পুরুষাশুক্ত পদ ২ থেকে নিম্নলিখিতগুলোকে নিয়ে চলতে থাকে I (সংস্কৃত অক্ষরীকরণ, এবং পুরুষাশুক্তর উপরে আমার অনেক চিন্তাধারা, যোষেফ পাদিনজারেকারা লিখিত ক্রাইষ্ট ইন দি এনসিয়েন্ট বেদাস বইয়ের অধ্যয়ন থেকে এসেছে (৩৪৬ পৃষ্ঠা ২০০৭)
বাংলা অনুবাদ | সংস্কৃত অক্ষরীকরণ |
সৃষ্টি পুরুষার গৌরব – ততটা মহান তার মহিমা I এখনও তিনি এই সৃষ্টির চেয়ে মহান I পুরুষার এক চতুর্থাংশ (ব্যক্তিত্ব) এই জগতের মথ্যে রয়েছে I তাঁর তিন চতুর্থাংশ এখনও অনন্তকালীন ধরে স্বর্গের মধ্যে বাস করছে I পূরুষা নিজের তিন চতুর্থাংশের সাথে উর্দ্ধে উঠলেন I তাঁর এক চতুর্থাংশ এখানে জন্ম নিল I তার থেকে তিনি সমস্ত জীবন্ত সত্তার মধ্যে জীবন ব্যাপ্ত করলেন I | এতাবান অস্য মহিমা অত জ্যায়ামশ্চ পুরুষ:পাদ-অস্য বিশ্বা ভূতানি ত্রিপাদ অস্যমর্তম দিবি ত্রিপাদ উর্ধবা উদাইত পুরুষা: পাদৌ-অস্যেহা অভাবত পুণঃ তাত বিস্বান্ন্বি অক্রামত সসাননাসানে অভি |
এখানে ব্যবহৃত চিত্রাবলীকে বোঝা মুস্কিল I যাইহোক, এটি স্পষ্ট যে এই পদগুলো পুরুষার মহানতা এবং মহিমার কথা বলছে I এটি খুব স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে যে তিনি সৃষ্টির চেয়ে মহান I এছাড়াও আমরা বুঝতে পারি যে তাঁর মহানতার কেবলমাত্র একটি অংশই এই জগতে প্রকাশিত হয়েছে I কিন্তু এটি এই জগতে আবারও তাঁর অবতারের কথা বলে – এক জগত লোক যেখানে আপনি এবং আমি বাস করি (‘তাঁর এক চতুর্থাংশ এখানে জন্ম নিল’) I তাই ঈশ্বর যখন তাঁর অবতাররূপে নিচে নেমে এলেন টিই এই জগতে তাঁর গৌরবের কেবলমাত্র এক অংশকেই প্রকাশিত করলেন I তিনি কোনভাবে নিজেকে শুন্য করলেন যখন তিন জন্মগ্রহণ করলেন I এটি পুরুষের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেমনটি পদ 2 এর মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে – ‘নিজেকে 10 অঙ্গুলির মধ্যে সীমিত করেছেন’ I
এছাড়াও এটি বেদ পুস্তকমের (বাইবেল) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা নাসরতের যীশুর অবতারকে বর্ণনা করে I এটি তাঁর সম্বন্ধে বলে যে
আমার উদ্দেশ্য হল … তারা জ্ঞানের নিশ্চয়তারূপ সমস্ত ধনে ধনী হয়ে ওঠে যেন ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব, অর্থাৎ খ্রীষ্টকে জানতে পায়, যাঁর মধ্যে জ্ঞানের ও বিদ্যার সমস্ত নিধি গুপ্ত রয়েছে I
কলসীয় 2:2-3
অতএব খ্রীষ্ট ঈশ্বরের অবতার ছিলেন কিন্তু তার প্রকাশন মূলত ‘গুপ্ত’ ছিল I কিভাবে এটি গুপ্ত ছিল? এটি আরও ব্যাখ্যা করে:
ক্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তা তোমাদের মধ্যেও হওয়া উচিত:
৫ খ্রীষ্ট যীশুতে যে ভাব ছিল, তাহা তোমাদিগেতেও হউক।
ফিলিপীয় ২:৫-৯
৬ ঈশ্বরের স্বরূপবিশিষ্ট থাকিতে তিনি ঈশ্বরের সহিত সমান থাকা ধরিয়া লইবার বিষয় জ্ঞান করিলেন না,
৭ কিন্তু আপনাকে শূন্য করিলেন,দাসের রূপ ধারণ করিলেন, মনুষ্যদের সাদৃশ্যে জন্মিলেন;
৮ এবং আকার প্রকারে মনুষ্যবৎ প্রত্যক্ষ হইয়া আপনাকে অবনত করিলেন; মৃত্যু পর্য্যন্ত, এমন কি, ক্রুশীয় মৃত্যু পর্য্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন।
৯ এই কারণ ঈশ্বর তাঁহাকে অতিশয় উচ্চপদান্বিতও করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ;
অতএব যীশু তাঁর অবতারে ‘নিজেকে শুন্য করলেন’ এবং সেই অবস্থায় নিজেকে বলিদানের জন্য প্রস্তত করলেন I তাঁর প্রকাশিত গৌরব কেবলমাত্র আংশিক ছিল, ঠিক যেমনটি পুরুষাসুক্তা ব্যক্ত করে I এটি তাঁর আসন্ন বলিদানের কারণে ছিল I এই পদ সমূহের পরবর্তী সময় থেকে পুরুষাশুক্তা সেই একই ভাবকে অনুসরণ করে যা তাঁর বলিদানের উপরে ফোকাস করতে পুরুষার আংশিক গৌরবকে বর্ণনা করার থেকে ফিরে আসে I যেটিকে আমরা পরবর্তী পোস্টে দেখি I