প্রথমে প্রাথমিক তথ্য I আমার নাম রাগনার I এটি সুইডেনের তবে আমি কানাডায় থাকি I আমি বিবাহিত এবং আমাদের একটি পুত্র আছে I
আমি একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি I মূলত সুইডেনের, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা কানাডায় অভিবাসিত হয়েছি এবং বিদেশে বড় হয়েছি বেশ কয়েকটি অন্যান্য দেশে – আলজেরিয়া, জার্মানি এবং ক্যামেরুন, অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য কানাডায় ফিরে এসেছি I আমার মা ভারতে জন্মেছেন, তিনি সেখানেই বড় হয়েছেন এবং সাবলীলভাবে হিন্দি কথা বলেন I আমার বড় হওয়ার সাথে সাথে, তিনি আমাকে বিভিন্ন হিন্দু দেবদেবীদের সম্বন্ধে বলতেন এবং আমাকে একটি বইয়ের থেকে সংগৃহীত তাদের চিত্র দেখাতেন I তাই যদিও পাশ্চাত্য এবং একটি মুসলিম দেশে বড় হয়েছিলাম, আমি আমার পরিবারের মাধ্যমেও হিন্দু ধর্মের সংস্পর্শে এসেছিলাম I এই সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে অন্য সবার মত আমিও চেয়েছিলাম (এবং এখনও চাই) একটি পূর্ণ জীবন উপভোগ করতে চেয়েছি – সন্তুষ্টি, শান্তির বোধ, অর্থ এবং উদ্দেশ্য সহ – অন্যদের প্রতি সংযোগের সাথে I
‘সত্য’ কি এবং পূর্ণ জীবন কি তা সম্পর্কে আমি বিভিন্ন মতামত শিখেছি I আমি যেটা লক্ষ্য করেছিলাম তা হল যে আমাদের পশ্চিমী দেশগুলির কাছে এই লক্ষ্য অর্জনের অভূতপূর্ব সম্পদ, প্রযুক্তি এবং সুযোগ ছিল, তবুও এই কুটাভাষটি ছিল যে ‘পুরো জীবন’ অধরা বলে মনে হয়েছিল I আমি লক্ষ্য করেছি যে সম্পর্কগুলি পূর্ববর্তী জন্মের তুলনায় বেশি নিষ্পত্তিযোগ্য এবং অস্থায়ী I আমি শুনেছি যে আমরা যদি ‘আরও কিছুটা’ পেতে পারি তবে আমরা পৌঁছে যাব I তবে আরও কতটা? কিসের আরও একটু? টাকা? বৈজ্ঞানিক জ্ঞান? প্রযুক্তি? আনন্দ?
শলোমনের প্রজ্ঞা
এই বছরগুলিতে আমার চারপাশে এবং তার চারপাশে অস্বস্তির কারণে, শলোমনের লেখাগুলি আমার উপরে গভীর প্রভাব ফেলেছিল I শলোমন, প্রাচীন ইসরাইলের এক রাজা, তার প্রজ্ঞার জন্য বিখ্যাত ছিলেন, বাইবেলে (বেদ পুস্তকম) বিভিন্ন বই লিখেছিলেন, যেখানে তিনি আমার জিজ্ঞাসা করা একই প্রশ্নের বর্ণনা করেছিলেন I তিনি লিখেছিলেন:
আমি মনে মনে বললাম, “এখন এস, আমি আনন্দ দিয়ে তোমার পরীক্ষা করব। তাই আনন্দ উপভোগ কর।” কিন্তু দেখ, এটাও ছিল ক্ষণস্থায়ী বাতাস মাত্র।2 আমি হাঁসির বিষয়ে বলেছিলাম, “এটা পাগলামি,” এবং আনন্দের বিষয়ে বলেছিলাম, “এর প্রয়োজনীয়তাই বা কি?”3 আমি আমার হৃদয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম কিভাবে মদ দিয়ে আমার ইচ্ছা পূরণ করা যায়। তখন আমি আমার মনকে জ্ঞানে পরিচালনা করতে দিলাম কীভাবে মূর্খতা ব্যবহার করে দেখতে পাই তাদের জীবনকালে যা কিছু আকাশের নিচে করা যায় তা মানুষের জন্য কি কি করা ভালো।4 আমি মহান কাজ সম্পন্ন করেছি। আমি আমার জন্য ঘর তৈরী করলাম এবং আঙ্গুর খেত রোপণ করলাম।5 আমি আমার জন্য বাগান এবং উপবন তৈরী করলাম; আমি তার মধ্যে সব রকমের ফলের গাছ রোপণ করলাম।6 আমি অনেক পুকুর খুঁড়লাম বনে জল দেওয়ার জন্য যেখানে গাছেরা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।7 আমি দাস ও দাসী কিনলাম; আমার দাস আছে যারা আমার ঘরে জন্মেছে। আমার অনেক বড় পশুপাল আছে এবং অনেক গৃহপালিত পশু আছে, যে কোন রাজা যারা আমার আগে যিরুশালেমে রাজত্ব করেছে তাদের থেকে অনেক বেশি।8 আমি আমার জন্য সোনা ও রূপা, রাজাদের ধনসম্পদ এবং নানা প্রদেশের সম্পদ সঞ্চয় করেছি। আমার গায়ক ও গায়িকা আছে আমার জন্য এবং অনেক স্ত্রী ও উপপত্নীর দ্বারা মানবতার সমস্ত সুখ আমার আছে।9 তাই আমি সবার থেকে যারা আমার আগে যিরুশালেমে ছিলেন তাদের থেকে মহান ও ধনী হলাম এবং আমার প্রজ্ঞা আমার সঙ্গে ছিল।10 আমার চোখ যা কিছু ইচ্ছা করত, আমি তাদের তা থেকে বঞ্চিত করতাম না। আমি আমার হৃদয়কে কোন সুখভোগ করতে বাধা দিতাম না, কারণ আমার হৃদয় আনন্দ করত আমার সমস্ত পরিশ্রমে এবং সুখভোগ হল আমার পুরষ্কার আমার সমস্ত কাজের
উপদেশক 2:1-10
ধন, খ্যাতি, জ্ঞান, প্রকল্প সমূহ. স্ত্রীলোক, আনন্দ, রাজ্য, জীবিকা, মদিরা – শলোমনের কাছে এর সমস্ত ছিল – এবং এর অনেক কিছুই তার বা আমাদের দিনের কারোর চেয়ে বেশি ছিল I আইনস্টাইনের তীক্ষ্ণতা, বিল গেটসের ধন, বলিউড তারকার সামাজিক/যৌন জীবন, তার সাথে ব্রিটিশ রাজকীয় পরিবারের যুবরাজ উইলিয়ামের মতন রাজকীয় বংশ – সবই একের মধ্যে জড়িত I কে সেই সমন্বয়কে হারাতে পারে? আপনি ভাববেন তিনি, সকল লোকেদের মধ্যে পরিতৃপ্ত হয়ে থাকবেন I কিন্তু তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন:
11 পরে আমি সেই সমস্ত কাজ দেখলাম যা আমার হাত সম্পন্ন করেছে এবং সেই কাজ যা আমি করেছি, কিন্তু আবার, সব কিছুই ছিল বাষ্প এবং যেন বাতাসকে পরিচালনা করার চেষ্টা করা। সেখানে সূর্য্যের নিচে কোন লাভ নেই।23 প্রত্যেকদিন তার কাজ হল ব্যথাযুক্ত এবং চাপযুক্ত, তাই রাতে তার আত্মা শান্তি পায় না। এটাও বাষ্প।
উপদেশক 2:11
তিনি দেখিয়েছিলেন যে চূড়ান্তভাবে সন্তুষ্ট করার জন্য আনন্দ. সম্পদ, কাজ, অগ্রগতি, রোমান্টিক প্রেমের প্রতিশ্রুতি ছিল মায়া, এখানে আরও অন্বেষণ করা হয়েছে I
এখন আমি আমার চারিপাশে, আমার বন্ধুদের মধ্যে বা সমাজের মধ্যে, যেখানেই আমি তাকিয়েছি, মনে হয়েছে পুরো জীবনের জন্য শলোমনের পশ্চাদ্ধাবন এমন একটি ছিল যাকে সর্বত্রই দেওয়া হচ্ছে এবং চেষ্টা করা হচ্ছে I তবে তিনি আগেই আমাকে বলেছেন যে তিনি এটিকে ওই পথগুলির মধ্যে খুঁজে পান নি I তাই আমি জানতাম যে আমি তাকে সেখানে খুঁজে পাব না এবং অন্যত্র দেখার প্রয়োজন ছিল I
আমিও অন্য কিছুর দ্বারা বিরক্ত ছিলাম I এটি শলোমনকেও সমস্যা দিয়েছিল I
কারণ মানুষেরও সেই একই পরিণতি ঘটে যা পশুদের সঙ্গেও ঘটে। পশুদের মত, মানুষেরাও সব মরে। তারা সকলে অবশ্যই একই বাতাসে শ্বাস নেয়, মানুষ বলে পশুদের ওপর তার কোন বাড়তি সুবিধা নেই। সব কিছুই শুধু একটা দ্রুত শ্বাস নয় কি?20 সব কিছুই যাচ্ছে একই জায়গায়। সব কিছুই ধূলো থেকে সৃষ্টি এবং সব কিছুই ধূলোতে ফিরে যাবে।21 কে জানে মানবজাতির আত্মা উপরে যাবে কিনা এবং পশুর আত্মা নিচের দেকে মাটির তলায় যাবে কিনা?
উপদেশক 3:19-21
2 প্রত্যেকেরই একই ভাগ্য। একই ভাগ্য ধার্মিক ও পাপীদের জন্য অপেক্ষা করে, ভালো ও খারাপের জন্য, শুচি ও অশুচি জন্য এবং যে বলিদান করে এবং যে বলিদান করতে পারে না সকলেরই একই ভাগ্য। যেমন ভালো মরে, তেমনি পাপীও মরে। যেমন এক ব্যক্তি যে শপথ করে মরবে, তেমনি যে শপথ করতে ভয় পায় সেও মরবে।3 একটা মন্দ ভাগ্য সব কিছুর জন্য আছে যা সূর্য্যের নিচে হয়েছে, প্রত্যেকের জন্য এক ভাগ্য। মানুষের হৃদয় মন্দতায় পূর্ণ এবং পাগলামি তাদের হৃদয়ে থাকে যতদিন তারা জীবিত থাকে। তাই মৃত্যুর পরে তারা মরাদের কাছে যায়।4 কারণ তখনও কারোর জন্য আশা থাকে যে জীবিত, ঠিক যেমন মরা সিংহের থেকে জীবিত কুকুর ভাল।5 কারণ জীবিত জানে যে তারা মরবে, কিন্তু মরা কিছুই জানে না। তাদের আর কোন পুরষ্কার থাকে না কারণ তাদের স্মৃতি ভুলে যাওয়া হয়েছে।
উপদেশক 9:2-5
শলোমনের লেখাগুলি আমার সাথে অনুরণিত হয়েছিল, আমাকে উত্তরগুলির সন্ধান করতে বাধ্য করেছিল I আমার মধ্যে চুঁইয়ে পড়া জীবন, মৃত্যু, অমরত্ব, এবং অর্থ সম্পর্কে প্রশ্নগুলি I
গুরু সাই বাবার প্রজ্ঞা
বিশ্ববিদ্যালয়ে, আমার অন্যতম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক শ্রী সাই বাবার একজন ভক্ত ছিলেন এবং আমাকে তার বিভিন্ন বই ধার দিয়েছিলেন,যাকে আমি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে পড়েছিলাম I এখানে একটি উদ্ধৃতি আছে যাকে আমি নিজের জন্য অনুলিপি করেছি I
“আপনার সঠিক কর্তব্য কি?…
প্রথমত, আপনার পিতামাতাকে প্রেম এবং শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতার সাথে স্নেহ করুন I
দ্বিতীয়ত, সত্য কথা বলুন আর গুণগতভাবে কাজ করুন I
তৃতীয়ত, যখনই আপনার আছে কিছু অবকাশ থাকে তখন মনের মধ্যে যে রূপটি আছে সেটি নিয়ে প্রভুর নামের পুনরাবৃত্তি করুন I
চতুর্থ কখনও অন্য কারোর সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে প্রশ্রয় দেবেন না বা অন্যের মধ্যে ত্রুটিগুলি আবিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না I এবং অবশেষে, অন্যের কাছে কোনো রূপে ব্যথার কারণ বনবেন না” সত্য সাই স্পিক্স 4, পৃষ্ঠা 348-349
এই হিন্দু পবিত্র লোকটি যা শিখিয়েছিলেন তা আসলে ভাল কিনা দেখার জন্য আমি সাই বাবার লেখাগুলি পড়লাম I এই শিক্ষাগুলির সাথে আমার বাস করা উচিত ছিল I
তবে সেখানেই আমি একটি বড় সমস্যার মধ্যে পড়লাম I সমস্যাটি উপদেশের মধ্যে নয়, কিন্তু আমার মধ্যে ছিল I কারণ যেই আমি সেগুলিকে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করলাম, আমি যতই কঠোরভাবে আমি এই শিক্ষাগুলির প্রশংসা করেছি এবং সেগুলি অনুসারে জীবনযাপন করার চেষ্টা করে থাকি না কেন, আমি খুঁজে পেলাম যে আমি এগুলি অবিচ্ছিন্নভাবে করতে পারি না I আমি এই ভাল আদর্শগুলি থেকে ক্রমশঃ পিছিয়ে পড়েছি I
দেখে মনে হয়েছিল আমাকে দুটি পথের থেকে বেছে নিতে হবে I একটি পথ যেটি শলোমনের দ্বারা রূপায়িত হয়েছিল, যা সাধারণভাবে সারা পৃথিবী জুড়ে অনুসৃত হয়, মিজের জন্য বেঁচে থাকা, তা যাই অর্থ সৃষ্টি করুক না কেন, আনন্দ, বা শ্রেষ্ঠ বস্তুগুলিকে অনুসরণ করা যা আমি করতে চাইতাম I তবে আমি জানতাম পরিণতিটি শলোমনের পক্ষে ভাল ছিল না – নাতো অনেকের পক্ষে যাদেরকে সেই পথে যেতে আমি দেখেছি I তৃপ্তি ছিল অস্থায়ী এবং মায়া I যে পথ সাই বাবার দ্বারা রূপায়িত হয়েছিল তা অসম্ভব ছিল, সম্ভবত তার মতন গুরুর পক্ষে নয়, কিন্তু আমার মতন একজন ‘সাধারণ’ ব্যক্তির পক্ষে I অব্যাহতভাবে এই অসাধ্য আদর্শগুলিকে ধরে রাখার জন্য অবিরাম চেষ্টা করা স্বাধীনতা ছিল না – এটি দাসত্ব ছিল I
সুসমাচার – এটি বিবেচনা করতে প্রস্তুত
আমার অনুসন্ধানে আমি বাইবেলের (বেদ পুস্তকম) মধ্যে সুসমাচারগুলিতে লিপিবদ্ধ যীশুর (যেশু সৎসঙ্গ) বক্তৃতা এবং উপদেশগুলি পড়েছি I এগুলি যীশুর থেকে পাওয়া বিবৃতি যা আমার সাথে আটকে আছে
“… আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায় এবং উপচয় পায়”
যোহন 10:10
28 Come unto me , all ye that labor and are heavy laden, and I will give you rest .29 Take my yoke upon you , and learn of me ; for I am meek and lowly in heart : and ye shall find rest unto your souls .30 For my yoke is easy , and my burden is light .
মথি 11: 28-30
আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে সম্ভবত, সম্ভবত, এখানেই একটি উত্তর ছিল যা অন্য পথগুলির নিরর্থকতাকে সম্বোধন করে I যাই হোক না কেন, সুসমাচারের আক্ষরিক অর্থ ‘ভাল সংবাদ’ I সুসমাচার কি সত্যই ভাল সংবাদ ছিল? এর জবাব দেওয়ার জন্য আমার সুসমাচার সম্বন্ধে একটি অবগত বোধগম্য বিকাশ শুরু করা দরকার ছিল I এছাড়াও সুসমাচার সম্পর্কে আমার সমালোচনা করারও দরকার ছিল, কেবল নির্বোধ সমালোচক না হয়ে I
এমন একটি ধারণা রয়েছে যে যখন কেউ এই পথে যাত্রা করে সে কখনও পৌঁছায় না, বরং আমি শিখি যে সুসমাচার এই বিষয়গুলির উত্তর যোগান দেয় I এর পুরো বিষয়টি সেগুলোকে সম্বোধন করা – এক সম্পুর্ণজীবন, মৃত্যু, অনন্তকাল, এবং আমাদের পরিবারিক সম্পর্কের মধ্যে ভালবাসার মতন ব্যবহারিক উদ্বেগ, ভয় এবং ক্ষমা I সুসমাচারের দাবিটি হ’ল যে এটি এমন একটি ভিত্তি যার উপরে আমরা আমাদের জীবনকে গড়ে তুলতে পারি I কেউ হয়ত সুসমাচারের জবাবগুলি অবশ্যম্ভাবীরূপে পছন্দ না করতে পারে, কেউ হয়ত সেগুলোর সাথে একমত না হতে পারে বা সেগুলোকে বিশ্বাস না করতে পারে, কিন্তু এই মানবিক প্রশ্নগুলিকে সম্বোধন করার পরে সেগুলি সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকা বোকামি হবে I
আমি আরও শিখেছি যে সুসমাচার মাঝে মাঝে আমাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছেI এমন একটা সময়ে যখন আমাদের কেবলমাত্র স্বচ্ছন্দে বাঁচতে প্রলুব্ধ করে, সুসমাচার আমার হৃদয়, মন, আত্মা এবং শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে যে, যদিও এটি জীবনকে উপস্থাপন করে, এটি কোনো সহজ প্রস্তাব দেয় নি I
যেহেতু সুসমাচার অনুসরণ করে আমি আমার যাত্রা অনুসরণ করেছি, ভারত জুড়ে এবং এমনকি নেপালেও কাজ করা এবং ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছি I আমার বন প্রকৌশল বিদ্যা আমাকে বিভিন্ন সহকর্মীদের সঙ্গে অনেক স্থানে নিয়ে গিয়েছিল I এর প্রসঙ্গে আমি কথপোকথন করতে এবং সুসমাচারটি বৈদিক পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে প্রাসঙ্গিক, সত্য এবং অর্থবহ সেই সম্বন্ধে আরও অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে সক্ষম হয়েছি I আমি আশা করি সুসমাচারটি বিবেচনা করে আপনি একই ধারণা পাবেন I
সম্পর্কিত ধারণাগুলিতে যদি তাদের পার্থক্যগুলিকে সঠিকভাবে না বোঝা যায় তবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে I দক্ষিণ এশিয়ার ভাষাগুলি এর একটি উত্তম উদাহরণ প্রদান করে I
অনেক পাশ্চাত্য লোকেরা হিন্দি (ভাষা) এবং হিন্দুর (ধর্ম বা জীবনের ধর্মীয় উপায়) মধ্যে পার্থক্য করে না I শব্দগুলি একইরকম শোনায় এবং যেহেতু ‘উভয়ই ভারত থেকে আসে তারা ভাবে সেগুলি অভিন্ন I আপনি লোকেদের বলতে শুনবেন ‘সে পুরুষ হিন্দু বলে এবং সে স্ত্রী একজন হিন্দি’, শব্দগুলি সম্বব্ধে তাদের ভুলবোঝাবুঝি দেখায় I
কেউ কেউ পাশ্চাত্য লোকেরা আবার এমনকি জানে না যে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে অনেক ভাষায় কথা বলা হয় I প্রায়শই ধরে নেওয়া হয় যে ‘সেখানে; হিন্দি (বা হিন্দু) বলা হয় I তাদের উপলব্ধি নেই যে লক্ষ্য লক্ষ্য লোকেরা বিভিন্ন ভাষা সমূহ যেমন মালয়ালম, তামিল, তেলেগু, উড়িয়া, মারাঠি, বাঙ্গালী, গুজরাতি, কানাড়া, পাঞ্জাবী, নেপালি ইত্যাদি বলে I
অবশ্যই হিন্দি হিন্দুত্ববাদ এবং হিন্দু ধারণা সমূহের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে যা প্রায়শই হিন্দিতে প্রকাশ করা হয় I অনুরূপভাবে হিন্দু ভক্তবৃন্দগণ অন্যান্য ভাষাতেও (তামিল, মালয়ালম, ইত্যাদি) প্রার্থনা এবং আরাধনা করে থাকে I একের অপরের ওপরে অধিক্রমণ এবং প্রভাব আছে – তবে তারা এক নয় I
দক্ষিণ এশিয়ার ভাষার বর্ণলিপি
বিভিন্নতার মাধ্যমে, ভাষাগুলি যদিও বিবিধ, তবুও তাদের ইতিহাসের দ্বারা সংযুক্ত হয় I দক্ষিণ এশিয়ার সমস্ত লেখার পদ্ধতিগুলি ব্রাহ্মীলিপি থেকে আসে I এটি প্রাচীন ফোনীসিয়া (=পালেও-হিব্রু) থেকে প্রথম সহস্রাব্দী খ্রীষ্টপূর্বাব্দের মাঝামাঝিতে গৃহীত হয় I
কিভাবে এই লিপি দক্ষিণ এশিয়াতে এসেছিল স্পষ্ট নয়, যদিও এশিয়াতে হিব্রু নির্বাসনের উপর ভিত্তিশীল একটি শীর্ষস্থানীয় তত্ব কৌতূহল জাগায় I ব্রাহ্মীলিপি দুটি প্রধান শাখায় বিভক্ত হয়: উত্তর এবং দক্ষিণ ব্রাহ্মীলিপি I উত্তরাঞ্চলের ব্রাহ্মীলিপি দেবনাগরী ও নন্দীনগরীতে বিবর্তিত হয়েছিল যা সংস্কৃত এবং উত্তর ভারতীয় ভাষায় (হিন্দি, মারাঠি, গুজরাতি, বাঙ্গালী, নেপালি, পাঞ্জাবী)পরিণত হয়েছিল I দ্রাবিড় ভাষাগুলি দক্ষিন ব্রাহ্মীলিপি গ্রহণ করেছিল, প্রধানত আজ তামিল, তেলেগু, কানাড়া এবং মালয়ালমে শোনা যায় I
খ্রীষ্টধর্ম আর সুসমাচারও এক নয়
যেমন হিন্দি এবং হিন্দু একে অপরকে প্রভাবিত করেছিল, তবে এক নয়, অনুরূপভাবে সুসমাচার আর খ্রীষ্ট ধর্মের সাথেও একইরকম হয়েছে I খ্রীষ্টধর্ম একটি বার্তার প্রতি সংস্কৃতিক প্রতিক্রিয়া I তাই খ্রীষ্টধর্মে প্রথা, বিশ্বাস এবং অনুশীলন সমূহ রয়েছে সুসমাচারে নয় I উদাহরণস্বরূপ, ইস্টার এবং ক্রিষ্টমাসের উৎসবগুলি নিন, সম্ভবত, খ্রীষ্টধর্মের সর্বাধিক সুপরিচিত উপস্থাপনাগুলি I এই উৎসবগুলি যীশু খ্রীষ্টের জন্ম, মৃত্যু, এবং পুনরুত্থান, সুসমাচারে প্রকাশিত ঈশ্বরের অবতারকে স্মরণ করায় I তবে সুসমাচারের বার্তা, বা বেদ পুস্তকমের (বাইবেল) কোথাও এই উৎসবগুলি সম্বন্ধে কোনো উল্লেখ বা আদেশ দেয় না I সুসমাচার এবং খ্রীষ্টধর্মের মধ্যে অধিক্রমণ রয়েছে তবে তারা এক নয় I আসলে, সমগ্র বাইবেল (বেদ পুস্তকম) ‘খ্রিস্টিয়ান’ শব্দটিকে কেবল তিন বার উল্লেখ করেছে I
ওয়েবসাইটটি সুসমাচার সম্পর্কে, খ্রীষ্টধর্ম সম্পর্কে নয় I শব্দগুলি মূলত ব্যবহৃত হয় বর্ণনা করতে সুসমাচার হল পথ এবং সোজা পথ (ধর্মের ভাবনা) I যারা সুসমাচারকে অনুসরণ করে অর্থাৎ অনুসরণকারীদের বিশ্বাসী, শিষ্য বলা হয় (ভক্তগণের ভাবনা) I সুসমাচারের কেন্দ্রীয় ধারনাটি হ’ল একজন ব্যক্তি, নাসরতের যীশু, ঈশ্বরের অবতার, গুরু যিনি ভক্তি প্রদর্শন করেছিলেন আপনাকে এবং আমাকে I সময়ের শুরু থেকে তাঁর আগমনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল I যে কেউ হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, শিখ, অন্য ধর্মের – বা কেউ না নির্বিশেষে তিনি বোঝার যোগ্য I
জগতের চারিদিকে সমস্ত সংস্কৃতি সমূহের মধ্যে বিবাহকে কেন স্বর্গীয় রূপে দেখা হয়? কেন বিবাহকে পবিত্র অনুষ্ঠান রূপে বিবেচিত করা হয়? সম্ভবতঃ, ঈশ্বর বিবাহ এবং বিবাহগুলি সৃষ্টি করেছিলেন, যা আমাদের গভীর বাস্তবতার ঝলক দেখানোর জন্য একটি চিত্র হিসাবে চিহ্নিত করে, তবে যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আমাদেরকে – আপনাকে – প্রবেশ করতে, তাকে দেখতে পাওয়া কঠিন I
দক্ষিন এশিয়ার প্রাচীনতম পাঠ্যপুস্তক ঋগ্বেদ, 2000-1000 খ্রীষ্টপূর্বাব্দে লেখা হয়েছিল I বৈদিক ঐতিহ্যে লোকেদের এক পবিত্র মিলন হিসাবে বিবাহের এই ধারণার জন্য এটিবিবাহকে(বিয়ে) ব্যবহার করে I অতএব এই বেদ গুলির মধ্যে বিবাহ মহাজাগতিক বিধান সমূহের উপরে ভিত্তিশীল I এটি মহাবিশ্বের দ্বারা পরিকল্পিত এবং একটি “স্বয়ং অগ্নি দ্বারা প্রত্যক্ষ্য পবিত্র এককত্ব” রূপে বিবেচিত I
প্রায় একই সময়কালের থেকে হিব্রু বেদ ছিল, ঋষিদের বই যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে প্রকাশ পেয়েছিল I আজকের দিনে আমরা এই বইগুলোকে বাইবেলের পুরনো নিয়ম বলে জানি I এই বইগুলি নিয়মিত রূপে ‘বিবাহ’ এবং ‘বিয়ে’ ব্যবহার করেছিল চিত্রিত করতে যা ঈশ্বর করতে যাচ্ছিলেন I এই বইগুলি কোন ব্যক্তির আগমনের প্রত্যাশা করছিল যিনি বিবাহের শর্তে চিত্রিত লোকেদের সঙ্গে এক অনন্তকালীন বন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন I নতুন নিয়ম বা সুসমাচার ঘোষণা করেছিল যে এই ব্যক্তি ছিলেন যীশু – যেশু সৎসঙ্গ I
এই ওয়েবসাইটে গবেষণামূলক প্রবন্ধটি হ’ল যে প্রাচীন সংস্কৃত এবং হিব্রু বেদ সমূহ সেই একই ব্যক্তিরজন্য প্রত্যাশা করছিল I এটিকে আরও অন্বেষণ করা হয়, তবে এমনকি বিবাহের শর্তে, যীশুর আমন্ত্রণের সুসমাচারের চিত্র, এবং একটি বিবাহের সেই চিত্রের মধ্যে সমান্তরালগুলি আকর্ষনীয় হয় I
সপ্তপদী: বিবাহের সাতটি ধাপ
বিবাহ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রীয় অংশটি হল সাতটি ধাপ, বা সপ্তপদী সাত ফেরে:
এটি তখন হয় যখন কনে এবং বর সাতটি ধাপ এবং অঙ্গীকার গ্রহণ করে I বৈদিক পরম্পরায়, পবিত্র আগুনের (অগ্নি) চারপাশে সপ্তপদী করা হয়, অগ্নি দেব (স্বর্গীয় আগুন) দ্বারা সাক্ষী মেনে I
বাইবেল অনুরূপভাবে ঈশ্বরকে অগ্নি হিসাবে চিত্রিত করে
ঈশ্বর একটি গ্রাসকারী অগ্নি I
ইব্রীয় 12:29 ও দ্বিতীয় বিবরণ 4:24
বাইবেলের শেষ বই মহাবিশ্বের পূর্বে সম্পাদিত একটি বিবাহের মধ্যে এই ঐশ্বরিক বিবাহের আমন্ত্রণের সমাপ্তির পূর্বাভাস দেয় I এই বিবাহের দিকে নিয়ে যাওয়ার সাতটি ধাপ I এই বইটি এই বাক্যগুলির সাথে ‘মুদ্রা সমূহ’ হিসাবে তাদেরকে বর্ণিত করে:
1আর, যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, আমি তাঁহার দক্ষিণ হস্তে এক পুস্তক দেখিলাম; তাহা ভিতরে ও বাহিরে লিখিত ও সপ্ত মুদ্রায় মুদ্রাঙ্কিত। 2পরে আমি দেখিলাম, এক শক্তিমান্ দূত মহারবে এই কথা ঘোষণা করিতেছেন, ঐ পুস্তক খুলিবার ও তাহার মুদ্রা সকল খুলিবার যোগ্য কে? 3কিন্তু স্বর্গে কি পৃথিবীতে কি পৃথিবীর নীচে সেই পুস্তক খুলিতে অথবা তাহার প্রতি দৃষ্টি করিতে কাহারও সাধ্য হইল না। 4তখন আমি বিস্তর রোদন করিতে লাগিলাম, কারণ সেই পুস্তক খুলিবার ও তাহার প্রতি দৃষ্টি করিবার যোগ্য কাহাকেও পাওয়া গেল না। 5তাহাতে সেই প্রাচীনবর্গের মধ্যে এক জন আমাকে কহিলেন, রোদন করিও না; দেখ, যিনি যিহূদাবংশীয় সিংহ, দায়ূদের মূলস্বরূপ, তিনি ঐ পুস্তক ও উহার সপ্ত মুদ্রা খুলিবার নিমিত্ত বিজয়ী হইয়াছেন।
প্রকাশিত বাক্য 5:1-5
বিবাহ উদযাপিত হয়
যেমন সপ্তপদীর প্রত্যেকটি ধাপের মধ্যে, যখন কনে এবং বর পবিত্র অঙ্গীকারগুলি বিনিময় করে, ঠিক তেমনি ভাবে এই বইটি প্রতিটি মুদার উদ্বোধনের বর্ণনা করে I কেবলমাত্র সপ্তম মুদ্রাটি খোলার পরেই বিবাহ ঘোষিত হয়:
আইস, আমরা আনন্দ ও উল্লাস করি, এবং তাঁহাকে গৌরব প্রদান করি, কারণ মেষশাবকের বিবাহ উপস্থিত হইল, এবং তাঁহার ভার্য্যা আপনাকে প্রস্তুত করিল।
প্রকাশিত বাক্য 19:7
বরযাত্রী, বিবাহের মিছিল
এই বিবাহ সম্ভব হয় কেননা বর, সেই গ্রাসকারী অগ্নির উপস্থিতিতে কনের মূল্য চুক্তা করেছেন, এবং আজকের বিবাহের এক বরযাত্রীর মতন, তার কনের দাবি করতে তাঁর ঘোড়ায় চড়ে, একটি স্বর্গীয় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন I
কারণ প্রভু স্বয়ং স্বর্গ থেকে নেমে আসবেন a 17 এরপরে, আমরা যারা এখনও বেঁচে আছি এবং বাকি রয়েছি তারা বাতাসে প্রভুর সাথে দেখা করার জন্য তাদের সাথে মেঘের মধ্যে জড়ো হয়ে যাব। এবং তাই আমরা চিরকাল প্রভুর সাথে থাকব।
1 থিষলনীকীয় 4:16-17
কনের মূল্য বা যৌতুক
আজকের বিবাহগুলিতে, প্রায়শই কনের মূল্য এবং যৌতুকের বিষয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক হয় যা কনের দ্বারা বর এবং তার পরিবারকে প্রদান করা উচিত যা কন্যাদানের সঙ্গী হয় I এই আসন্ন স্বর্গীয় বিবাহতে, যেহেতু বর কনের মূল্য দিয়েছেন, তাই তিনিই একজন যিনি কনের জন্য উপহার, একটি বিনামূল্যের উপহার নিয়ে এসেছেন I
আর তাঁহারা এক নূতন গীত গান করেন, বলেন,
‘তুমি ঐ পুস্তক গ্রহণ করিবার ও তাহার মুদ্রা খুলিবার যোগ্য; কেননা তুমি হত হইয়াছ,
এবং আপনার রক্ত দ্বারা সমুদয় বংশ ও ভাষা ও জাতি
ও লোকবৃন্দ হইতে ঈশ্বরের নিমিত্ত লোকদিগকে ক্রয় করিয়াছ;
প্রকাশিত বাক্য 5:9
আর আত্মা ও কন্যা কহিতেছেন, আইস। যে শুনে, সেও বলুক, আইস। আর যে পিপাসিত, সে আইসুক; যে ইচ্ছা করে, সে বিনামূল্যেই জীবন-জল গ্রহণ করুক।
প্রকাশিত বাক্য 22:17
বিবাহের পরিকল্পনা
আজ, হয় মা-বাবা বিবাহের ব্যবস্থা করেন (ব্যবস্থিত বিবাহ) বা দম্পতি তাদের পারস্পরিক প্রেম থেকে বিবাহ করে (প্রেম-বিবাহ) I উভয় ক্ষেত্রেই, আপনি আগে থেকেই আপনার সম্ভাব্য জীবনসাথী এবং আপনার বিবাহের ব্যবস্থা সম্পর্কে অনেক চিন্তা-ভাবনা বা বোঝাপড়া বিনিয়োগ করবেন I বিবাহের প্রস্তাব যখন দেওয়া হয় তখন বিবাহ সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয় I
এটি আসন্ন বিবাহ এবং এর প্রতি আপনার আমন্ত্রণের ক্ষেত্রেও সত্য I এই কারণে আমরা এই ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছি যাতে করে আপনি ঈশ্বরকে জানা এবং বোঝার সুযোগ পান যিনি আপনাকে তাঁর বিবাহে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন I এ বিবাহ কোনো এক নির্দিষ্ট সংস্কৃতি, শ্রেণী বা লোকেদের জন্য নয় I বাইবেল বলে:
ইহার পরে আমি দৃষ্টি করিলাম, আর দেখ, প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক, তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না; তাহারা সিংহাসনের সম্মুখে ও মেষশাবকের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছে; তাহারা শুক্লবস্ত্র পরিহিত, ও তাহাদের হস্তে খর্জ্জুর পত্র;