Skip to content

কিভাবে মানবজাতি ক্রমাগত চলতে থাকলো – মনুর (বা নোহ) বিবরণের শিক্ষার উপরে

  • by

পূর্বে আমরা মোক্ষের প্রতিশ্রুতিকে দেখলাম যাকে মানব ইতিহাসের একেবারে শুরুতে দেওয়া হয়েছিল I এছাড়াও আমরা প্রত্যক্ষ্য করলাম যে সেখানে আমাদের সম্বন্ধে এমনকিছু আছে যা দুর্নীতির দিকে চালিত করে, যা অভীষ্ট নৈতিক ব্যবহারের লক্ষ্যচ্যুত আমাদের কার্যকলাপের মধ্যে দেখায়, এবং এমনকি আমাদের সত্তার বিশেষ প্রকৃতির অধিকতর গভীরে I ঈশ্বরের (প্রজাপতি) দ্বারা সৃষ্ট আমাদের মূল প্রতিমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে I যদিও আমরা অনেক ধর্মানুষ্ঠান, ধৌতকরণ ও প্রার্থনার সাহায্যে আমরা কঠিনভাবে চেষ্টা করি, তবুও আমাদের দুর্নীতি আমাদেরকে আন্তরিকভাবে অনুভব করায় শুচিশুদ্ধ হওয়ার একটি প্রয়োজনকে যাকে আমরা যথাযথভাবে অর্জন করতে পারি না I নিখুঁত শুদ্ধতার সাথে জীবনযাপন করতে চেষ্টা করার অবিরত এই ‘দুরূহ’ সংগ্রামে আমরা প্রায়শই ক্লান্ত হয়ে পড়ি I

এই দুর্নীতি যদি কোনো নৈতিক সংযম ছাড়া বৃদ্ধি পায় তবে জিনিসগুলো দ্রুত ক্ষয় হতে থাকেI মানব ইতিহাসের একেবারে শুরুতে এটি ঘটেছিল I বাইবেলের (বেদা পুস্তকম) প্রথম দিকের অধ্যায়গুলো আমাদের বলে কিভাবে এটি ঘটেছিল I শতপথ ব্রাহ্মনর মধ্যে এই বিবরণটি সমান্তরাল যা বিস্তৃতভাবে বলে কিভাবে মানবজাতির পূর্বপুরুষ আজকের দিনে  – মনু নাম আখ্যাত  – এক বন্যার এক বিশাল দণ্ডাদেশ থেকে রক্ষা পেল যা মানবীয় দুর্নীতির কারণে এসেছিল, এবং এক বিরাট জাহাজের মধ্যে আশ্রয় চাওয়ার দ্বারা এইরকম করল I বাইবেল (বেদা পুস্তকম) এবং সংস্কৃত বেদ উভয় আমাদের বলে যে সমস্ত মানবজাতি আজকের দিনে তার বংশধর হয়ে জীবিত আছে I    

প্রাচীন মনু– যেখানে আমরা ইংরেজি শব্দ ‘মানুষ’ পাই

ইংরেজি শব্দ ‘মানুষ’ প্রাচীন জার্মানির থেকে এসেছে I টাসিটাস নামে একজন রোমীয় ঐতিহাসিক যিনি যীশু খ্রীষ্টের (যেশু সৎসংগ) সময়ের আশেপাশে বাস করতেন, জার্মানদের ইতিহাস সম্বন্ধে জার্মানিয়া নামে একটি বই লিখেছিলেন I এর মধ্যে তিনি বলেন

তাদের প্রাচীন লোকগাথায় (যা তাদের ইতিহাস) তারা পৃথিবী থেকে উৎপন্ন এক দেবতা তুইস্তো এবং জাতির পিতা ও প্রতিষ্ঠাতা তার পুত্র মান্নুসের উৎসব পালন করে, মান্নুসের সঙ্গে তারা তিনজন পুত্রের নামযুক্ত করে, যাদের নাম সমূহের উপরে বহু লোকেরা আখ্যাত হয় (প্রায় 100 খ্রীষ্টাব্দে টাসিটাসের দ্বারা লিখিত জার্মানিয়া)    

পন্ডিতরা আমাদের বলে যে এই প্রাচীন জার্মানি শব্দ ‘মান্নুস প্রোটো-ইন্দো-ইউরোপিয়ান “মানুহ” থেকে এসেছে (তুলনা. সংস্কৃত মানুহ, অভেস্তান মানু-,)I অতএব ইংরেজি শব্দ ‘মানুষ’ মানুর থেকে এসেছে যাকে বাইবেল (বেদা পুস্তকম) এবং শতপথ ব্রাহ্মন উভয়ই আমাদের পূর্বপুরুষ বলে! শতপথ ব্রাহ্মন থেকে সংক্ষিপ্তসার করে এই ব্যক্তিটির দিকে দেখা যাক I সেখানে অল্প কিছু পথদর্শন আছে যাতে বিবরণটির প্রতি একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোন আছে, তাই আমি সাধারণ বিষয়গুলো বর্ণনা করব I       

সংস্কৃত বেদের মধ্যে মনুর বিবরণ

বেদের মধ্যে মনু একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন, যে সত্যের সন্ধান করেছিল I কারণ মনু একেবার সৎ ছিল, সে প্রাথমিকভাবে সত্যব্রত বলে পরিচিত ছিল (“একজন সত্যের শপথের সাথে”) I 

শতপথ ব্রাহ্মন অনুসারে (শতপথ ব্রাহ্মনের মধ্যে পড়তে এখানে ক্লিক করুন), একজন অবতার এক আসন্ন বন্যার সম্বন্ধে মনুকে সাবধান করেছিল I  প্রাথমিকভাবে অবতারকে এক শাফারি রূপে দেখা গিয়েছিল (একটি ছোট্ট মাছ) যখন সে একটি নদীতে তার হাত ধুয়েছিল I ছোট্ট মাছ মনুকে বলল তাকে রক্ষা করতে, আর করুণা বশত: সে তাকে একটি জলের বয়ামের মধ্যে   রাখল I এটি বৃহৎ থেকে বৃহত্তর হতে থাকল, যতক্ষণ না মনু তাকে একটি আরও বড় কলসীর মধ্যে রাখল, এবং তারপরে তাকে একটি কুয়োর মধ্যে গচ্ছিত রাখল I নিরন্তর বাড়তে থাকা মাছটির জন্য যখন কুয়োটি অপর্যাপ্ত প্রমাণিত হ’ল, মনু তাকে একটি বড় জলাধারের (চৌবাচ্চা) মধ্যে রাখল, যেটি উচ্চতায় ভূতল থেকে ২ যোজন (২৫ কিলো মিটার) এবং জমিতে ততটাই দীর্ঘ এবং প্রস্থে এক যোজন (১৩ কিলো মিটার) ছিল I মাছটি আরো বাড়ার সাথে সাথে মনুকে তাকে একটি নদীতে রাখতে হল, এবং যখন নদীটি এমকি অপর্যাপ্ত প্রমাণিত হ’ল সে তাকে সাগরে রাখল, যার পরে এটি বিরাট সাগরের বিস্তৃত পরিসরকে প্রায় পরিপূর্ণ করল I         

ঠিক তখন অবতার মনুকে সর্ব-বিনাশক বন্যার সম্বন্ধে খবর দিল যা খুব শীঘ্র আসবে I তাই মনু এক বিশালাকার নৌকো নির্মাণ করলো যা পৃথিবীকে জনপূর্ণ করতে তার পরিবার, বিভিন্ন বীজ, এবং প্রানীদের আশ্রয় দিল, কারণ বন্যা হ্রাসপ্রাপ্ত হওয়ার পরে মহাসাগর এবং সমুদ্র পূর্ব অবস্থা থেকে অপসারণ করবে এবং পৃথিবীর লোক এবং প্রানীদের দ্বারা জনপূর্ণ হওয়ার প্রয়োজন হবে I বন্যার সময়ে মনু একটি মাছের শৃঙ্গতে নৌকটিকে বাঁধলো যে আবারও একজন অবতার ছিল I তার নৌকাটি পর্বতের চুড়ায় বন্যার পরে শেষ হয়েছিল I সে তখন পর্বত থেকে অবতরণ করল এবং তার উদ্ধারের জন্য বলি ও নৈবেদ্য উৎসর্গ করল I আজকের পৃথিবীর উপরে সমস্ত লোকেরা তার বংশধর I  

বাইবেলে (বেদা পুস্তকম) নোহের বিবরণ

বাইবেলের (বেদা পুস্তকম) বিবরণ একই ঘটনার বিবরণ করে, কিতু এই বিবরণে মানুকে ‘নোহ’, বলা হয় I নোহ এবং বিস্তৃতরূপে বিশ্বব্যাপী বন্যার বিবরণ পড়তে এখানে ক্লিক করুনI সংস্কৃত বেদ এবং বাইবেলের সাথে সাথে, এই ঘটনার স্মৃতি বিভিন্ন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ধর্ম সমূহের অনেক ইতিহাসে সংরক্ষিত করে রাখা আছে I পৃথিবী পাললিক শিলা দিয়ে আচ্ছাদিত আছে, যা বন্যার সময়ে গঠিত হয়েছিল তাই আমাদের কাছে এই বন্যার প্রাকৃতিক স্বাক্ষ্যের পাশা পাশি নৃতাত্ত্বিক স্বাক্ষ্যও আছে I কিন্তু আজকে আমাদের জন্য শিক্ষা কি যে এই বিবরণের মধ্যে আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত?    

দয়া হারাচ্ছি বনাম পাচ্ছি

যখন আমরা বলি ঈশ্বর দুর্নীতি (পাপ) বিচার করবেন কি না, এবং বিশেষত আমাদের নিজের পাপ বিচারিত হবে কি না, প্রতিক্রিয়া প্রায়শই এইরকম কিছু হয়, “আমি বিচার সম্বন্ধে ততটা চিন্তিত নয় কারণ ঈশ্বর করুনাময় এবং দয়ালু আমার মনে হয় না তিনি আমাকে সত্যিকারের বিচার করবেন” I নোহ (বা মনু) আমাদেরকে পুনর্বার এটি চিন্তা করতে বাধ্য করে I সমগ্র পৃথিবী (নোহ এবং তার পরিবার ছাড়া) সেই বিচারে ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিল I অতএব তাঁর করুণা তখন কোথায় ছিল? এটিকে জাহাজের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল I 

ঈশ্বর তাঁর করুণায়, একটি জাহাজ দিয়েছিলেন যেটি যেকোনো কারোর জন্য উপলব্ধ ছিল I যে কেউ সেই জাহাজে প্রবেশ করতে পারত এবং করুণা ও আসন্ন বন্যা থেকে নিরাপত্তা পেতে পারত I সমস্যা ছিল প্রায় সকল লোকেরা আসন্ন বন্যার প্রতি অবিশ্বাসের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাল I তারা নোহের প্রতি ঠাট্টা করল এবং যে আসন্ন বিচার সত্যিকারের ঘটবে তার বিশ্বাস করল না I তাই তারা বন্যায় বিনষ্ট হয়ে গেল I তবুও তাদের দরকার ছিল জাহাজে প্রবেশ  করা এবং তারা বিচার থেকে রক্ষা পেতে পারত I

যারা অতীতে বেঁচে ছিল তারা সম্ভবতঃ ভেবেছিল যে তারা উঁচু একটি পর্বতে চড়ে, বা একটি বড় ভেলা নির্মাণ করে তারা বন্যাকে এড়িয়ে যেতে পারবে I কিন্তু তারা বিচারের আকার এবং ক্ষমতাকে সম্পূর্ণরূপে ছোট করে দেখল I এই ‘উত্তম ধারণাগুলো’ সেই বিচারের জন্য পর্যাপ্ত হত না; তাদের এমন কিছুর প্রয়োজন ছিল যা তাদেকে আচ্ছাদন করতে পারত  – জাহাজ I যখন তারা সকলে জাহাজটিকে তৈরী হতে লক্ষ্য করল এটি আসন্ন বিচার এবং উপলব্ধ করুণা উভয়ের একটি স্পষ্ট চিহ্ন ছিল I আর নোহের (মনু) উদাহরণের প্রতি মনোযোগ দিলে এটি আমাদেরকে আজ সেই একই ভাবে কথা বলে, দেখায় যে  করুণা ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠিত যোগানের দ্বারা অর্জিত হয়, আমাদের উত্তম ধারণা সমূহের দ্বারা নয় I   

তাহলে নোহ কেন ঈশ্বরে করুণা দেখতে পেল? আপনারা লক্ষ্য করবেন বাইবেল বিভিন্ন সময়ে বাক্যাংশটির পুনরাবৃত্তি করেছে

আর নোহ সেই সমস্ত কিছু করল যা সদাপ্রভু তাকে আদেশ করলেন

আমি দেখি যে আমি যা বুঝি তাই করতে ইচ্ছা হয়, বা আমার যা পচ্ছন্দ, বা আমি যার সঙ্গে একমত হই I আমি নিশ্চিত যে তার মনে একটি আসন্ন বন্যার সতর্কতা এবং জমির উপর এই ধরণের এক বৃহৎ জাহাজ নির্মাণের আদেশ সম্বন্ধে অবশ্যই নোহের অনেক প্রশ্ন থেকে থাকবে I আমি নিশ্চিত সে যুক্তি দিয়ে থাকতে পারে যে সে যেহেতু একজন উত্তম এবং সত্যবাদী মানুষ তাই তার এই জাহাজ নির্মাণের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই I কিন্তু সে সেই ‘সমস্ত’ কিছু করলো যার আদেশ দেওয়া হয়েছিল  –  না কেবল সে যা বুঝেছিল, না তার কাছে যা আরামযোগ্য ছিল, এবং না এমনকি যা তার কাছে বোধগম্য ছিল I আমাদের অনুসরণ করার জন্য এটি একটি মহান উদাহরণ I  

পরিত্রাণের জন্য দ্বার

এছাড়াও বাইবেল আমাদের বলে যে নোহের পরে, তার পরিবার, এবং প্রাণী সকল সেই জাহাজে প্রবেশ করল

তারপর সদাপ্রভু তাকে ভেতরে বন্ধ করলেন

ইনি ঈশ্বর ছিলেন যিনি জাহাজের মধ্যে একটি দ্বার নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যাবস্থাপন  করলেন  – নোহ নয় I যখন বিচার এলো এবং জল স্ফীত হল, জাহাজের উপর লোকেদের থেকে কোনো পরিমাণের আওয়াজ নোহকে দ্বার খুলতে বিচলিত করতে পারল না I ঈশ্বর সেই একটি দ্বারকে নিয়ন্রণ করলেন I কিন্তু সেই একই সময়ে যারা ভেতরে ছিল তারা আত্মবিশ্বাসে বিশ্রাম করতে পারল যে ঈশ্বর যেহেতু দ্বার নিয়ন্রণ করছেন সেই হেতু কোনো বাতাস বা ঢেউ এটিকে জোর করে খুলতে পারবে না I তারা ঈশ্বরের যত্ন এবং করুণার দ্বারে নিরাপদ ছিল I   

ঈশ্বর যেহেতু অপরিবর্তনশীল এটি আজকের দিনে এখনও আমাদের কাছে  প্রযোজ্য I বাইবেল সাবধান করে যে আর একটি বিচার আসন্ন  –  এবং এটি আগুনের দ্বারা  –  কিন্তু নোহের চিহ্ন আমাদের আশ্বস্ত করে যে তাঁর বিচারের সাথে সাথে তিনি করুণাও প্রদান করেন I আমাদের এক দ্বার বিশিষ্ট ‘জাহাজের’ খোঁজ করা উচিত যা আমাদর প্রয়োজনকে ভরাট করবে এবং আমাদের করুণা অনুমোদন করবে I  

পুনরায় বলিদান

বাইবেল আমাদের এও বলে যে নোহ:

পরে নোহ সদাপ্রভুর উদ্দেশে যজ্ঞবেদি নির্ম্মাণ করিলেন, এবং সর্ব্বপ্রকার শুচি পশুর ও সর্ব্বপ্রকার শুচি পক্ষীর মধ্যে কতকগুলি লইয়া বেদির উপরে হোম করিলেন

আদিপুস্তক ৮:২০

এটি পুরুসাসুক্তার বলির নমুনার সাথে খাপ খায় I এটি যেন নোহ (বা মনু) জানত যে পুরুসার বলি দেওয়া হবে তাই সে এই আসন্ন বলিদানের একটি চিত্র রূপে একটি পশুর বলি উৎসর্গ করল তার বিশ্বাস প্রদর্শন করতে যে ঈশ্বর এটি করবেন I আসলে বাইবেল বলে যে ঠিক এই বলিদানের পরে ঈশ্বর নোহ এবং তার পুত্রগণকে আশীর্বাদ করলেন (আদিপুস্তক 9:1) এবং ‘নোহের সঙ্গে এক নিয়ম স্থির করলেন’ (আদিপুস্তক 9:8) কোনো বন্যার দ্বারা সমস্ত লোকেদের আর বিচার করা হবে না I তাই এটি বোধ হয় যে নোহের দ্বারা একটি পশুর বলিদান তার আরাধনার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল I     

পুনর্জন্ম – ব্যবস্থার মাধ্যমে বা …

বৈদিক পরম্পরার মধ্যে মানু মনুস্মৃতির জন্য একটি উৎস যা একজনের জীবনে বর্ণ/জাতের পরামর্শ দেয় বা বিহিত করে I যজুর্বেদ বলে যে, সমস্ত মানবজাতি সুদ্র বা দাস হয়ে জন্মায়, কিন্তু এই দাসত্ব থেকে রক্ষা পেতে আমাদের একটি দ্বিতীয় বা নতুন জন্মের প্রয়োজন I মনুস্মৃতি বিতর্কিত এবং স্মৃতি সম্পর্কে এর  মধ্যে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন প্রকাশিত হয়েছে I এইগুলোকে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা আমাদের সুযোগের বাইরে I যাইহোক, যা অনুসন্ধান করার যোগ্য তা বাইবেলের মধ্যে আছে, নোহ/মনুর বংশধর সেমিটিক ভাষার লোকেরাও দুটি উপায় পেয়েছিল যার মধ্যে শুচিতা এবং শুদ্ধিকরণ পাওয়া যায় I একটি উপায় ছিল একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে যা শুদ্ধিকরণ, ধর্মীয় ধৌতকরণ এবং বলিদান সমূহ – একেবারে মনুস্মৃতির অনুরূপ I অন্য উপায়টি অনেক বেশি রহস্যজনক ছিল. এবং এটি পুনর্জন্ম অর্জনের পূর্বে একটি মৃত্যুকে জড়িত করেছিল I যীশুও এই সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছিলেন I তিনি তাঁর সময়ে একজন বিদ্যান পন্ডিতকে বললেন যে     


যীশু উত্তর করিয়া তাঁহাকে কহিলেন, সত্য, সত্য, আমি তোমাকে বলিতেছি, নূতন জন্ম না হইলে কেহ ঈশ্বরের রাজ্য দেখিতে পায় না।

যোহন ৩:

পরবর্তী প্রবন্ধগুলোতে আমরা এই বিষয়ে আরও দেখব I কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা সন্ধান করব বাইবেল এবং সংস্কৃত বেদের মধ্যে কেন এই ধরণের মিলগুলো আছে I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *