নোহের বংশের বিবরণ।
10 নোহের ছেলে শেম, হাম ও যেফতের বংশ বৃত্তান্ত এই। বন্যার পরে তাঁদের ছেলেমেয়ে জন্মাল।যেফতের বংশধর2 যেফতের ছেলে গোমর, মাগোগ, মাদয়, যবন, তূবল, মেশক ও তীরস।3 গোমরের ছেলে অস্কিনস, রীফৎ ও4 তোগর্ম। যবনের ছেলে ইলীশা, তর্শীশ,5 কিত্তীম ও দোদানীম। এই সমস্ত থেকে জাতিদের দ্বীপনিবাসীরা নিজের নিজের দেশে নিজের নিজের ভাষানুসারে নিজের নিজের জাতির নানা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হল।হামের বংশধর6 আর হামের ছেলে কূশ, মিশর, পুট ও কনান।7 কূশের ছেলে সবা, হবীলা, সপ্তা, রয়মা ও সপ্তকা। রয়মার ছেলে শিবা ও দদান।8 নিম্রদ কূশের ছেলে; তিনি পৃথিবীতে শক্তিশালী হতে লাগলেন।9 তিনি সদাপ্রভুর সামনে শক্তিশালী শিকারী হলেন; তার জন্য লোকে বলে, সদাপ্রভুর সামনে শক্তিশালী শিকারী নিম্রোদের তুল্য।10 শিনিয়র দেশে বাবি ল, এরক, অক্কদ ও কলনী, এই সব জায়গা তাঁর রাজ্যের প্রথম অংশ ছিল।11 সেই দেশ থেকে তিনি অশূরে গিয়ে নীনবী,12 রহবোৎপুরী, কেলহ এবং নীনবী ও কেলহের মাঝখানে রেষন পত্তন করলেন; ওটা মহানগর।13 আর লূদীয়, অনামীয়,14 লহাবীয়, নপ্তুহীয়, পথ্রোষীয়, পলেষ্টীয়দের পূর্বপুরুষ কসলূহীয় এবং কপ্তরীয়, এই সব মিশরের সন্তান।15 এবং কনানের বড় ছেলে সীদন, তারপর হেৎ,16 যিবূষীয়, ইমোরীয়, গির্গাশীয়,17 হিব্বীয়, অর্কীয়, সীনীয়,18 অর্বদীয়, সমারীয় ও হমাতীয়। পরে কনানীয়দের গোষ্ঠী সকল বিস্তারিত হল।19 সীদোন থেকে গরারের দিকে ঘসা পর্যন্ত এবং সদোম, ঘমোরা, অদমা ও সবোয়ীমের দিকে লাশা পর্যন্ত কনানীয়দের সীমা ছিল।20 নিজের নিজের গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সব হামের ছেলে।21 যে শেম এবারের সব লোকদের পূর্বপুরুষ, আর যেফতের বড় ভাই, তাঁরও ছেলেমেয়ে ছিল।22 শেমের এই সকল ছেলে এলম, অশূর, অর্ফকষদ, লূদ ও অরাম।23 অরামের সন্তান ঊষ, হূল, গেথর ও মশ।24 আর অর্ফকষদ শেলহের জন্ম দিলেন ও শেলহ এবারের জন্ম দিলেন।25 এবারের দুই ছেলে; একের নাম পেলগ [বিভাগ], কারণ সেই দিনের পৃথিবী ভাগ হল। তাঁর ভাইয়ের নাম যক্তন।26 যক্তন অলমোদদ, শেলফ, হৎসর্মাবৎ, যেরহ,27 হদোরাম, উষল, দিক্ল,28 ওবল, অবীমায়েল, শিবা,29 ওফীর, হবীলা ও যোববের বাবা হলেন। এরা সবাই যক্তনের ছেলে।30 মেষা থেকে পূর্বদিকের সফার পর্বত পর্যন্ত তাদের বসতি ছিল।31 নিজের নিজের গোষ্ঠী, ভাষা, দেশ ও জাতি অনুসারে এই সকল শেমের ছেলে।32 নিজের নিজের বংশ ও জাতি অনুসারে এরা নোহের ছেলেদের গোষ্ঠী এবং বন্যার পরে এদের থেকে তৈরী নানা জাতি পৃথিবীতে ভাগ হল।