভিশাপ দিব; এবং তোমাতে ভূমণ্ডলের যাবতীয় গোষ্ঠী আশীর্ব্বাদ প্রাপ্ত হইবে
৪ পরে অব্রাম সদাপ্রভুর সেই বাক্যানুসারে যাত্রা করিলেন; এবং লোটও তাঁহার সঙ্গে গেলেন। হারণ হইতে প্রস্থান কালে অব্রামের পঁচাত্তর বৎসর বয়স ছিল।
৫ অব্রাম আপন স্ত্রী সারীকে ও ভ্রাতুষ্পুত্র লোটকে এবং হারণে তাঁহারা যে ধন উপার্জ্জন করিয়াছিলেন, ও যে প্রাণিগণকে লাভ করিয়াছিলেন, সে সমস্ত লইয়া কনান দেশে গমনার্থে যাত্রা করিলেন, এবং কনান দেশে আসিলেন।
৬ আর অব্রাম দেশ দিয়া যাইতে যাইতে শিখিম স্থানে, মোরির এলোন বৃক্ষের নিকটে উপস্থিত হইলেন। তৎকালে কনানীয়েরা সেই দেশে বাস করিত।
৭ পরে সদাপ্রভু অব্রামকে দর্শন দিয়া কহিলেন, আমি তোমার বংশকে এই দেশ দিব; আর সেই স্থানে অব্রাম সেই সদাপ্রভুর উদ্দেশে এক যজ্ঞবেদি নির্ম্মাণ করিলেন, যিনি তাঁহাকে দর্শন দিয়াছিলেন।
কেউ কেউ আজকের দিনে আশ্চর্য হয় যদি সেখানে একজন বাক্তিগত ঈশ্বর থাকতেন তবে তিনি আমাদের বিপদগ্রস্ত জীবনে আশার সঞ্চার করতে যথেষ্ট সাহায্য করতে যত্ন নিতেন I এই বিবরণের মধ্যে আমরা এই প্রশ্নটিকে পরীক্ষা করতে পারি কারণ এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে একটি ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যার অংশগুলোকে আমরা যাচাই করতে পারি I এই বিবরণ নথিভুক্ত করে যে সদাপ্রভু সরাসরিভাবে আব্রাহামকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে ‘আমি তোমার নামকে মহান করব’ I আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি – 4000 বছর পরে – আর আব্রাহাম/অব্রামের নাম ইতিহাসে বিশ্বব্যাপী অন্যতম স্বীকৃত নাম I এই প্রতিশ্রুতি আক্ষরিকভাবে, ঐতিহাসিকভাবে, এবং যাচাইযোগ্যভাবে সত্য হয়েছে I
বাইবেলের প্রাচীনতম বিদ্যমান প্রতিলিপি মৃত সাগরের হস্তলিপি থেকে নেওয়া হয়েছে যার তারিখ ২০০ থেকে ১০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ I এর অর্থ হল যে এই প্রতিশ্রতি, একেবারে সর্বশেষে, কমপক্ষে সেই সময় থেকে লেখায় রয়েছে I কিন্তু এমনকি ২০০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে আব্রাহামের ব্যক্তিত্ব এবং নাম তখনও সুপরিচিত ছিল না – যিহূদিদের কেবল ক্ষুদ্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে পরিচিত হন I সুতরাং আমরা জানি যে প্রতিশ্রতির পরিপূর্ণতা এটিকে লেখার পরেই কেবল এসেছে I প্রতিশ্রতির ঘটার পরে লেখার দ্বারা ‘পরিপূর্ণ’ হওয়ার এটি একটি কোন ঘটনা নয় I
… তার মহান জাতির মাধ্যমে
যা সমানভাবে বিস্ময়কর তা হ’ল আব্রাহাম প্রকৃতপক্ষে তার জীবনে উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই করেন নি – এমন ধরণের কিছু জিনিস যা একজনের নামকে সাধারণত ‘মহান’ করে I তিনি অসাধারণ কোনো কিছু লেখেন নি (যেমন ব্যাস মহাভারত লিখেছিলেন), তিনি উল্লেখযোগ্য কিছু নির্মাণ করেন নি (যেমন শাহ জাহান তাজ মহল নির্মাণ করেছিল), তিনি প্রভাবশালী সৈনিক দক্ষতার সাথে কোনো সৈন্য বাহিনীকে পরিচালনা করেন নি (যেমন ভাগবদ গীতার অর্জুন), নাতো তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছেন (যেমন মহাত্মা গান্ধী দিয়েছেন) I তিনি এমনকি এক রাজার মতন কোনো রাজত্ব শাসন করেন নি I প্রান্তরের মধ্যে শিবির স্থাস্পন এবং প্রার্থনা করা ও পরবর্তী সময়ে এক পুত্র লাভ ছাড়া তিনি প্রকৃতপক্ষে আর কিছুই করেন নি I
আপনি যদি তার সময়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন সহস্রাধিক বছর পরে কাকে সর্বাধিক স্মরণ করা হবে, তবে আপনি রাজা, সেনানায়ক, যুদ্ধবীর, বা অতীতের বসবাসকারী রাজসভার কবিদের উপরে বাজি লাগাতেন যাদের পরবর্তী কালে ইতিহাসে স্মরণ করা হবে I কিন্তু তাদের নাম সকল ভুলে যাওয়া হয়েছে – যেখানে যে মানুষটি প্রান্তরের মধ্যে কষ্ট সহকারে কেবল এক পরিবারকে দেখা শোনা করেছেন জগতের চতুর্দিকে সে একটি পারিবারিক নাম হয়ে উঠেছে I তার নাম মহান এই কারণে হয়েছে তিনি যে জাতির (গুলোর) জন্মদাতা তারা তার বিবরণকে নথিভুক্ত করেছে – এবং পরে তার থেকে নির্গত ব্যক্তি এবং জাতি সমূহ মহান হয়েছে I ঠিক এইভাবেই বহু আগে তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল (“আমি তোমাকে এক মহান জাতিতে পরিণত করব…আমি তোমার নাম মহান করব”) I তার নিজের জীবনে মহান কার্যসাধন করার তুলনায় কেবল তার থেকে নির্গত বংশধরদের কারণে যিনি এত সুপরিচিত তাকে ছাড়া সমগ্র ইতিহাসে আমি আর কারোর সম্বন্ধে ভাবতে পারি না I
… প্রতিশ্রুতি-দাতার ইচ্ছার মাধ্যমে
আর লোকেরা আজকে যারা আব্রাহামের বংশধর – যিহূদিরা – কখনই প্রকৃতপক্ষে একটি জাতি হত না যাকে আমরা সাধারণত মহত্বের সাথে যুক্ত করি I তারা মিসরীয়দের পিরামিডের মতন বৃহৎ স্থাপত্যের কাঠামো নির্মাণ করে নি – এবং নিশ্চিতভাবে তাজ মহলের মতন কিছু নয়, তারা গ্রীকদের মতন দর্শনশাস্ত্র লেখেনি বা ব্রিটিশদের মতন সুদূরপ্রসারিত অঞ্চলের উপর শাসন করেনি I এই জাতিগুলোর মধ্যে সকলে বিশ্ব-শক্তির সাম্রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এইরকম করল যা অসাধারণ সামরিক শক্তির মাধ্যমে তাদের বিস্তীর্ণ সীমাগুলোকে প্রসারিত করল – এমন কিছু যা যিহূদিরা কখনও করেনি I যিহূদি লোকদের মহত্ব সর্বোচ্চ পরিমাণে ব্যবস্থা এবং পুস্তকের (বেদা পুস্তকম) কারণে হয়েছে যার তারা জন্ম দিয়েছিল; কতিপয় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির থেকে আর তাদের জাতির থেকে এসেছিল; এবং যেন তারা এই সহস্রাধিক বছর ধরে এক স্বতন্ত্র এবং একপ্রকারের ভিন্ন গোষ্ঠী হিসাবে বেঁচে রইল I তাদের মহত্ব প্রকৃতপক্ষে তাদের কোনো কিছু করার জন্য নয়, বরং তাদের প্রতি এবং তাদের মাধ্যমে যা করা হয়েছিল তার জন্য হয় I
এখন বাক্তিটির দিকে দেখুন যিনি প্রতিশ্রুতিটি ঘটাতে যাচ্ছেন I সেখানে, কাগজে-কলমে, এটি পুন: পুন: বলে যে “আমি করব…” I যিনি অনন্য উপায়ে তাদের মহত্বকে ইতিহাসে নিঃশেষিত করেছেন তা আর একবার এক উল্লেখযোগ্যভাবে এই ঘোষণার সঙ্গে খাপ খায় যে ইনি কোনো সহজাত ক্ষমতা, বিজয় বা এই ‘জাতির’ ক্ষমতার অপেক্ষায় সৃষ্টিকর্তা হতে চলেছেন I পৃথিবীর চারিদিকে গণমাধ্যমের মনোযোগ আজকের দিনে ইস্রায়েলের ঘটনাগুলোর প্রতি দেওয়া হয়, আধুনিক যিহূদি জাতি আলোচ্য বিষয়ের একটি ঘটনা I আপনি কি নিয়মিতভাবে হাঙ্গেরি, নরওয়ে, পাপুয়া নিউ গিনিয়া, বলিভিয়া, বা কেন্দ্রীয় আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের ঘটনাগুলোর খবর শোনেন – যেগুলো বিশ্বের চারিদিকের একই আকারের দেশ সমূহ? কিন্তু ইস্রায়েল 80 লক্ষের এক ক্ষুদ্র দেশ, ক্রমাগত এবং নিয়মিতরূপে খবরের মধ্যে হয় I
ইতিহাস বা মানবীয় ঘটনা সমূহের মধ্যে এমন কিছুই নেই যা এই প্রাচীন প্রতিশ্রুতিকে হুবহু উন্মুক্ত করবে যেমনটি এটিকে ঘোষণা করা হয়েছিল এই প্রাচীন মানুষটির কাছে যে, এই প্রতিশ্রুতির উপরে তার বিশ্বাসের কারণে এক বিশেষ পথকে চয়ন করল I ভাবুন এটি কতটা সম্ভব ছিল এই প্রতিশ্রুতিটির পক্ষে কোনভাবে ব্যর্থ হয়ে যাওয়া I কিন্তু পরিবর্তে এটি উদঘাটিত হ’ল, এবং উদঘাটিত হয়েই চলেছে, যেমন এটিকে সহস্রাধিক বছর পূর্বে ঘোষণা করা হয়েছিল I ঘটনাটি বাস্তবিকই শক্তিশালী যেন এটি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিদাতার ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের উপরে রয়েছে যে এটিকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে I
পদযাত্রা যা এখনও পৃথিবীকে ঝাঁকুনি দেয়
এই মানচিত্রটি আব্রাহামের পদযাত্রার গমনপথ দেখায়
বাইবেল নথিভুক্ত করে যে “তাই আব্রাহাম প্রস্থান করলেন যেমন সদাপ্রভু তাকে বললেন” (পদ ৪) I তিনি এক পদযাত্রা আরম্ভ করলেন, মানচিত্রের উপরে দেখানো হয়েছে যা এখনও ইতিহাস তৈরী করছে I
আমাদের প্রতি আশীর্বাদ
কিন্তু সেখানেই এটি শেষ হয় না যেহেতু সেখানে এছাড়া আরও কিছু প্রতিশ্রুতি রয়েছে I আশীর্বাদ শুধুমাত্র আব্রাহামের জন্য ছিল না কারণ এটি আবারও বলে যে
“পৃথিবীর উপরে সমস্ত লোকেরা তোমার মাধ্যমে আশির্বাদিত হবে” I
পদ ৪
এটিকে আপনার এবং আমার নোট করা উচিত I আমরা আর্য, দ্রাবিড়িয়ান, তামিল, নেপালি, বা এমনকি এছাড়া অন্য কেউ যেই হই না কেন; আমাদের জাত যাই হোক না কেন; আমাদের ধর্ম যাই হোক না কেন, হিন্দু, মুসলমান, জৈন, শিখ বা খ্রীষ্টান যাই হোক ন কেন; আমরা ধনী বা দরিদ্র, স্বাস্থবান বা সুস্থ; শিক্ষিত বা নয় যাই হোক না কেন – ‘পৃথিবীর উপরে সমস্ত মানুষ’ আমাদের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে I একটি আশীর্বাদের জন্য এই প্রতিশ্রুতি অতীত থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত জীবিত প্রত্যেককে অন্তর্ভুক্ত করে – যা আপনাকে বোঝায় I কিরূপে? কখন? কি ধরণের আশীর্বাদ? এটিকে ঠিক এখানে স্পষ্টরূপে বলা হয় না বরং এটি এমন কিছুর জন্ম যা আপনাকে এবং আমাকে প্রভাবিত করে I
আমরা সবেমাত্র ঐতিহাসিকভাবে এবং আক্ষরিকভাবে যাচাই করেছি যে আব্রাহামের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রথম অংশ সত্য হয়েছে I তাহলে আমাদের কাছে বিশ্বাস করার একটি উত্তম কারণ নেই কি যে প্রতিশ্রুতির অংশটি আপনার এবং আমার কাছেও সত্য হবে না? কারণ এটি সার্বজনীন এবং অপরিবর্তনীয় এই প্রতিশ্রুতি সত্য I কিন্তু এটিকে আমাদের উদঘাটন করতে হবে – এই প্রতিশ্রুতির সত্যকে বুঝতে হবে I আমাদের আলোকপাতের প্রয়োজন আছে যাতে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে এই প্রতিশ্রুতি আমাদের ‘স্পর্শ’ করতে পারে I আব্রাহামের পদযাত্রাকে অনুসরণ করতে থাকার ক্ষেত্রে এই আলোকপাতকে দেখতে পাই I মোক্ষের চাবিকাঠি যাকে পাওয়ার জন্য পৃথিবীর চারিদিকে অনেকে এত কঠিন পরিশ্রম করছে তা আমাদের এই উল্লেখযোগ্য লোকটিকে অবিরত অনুসরণ করার সাথে সাথে আমাদের জন্য প্রকাশিত হয় I