সম্পর্কিত ধারণাগুলিতে যদি তাদের পার্থক্যগুলিকে সঠিকভাবে না বোঝা যায় তবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে I দক্ষিণ এশিয়ার ভাষাগুলি এর একটি উত্তম উদাহরণ প্রদান করে I
অনেক পাশ্চাত্য লোকেরা হিন্দি (ভাষা) এবং হিন্দুর (ধর্ম বা জীবনের ধর্মীয় উপায়) মধ্যে পার্থক্য করে না I শব্দগুলি একইরকম শোনায় এবং যেহেতু ‘উভয়ই ভারত থেকে আসে তারা ভাবে সেগুলি অভিন্ন I আপনি লোকেদের বলতে শুনবেন ‘সে পুরুষ হিন্দু বলে এবং সে স্ত্রী একজন হিন্দি’, শব্দগুলি সম্বব্ধে তাদের ভুলবোঝাবুঝি দেখায় I
কেউ কেউ পাশ্চাত্য লোকেরা আবার এমনকি জানে না যে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে অনেক ভাষায় কথা বলা হয় I প্রায়শই ধরে নেওয়া হয় যে ‘সেখানে; হিন্দি (বা হিন্দু) বলা হয় I তাদের উপলব্ধি নেই যে লক্ষ্য লক্ষ্য লোকেরা বিভিন্ন ভাষা সমূহ যেমন মালয়ালম, তামিল, তেলেগু, উড়িয়া, মারাঠি, বাঙ্গালী, গুজরাতি, কানাড়া, পাঞ্জাবী, নেপালি ইত্যাদি বলে I
অবশ্যই হিন্দি হিন্দুত্ববাদ এবং হিন্দু ধারণা সমূহের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে যা প্রায়শই হিন্দিতে প্রকাশ করা হয় I অনুরূপভাবে হিন্দু ভক্তবৃন্দগণ অন্যান্য ভাষাতেও (তামিল, মালয়ালম, ইত্যাদি) প্রার্থনা এবং আরাধনা করে থাকে I একের অপরের ওপরে অধিক্রমণ এবং প্রভাব আছে – তবে তারা এক নয় I
দক্ষিণ এশিয়ার ভাষার বর্ণলিপি
বিভিন্নতার মাধ্যমে, ভাষাগুলি যদিও বিবিধ, তবুও তাদের ইতিহাসের দ্বারা সংযুক্ত হয় I দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত লেখার পদ্ধতিগুলি ব্রাহ্মীলিপি থেকে আসে I এটি প্রাচীন ফোনীসিয়া (=পালেও-হিব্রু) থেকে প্রথম সহস্রাব্দী খ্রীষ্টপূর্বাব্দের মাঝামাঝিতে গৃহীত হয় I
কিভাবে এই লিপি দক্ষিণ এশিয়াতে এসেছিল স্পষ্ট নয়, যদিও এশিয়াতে হিব্রু নির্বাসনের উপর ভিত্তিশীল একটি শীর্ষস্থানীয় তত্ব কৌতূহল জাগায় I ব্রাহ্মীলিপি দুটি প্রধান শাখায় বিভক্ত হয়: উত্তর এবং দক্ষিণ ব্রাহ্মীলিপি I উত্তরাঞ্চলের ব্রাহ্মীলিপি দেবনাগরী ও নন্দীনগরীতে বিবর্তিত হয়েছিল যা সংস্কৃত এবং উত্তর ভারতীয় ভাষায় (হিন্দি, মারাঠি, গুজরাতি, বাঙ্গালী, নেপালি, পাঞ্জাবী)পরিণত হয়েছিল I দ্রাবিড় ভাষাগুলি দক্ষিন ব্রাহ্মীলিপি গ্রহণ করেছিল, প্রধানত আজ তামিল, তেলেগু, কানাড়া এবং মালয়ালমে শোনা যায় I
খ্রীষ্টধর্ম আর সুসমাচারও এক নয়
যেমন হিন্দি এবং হিন্দু একে অপরকে প্রভাবিত করেছিল, তবে এক নয়, অনুরূপভাবে সুসমাচার আর খ্রীষ্ট ধর্মের সাথেও একইরকম হয়েছে I খ্রীষ্টধর্ম একটি বার্তার প্রতি সংস্কৃতিক প্রতিক্রিয়া I তাই খ্রীষ্টধর্মে প্রথা, বিশ্বাস এবং অনুশীলন সমূহ রয়েছে সুসমাচারে নয় I উদাহরণস্বরূপ, ইস্টার এবং ক্রিষ্টমাসের উৎসবগুলি নিন, সম্ভবত, খ্রীষ্টধর্মের সর্বাধিক সুপরিচিত উপস্থাপনাগুলি I এই উৎসবগুলি যীশু খ্রীষ্টের জন্ম, মৃত্যু, এবং পুনরুত্থান, সুসমাচারে প্রকাশিত ঈশ্বরের অবতারকে স্মরণ করায় I তবে সুসমাচারের বার্তা, বা বেদ পুস্তকমের (বাইবেল) কোথাও এই উৎসবগুলি সম্বন্ধে কোনো উল্লেখ বা আদেশ দেয় না I সুসমাচার এবং খ্রীষ্টধর্মের মধ্যে অধিক্রমণ রয়েছে তবে তারা এক নয় I আসলে, সমগ্র বাইবেল (বেদ পুস্তকম) ‘খ্রিস্টিয়ান’ শব্দটিকে কেবল তিন বার উল্লেখ করেছে I
যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার ভাষাগুলির তাদের লিপি সমূহের বিকাশের ক্ষেত্রে এক দীর্ঘ এবং জটিল ইতিহাস রয়েছে, সেইভাবে সুসমাচারও খ্রীষ্টধর্মের চেয়ে অনেক পুরনো I সুসমাচারের বার্তাকে মানব ইতিহাসের গোধুলি লগ্নে প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল, এইরূপে ঋগ্বেদের প্রাচীনতম অংশগুলির মধ্যে দেখা যায় I আব্রাহাম এটিকে 4000 বছর আগে গতিতে স্থাপন করেছিলেন, যার বংশধরগণ দক্ষিণ এশিয়াতে (আ)ব্রাহামিক লিপি নিয়ে এসেছিলেন I দক্ষিন এশীয ভাষাগুলির মতন, সুসমাচার বিভিন্ন লিপিগুলির বিস্তার করেছিল যা এসেছে এবং গেছে, এবং সাম্রাজ্যগুলি যা উঠেছে এবং পড়েছে I তবে একেবারে শুরু থেকেই এর পরিধি সমস্ত জাতির লোকেদের জন্য ছিল, তাদের সংস্কৃতি, ভাষা, লিঙ্গ, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন I সুসমাচার একটি প্রেমের গল্প যা একটি বিবাহের সাথে শেষ হয় I
সুসমাচার কিসের সম্বন্ধে?
ওয়েবসাইটটি সুসমাচার সম্পর্কে, খ্রীষ্টধর্ম সম্পর্কে নয় I শব্দগুলি মূলত ব্যবহৃত হয় বর্ণনা করতে সুসমাচার হল পথ এবং সোজা পথ (ধর্মের ভাবনা) I যারা সুসমাচারকে অনুসরণ করে অর্থাৎ অনুসরণকারীদের বিশ্বাসী, শিষ্য বলা হয় (ভক্তগণের ভাবনা) I সুসমাচারের কেন্দ্রীয় ধারনাটি হ’ল একজন ব্যক্তি, নাসরতের যীশু, ঈশ্বরের অবতার, গুরু যিনি ভক্তি প্রদর্শন করেছিলেন আপনাকে এবং আমাকে I সময়ের শুরু থেকে তাঁর আগমনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল I যে কেউ হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, শিখ, অন্য ধর্মের – বা কেউ না নির্বিশেষে তিনি বোঝার যোগ্য I
আপনি যদি জীবন, পাপের থেকে মুক্তি এবং মৃত্যু এবং ঈশ্বরের সাথে একটি সম্পর্ক, সুসমাচারের বিষয়গুলির সম্বন্ধে অবাক হন, তবে ওয়েবসাইটটি আপনার জন্যে আছে I খ্রীষ্টধর্মের সংস্কৃতিকে একপাশে সরিয়ে রেখে, আপনি দেখবেন যে সুসমাচারটি যথেষ্ট আকর্ষনীয় এবং পরিতৃপ্তিজনক হবে I আপনি এটিকে নিম্নলিখিত দক্ষিন এশীয় ভাষাগুলির মধ্যে অন্বেষণ করতে পারেন: ইংরেজি, হিন্দি, রোমানাগরি, বাঙ্গালী, মারাঠি, গুজরাতি, পাঞ্জাবী, নেপালী, কানাড়া, তামিল, তেলেগু, মালয়ালম I